মাধবপুরে জোর করে পদত্যাগ, মাদ্রাসা সুপারের মামলা

হবিগঞ্জঃ জেলার মাধবপুরে জোর করে সামযি়ক পদত্যাগ করানোর অভিযোগে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৫ কর্মকর্তা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সিদ্দিকুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা সুপার।

সিদ্দিকুর রহমান এমপিওভুক্ত মাধবপুর দরগাবাডি় পৌর দাখিল মাদ্রাসার সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত সুপার। গত ৫ নভেম্বর তিনি হবিগঞ্জ আদালতে এই মামলা করেন।

মামলায় মাধবপুরের সদ্য বদলী হওয়া ইউএনও এ কে এম ফয়সাল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. জান্নাতুল বাকি, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার ও কয়েকজন শিক্ষকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়। আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত ১৪ অক্টোবর ইউএনও এ কে এম ফয়সাল নিজ কার্যালয়ে তাকে ডেকে এনে চাপ সৃষ্টি করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। ইউএনও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জোর করে ও প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার মাধ্যমে তার পেশাগত অধিকার ও সম্মান ক্ষুণ্‌ন করেছেন বলে দাবী করেছেন সুপার সিদ্দিকুর।

এ বিষয়ে মামলার বিবাদী উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. জান্নাতুল বাকি বলেন, আমরা ইউএনও স্যারের নির্দেশে তদন্ত করেছি। কমিটির সদস্য ছিলাম আমরা। আমাদের বিবাদী করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে মাধবপুরের বদলীকৃত ইউএনও এ কে এম ফয়সলালের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

প্রসঙ্গত, মামলার বাদী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ-বাণিজ্য, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহযোগিতা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনসহ আদালতে মামলাও চলছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/১১/২০২৪