ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলছে আন্দোলন। আর লটারির পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধসহ রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ক্রমান্বয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষাক্ষেত্রে চলছে নানা আন্দোলন-অস্থিরতা। হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১০টি কমিশন গঠন করা হলেও শিক্ষা নিয়ে করা হয়নি এখনও।
স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও নির্দিষ্ট হয়নি জাতীয় শিক্ষা দর্শন। ফলে হাসিনা সরকার নিজেদের রাজনৈতিক দর্শন অনুযায়ী প্রবর্তন করে কারিকুলাম, রচনা করে পাঠ্যবই। আর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় তা, বাতিল হয় কারিকুলাম।
২০১২ সালের পাঠ্যবই পরিমার্জন করে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাপানোর কাজ চলছে। আর ২০২৬ সালে শিক্ষার্থীরা কোন কারিকুলামে পড়াশোনা করবে, তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তই হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলছেন, এখনও কোন উদ্যোগ না থাকায় এ সময়ের মধ্যে ২০২৬ সালের জন্য কারিকুলাম প্রণয়ন, পাঠ্যবই রচনা ও স্কুল পাইলটিং শেষ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘একটা নতুন শিক্ষাক্রম মডেল প্রতিষ্ঠা করতে এক বছর সময় পর্যাপ্ত না। একটা বা দুইটা শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক রচনার জন্য এক বছর সময় নিয়ে দেখা যেতে পারে। কিন্তু সব শ্রেণির জন্য করতে গেলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাড়াহুড়ার কারণে ভুল হওয়ার শঙ্কা অনেক বেশি থাকে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন দেখে আসছি। এখনই উত্তম সময় সে পরিকল্পনা গ্রহণ করার। না হলে ২০২৬ সালেও সেই জোড়াতালি দিয়েই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হবে।’
গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষা দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সংস্কারের লক্ষ্য অর্থহীন হয়ে পড়বে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলছেন, কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে এটা কবে নাগাদ হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে, সবশেষ ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়নে ড. কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে সরকার, যার তেমন কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.