সোমবার, ২০শে মে ২০২৪

ঢাকাঃ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ আক্রমণের পরিকল্পনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ নিরসনে ইসরায়েল ব্যর্থ হওয়ার পর সম্প্রতি বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার এ কথা জানান একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। এতে ১৮শ’টি ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কেজি) ওজনের এবং ৫০০ পাউন্ড (২২৬ কেজি) ওজনের ১৭টি বোমা রয়েছে।’

কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাব সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’

ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল যখন রাফায় একটি বড় স্থল অভিযানের দ্বারপ্রান্তে তখন বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তবে ‘ওই আলোচনা চলছে এবং আমাদের উদ্বেগগুলো পুরোপুরি সমাধান করেনি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ইসরায়েলি নেতারা এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সে কারণে আমরা বিশেষ অস্ত্রের প্রস্তাবিত চালান স্থানান্তরের বিষয়টি সাবধানে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছি, এসব অস্ত্র ইসরায়েল রাফায় ব্যবহার করতে পারে।’

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন সবচেয়ে ভারী ২ হাজার পাউন্ডের এসব বোমা ব্যবহারের উপর ‘বিশেষভাবে সতর্ক’ এবং ব্যাপক জনঘনত্বের এই শহরে এসব বোমা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা গাজার অন্যান্য অংশে দেখেছি।’

তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও জেডিএএম নামে পরিচিত নির্ভুল বোমা কিট ব্যবহারসহ অন্যান্য অস্ত্র হস্তান্তর পর্যালোচনা করছে।

ইসরায়েল মঙ্গলবার রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়ে মিশরের সাথে সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয়। তবে হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছে, ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এটি হবে একটি ‘সীমিত অভিযান’।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

তানজিদ শাহ জালাল ইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ  বৃহত্তর বরিশালের ইতিহাস ও ঐতিহ্যবিষয়ক ‘আঞ্চলিক ইতিহাস সম্মেলন-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন শুরু হবে।

বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। বিশেষ অতিথি থাকবেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
এছাড়া মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ অধ্যাপক ড. অমিত দে।

বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অনেকেই উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বরিশালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। সম্মেলনে একাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকা এক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, এ সময় তিনি অন্য আরেক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর মামলায় জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার (৭ মে) একটি ব্রিটিশ আদালতে এই মামলার শুনানিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম রেবেকা জোয়েন্স। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার আগে ওই ছেলেকে তিনি ৩৪৫ পাউন্ডের একটি বেল্ট উপহার দেন। তবে ওই ছাত্র বা স্কুলের নাম প্রকাশ করেনি বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ক্রাউন আদালতে এই মামলার শুনানি চলছে। শুনানিতে আদালতে জানানো হয়েছে, ৩০ বছর বয়সী রেবেকা অন্য আরেক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে গর্ভবতী হয়েছেন। যদিও এ সময় তিনি প্রথম ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর মামলায় বিচারাধীন এবং জামিনে ছিলেন। রেবেকার বিরুদ্ধে শিশুর সঙ্গে যৌন ক্রিয়া করায় ছয় মাত্রার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, শারীরিক সম্পর্কের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শুনানিতে বিচারকদের আরও জানানো হয়েছে, প্রথম ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তের সময় তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়।

সরকারি কৌঁসুলি জো অলম্যান জানান, শুনানির সময় প্রথম স্কুলছাত্রকে আদালতে আনা হয়। তখন রেবেকার আইনজীবী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এমন সময় জানা যায়, রেবেকা দ্বিতীয় আরেক ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে গর্ভবতী। এই ছাত্রের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের যৌন সম্পর্ক ছিল।

তিনি বলেন, আদালতে দ্বিতীয় ছাত্রও সাক্ষ্য দিয়েছে। ওই ছাত্র জানায়, রেবেকা তার শিক্ষিকা ছিলেন। রেবেকা স্কুল থেকে বরখাস্ত হলেও সে নিয়মিত তার বাসায় যেতো। তার বয়স যখন ১৬ হয় তখন থেকে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এতে রেবেকা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। আর এটা হয়েছে রেবেকা জামিনে থাকা অবস্থায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

পিরোজপুরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চেয়ার ভেঙে মেঝেতে পড়ে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন রিসোর্স সেন্টারে ঘটনা ওই দুর্ঘটনায় আহত হন সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ্মা রানী দত্ত। শিক্ষকদের অভিযোগ সেন্টারের অধিকাংশ চেয়ারই ভাঙা, জোড়াতালি দেয়া ছিল যা থেকে একাধিকবার কয়েক জন শিক্ষক পড়ে যান।

