এইমাত্র পাওয়া

বকশীগঞ্জ: জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক হওয়া সুজার জালিয়াতিতে ডুবছে স্কুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুজাউদ্দিন এহেন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি বিদ্যালয়টিতে করছেন না। মেয়াদোত্তীর্ণ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়া মোঃ সুজাউদ্দিন স্কুলটির একজন কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকের পদকে শূন্য দেখিয়ে সেই পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর নিকট চাহিদা দিয়ে নতুন শিক্ষককে যোগদান করিয়ে এখন সেই শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে দপ্তরে দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছেন। প্রধান শিক্ষকের মিথ্যা তথ্যে বর্তমানে সহকারী শিক্ষক গণিতের একটি পদের বিপরীতে কর্মরত তিনজন শিক্ষক। এর মধ্যে একজন পূর্বের এবং দুইজন পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি থেকে যোগদান করা। এছাড়াও কর্মরত গণিত শিক্ষককে শুধু শূন্যপদই দেখাননি বাধ্যতামূলক ইফটিতে তথ্য দেয়ার মাউশি কর্তৃক নির্দেশ থাকলেও এই শিক্ষকের কোন তথ্য তিনি দেননি। 

শিক্ষাবার্তা’র অনুসন্ধানে এনটিআরসিএ’র সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুজাউদ্দিন শূন্যপদে চারজন শিক্ষক চেয়ে এনটিআরসিএ’র ই-রিকুইজিশনে চাহিদা প্রেরণ করেন। এরমধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক কৃষি ও দুইজন সহকারী শিক্ষক গণিত এবং একজন সহকারী শিক্ষক রসায়ন/পদার্থ।  এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ অনুযায়ী, নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন, সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে একজন এবং সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে একজন এবং সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) পদে একজনের শুণ্যপদ রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক এনটিআরসিএর বহির্ভূত পদ। অর্থ্যাৎ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী, এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ কৃত শূন্যপদ তিনটি- সহকারী শিক্ষক (বাংলা) একজন এবং সহকারী শিক্ষক (কৃষি) একজন এবং সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) একজন। 

নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রেরিত শূন্যপদের চাহিদা। 

কিন্তু প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন এনটিআরসিএ’র ই-রিকুইজিশনে যে চাহিদা প্রেরণ করেন তার মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক কৃষি ও দুইজন সহকারী শিক্ষক গণিত এবং একজন সহকারী শিক্ষক রসায়ন/পদার্থ। যেখানে গণিতের কোন শুন্যপদ নেই এবং একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত থাকা ঐ শিক্ষক হলেন পিরামিড মিয়া যার ইনডেক্স নম্বর-D2029763। প্রধান শিক্ষকের দেওয়া চার জনের  শুন্য পদের বিপরীতে গত ২১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তিনজনকে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। সুপারিশ প্রাপ্তরা হলেন, সহকারী শিক্ষক (কৃষি) জাহেদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক (গণিত) জাফরুল হাসান, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. আফরুজ্জামান। নিয়োগ পাওয়া এই তিন জনের মধ্যে জাহেদা আক্তার ও  মো. আফরোজ্জামান  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ এবং জাফরুল হাসান ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে  বিদ্যালয়টিতে যোগদান করেন। 

নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয় থেকে প্রাপ্ত চাহিদামতে  তিনজনকে নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। 

এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়ে জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (গণিত) পিরামিড মিয়া জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে গণিতের সহকারী শিক্ষক মোঃ আফরোজ্জামানকে এমপিওভুক্তির ফাইল মাউশির ময়মনসিংহ আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ করেন এবং এমপিওভুক্ত হন।  

গণিতের কোন শূন্যপদ নেই এবং কর্মরত শিক্ষক থাকলেও  কিভাবে মোঃ আফরুজ্জামানকে এমপিওভুক্ত করানো হলো এর অনুসন্ধানে নামে শিক্ষাবার্তা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ের মোট পাঁচটি অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার অনুমোদন রয়েছে। এরমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে দুইটি, সপ্তম শ্রেণিতে দুই টি এবং অষ্টম শ্রেণিতে একটি শাখা রয়েছে। পাঁচটি অতিরিক্ত শ্রেণি শাখায় কর্মরত রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন, আলপনা বেগম, জহরতুন্নাহার, আলফাতুন্নাহার ও গোলাম মোস্তফা এবং এনটিআরসিএ থেকে আসা শারমিন বেগম। এই পাঁচ জনের চারজনই সমাজ বিজ্ঞানের অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার শিক্ষক। এদের মধ্যে আলফাতুন্নাহারকে শুণ্য থাকা বাংলার সহকারী শিক্ষক দেখিয়ে এবং অতিরিক্ত শ্রেণির শাখা সমাজ বিজ্ঞানের শূন্য পদ তৈরি করে এই পদে এনটিআরসিএ থেকে আসা গণিতের সহকারী শিক্ষক মোঃ আফরোজ্জামানকে এমপিওভুক্তি করানো হয়। এই জালিয়াতির কাজের সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষক ও জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান সহকারী আক্তার হোসেন। তারা একে অপরের সাথে পরামর্শ করেই তাকে এই পদে এমপিওভুক্ত করান। 

অতিরিক্ত শ্রেণি শাখায় নিয়োগকৃত শিক্ষকদের তালিকা। 

সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন ও জেলা শিক্ষা অফিসের ঘুষখোর কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের যোগসাজশে  অতিরিক্ত শ্রেণি শাখার কাগজপত্র জালিয়াতি করে তৈরি করে শিক্ষক মোঃ আফরোজ্জামানের এমপিওভুক্ত করাতে পারলেও তার অপকর্মে বলি গণিতের আরেক সহকারী শিক্ষক জাফরুল হাসানের এমপিওভুক্ত করাতে পারেননি। জাফরুল হাসানের এমপিওভুক্তিতে এনটিআরসিএ’র অফিসে দৌড়ঝাঁপ করছেন প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের বলা হয়েছে জাফরুল হাসানকে ভোকেশনাল শাখায় (গণিত) যোগদান করানো হয়েছে। ভোকেশনাল শাখায় গণিতে পদে একজন কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে এনটিআরসিএ’র অফিসে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ঘুরছেন প্রধান শিক্ষক সুজা। আগের মিথ্যা চাহিদা সংশোধন করে ভোকেশনালে দেখিয়ে তাকে এমপিওভুক্ত করাবেন তিনি। 

এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিকস ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতন-ভাতা দিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মৌলিক তথ্য ইএমআইএস সেলে আপলোড কার্যক্রমের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিল মাউশি। গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখের মধ্যে এই তথ্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও গণিতের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়ার কোন তথ্য দেননি প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন। তাকে বরখাস্ত করলেও পতিত হাসিনা সরকারের পতনের পর যেসব শিক্ষকের বরখাস্তের মেয়াদ ১৮০ দিন অতিবাহিত হয়েছে তাদের স্বপদে পুনর্বহালের চিঠি ইস্যু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পিরামিড মিয়াকে স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন।

প্রধান শিক্ষক পদে জালিয়াতি করে নিয়োগ বাগিয়ে নেন সুজাউদ্দিন 

শিক্ষাবার্তা’র হাতে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেটে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির শূন্য পদে একজন প্রধান শিক্ষক ও নব সৃষ্ট পদে একজন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ১৭ আগস্ট ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দে। বিজ্ঞপ্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর দুই দুইবার ডিজি প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করে দুই বারই জালিয়াতির অভিযোগে সেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ১০ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও এনটিারসিএ’র বহির্ভুত পদে নিয়োগের পরিপত্র জারি হয় যা কার্যকর হয় ২১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে। এই পরিপত্র অনুযায়ী, স্কুলটিতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বাতিল হয়ে যায়। পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল হলেও নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয় থেকে ০৮ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে একটি নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে আবেদনকারী প্রার্থীদের জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ প্রকাশিত পরিপত্র মোতাবেক নীলাখিয়া আর. জে পাইলট উচ্চ বিদালয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রীঃ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন নিজে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে সেই প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রধান শিক্ষক হন। সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী বাতিল হওয়া বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা নেওয়া হলেও পরীক্ষায় মানবন্টন করা হয় আগের নিয়মে। সম্পূর্ণ অনিয়ম করে বাতিল হওয়া পরিপত্রে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নেন সুজাউদ্দিন এবং এমপিওভুক্ত হন।

আরও পড়ুনঃ এক স্কুলের ১৩ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ জালিয়াতি: তদন্তে তুঘলকি কাণ্ড

প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন বাতিল হওয়া যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হন সেই একই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হন অফিস সহায়ক মো. আব্দুল করিম ওরফে মোঃ কামরুজ্জামান। নিয়োগ আবেদন ও এমপিওভুক্তিতে আব্দুল করিমের বয়স দেখানো হয় ১৫ মার্চ ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচনে দেওয়া মো. আব্দুল করিমের ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ দেয়া হয় ০৬ জুন ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ। নিয়োগে সময় আব্দুল করিমের বয়স জাল করে দেখানো হয়। শুধু তাই নয় তিনি যে অষ্টম শ্রেণির পাস সনদ দেখিয়েছেন সেটাও জাল করে বানানো। মো. আব্দুল করিম ওরফে মোঃ কামরুজ্জামান বড় ছেলে মোঃ হাসান মিয়া একই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে দেওয়া তথ্য মতে হাসানের বয়স ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতি করে তাকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এই জালিয়াতিতেও সরাসরি জড়িত  প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন। 

জানতে চাইলে স্কুলটির গণিতের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়া বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিগত কমিটি ১ মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে সাময়িক বহিস্কার করেন এবং বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে রাখেন। ০৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মোতাবেক আমি স্বপদে পুনর্বহাল হই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রকে ব্রিদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে আমাকে প্রতিষ্ঠানটিতে ঢুকতে দিচ্ছে না এবং এমপিও ছাড়ছে না। পক্ষান্তরে আমার পদকে শূন্য দেখিয়ে এনটিআরসিএ’তে গণিত পদে চাহিদা দিয়ে সেই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করিয়েছেন এবং অন্যজনকে এমপিওভুক্ত করার পায়তারা করছেন। আমি আমার স্বপদে পুনর্বহাল চাই এবং এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করছি। 

সহকারী শিক্ষক গণিত পদে তিন জন শিক্ষক কিভাবে কর্মরত জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দিন শিক্ষাবার্তা’কে বলেন,  একজন বরখাস্তকৃত হাইকোর্টে মামলা চলে, একজন অতিরিক্ত শ্রেণি শাখায় এবং একজন ভোকেশনালের জন্য। এনটিআরসিএ’র ই-রিকুইজিশনে যে চাহিদা দিয়েছেন সেখানে সহকারী শিক্ষক গণিত দুইজন লেখা আছে কোন ভোকেশনালের কথা লেখা নেই। এছাড়া আপনার প্রতিষ্ঠানের পাঁচ টি অতিরিক্ত শ্রেণি শাখায় পাঁচ জন কর্মরত আছেন এবং ভোকেশনাল শাখায় গণিতে একজনকে নিয়োগ দেওয়া আছে তাহলে কিভাবে অতিরিক্ত শ্রেণি শাখায় এবং ভোকেশনালে গণিতের চাহিদা দিলেন, প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কোন অতিরিক্ত চাহিদা দেওয়া হয়নি। নিয়ম মাফিক আছে, আমার কাছে কাগজ আছে। 

ইফটিতে কেন গণিতের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়ার তথ্য দেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি তো দুই বছর যাবত প্রতিষ্ঠানে নেই। আপনি তাকে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দিচ্ছেন না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তার বরখাস্তের বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলে। ইফটিতে বরখাস্তকৃত শিক্ষকের তালিকা দেওয়ার জন্য অপশন রয়েছে তাহলে কেন দিলেন না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অপশন আমি পাইনি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/১২/২০২৪ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading