মাজহার মান্নানঃ অর্ন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছে। একটি রাষ্ট্রের সংস্কার খুব জটিল এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ। তবুও ডক্টর ইউনুসের সরকার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে। বর্তমান সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কোন কিছু আদায় করতে গেলে ঘাম ঝরে যায়। সব নির্বাচিত সরকারই কম বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো বেসরকারি শিক্ষকদের। কিন্তু সেটা অধরা থেকে গেছে। বেসরকারি শিক্ষকদের একটি বিরাট ভূমিকা থাকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে। পোলিং, সহকারি প্রিজাইডিং, প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে তারা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ভোটার তালিকা করা, জরিপ কাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজ তারা করে থাকে। কিন্তু তাদের প্রত্যাশার জায়গাটি আজও অপূর্ণ থেকে গেছে। ফেসবুকে চোখ রাখলে দেশের কোন চাকুরিজীবির হাহাকার চোখে না পড়লেও বেসরকারি শিক্ষকদের হাহাকার প্রচুর পরিমানে চোখে পড়ে। ফেসবুকে তাদের আর্তনাদ ঝড় দেখে খুব খারাপ লাগে। আমি নিজেও একজন শিক্ষক। তাই তাদের দুঃখ বুঝতে পারি। বেসরকারি শিক্ষকদের আবার কয়েকটি ধরন রয়েছে। একটি অংশ এমপিওভূক্ত, একটি অংশ নন-এমপিওভূক্ত। এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের সমস্যাগুলিই আগে তুলে ধরতে চাই। ১. এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের বেতন খুবই কম। কেননা তারা মূলত বেসিকটা পেয়ে থাকেন। বাড়ি ভাড়া যা পান সেটা উল্লেখ না করাই ভাল। কিছুটা মেডিক্যাল ভাতা পান। সব মিলিয়ে যা পান তার থেকে ১০ শতাংশ আবার কেটে রাখা হয় অবসর ও কল্যাণ তহবিলের জন্য। স্কুলের একজন সহকারি শিক্ষক ১২৫০০ বেসিক পেয়ে থাকেন। কি হয় এই টাকা দিয়ে? চার জনের একটি পরিবার কি চলা সম্ভব? মোটেও না। একজন প্রভাষক ২২০০০ টাকা বেসিক পান। তার পদমর্যাদা অনুযায়ী এই টাকা দিয়ে কি সমাজে টিকে থাকা সম্ভব? ২. বেসরকারি শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড এবং পদোন্নতির জায়গাটি খুবই সংকুচিত। এ যেন সোনার হরিণ! ৩. বেসরকারি শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর তাদের অবসর ও কল্যাণের টাকা তুলতে গলদঘর্ম হতে হয়। বছরের পর বছর তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষারত অনেকে মারাও যায়। এ জটিলতার যেন শেষ নেই। ৪. চাকুরিতে যোগদানের পর এমপিওভূক্ত হতে পারা আর হিমালয় জয় করা সমান কথা। ঘুষ দিয়েও দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় শিক্ষকদের এমপিওভূক্ত হতে। ৫. বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা নেই। অর্ন্তবর্তী সরকার এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্তদের বদলির আদেশ জারি করেছেন। তবে প্রজ্ঞাপন এখনো হয়নি। কতটুকু কি লাভ হবে তা পরে বুঝা যাবে। ৬. বেসরকারি শিক্ষকরা ঈদ বোনাস পান তাদের বেসিবের ২৫ শতাংশ। যেটা খুবই কম। যার বেসিক ১২৫০০ টাকা তিনি ঈদ বোনাস পান ৩১২৫ টাকা। এই টাকা দিয়ে একটি সন্তানের পোষাকও কেনা যায় না। ৭. বেসরকারি শিক্ষকরা মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে বেতন পান এমন নজির খুব কম। অনেক সময় মাসের শেষে গিয়ে বেতন হাতে পান। এটাতো হল তাদের আর্থিক দীনতার চিত্র। তাদের আর যে কত কি সহ্য করতে হয় তা হিসাববিহীন। ম্যানেজিং কমিটির অযথা হস্তক্ষেপে তাদের চাকুরি জীবন বিষাদময় হয়ে উঠে। তাদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হয়। পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল তৈরি করার জন্য তাদের উপর থাকে অনৈতিক চাপ। নানা সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষক সমাজকে বছরের বেশিরভাগ সময় দেখা যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে ব্যস্ত থাকতে।
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০ শতাংশ শিক্ষা সম্পন্ন হয় বেসরকারি শিক্ষকদের দ্বারা। অথচ তারা পরতে পরতে অবহেলিত। দেশে এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারির সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। এরা প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে একটি নির্দিষ্টি অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকে। এদের পিছনে আর কিছু টাকা ব্যয় করলে এদেরকে জাতীয়করন করা সম্ভব। আমি কোন অর্থনীতিবিদ নই। সাধারন একজন নাগরিক হিসাবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি দেশের যে পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে তার ১০ ভাগের এক ভাগ অর্থ দিয়ে এই শিক্ষকগুলির জাতীয়করন করা সম্ভব। সদিচ্ছাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিগত সরকার সমুহ তাদের সুবিধামত বেছে বেছে কিছু প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন করেছে। কিন্তু তাতে মূল সমস্যা কমেনি বরং আরও প্রকট হয়েছে। আবার সেগুলি জাতীয়করনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও খবর চাউর হয়েছে। দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় রেখে আসলে সামগ্রিক সমন্যার সমাধান সম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারই পারবে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে একটি উত্তম সংস্কার করতে। কেননা এই সরকারের দলীয় কোন ম্যানডেট নেই, দলীয় স্বার্থ নেই, নির্বাচনে জয় পরাজয়ের হিসাব নেই। শিক্ষা জাতীয়করণ করে এই সরকার রাষ্ট্রে এক অনন্য নজীর স্থাপন করতে পারে। আর সেটাই হবে রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় একটি সংস্কার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা সহ অনেকেই শিক্ষক ছিলেন। তাই শিক্ষকদের সমস্যা তাদের বুঝতে কোন অসুবিথা হবে না। শিক্ষা জাতীয়করণ নিয়ে শিক্ষক, বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের একটি বড় অংশের দাবি হল শুধু তাদের পদটি জাতীয়করণ হোক। তারা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ চান না। শিক্ষকদের আরেকটি গ্রুপ চান প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হোক এবং প্রতিষ্ঠানের অর্জিত আয় সরকারি কোষাগারে চলে যাক। আরেকটি গ্রুপ চায় সমগ্র শিক্ষা জাতীয়করণ হোক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বহু শিক্ষক আছেন যারা এমপিওভূক্ত নন। তারা চান তাদেরটাও জাতীয়করণ হোক। এখানে একটি হিসাব আছে। প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে এমপিও- নন এমপিও সবাই সেটার আওতায় আসে। আর এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণকরলে টাকার চাপ অনেক কমে আসে। তাদের শুধু সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া আর পূর্ণ উৎসব ভাতা দিলেই হয়ে যায়। এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করন করাটা অনেক সহজ এবং অর্থ সাশ্রয়ী হবে। আর দেশের সমগ্র শিক্ষাকে যদি জাতীয়করণকরতে হয় তবে বড় বাজেটের প্রয়োজন হবে। নিখুঁত জরিপের প্রয়োজন হবে। দেশের শিক্ষার সত্যিকার সংস্কার চাইলে শিক্ষা জাতীয়করনের কোন বিকল্প নেই। সরকার এক্ষেত্রে শিক্ষা জাতীয়করন একটি কমিশন গঠন করে দিতে পারে। যদি একান্তই জাতীয়করণ সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করে দিতে পারে সরকার।
দেশে একটি নির্বাচন করাই এ সরকারের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাদের বহুমাত্রিক সংস্কার করার ইচ্ছা আছে। শিক্ষাখাতে ছোট খাটো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু গতি খুব ধীর। একাদশ প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রায় ৬ মাস হতে চললো। কিন্তু এখনো বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্য বই বাজারে আসে নি। মন্থরগতিতে কাজ করে শিক্ষার সংস্কার সম্ভব হবে না। শিক্ষা সংস্কার করতে পৃথক কমিশন লাগবে। জাদরেল শিক্ষাবিদ লাগবে। শিক্ষা জাতীয়করন নিয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ে কোন কার্যকর সেমিনার বা গবেষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কেন এই অবহেলা। দুর্নীতি করে রাষ্ট্রের পাকস্থলী ফুটো করে ফেলছে। টাকা পাচার করে মুদ্রাস্ফিতি চরম পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। চাকুরিজীবিদের সব শ্রেণি বেশ ভাল আছে।কিন্তু শিক্ষকদের এ বেহালদশা কেন? শিক্ষকদের অবহেলায় রেখে শিক্ষার কতটুকু উন্নয়ন সম্ভব? যাকে দিয়ে জাতি তৈরি হবে তার নিজেরই যদি ভগ্নদশা অবস্থা হয় তাহলে কিভাবে শিক্ষা কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌছাবে। শিক্ষক প্রশিক্ষনের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কতটুকু লাভ হচ্ছে তাতে? এসব না করে বরং ভাল মানের বেতন দিয়ে শিক্ষকদের নিকট থেকে প্রকৃত শিক্ষা আদায় করার সুযোগ আছে। কেন জাতীয়করণ হয় না? শিক্ষকদের আর্থিক অবস্থা কেমন তা নতুন করে লিখে কলেবর বাড়াতে চাই না। সার্কভূক্ত দেশগুলির শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দেখলে সহজে অনুমান করা যায় কি দৈন্য অবস্থা আমাদের শিক্ষকদের। প্রতিবেশী ভারতে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা নিজে চোখে দেখে এসেছি। ভারতের কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি। তারা উচ্চ বেতন এবং মর্যাদা দুটোই পেয়ে থাকে। ভারতের চেয়ে আমাদের আর্থিক সঙ্গতি নেহাৎ কম নয়। তাহলে গলদ কোথায়? পাকিস্থান, শ্রীলংকায়ও শিক্ষকরা মানসম্মত বেতন ও সম্মান পেয়ে থাকেন। তাহলে আমরা কোথায় আটকে আছি। প্রায়ই শোনা যায় আমলাতান্ত্রিক জটিলার ফাঁদে আটকা পড়েছে জাতীয়করন সহ নানা সুবিধা। কিন্তু কেন? শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করার প্রতিশ্রুতিতো বড় রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে ছিল। কোথায় গেল সেই আশ্বাস? উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা এখন জরুরী হয়ে উঠেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়করণ করা প্রয়োজন নিন্মোক্ত কারণেই। ১. শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে সমতা আনার জন্য ২. শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য ৩. শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য ৪. শিক্ষা খাতের দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ৫. শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম দূর করার জন্য ৬. শিক্ষকদের মর্যাদা ও জীবন মান উন্নয়নের জন্য ৭. গ্রামীন শিক্ষাকে বেগবান করার জন্য ৮. বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান নানা জটিলতা দূর করার জন্য ৯. অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১০. শিক্ষা খাতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ১১. গর্ভনিং বডির দৌরাত্ম থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে কি পরিমান অর্থের প্রয়োজন এবং অন্যান্য কি কি চ্যালেঞ্জ সমুহ রয়েছে সেটার একটি গবেষনা ভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রয়োজন। বেসরকারি পর্যায়ে এবং বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জরিপ করা হলেও পূর্ণাঙ্গ জরিপ এখনো হয়নি। তবে খন্ডিত জরিপ এবং বিশ্লেষকদের বিশ্লেষন থেকে যেটা অনুমান করা যায় সেটা হল জাতীয়করনের জন্য অর্থের চেয়ে সদিচ্ছাটি বেশি প্রয়োজন। বেশিরভাগ শিক্ষক মনে করেন যে শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবি যখনই জড়ালো হয় তখন সেটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জালে আটকা পরে মুখ থুবরে পড়ে। তাদের এ ধারণা কতটুকু সঠিক তা যাচাই করার সুযোগ নেই। তবে এতটুকু আন্দাজ করা যায় যে শিক্ষকেরা কোন কিছুই সহজভাবে পায়নি। কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়েছে।
জাতীয়করনের দাবি নিয়ে শিক্ষকেরা প্রেসক্লাবে প্রায়ই এসে থাকেন। । সারা বছরই শিক্ষকদের কোন না কোন অংশ তাদের দাবি আদায়ে প্রেসক্লাবে অবস্থান করে। কিন্তু কেন? শিক্ষকদেরকে কেন বারবার তাদের দাবি আদায়ে প্রেসক্লাবে অবস্থান করতে হবে? আরও তো বহু চাকুরিজীবি আছেন, তারা কয় দিন প্রেসক্লাবে তাদের দাবির পক্ষে অবস্থান করেন? এর থেকেই বুঝা যায় যে শিক্ষকেরা বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকেরা চরম বৈষম্যের শিকার। অবহেলার দাবানলে দগ্ধ এসব শিক্ষকেরা আর কত দিন রাজপথে থাকবে। যাদের বিদ্যালয়ে অবস্থান করে শিক্ষাদানে ব্যস্ত থাকার কথা তারা এখন রাজপথে তাদের দাবি আদায়ের জন্য। এর ফলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ক্লাশ থেকে।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা এখন জরুরী হয়ে উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়করণ করা প্রয়োজন নিন্মোক্ত কারণেই। ১. শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে সমতা আনার জন্য ২. শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য ৩. শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য ৪. শিক্ষা খাতের দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ৫. শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম দূর করার জন্য ৬. শিক্ষকদের মর্যাদা ও জীবন মান উন্নয়নের জন্য ৭. গ্রামীন শিক্ষাকে বেগবান করার জন্য ৮. বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান নানা জটিলতা দূর করার জন্য ৯. অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১০. শিক্ষা খাতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ১১. গর্ভনিং বডির দৌরাত্ম থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য।
ডক্টর ইউনুস সরকারের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। রাজনৈতিক দলগুলি শুধু নির্বাচনী ডামাডোল নিয়ে ব্যস্ত আছেন। দেশের সমস্যা সমাধানে তাদের আপাতত মাথা ব্যাথা দেখি না। কিন্তু আমাদের মাথা ব্যাথা আছে। এই সরকারের প্রতি শিক্ষকরা আস্থা রাখতে চায়। শিক্ষকদের এই আস্থাকে সরকার ও রাষ্ট্র সম্মান জানাবে বলে আশা রাখি।
লেখকঃ কলামিস্ট ও সহকারি অধ্যাপক
মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩০/১০/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.