শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

ঢাকাঃ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৯ শিক্ষার্থী স্বপ্ন বাস্তবায়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, কেউ লিখতে অক্ষম, আবার কেউ বাকপ্রতিবন্ধী।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি পরীক্ষা দেন তারা।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আট শিক্ষার্থী হলেন- ইফফাত জানাহ বিথী, আবু ফারেজ, হুমাইরা জাহান জিনিত, নুসরাত জাহান কাকলী, আসফিয়া তাসনিম রুহি, হিজবুল্লাহ, সোনিয়া আক্তার, হানিফা মুন্সি হ্যাপি ও মাসুদ শাহরিয়ার।

ছোটবেলা থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন বুনতে থাকেন ইফফাত জাহান বিথী নামের এক পরীক্ষার্থী। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা এই শিক্ষার্থী বলেন, আজ আমার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইতিহাস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আমার। আমার মূল লক্ষ্য হলো বিসিএস। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমার মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করতে চাই।

ফেনী পরশুরাম ইসলিমা ডিগ্রি মাদরাসা থেকে আসা আরেক পরীক্ষার্থী আসফিয়া তাসনিম রুহি বলেন, আমি লিখতে অক্ষম। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। প্রশ্নের মান আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। আমার লোকপ্রশাসন বিষয় নিয়ে পড়া ইচ্ছা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হলে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হবো।

আবু ফারাজ নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরিয়াল আসছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পছন্দের সাবজেক্ট আইন আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। গুচ্ছে আজ পরীক্ষা দিলাম। অনেক ভালো পরীক্ষা হয়েছে। গুচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ হয়, তাহলে আমি এখানেই ভর্তি হবো।

পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার মিতা শাবনম বলেন, আমাদের এখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নয় পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা খুব সুন্দরভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছি। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শ্রুতিলেখক দেওয়া হয়েছে। এসব পরীক্ষার্থী যেন সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সেজন্য আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ আফ্রিকার দেশ নাইজারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। নাইজারের সামরিক জান্তা দেশটি থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার এক মাস পর মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নিয়েছে রুশ সৈন্যরা।

২০২৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর এ বছরের মার্চে মার্কিন সেনাদের নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার সেনা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে মিশছেন না রুশ সেনারা। তবে ১০১ নামের ওই বিমান ঘাঁটির একটি আলাদা হ্যাঙ্গারে অবস্থান নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই ঘাঁটি নাইজারের দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই অবস্থিত।

মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটিতে এমন সময় রুশ সেনারা অবস্থান নিলো যখন এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়।

এছাড়া ওই ঘাঁটিতে যেসব মার্কিন অবকাঠামো রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে স্বল্প সময়ে এটি ম্যানেজ করা যাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত নাইজার এবং রাশিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করলেও কোনো দূতাবাসই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

নাইজারের জান্তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলছে। এ কারণে তাদের দেশে মার্কিন সেনারা থাকতে পারবে না।

নাইজারের সেনারা অভ্যুত্থানের পরপরই প্রথমে ফ্রান্সের সেনাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের চলে যেতে বলছে।

মূলত আফ্রিকার দেশগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে এবং অপরদিকে নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার দারস্থ হচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই মানুষের হাতে হাতে আর স্মার্ট ফোন দেখা যাবে না। এটি বিলুপ্ত হবে। সম্প্রতি মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন এমনটাই দাবি করেছেন।

ইয়ান লেকুন বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা চাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।

লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। শরীরেই বসানো থাকবে বিভিন্ন যন্ত্র!

বছরের শুরুতে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক মানব মস্তিষ্কে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ বসাতে সফল হয়েছে। এটা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। চিপ বসানো ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ  সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছে।

সৌদি আরব যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে সৌদিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সৌদি আরব শর্ত দিয়েছে যদি ইসরায়েল তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে-পশ্চিমতীর এবং গাজাকে নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করতে হবে, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা একটি কলামে এ তথ্য জানিয়েছেন কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান।
তিনি লিখেছেন, ‘ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপন হবে যদি শুধুমাত্র সৌদির শর্ত মেনে নেওয়া হয়। তাদের শর্ত হলো: গাজা থেকে সরে যেতে হবে, বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।’

তবে এই কলামিস্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখনই সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো কোনো সরকার ইসরায়েলে আসবে তখনই চুক্তিটি হবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও তারা তাদের সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম এ্যাকর্ডেও যোগ দেয়নি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আগামীকাল শনিবার (৪ মে) সপ্তদশ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কিছু নির্দেশাবলী জারি করেছে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন।

নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, কোনো পরিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে বই, ইলেক্ট্রনিক/হাত ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, মানিব্যাগ/ওয়ালেট, তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহারযোগ্য সব ধরনের ডিভাইস ও ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

কেন্দ্রের গেটে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে পূর্বে উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রয়োজনে যেকোনো পরীক্ষার্থীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুভূতিকে সমুন্নত রেখে তার মুখমন্ডল ও কান প্রদর্শনের জন্য বলা হতে পারে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে উপর্যুক্ত নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তিসহ সংশ্লিষ্ট পরিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বারিত করা হবে। এছাড়া সকাল ১০ টা ৫৫ ঘটিকার মধ্যে সব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সব গেট/ফটক বন্ধ থাকবে।

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সিনিয়র সহকারি সচিব (প্রশাসন) ইয়াসমিন বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের এ নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরন করতে বলা হয়েছে।

সপ্তদশ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হচ্ছে নিউ বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

গত ৪ এপ্রিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০০১ থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত রোল নম্বরধারীরা মোট ২৫০০ জন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে, ৩৫০১ থেকে ৫৩০০ পর্যন্ত রোল নম্বরধারীরা মোট ১৮০০ জন সিদ্ধেশ্বরী কলেজে এবং ৫৩০১ থেকে ৮৩১০ পর্যন্ত মোট ৩০১০ জন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষা দেবেন।
পরীক্ষার্থীদের কক্ষ নম্বর ও আসন বিন্যাস সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড ও কমিশনের ওয়েবসাইটে ২ মে তারিখে প্রদর্শন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা ওই সময় নিজেদের আসন বিন্যাস জেনে নিতে পারবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম ভাড়া লাগত। কারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এতদিন বেশি দূরত্বের টিকিট ছাড় দিয়ে বিক্রি করত। আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে রেলযাত্রায় এই রেয়াতি সুবিধা উঠে যাচ্ছে। নতুন দামে টিকিট কেটে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দূরের যাত্রীরা।

এক যাত্রী ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘বর্তমানে সব কিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না।

আরেক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনের যাত্রীসেবা তো অনেক দূরের বিষয়। কোনোরকম গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেই আমরা খুশি।’

অতীতের নিয়ম অনুযায়ী, ১০১ থেকে আড়াই শ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন রেলের যাত্রীরা। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে দেড় শ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে।

এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

এটির প্রভাব সকল যাত্রীদের ওপর পড়বে।’

দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর হবে এটি। কাল থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ছাড় কমায় গুনতে হবে বেশি ভাড়া।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরই মধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা। ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা। ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা। ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা। ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা। ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘মোট ভাড়ার ওপর রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে। কিন্তু নীতি নির্ধারকরা বলার চেষ্টা করছেন রেলের ভাড়া বাড়ছে না। আসলে রেলের ভাড়া বাড়ছে। এর প্রভাব সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত সম্প্রতি এ রায় দেন। সাড়ে ছয় বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলাটি করা হয়েছিল। খালাস পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী। আছেন আটজন চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী। বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তিও রয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় দুটি আইনে (আইসিটি ও পাবলিক পরীক্ষা) অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আইসিটি আইনের মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়।

চার্জ গঠনের পর আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র একজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। একমাত্র যে সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনিও অভিযোগ সমর্থন করে কোনো সাক্ষ্য দেননি। আইসিটি আইনের যেসব ধারায় (৫৭ ও ৬৩) অপরাধের অভিযোগ মামলায় আনা হয়, তা বিচারে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে আদালত বলেছেন, একই অপরাধের অভিযোগে মামলায় পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি ও দণ্ডিত করা যায় না।

গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন রানা ও অমর একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে ইশরাক হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। একই দিন সিআইডি মামলা করে। মামলার আসামিদের মধ্যে ৪৬ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। রায়ের তথ্য বলছে, মামলার অভিযোগ, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। এ অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ও ৬৩ ধারায় ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের দীর্ঘদিন পর ২০২৩ সালের ১১ মে এক সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। বাকি সাক্ষী হাজির না করার তথ্য উল্লেখ করে আসামিপক্ষ আদালতে আবেদন করে বলে, একই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা চলমান। এ কারণে আইসিটি আইনের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।

রায়ে আদালত বলেছেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা বা অশ্লীল কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে এবং প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত আধেয় (কনটেন্ট) কেউ পড়লে বা দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রসিকিউশন মামলাকে শতভাগ সত্য বলে ধরে নিলেও এখানে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অপরাধের উপাদান নেই। এ ধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে তর্কিত কনটেন্ট সর্বসাধারণের জন্য কোনো ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার বা প্রকাশ করতে হবে। ফাঁস করা প্রশ্নপত্র সর্বসাধারণের জন্য ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচার করার কোনো অভিযোগ মামলায় আনা হয়নি।

রায়ে বিচারক বলেন, আইসিটি আইনের ৬৩ ধারার মূল বক্তব্য হলো, কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা আইনের বিধি বা প্রবিধানের কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্ট্রার, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়ে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া কোনো বিষয়বস্তু অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রচার বা প্রকাশ করেন, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে মহিউদ্দিন, মামুনসহ অন্য আসামিদের এ ধরনের কোনো অপরাধ করার সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখা যায় না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের ৪০ জন মেধাবী নারী শিক্ষার্থী বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে তাদের আবাসিক সুবিধাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, গাজার অধিবাসীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বর্বর ও নির্মম হামলা, গণহত্যা ও অমানবিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। বাংলাদেশিরা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ায় আবদুর রউফ মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ থেকে ভুয়া এই পরীক্ষার্থীকে আটক করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আবদুর রউফ মিয়া গাইবান্ধা সদর থানার মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। বন্ধুর হয়ে তিনি চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সহকারী পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্যের অমিল পাওয়া যায়। পরে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ বিষয়ে ওমরগণি এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম বলেন, ‘বন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন। পরে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬০০। উপস্থিতি ছিলেন ৬০ শতাংশের মতো।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একযোগে ২২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অঘটন ঘটেনি বা প্রশ্নেও কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই সব কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বলা যায়, অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সবগুলোতেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার প্রায় ৯০ শতাংশের উপরে বা কাছাকাছি। তবে সর্বনিম্ন ৭২ দশমিক ৭৮ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল সর্বোচ্চ ৯৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

জানা যায়, ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য চার হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন। আর ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘সি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য তিন হাজার ৬২৯টি আসন রয়েছে। জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সব তথ্য https://gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে কি থাকবে না সেটা আমার সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করবে যে, তারা কি চায়। আমি নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি, সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছি।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাদেকা হালিম এসব কথা বলেন।

এ সময় উপাচার্য আরও বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবে গণমাধ্যম এই আশা আমি করি। এছাড়াও গুচ্ছের ভালো দিক ও খারাপ দিকগুলোও যেন স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমে উঠে আসে সে বিষয়ে নজর দিতে বলেন তিনি।

গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় একের পর এক মেধাতালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে ড. সাদেকা হালিম বলেন, এবারতো প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। আশা করি, এবার বেশি মেধাতালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হবে না। যারা সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে ইচ্ছুক তারাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

এবার ৬ হাজার আসনের বিপরীতে বি ইউনিটে মোট আবেদন পড়েছে মোট ৯৪ হাজার ৯৩১টি। এরমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ জন পরীক্ষার্থী।

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় হলো : গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকা ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

কুবিঃ গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার। এদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি কক্ষে পরীক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিযোগ, উপাচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে অনভিজ্ঞ এবং সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষকদের এই দায়িত্ব দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার মতো একটি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব সেমিনার লাইব্রেরিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। সেখানে একেক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দিচ্ছেন। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের হল রুমেও এবার প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আসন বিন্যাস করা হয়।

পরে সেমিনার লাইব্রেরিতে পরীক্ষা দেয়া এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেমিনারকক্ষে তাদের কোনো সিট প্ল্যান বসানো হয়নি। শিক্ষকরা যাকে যেখানে বসতে বলেছেন, তারা সেখানেই বসে পরীক্ষা দেন।

ওই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘একসঙ্গে এক টেবিলে এতজন গাদাগাদি করে পরীক্ষা দেয়াতে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হচ্ছিলো বারবার। আরও বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসলেও এভাবে ঠাসাঠাসি করে বসে পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা এখানেই প্রথম।’

এ নিয়ে বিজ্ঞান অনুষদের পঞ্চম তলার হল পরিদর্শক ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ককে প্রশ্ন করতে বলেন।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, “আমি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক, কিন্তু সিট প্ল্যানের জন্য ‘কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে আলাদা একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই আসন বিন্যাসের ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. প্রদীপ দেবনাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার অনুষদের প্রতিটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতেই পরীক্ষা হয়েছে।’

এভাবে এক টেবিলে ১৮-২০ জন পরীক্ষা দিলে সেটার স্বচ্ছতা কতটুকু থাকবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটিই বলতে পারবে।’

কেন্দ্র ব্যবস্থা কমিটির সদস্য সচিব আবু ওবায়দা রাহিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এমন অদ্ভূত আসন বিন্যাসের দায়ভার তিনি নেবেন কিনা- প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজে কোন দায় না নিয়ে কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘এবার আমরা চেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে। সেজন্যই সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতেও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এছাড়া এই অল্প সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য আরেকটা কেন্দ্র ব্যবস্থা করা কঠিন ছিল।’

এক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন একসঙ্গে পরীক্ষা দিলে সেখানে স্বচ্ছতা থাকবে কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের শিক্ষকরা দায়িত্বে ছিলেন। তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন। এখন যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পরবর্তীতে এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আমরা আর পরীক্ষা নেব না।’

এ ঘটনার সমালোচনা করে কুবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পূর্বে যতগুলো ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলো আমরা খুব ইমেজের সঙ্গে শেষ করেছি, কিন্তু এই উপাচার্য এবার আসন বণ্টনের যে কমিটি করেছেন সেখানে তিনি তার আস্থাভাজন একেবারে অনভিজ্ঞ, জুনিয়র শিক্ষকদেরকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। যার ফলে তারা ল্যাব, সেমিনারের মতো রুমগুলোতেও এবার পরীক্ষা নিয়েছে। যেখানে ৫ জন বসতে পারবে, সেখানে ১০ জনকে বসিয়েছে।

‘এটা আসলে এদের অনভিজ্ঞতার ফল। আর এই দায়ভার সম্পূর্ণ উপাচার্যের। তিনি ভর্তি পরীক্ষার মতো একটি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। দেশবাসীর কাছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাস্যকর করে তুলছেন।’

প্রসঙ্গত, গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার ৪ হাজার ২৯২ জন পরীক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার- এই দুটি কেন্দ্রে সকাল ১১টা দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০৫/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram