এইমাত্র পাওয়া

আমরণ অনশনে বসেছে জবির ১১ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক।। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে ২৪ ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে আমরণ অনশনে বসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিতে অটল থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এই আমরণ অনশনে বসেন।

সারাদেশে বাড়বে তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অফিসসারাদেশে বাড়বে তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অফিস
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী আবাসনের জন্য যে আন্দোলন করি তার ফলশ্রুতিতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করি। সেখানে আমাদের এটা মিটিং হয় উপদেষ্টা, ইজিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ওখানে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে তারা এটা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারবে, এতে মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কোনো বাধা নেই।

এসময় শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, ‘আমরা প্রশাসনকে যৌক্তিক সময় দিয়েছি তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটা ফলাফল দিবে। ওই মিটিংয়ের পর অনেক বার প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেছি, আপডেট চেয়েছি। তারা আমাদের বলেছেন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, চিটি দিয়েছি, আমাদের ওপর ভরসা রাখো এই কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ প্রশাসন। তারা এর বাইরে যেহেতু আর কোনো কথা বলতেছে না সেজন্যই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমাদের দাবি না মানা অবধি আমরা অনশন থেকে উঠবো না।’

অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- বোটানিক্যালের ১৩তম ব্যাচের ছাত্র এ কে এম রাকিব, দর্শন বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র তাওহিদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ফয়সাল মুরাদ, সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের মো. রাশিদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ফেরদৌস শেখ, অর্থনীতি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের রাকিব হোসেন, দর্শন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সুজন চন্দ্র সুকুল, সোশ্যাল ওয়ার্ক ১৭তম ব্যাচের জুবায়ের ইসলাম রিয়ন, ইসলামিক স্ট্যাডিজের ১৭তম ব্যাচের আবু মুসা, একই বিভাগের আতিকুর রহমান তানজিল, ল’ বিভাগের ১৯তম ব্যাচের রাকিবুল ইসলাম।

শিক্ষাবার্তা /এ/১২/০১/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading