শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

বাগেরহাটঃ বাগেরহাটের সুন্দরবনে আগুন লেগেছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকার লতিফের ছিলায় এ আগুন লাগে। এ ঘটনায় চারপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে বন বিভাগ।

আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সুন্দরবনে আগুন লাগে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, আজ দুপুরের পর থেকে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তাদের সহযোগিতা করছে বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন।’

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান বলেন, ‘বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এর সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।’

আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানান বন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

বাগেরহাট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রানা দেব বলেন, ‘আগুন যাতে বনের মধ্যে ছড়াতে না পড়ে, এ জন্য আমরা আগুনের চারপাশে সতর্কতা জারি করেছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।’

উল্লেখ্য, গত ২০ বছরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগে ২১ বার আগুন লাগে। এসব ঘটনায় সুন্দরবনের প্রায় ৭৫ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, সুন্দরবনে ২০০২ সালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায়, ২০০৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্প ও আড়ুয়াবের খালে, ২০০৫ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের আড়ুয়াবের খালের পশ্চিমে তুলাতলা ও খুটাবাড়ি এলাকায় আগুন লাগে। এরপর ২০০৬ সালে তেরাবেকা খালের পাড়ে, আমুরবুনিয়া, কলমতেজিয়া, পচাকুড়ালিয়া বিল ও ধানসাগর স্টেশন এলাকায় আগুন লাগে।

২০০৭ সালে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী নলবন, পচাকুড়ালিয়া বিলে আগুন লাগে। ২০১০ সালে ধানসাগর স্টেশনের গুলিশাখালী, ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, ২০১৪ সালে আবারও ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন বনে অগ্নিকাণ্ড হয়। ২০১৬ সালেও ধানসাগর স্টেশনের নাংলী, পচাকুড়ালিয়া, তুলাতলী এবং ২০১৭ সালে একই স্টেশনের মাদ্রাসার ছিলা নামক স্থানে আগুন লাগে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪ 

সিলেটঃ  বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট বিভাগ। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে বিভাগের চার জেলা একসঙ্গে ব্ল্যাক আউট (পুরো গ্রিড অকার্যকর) হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

তবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্থাপনার বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে এ বিপর্যয়ের কারণে পিডিবির গ্রাহকরা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও অন্ধকারে রয়েছেন।

শনিবার (৩ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গ্রাহকরা অন্ধকারে রয়েছেন। কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানা গেছে। আকষ্মিক এ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে আশুগঞ্জ জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। এতে বিকেল থেকে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ৩০-৪০ শতাংশ লোডশেডিং হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। এতে সিলেট বিভাগের চার জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা সিলেট বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার কম সময়ের মধ্যেও সচল করা সম্ভব হতে পারে।

তিনি বলেন, এর আগে যখন সিলেটে এরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যত সময় লেগেছিল এবারও তত সময় লাগতে পারে। পাওয়ার স্টেশন চালু হতে একটু সময় লাগে। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল ও স্থাপনা যেগুলো খুবই জরুরি। মানুষ মারা যাবে সেসব স্থানে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে আশুগঞ্জ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত এ হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির আরও বলেন, সিলেট বিভাগে পিডিবি চাহিদা রয়েছে ২১৫ মেগাওয়াট। বিকেল থেকে ১৮০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছে। আর পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬৩০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে শনিবার বিকেলে ৫৯০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। এখন তো একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে গেছে।

এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়-১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ট্রিপ (বিপর্যয়) করায় দপ্তরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এতে গ্রাহকদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, এখনও আমোদের জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে দুটি ব্যবস্থায় জেনারেটর সিস্টেম চালু আছে। পুরো হাসপাতালের জন্য একটি স্টেশন রয়েছে। কখনও এটি নষ্ট কিংবা কাজ না করলে আইসিইউসহ কয়েকটি বিভাগের জন্য বিকল্প জেনারেটর রাখা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ বিদ্যুতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে আগামী তিন বছরে মোট ১২ দফা দাম বাড়াবে সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগ ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলকে এ কথা জানিয়েছে। সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদনের শর্ত মোকাবিলায় বিদ্যুতের ভর্তুকি শর্ত পূরণে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

আইএমএফের পরামর্শ মেনে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হলে বিদ্যুতের দর ১২ টাকার ওপরে নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভোক্তাপর্যায়ে গড়ে বিদ্যুতের দাম হবে প্রায় ১৫ টাকা, যা এখন আছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। বিদ্যুৎ খাতে সরকার কীভাবে এবং কতটা ভর্তুকি কমাবে, আইএমএফের প্রতিনিধি দল তা জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, বিদ্যুতের দাম প্রতি বছর চার দফা সমন্বয় করা হবে।

এর আগে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে তিন দফায় বাড়ানো হয়েছিল বিদ্যুতের দাম। গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরায় ১৪ দফা বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম।

এ বছরও ঢাকার বাইরে দিনে গড়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এতে দেশের কোনো কোনো গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া কাটাতে হচ্ছে মানুষকে।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় অন্য অনেক শর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে অন্যতম। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশ পেয়েছে। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মে মাসে।

আইএমএফের বর্তমান দলটি ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করছে, যা শেষ হবে ৮ মে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ আকাশে যখন তীব্র বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে যায়, তার গঠন থাকে ত্রিমাত্রিক। ঢাকার সব জায়গায় বৃষ্টি না হওয়ার সাথে ঢাকা শহরের আয়তন ও বজ্রমেঘের এই ত্রিমাত্রিক গঠন সম্পর্কিত।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, একটি তীব্র বজ্রমেঘের দৈর্ঘ্য সাধারণত ২২ থেকে ২৪ কিলোমিটারব্যাপী হতে পারে। এর চওড়া বা প্রস্থ হতে পারে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এছাড়া, মাঝারি বা ছোট বজ্রঝড়ের উচ্চতা হয় আট থেকে ১২ কিলোমিটার। বড় বজ্রঝড়ের উচ্চতা ১৮ থেকে ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, বজ্রমেঘের ত্রিমাত্রিক গঠন থাকে। রকম একটি ত্রিমাত্রিক শক্তিশালী বজ্রঝড় অগ্রসর হওয়ার সময় তার আয়তন কম বেশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ১৭৮ বর্গ কিলোমিটার। সেই সঙ্গে, শহরের দক্ষিণ থেকে উত্তর পর্যন্ত দূরত্ব আনুমানিক ২২ কিলোমিটার এবং পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। অর্থাৎ, ঢাকা একটি লম্বা শহর। সুতরাং, ঢাকার ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মাঝ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার চওড়া হয়ে একটি বজ্রঝড় যখন যায়, তখন সে শহরের সবটুকু দৈর্ঘ্যকে কাভার করে না।’

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সাধারণত বজ্রঝড়ের গতিবেগ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে, অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হয়। এর মানে, বড় লম্বা একটা জায়গার মাঝ দিয়ে কম চওড়া একটি জিনিস যাচ্ছে। বজ্রঝড়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো- এটি সরল পথে না, আঁকাবাঁকা পথে চলে।

তিনি বলেন, যেহেতু সে জিগজ্যাগ বা স্পাইরাল মুভমেন্ট করে এবং শহরের মাঝে অনেক স্থাপনা থাকার কারণে বা পাহাড় থাকলে বাতাস বিভিন্ন জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দিক পরিবর্তন করে; তাই, বজ্রঝড় অগ্রসর হওয়ার সময় সে কোনও এলাকাকেই পূর্ণরূপে কভার করতে পারে না। সেই কারণে, কোথাও কোথাও তাণ্ডব কম হয়, কোথাও বেশি হয়। কোথাও বৃষ্টিপাত বেশি, কোথাও বৃষ্টিপাত হয় না। ভূমিরূপ বা টপোগ্রাফি অব দ্য আর্থ সারফেস এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

গাজীপুরঃ জেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভেতরে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সামনে শনিবার (৪ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন (১৮) গাজীপুর মহানগরীর বিজ্ঞান কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার বড় চতুরা গ্রামের একতার আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার বর্ষা সিনেমা হলের পেছনে নূর চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

নিহতের ভগ্নিপতি ইকবাল হোসেন জানান, এদিন দুপুরে আল আমিন তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান ও খালাতো ভাই শাকিল আহমেদসহ চারজন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভেতর ঘুরতে যায়। ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের কাছে গেলে চার থেকে পাঁচজন ছিনতাইকারী প্রথমে তাদের নাম-পরিচয় জানতে চায়। এরপর তারা সঙ্গে যা আছে বের করে দিতে বলে। দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা আল আমিনের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি বাধা দিলে তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এরপর খালাতো ভাই শাকিল আহমেদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে যায় তারা।

আল আমিনের সঙ্গে থাকা বন্ধু মোমিনুল হক জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আল আমিন, তাঁর খালাতো ভাই শাকিল আহমেদ (২১), ছোট ভাই আতিক (১৪) ও তিনি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে বেড়াতে ও ছবি তুলতে যান। সেখানে তারা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।

এ সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আল আমিন আহত হয়। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে ১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, আল আমিনের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

নেত্রকোনাঃ সাধন কুমার মন্ডল (২৮) একজন এমবিবিএস (মেডিসিন) সিএমইউ (আল্ট্রা) বিএমডিসি ও মেডিসিন, মা ও শিশু, চর্ম, যৌন রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও রয়েছে তাঁর। গত দুই মাস ধরে সাধন কুমার মন্ডল নেত্রকোনার মদন উপজেলার স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখছেন।
কাগজপত্রে সব ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন।

বিএমডিসির ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডাক্তার সাধন কুমার বর্তমানে খুলনার একটি হাসপাতালে চাকরি করছেন। আর সাধন কুমার মন্ডলের পরিচয় ব্যবহার করে নেত্রকোনার মদনে নিয়মিত রোগী দেখছেন শংকর দাস নামের এক ভুয়া ডাক্তার।

শনিবার অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসকে আটক করেছেন মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া। ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলায়। তার পিতার নাম সুমেশ দাস। তিনি একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মদনে আসেন শংকর দাস।

তখন তিনি নিজেকে ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল বলে পরিচয় দেন। এবং বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর তাঁর বলে জানান। পরে তিনি স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৩৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তবে গত শুক্রবার রাতে বিএমডিসির ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল বিষয়টি মদন উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

শনিবার অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসকে আটক করা হয়।

ভুয়া ডাক্তার শংকর দাস বলেন, ‘আমি মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আমার টাকার সমস্যা ছিল। তাই ভুয়া পদবি ও ঠিকানা ব্যবহার করে এমন কাজ করেছি।’

স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের পরিচয় দিয়ে আমার ওখানে তিনি রোগী দেখেছেন। আজ জানতে পারলাম সে একজন ভুয়া ডাক্তার এবং প্রতারক। আমরা তার প্রতারণার শিকার হয়েছি।’

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তায়েব হোসেন বলেন, ‘আটক হওয়া ব্যক্তি কোনো চিকিৎসক নন। সে মূলত একজন প্রতারক। তার কথায় বিষয়টি প্রমাণিত। মেডিসিন,মা ও শিশু, চর্ম, যৌন রোগে অভিজ্ঞ ডা. সাধন কুমার মন্ডলের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে শংকর দাস এমন কাজ করেছে।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, ‘ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডল চট্টগ্রাম থেকে মদনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। প্রতারক শংকর দাসকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শংকর দাস তার অপরাধ স্বীকার করেছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রকৃত সনদধারী মামলা দায়ের করবেন।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

ময়মনসিংহঃ জেলার ত্রিশালে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে নাজমুল হাসান (২৬) নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২জন।

গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।

ত্রিশাল থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন তালুকদারের সাথে সহোদর আব্দুল লতিফ তালুকদার ও আব্দুল রশিদ তালুকদারের পৈত্রিক জমি নিয়ে পারিবারিকভাবে বহুদিন যাবত বিরোধ চলছিল ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আব্দুল লতিফ তালুকদারের দুই ছেলে কামাল, জিয়ারুল ও তাদের মামাতো ভাই সৌরভ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার চাচা মোসলেম উদ্দিন তালুকদার ও তার ছোট ছেলে রনিকে এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিনের বড় ছেলে ময়মনসিংহের সিবিএসটির শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তার বাবা ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে আসলে কামাল, জিয়ারুল নাজমুলকে পেছন দিক থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে নাজমুল হাসান শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গুরুতর

আহত নাজমুলের বাবা মোসলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই রনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ত্রিশাল থানার এস আই আব্দুল করিম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সহোদর ভাই এবং তাদের ছেলেদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারামারি হয়। এতে বাহাদুরপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

ত্রিশাল থানা ওসি তদন্ত চাঁদ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, পৈত্রিক সম্পত্তির জের ধরে চাচাত ভাইদের লাঠির আঘাতে নাজমুল নামে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে ত্রিশাল থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আট দফা কমার পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ভরিপ্রতি এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। রবিবার (৫ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ পাঁচ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ এবার শুরু হবে কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের তাণ্ডব। আগামীকাল সোমবার (৬মে) থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরো সপ্তাহ জুড়ে থাকবে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের তাণ্ডব। গত মাসে টানা তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার দুর্বিষহ অবস্থারও অবসান হতে যাচ্ছে এই বজ্রঝড়ের মাধ্যমে। তবে ১১ মে পর্যন্ত বজ্রঝড়ে পুরো দেশের তাপমাত্রা কমে এলেও পরবর্তীতে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

বজ্রঝড়ের তাণ্ডব শুরুর পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবুল কালাম মল্লিক শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘টানা তাপপ্রবাহের অবসানের পর শুরু হতে যাচ্ছে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত। প্রাক্-বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে মে মাসে। এপ্রিলে যেখানে গড়ে ৮টি বজ্রঝড় হওয়ার কথা সেখানে মে মাসে গড়ে ১৩টি ঝড় হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কখনো কম বা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আগামী এক সপ্তাহের পুরোটা সময়জুড়ে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর এখানের ঝড়ে বজ্রপাতও ঘটবে।’

দিন বা রাতের কোন সময়ে এই বজ্রপাত সংঘঠিত হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় একাধিক আবহাওয়াবিশারদের সাথে। দেশের বজ্রপাত নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সমরেন্দ্র কর্মকার। বজ্রপাতের কোন সময় ও কোন দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বজ্রমেঘ (যে মেঘে বিদ্যুৎ থাকে অর্থাৎ যে মেঘ থেকে বজ্রপাত হয়ে থাকে) বাতাসে ভর করে প্রবাহিত হয়। তাই বাতাসের গতিবেগ যতো থাকে ততোবেগেই বজ্রমেঘগুলো প্রবাহিত হয়ে থাকে। সাধারণত দেশের বাহির থেকে আমাদের দেশে বজ্রমেঘগুলো প্রবেশ করে। আর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেতে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় নিয়ে থাকে।’ দেশ

তাহলে এই ঝড় কখন তৈরি হয়? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে দেশে বজ্রমেঘগুলো প্রবেশ করে। এই মেঘগুলো পড়ন্ত বিকেলে প্রবেশ করে পরদিন সকালের মধ্যে দেশের সীমানা অতিক্রম করে। তাই সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত সময়ে মূলত: বজ্রপাত হয়ে থাকে এবং মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণী এ সময়েই মারা যায়।

যেহেতু এই বজ্রমেঘগুলো প্রবাহমান। তাই একস্থানে বেশিক্ষণ সময় স্থির থাকে না। তাহলে কতক্ষণ সময় জুড়ে এই বজ্রপাত হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে দেশের জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করা আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সাধারণত বজ্রপাতসহ মেঘ ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তাই এই সময়টি ঘরের বাইরে না থাকাই নিরাপদ।

তবে তাপপ্রবাহে যেমন পরিবর্তনের ছাপ দেখা গেল এপ্রিলে। তেমনিভাবে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতেও পরিবর্তনের প্রভাব দেখা গেছে। দেশে সাধারণত পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা মেঘগুলোতে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু গত ৭ এপ্রিল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল প্রভৃতি এলাকায় বজ্রঝড় এবং গত ২ মে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি এলাকায় বজ্রঝড় হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে দেশের মধ্যাঞ্চলে বজ্রপাত বেশি হয়ে থাকে। এবার এর ব্যতিক্রম হচ্ছে উল্লেখ করে এশিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোহন কুমার দাশ বলেন, ‘ একসময় দেশে বজ্রপাতের চারটি দিক ছিল এখন সেসব দিকের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সাগর থেকে বজ্রমেঘ দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে এবং তাণ্ডব চালাচ্ছে।’

ড. মোহন কুমার দাশের কথার প্রমাণ পাওয়া যায় বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগের উত্তপ্ততা বেড়ে যাওয়া। আর এই বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রাও কিন্তু বেড়ে গেছে। যদিও বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গবেষকরা এলনিনোর প্রভাবকে দায়ী করেছেন। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উত্তপ্ত পানির প্রবাহ পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের দিকে প্রবাহিত হওয়া এবং এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের পানির উপরিভাগের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া।

তবে বজ্রপাত দেশের অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হতে পারে আবার আন্তঃমহাদেশীয় জলবায়ুর প্রভাবেও সৃষ্টি হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আমাদের দেশের মধ্যাঞ্চলে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের উষ্ণ আবহাওয়ার মেঘমালা আমাদের দেশে প্রবেশ করে পরিপক্কতা অর্জন করতে পারে। আর এর প্রভাবেও অমাদের এখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয় এবং সেসব মেঘের কারণে বজ্রপাত হয়ে থাকে।’

উল্লেখ্য, দেশে প্রতিবছর বর্ষার আগ মৌসুমে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাত দেখা দেয়। আর এতে দেশে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ মারা যায়। এজন্য ২০১৬ সাল থেকে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।
সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোববার (৫ মে) থেকে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোববার থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

* দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

* শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

* শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা।

* প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি।

এর আগে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ থাকার পর শনিবার (৪ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রাহের কারণে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ ‘নিজেদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা’ এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের উপস্থাপিত প্রস্তাবনা তুলে ধরে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। সেখানে মোট ২৪টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারের কাছে অনেকেরই অনেক চাওয়া থাকে। অনেকে অনেক কিছু প্রত্যাশাও করে থাকেন। এখন দেখতে হবে, সেসব চাওয়া ও প্রত্যাশার মধ্যে বাস্ততা ও যৌক্তিকতা কতটুকু রয়েছে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তবে ইউনিভার্সিটি একটি বিশাল বিষয়। এখানে ‘ইউনিভার্স’ এর কথা বলা হয়েছে। একটি বিশ্বিবদ্যালয়ের সঙ্গে অনেক বৈচিত্রময় বিষয় যুক্ত থাকে। এখানে উচ্চশিক্ষা এবং মেধা ও মননের বিকাশের বিষয়গুলো যুক্ত থাকে। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির ছাত্রছাত্রীরা উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য এসে থাকেন। কিন্তু কোনো গোষ্ঠীকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নজির বিশ্বের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল করেছি। কিন্তু এখানে শুধু সরকারি কর্মচারীই চিকিৎসা নেন, বিষয়টি এমন নয়। সেখানে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষও চিকিৎসা নেন। তবে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় এক কথা নয়।’

মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা মেধা ও সময়োপযোগী শিক্ষার প্রসারে এবং দক্ষ যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সামনে হয়তো আরও বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে সবকিছুই যৌক্তিক ও বাস্তবতার নিরিখে হতে হবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram