চুয়াডাঙ্গা: হঠাৎ বেড়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। সদর হাসপাতালের গেটের বারান্দা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় প্রায় ২০০ শিশুকে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। গতকাল শনিবার সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড ঘুরে এমন অস্বাভাবিক রোগীর চাপ দেখা যায়।
সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনের প্রবেশ মুখে দেখা যায় শিশু রোগীর মা সোনিয়া খাতুনকে। বেড না পাওয়ায় মেঝেতে জায়গা হয়েছে তার এক বছরের ছেলে হামজার। দুদিন আগে হামজা ঠান্ডা আর হালকা জ্বরে ভুগছিল। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
জানা যায়, শিশু ওয়ার্ডের দুই কক্ষ মিলে ২৬টি বেড আছে। এর বিপরীতে ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক রোগী। স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। আবহাওয়া পরিবর্তনে দিনের বিভিন্ন সময়ে ভ্যাপসা গরম আর হালকা ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
রোগীর স্বজনরা জানান, সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেশি। সেই তুলনায় বেড অল্প। তাই নিরুপাই হয়ে মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের চারপাশ খুব নোংরা। আবার ওয়ার্ডের ফ্যানগুলোও নষ্ট। ফলে দুর্গন্ধের মধ্যে গরমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগীর স্বজন তাসলিমা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে এই হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে আছি। সর্দি থেকে জ্বর তারপর শুরু হয় নিউমোনিয়া। রোগীর প্রচুর চাপ। সারাদিনে ডাক্তার একবার রোগীকে দেখছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রবিন জানান, হাসাপাতালে লোকবল সংকট। এই স্বল্প লোকজন নিয়েও আমরা চেষ্টা করছি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/১০/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.