প্রথমে তিনি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাউখালী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে প্রশিক্ষণ চলাকালীন এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কচুয়াকাঠিতে রিসোর্স সেন্টারে ৫ দিনব্যাপী উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষক ‘একত্রীভূত করণের কৌশল: শিখন - শেখানো এবং মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ওই প্রশিক্ষণ চলাকালীন হঠাৎ ৩৪ নম্বর সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ্মা রানী দত্ত চেয়ারে বসতে গিয়ে চেয়ার ভেঙে পড়ে আহত হন। এ সময় অন্য শিক্ষকেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, রিসোর্স সেন্টারে প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রধান শিক্ষক পদ্মা রানী শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শিক্ষক আল মামুন বলেন, কাউখালী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের। এর আগেও সম্মানিত শিক্ষকদের ভাঙা, জোড়াতালি দেয়া চেয়ার থেকে একাধিকবার পড়েছেন। নোংরা পরিবেশে বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে আসছে। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া যায় না, এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায় বলেন, কাউখালী রিসোর্স সেন্টার প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রদানের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এখানের ভৌত অবকাঠামো, আসন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় আলো বাতাস, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, প্রয়োজনীয় ডিজিটাল উপকরণের কোনটাই নাই।

বিষয়টি স্বীকার করে রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মাহাফুজা খানম বলেন, রিসোর্স সেন্টারের ভবনটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয়। তখন ভবন নির্মাণের সময় ঠিকাদার আসবাবপত্র সরবরাহ করেন। এরপর এখন পর্যন্ত এই রিসোর্স সেন্টার কোনো নতুন আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়নি। ওই পুরাতন চেয়ার-টেবিল মেরামত করে আমরা ব্যবহার করছি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ রাজধানীর দনিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে দনিয়া কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) বিকাল ৫টার দিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়া ওই শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

অসুস্থরা হলেন, জুই আক্তার মিম, মারিয়া আক্তার, মারিয়াম, ফারিয়া আক্তার, সানজিদা আক্তার, সাদিয়া আফরিন, ফারজানা আক্তার ও রোজিনা আক্তার। তাদের বয়স ১৭ থেকে ১৮ বছর।

তাদের সহপাঠী ও স্বজনরা জানান, ধনিয়া কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তারা। বুধবার তাদের কলেজের র‍্যাগ ডে পালন করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী দনিয়া ট্রাক স্ট্যান্ডে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। সেখানে তারা প্রথমে কেক কাটেন। এরপর আনন্দ উল্লাস করছিলেন। তখন হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর সবাই ফ্রাইড রাইস, চিকেন ও সবজি খান। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে একে একে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

স্কুল পালালেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না! কী ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রতিদিনের রুটিন?স্কুল পালালেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না! কী ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রতিদিনের রুটিন?

তখন তাদেরকে সাথে সাথে স্থানীয় দেশবাংলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তিতে ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন ছাত্রী এভাবে অসুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন, তাদের কারোর অবস্থায়ই গুরুতর নয়।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার (ওসি) আবুল হাসান জানান, দনিয়া কলেজের কিছু ছাত্রী দনিয়া ট্রাক স্ট্যান্ডে ‘টার্কিস কাবাব পার্টি সেন্টার’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে র‍্যাগ ডে পালন সেখানে খাবার খান। খাবার খাওয়ার পর কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কী কারণে ছাত্রীরা এভাবে হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ ৪৬তম বিসিএসের কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল, সেজন্য কারও নম্বর কাটা যাবে না বা কেউ বঞ্চিত হবেন না। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ফল প্রকাশ করা হবে।

বুধবার সকালে সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন এ কথা বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের ডেকেছিলাম। কিছু প্রশ্নে ভুল পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষার্থীদের মনে হয়েছে ভুল, কিন্তু আমরা পেয়েছি সেটি ভুল না। তবে ভুল প্রশ্নের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে না। পিএসসি কাউকে বঞ্চিত করবে না। সেভাবেই খাতা দেখা হচ্ছে। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ফল প্রকাশ করা হবে।

গত মাসে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের ভুল ও অসংগতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন। তারা এই ভুল পর্যালোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন পিএসসির কাছে। আর পিএসসি জানায়, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

পিএসসির চেয়ারম্যান আজ বুধবার বলেন, প্রশ্নে ভুলের দায় আমাদের; কিন্তু এই প্রশ্নে কী আছে, তা আমরা পরীক্ষা হওয়ার আগে দেখতে পারি না। ছয় সেট প্রশ্ন হয়, প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর জানেন না কোন সেট আসবে। এক সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হওয়ার পর অন্য সেট আমরা নষ্ট করে ফেলি।

সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের ডেকেছিলাম আমরা। সবাই সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের অনুরোধ করেছি, শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে প্রশ্ন জমা দেবেন না। প্রশ্নে ত্রুটি থাকলে পিএসসি বিব্রত হয়। আর যাতে এমন না হয়, সেই অনুরোধ রেখেছি তাদের প্রতি।

চাকরি প্রার্থীরা জানান, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কিছু প্রশ্ন ভুল ও উত্তর না থাকা এবং দ্বৈত উত্তর থাকায় পরীক্ষার হলে তাদের অনেক চাপে পড়তে হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে এ রকম ১০টি প্রশ্নে ভুল দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেট-৪ (কপোতাক্ষ)। এর মধ্যে গণিতে ৩৯, ৫৮ ও ৬০ নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই এবং ইংরেজির ১৩৫, ১৫৩ ও ১৫৪ নম্বর প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর নেই, তাছাড়া ইংরেজির ১৩১ ও ১৪৯ নম্বর এবং বাংলার ১৭৯ নম্বর প্রশ্নের দ্বৈত উত্তর আছে। আবার বাংলার ১৮১ নম্বর প্রশ্নের অপশনের বানান ভুল। তাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) যথাযথ ব্যক্তিরা উল্লিখিত ১০টি প্রশ্নসহ পুরো প্রশ্নের ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন ও উত্তর পুনরায় যাচাই করে দেখলে এবং এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিলে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ভুলের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত হবে। যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভুল ছিল, সেটা তাদের একদিকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে যথেষ্ট সময়ের অপচয় করেছে, যার কারণে তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, বিশেষ করে যাদের এটাই শেষ বিসিএস, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই অন্তত তাদের কথা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নে ভুলের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ও পিএসসি কী করছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস গত ৫ মে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি আসলে কোন পন্থা অবলম্বন করে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যদি অভিযোগ আসে, আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ এলে আমরা সেটি আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই করি। এরপর একটি বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে তা যাচাই করাই। যদি ভুল পাই, তাহলে সেই প্রশ্নের নম্বর কাটা হয় না। সবাই নম্বর পান। এবারও যদি এমন হয়, তাহলে সবাইকে ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হবে। সেটিতে যে অপশনেই টিক মার্ক দিক না কেন, তা দেখা হয় না। কেউ বঞ্চিত হন না। সবাই মার্কস পান।’

গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। সরকারি কর্ম-কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত এ পরীক্ষায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা হয়।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫। সরকারি কর্ম-কমিশন পিএসসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

কুবিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরী সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধের অবৈধ' সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও পরবর্তীতে পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তারা। এর আগে সাড়ে ১১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনতিবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া বলেন, উপাচার্য স্যার বলেছেন হলসমূহে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং টাকা ঢুকেছে। আমি বলতে চাই, হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের অভাব। শিক্ষার্থীরা কী অবস্থায় আছে আপনি একটিবারের জন্য খবর নিয়ে দেখেছেন? আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, যেভাবে জরূরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে হল এবং ক্যাম্পাস বন্ধ করেছেন ঠিক একইরূপ ভাবে জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আমাদের হল এবং ক্যাম্পাস চালু করতে হবে।

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাবিবা ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার অর্জন, আমি নিজের যোগ্যতায় এখানে থাকতে এসেছি। মাননীয় উপাচার্য যে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে যে অপবাদ দিয়েছেন সেটার জন্য উপাচার্যকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

জানা যায়, গত ৫ মে (রবিবার) আবাসিক হল নিয়ে 'উস্কানিমূলক ও মানহানিকর' মন্তব্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। ৪৬তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সভা ডেকেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসি সূত্র জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৪৬তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করতে সভা ডাকা হয়েছে। বিকেল ৩টার পর এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হতে পারে।

ফল প্রকাশ হলে দ্রুত প্রিলির ফল প্রকাশের নতুন রেকর্ড গড়বে পিএসসি। এর আগে মাত্র ১৭ দিনে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হয় বেলা ১২টায়। এবার ৩ হাজার ১৪০টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার। কিন্তু প্রিলিমিনারিতে অংশ নেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন প্রার্থী।

বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন। প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চিকিৎসায় অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক খান মো. সাইদুজ্জামানের ‘নিবন্ধন’ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

মঙ্গলবার বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লিয়াকত হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. খান মো. সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাইমিন মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি তাঁর বাবার চিকিৎসায় অবহেলা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বিএমডিসিতে জমা দেন। কাউন্সিল অভিযোগকারী ও চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার নেয়। পরে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পায়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়েও ‘গল ব্লাডার মাস’ বিষয়টি ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। রোগীর কোনো স্বজনকে গল ব্লাডার ক্যান্সারের বিষয়টি জানানো হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বিএমডিসির আইন অনুযায়ী এ চিকিৎসকের নিবন্ধন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো, যা আজ (৮ মে) থেকে কার্যকর হবে। নিবন্ধন স্থগিতকালীন তিনি কোথাও কোনো প্রকার চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না। এমনকি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয়ও দিতে পারবেন না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষক দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মামলায় অপর আসামি অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী কারাগারে রয়েছেন।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান দ্বীন ইসলাম।

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফিরোজ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডার হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্তির পর পরিবারের সদস্যরা তাকে জেলগেট থেকে গ্রহণ করে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ আনুমানিক রাত ১০টার দিকে জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্নহত্যা করে। এ ঘটনায় অবন্তিকার মায়ের দায়ের করা মামলায় জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম এবং অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করে পুলিশ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোঃ ফজলে ইলাহী একজন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক। কর্মস্থল রংপুরে থাকলেও অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন নিজ এলাকার স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য ও সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফতেজংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য। বাবা  হরমুজ আলী শাহ স্কুলের সভাপতি হলেও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ছেলে মোঃ ফজলে ইলাহী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে স্কুলটিতে অতি গোপনে চার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীর কাছ থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এলাকাবাসী ও ফতেজংপুর উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোঃ ফজলে ইলাহী রংপুরে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত থাকলেও তিনি থাকেন প্রতি মাসের অধিকাংশ সময় থাকেন এলাকায়। স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য করা থেকে শুরু করে এলাকায় বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সরব। তবে কোন পদ পদবীতে না থাকলেও আগামীতে ফতেহজংপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে বলে এখনই সরব এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বায়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বলেন, একজন পুলিশে চাকরি করে কিভাবে এতবার বাড়িতে থাকে বুঝি না। দেখেছি অনেককে চার পাঁচ মাসেও ছুটি পাননা। অথচ ফজলে এলাহী অধিকাংশ সময়ই এলাকায় দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি কোন কর্মকর্তা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কিংবা কোন সদস্য হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে ফজলে ইলাহী এসবের কিছু ধার ধারেন না। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফতেজংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পাস করিয়ে আনেন। এতে নিজে দাতা সদস্য আর তার পিতাকে সভাপতি বানান। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফতেজংপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই নিয়োগে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান ছালেক লতিফ। আর এই নিয়োগের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মোঃ ফজলে ইলাহী।

শিক্ষাবার্তা'র অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফতেজংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এনটিআরসিএ বহির্ভুত চারটি পদে (নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ্য প্রহরী, আয়া ওপরিচ্ছন্নতা কর্মী) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হরমুজ আলী শাহ এবং তারই ছেলে দাতা সদস্য শাহ ফজলে এলাহী ।  বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার বিধিমালা থাকলেও গোপনে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে যা স্কুলটির শিক্ষক, এলাকাবাসী কেউই জানেন না।

এদিকে শিক্ষাবার্তা'র হাতে আসা কল রেকর্ডের অডিও বার্তা'য় আর্থিক লেনদেন এবং কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে প্রার্থী এবং বিদ্যালয়টির দাতা সদস্য পুলিশ কর্মকর্তা শাহ ফজলে এলাহীর কথোপকথনে নিয়োগ পাবেন কারা তাদের নাম এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে।

ঐ অডিও রেকর্ডের সূত্র ধরে জানা গেছে, গোপন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মী পদে একই ইউনিয়নের উত্তর পলাশবাড়ী এলাকার মিজানুর রহমানের পুত্র মাহাফুজার রহমান, এবং কিসমত ফতেজংপুর এলাকার মশিউর রহমানের পুত্র নুরজামান, নৈশ্য প্রহরী পদে কিং ফতেহজংপুর এলাকার ছলেমউদ্দিন শাহ'র পুত্র রেজানুল হক, আয়া পদে জোতরঘু এলাকার শ্রী মতি বিত্রিয়া বিশ্বাস, স্বামী শ্রী নারায়ন চন্দ্র এবং একই পদে জোতরঘু এলাকার শ্রী সুমন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শ্রীমতি সাধনা রানী ওপরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে কিং ফতেজংপুর এলাকার ওয়াহেদ আলীর পুত্র মোঃ আনারুল হক। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লেনদেন করে তাদের আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।

এদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী পদে ফজলে এলাহীর আপন খালাতো ভাই মিজানুর রহমানের ছেলে মাহাফুজার রহমান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে তাঁর আপন চাচাতো ভাই মশিউর রহমানের ছেলে নুরজামান, আয়া পদে ফজলে এলাহী তাঁর বন্ধুর ভাবী শ্রীমতি বিত্রিয়া বিশ্বাসকে চূড়ান্ত করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছরের গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার পরিপত্রে ২.২ “ক” ধারায় উল্লেখ রয়েছে, শূন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বহুল প্রচারিত ২ (দুই)টি দৈনিক পত্রিকায় (১টি জাতীয় পত্রিকা এবং ১টি স্থানীয় পত্রিকা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সম্ভাব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপকপ্রচার করতে হবে। এবং ২.৩ এর “খ” ধারায় উল্লেখ রয়েছে, প্রাপ্ত আবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড/ওয়েব সাইট-এ প্রকাশ করতে হবে।

তবে এই অডিও রেকর্ডের বিষয় অস্বীকার করে  দাতা সদস্য পুলিশ কর্মকর্তা শাহ ফজলে এলাহী দাবি করেন, আমি এসব বিষয়ে কিছু জানিনা, কল রেকর্ড আমার আপনারা কি ভাবে নিশ্চিত হলেন।  তিনি দাবি করেন প্রত্যেক স্কুলে নিয়োগ এভাবেই হয়।

এ বিষয়ে রংপুর রিজার্ভ পুলিশের আরওআই মোঃ শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেম, ফজলে এলাহি আমার এখানে কর্মরত আছে কিনা দাতা সদস্য হবার আবেদন দিছে কি না এ গুল আমাকে দেখতে হবে। আর যদি এলাকা বাসীর কোন অভিযোগ থাকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব ।

ফজলে এলাহী কর্তৃক নিয়োগ বাণিজ্য, অনুমতি ছাড়া কমিটিতে এবং কর্মস্থলে না থেকে এলাকায় থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে  রংপুর পুলিশ সুপার (বিপিএ) মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরীও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কোন মন্তব্য করেননি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪

সাকিব আলম মামুন।।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ ঐতিহ্যবাহী করল্যাছড়ি রশিদ সরকার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লংগদু উপজেলার ধাপ পেরিয়ে ৫ম বারের মতো রাঙামাটি জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মো. সুলতান আহমেদ।

তিনি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি রশিদ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ২০১০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি একাধারে শিক্ষক, সাহিত্যিক, এটুআই'র আইসিটির জেলা অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকসহ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনাও বটে।

জানা গেছে, তিনি অদ্যাবধি অত্র বিদ্যালয়ের জন্য নিরলস ভাবে পাঠ দান করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কিভাবে ছাত্রদের বিদ্যালয়মুখী করা যায় তার জন্য অনেক চেষ্টা করে থাকেন।

সুলতান আহমেদ বলেন, এ সফলতা আমার একার নয়। এ সফলতা আমার পরিবারের, এ সফলতা করল্যাছড়ি রশিদ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় ভীষণ আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। সব সময়ই চেয়েছি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আধুনিক, যুগোপযোগী ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান বাড়াতে আমি সব সময় সচেষ্ট। শিক্ষকতা পেশায় পরপর এমন সফলতার সংযোজন আরও অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্রমান্বয়ে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

তিনি বরাবরের মতো উপজেলায় ও জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬, ২০১৮, ২০২২ ও ২০২৩ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শিক্ষাবার্তা/জামান/০৮/০৫/২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram