এইমাত্র পাওয়া

৪৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থবির

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ ৪৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবির হয়ে গেছে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।এখনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেক ক্যাম্পাসে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনও করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সেশনজট দূর করতে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর বেশিরভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি।

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে সোমবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জানায়, উপাচার্য না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। তাই সেশনজটে পড়তে হবে তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এখনও ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি এবং বারবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলেও সে চিঠির কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি। আমরা পরপর দুইবার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম ভিসি নিয়োগের জন্য।’ সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও হয়নি উপাচার্য নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘তাড়াতাড়ি পাস করে বের হতে পারব এটা মনে হচ্ছে না। সময় বেশি লাগবে। এটা একটা চিন্তার বিষয় যে কি করব।’

একই অবস্থা অন্য ৪৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও। উপাচার্য না থাকায় ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই জিনিসটা না করা (ভিসি নিয়োগ) পর্যন্ত কিন্তু স্বাভাবিক হওয়ার যে প্রসেসটা, এই প্রসেসটাই কিন্তু শুরু হবে না। অর্থাৎ প্রথম ধাপটাই শুরু হলো না। আপনাকে তো আগে শূন্যস্থান টা শুরু করতে হবে। কাউকে না কাউকে দায়িত্বটা নিতে হবে। এরপরে তারা সেই উদ্যোগটা নেবেন যে কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, যোগ্য শিক্ষকদের উপাচার্য হিসেবে বসানো হচ্ছে। তাই খুঁজে পেতে একটু সময় লাগছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘প্রোপার ব্যক্তিকে বাছাই করার জন্য যে প্রক্রিয়া দরকার তারা সেটা করছেন যাতে আসলেই যারা উপযুক্ত বা কোয়লিফাইড তাদেরকে নিয়ে আসবে এবং উপযুক্ত জায়গায় বসাবে।’

এদিকে, যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৬/০৯/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.