শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদীঃ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা ক্রমান্বয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম উপাদান হলো স্মার্ট নাগরিক। শিক্ষকরাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক গড়ার অন্যতম কারিগর।বু

ধবার (১ মে) নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে। তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পিতা-মাতা আমাদের প্রতিপালন করেন ঠিকই কিন্তু শিক্ষকরাই সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। এজন্য শিক্ষকদের এ বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণসহ শিক্ষার উন্নয়নে সরকার ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

নিজের নির্বাচনী এলাকা মনোহরদী ও বেলাবোতে প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোতেও পর্যায়ক্রমে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি আব্দুল কাদির মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি, পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন, মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম ভূইয়া, গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বরকত রবিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেটঃ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সকল মানুষের সমান অধিকার। আর অধিকারটিতে সমান সুযোগ দেওয়ার বাস্তবায়নের পদক্ষেপও হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। বিচার বিভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ওয়ানস্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেটি ধাপে ধাপে নিম্ন আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই বিচারকুঞ্জে শুধু সাক্ষীরা বসবেন তা নয়, বিচার প্রার্থী সব মানুষই বসতে পারবেন। যিনি আসামি হয়ে জামিন প্রাপ্ত তিনিও সেখানে বসতে পারবেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রবাসে অবস্থানরতদের উদ্দেশ্যে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলনসহ দেশের সকল ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে আহবান জানান। প্রধান বিচারপতি সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ‘সিলেট নগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন শাখা প্রধান, কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের সম্মানে দাড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও বদলে যাওয়া সিলেটের গল্প নিয়ে ছোট্ট প্রতিবেদন পরিবেশন করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি প্রধান, বলেন মিল্টন সমাদ্দার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়। মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

হারুন বলেন, মানবিকতার আড়ালে ভয়াবহ প্রতারণার জাল বিস্তার করেছেন মিল্টন। প্রকৃতপক্ষে তিনি যে কয়জনকে লালন-পালন করছেন, প্রচার করছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ। লাশ দাফন করার যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতেও আছে বিরাট গরমিল। সবচেয়ে ভয়ংকর, মিল্টনের বিরুদ্ধে রয়েছে অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে মানবসেবার অন্তরালে যে নির্মম ও বর্বরোচিত চিত্র ফুটে উঠেছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। মানবসেবা পরম ধর্ম কিন্তু মানব সেবার নামে মুখোশের আড়ালে রাস্তা থেকে অসুস্থ, অসহায় ও নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

হারুন অর রশীদ বলেন, গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া ডাক্তার কর্তৃক মৃত্যুর সার্টিফিকেট তৈরি করা কিংবা মৃত লাশের শরীরে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এসবসহ সকল অভিযোগ তদন্ত করা হবে...।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়। দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরে সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানীর তাপমাত্রাও ৪০–এর আশপাশেই থাকছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন গরমজনিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তীব্র গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না।

একই পরিস্থিতি চলছে এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকায়। এসব অঞ্চলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ হিসাবে ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল। অর্থাৎ তাপপ্রবাহের কারণে এক দিকে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ, অন্যদিকে তীব্র গরমে বাড়িতেও সেভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর প্রবণতা না কমায় জলবায়ু ক্রমেই উষ্ণ হয়ে উঠছে। ফলস্বরূপ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এবং তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমানভাবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে যা শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। তীব্র গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখা হবে, নাকি বাড়িতে শীতল পরিবেশে থাকতে উৎসাহিত করা হবে—এ নিয়ে একটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।

এই দুইয়ের মধ্যে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তার একটা নেতিবাচক ফলাফল রয়েছে। যেখানে জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে স্কুলে যাওয়ার বয়সী প্রায় ১৭ শতাংশ শিশু এরই মধ্যে শিক্ষাগ্রহণের বাইরে রয়েছে। অর্থাৎ এই শিশুরা কখনোই স্কুলে যায় না। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই অনুপাতটি অনেক বেশি। যেমন সাব–সাহারা আফ্রিকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে, যেখানে উত্তর আমেরিকায় এ অনুপাত মাত্র ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া উন্নয়নশীল বিশ্বের শিশুদের সাধারণ মান পরীক্ষার স্কোর উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৈশ্বিক বৈষম্যও বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যকার শিখন ব্যবধান বাড়িয়ে তুলতে পারে এই তাপমাত্রার বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনকি ধনী দেশগুলোতেও ধনী ও দরিদ্র এলাকার মধ্যে এই ব্যবধান বাড়তে পারে। কিন্তু এত গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠালে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

দক্ষিণ সুদানে এ বছর মার্চের শেষের দিকে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গেলে প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফিলিপাইন এবং ভারতের হাজার হাজার স্কুল এপ্রিলের শেষের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ দুই দেশে ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ।

আজ বুধবার কম্বোডিয়ায় দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এড়াতে সব সরকারি স্কুলকে খোলা রাখার সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর স্কুল খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে— এ নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকেরা। যদিও অনেক জেলাতে তাপমাত্রা বিপজ্জনক স্তরে উঠে গেছে।

অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাংলাদেশের অনেক বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক পাখা নেই, বায়ু চলাচলের (ভেন্টিলেশন) অবস্থা ভালো নয়। অনেক বিদ্যালয়ের ছাদ টিনের। ফলে গনগনে রোদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষগুলো আরও গরম হয়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও যদি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যায় তাহলেও কিন্তু তাদের শিখনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ উচ্চ তাপমাত্রা মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্রিয়াকলাপকে ধীর গতির করে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ ও প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা কমে যায়।

২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষার বছরে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকে তবে তারা পরীক্ষায় আরও খারাপ ফল করে।

আমেরিকান ইকোনমিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ শূন্য দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ হলে সেই বছরের শিখন ১ শতাংশ কমে যায়। গবেষণার সহ–লেখক বোস্টন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ জশ গুডম্যান বলেন, তবে গবেষণার অধীন যেসব বিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল সেগুলোতে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মার্কিন বিদ্যালয়ে অন্তত আংশিক এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। এর বাইরের বিদ্যালয়গুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকাগুলোতে অবস্থিত। এসব বিদ্যালয় এরই মধ্যে ধনী এলাকাগুলোর চেয়ে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

গুডম্যান এবং তাঁর সহকর্মীরা তাপমাত্রার সঙ্গে শিখন পরিস্থিতির একই সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা অন্যান্য দেশের সাধারণ পরীক্ষার তথ্য তুলনা করে দেখেন। গুডম্যান বলেন, এই অঞ্চলগুলোতে শিক্ষার্থীরা যে বছর বেশি তাপমাত্রা অনুভব করে, দেখা গেছে, সে বছর তারা শিখেছে কম।

এ ছাড়া অন্যান্য গবেষণার পর্যবেক্ষণেও দেখা যায়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এমনকি অনাগত শিশুর শিখনকেও প্রভাবিত করতে পারে।

২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার যেসব শিশু জরায়ুতে থাকা অবস্থায় এবং জীবনের প্রথম সময়ে (শৈশব–কৈশোর) গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রার সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকে, তারা পরবর্তী জীবনে কম সময় স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস–এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

গুডম্যান বলছেন, এ সবই উদ্বেগজনক। কারণ বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলো অত্যন্ত গরম জলবায়ুর দিকে যাচ্ছে। এসব দেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোর চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গুডম্যান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন গরম এবং শীতপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষার ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে। কিছু উন্নত দেশ এরই মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

গত মার্চে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ঘোষণা করেছে, জর্ডানে ২০২৬ সালের মধ্যে ৩০টি তাপ–প্রতিরোধী স্কুল নির্মাণ করবে তারা। সংস্থাটি বলছে, জর্ডানে সামনে প্রচণ্ড গরমের দিন বাড়বে। সেই সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এটি।

ইউএসএআইডি বলেছে, গরমের মধ্যেও বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু রাখতে সাহায্য করার জন্য প্যাসিভ কুলিং সিস্টেম এবং এয়ার কন্ডিশনার ব্যবস্থা বসাতে ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সংখ্যা বেড়েছে। যদিও মাত্র কয়েকটি দেশই এই ধরনের ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে।

মার্কিন বিদ্যালয়গুলো এখন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে প্রতি বছর গড়ে ছয় থেকে সাত দিন ক্লাস বাতিল করছে। যেখানে এক দশক আগে এটি ছিল প্রায় তিন থেকে চার দিন। ২০২১ সালে বিদ্যালয় এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দিয়ে একটি গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া পল চিনভস্কি এ তথ্য দিয়েছেন।

সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে গত বছর ৬–৭ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তবে এ বছর, ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় মে মাস সাধারণ সবচেয়ে উষ্ণ থাকে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

জাবিঃ এশিয়া মহাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)’। শিক্ষা ও গবেষণার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারী অনুপাত, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ ১৮টি পারফরম্যান্স সূচকের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ের এ তালিকায় বাংলাদেশের মধ্যে যৌথভাবে সেরা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এশিয়া মহাদেশের ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে।

এবারের তালিকায় এশিয়া মহাদেশে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের শিংহুয়া ও পিকিং ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। এছাড়া সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তালিকায় প্রথম ৩০০টির মধ্যে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও পরবর্তী ৩০০টির মধ্যে দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার ৪০১-৫০০ এর মধ্যে রয়েছে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর প্রকাশিত তালিকায় যৌথভাবে দেশের মধ্যে শীর্ষে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর যথাক্রমে শিক্ষায় ২৮ দশমিক ৯, গবেষণার পরিবেশে ১০ দশমিক ৯, গবেষণার মানে ৬৩ দশমিক ০১, শিল্পে ১৯ দশমিক ৫ এবং আন্তর্জাতিক আউটলুকে ৪৯ দশমিক ৭।

এদিকে র‌্যাংকিংয়ে দেশসেরা হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাংকিংয়ে তথ্য-উপাত্ত কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘বিভিন্ন সূচকের উপর ভিত্তি করে আমরা এশিয়া মহাদেশের র‌্যাংকিংয়ে স্থান লাভ করেছি। সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষক নিয়োগে একটি নীতিমালা পাশ হয়েছে।

সর্বোপরি আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ইম্প্যাক্ট খুবই ভালো। গতবারের চেয়ে আমাদের এবারের র‌্যাংকিং অবস্থা একটু বেটার। আমরা এশিয়াতে ভালোর দিকে যাচ্ছি। আশা করি নেক্সট ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে আমরা আরও ভালোর দিকে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এ নিয়ে যথেষ্ট চেষ্টা চলমান রেখেছে।’

এর আগে টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) কর্তৃক প্রকাশিত আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের তালিকায়ও দেশের মধ্যে সেরা হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এশিয়া মহাদেশের র‌্যাংকিং তালিকায় বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং মান প্রকাশ করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে এদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাকি বন্ধ এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি (দাপ্তরিক) কিছু জানাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে আগামীকাল নিজেদের মতো বন্ধের নোটিশ দিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তাপমাত্রা বেশি এমন ২৭ জেলায় মঙ্গলবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাকি বন্ধ এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্তা না পাওয়ায় দোটানায় আছেন শিক্ষকরা। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে শুধু ২৭ জেলাই নয়, বৃহস্পতিবার সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, বুধবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে পরিষ্কার বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলেছেন তাই আপাতত আদালতের আদেশ মানা হবে। হাইকোর্টের আদেশের কপি না পাওয়া এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার মত সময় না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ইস্যুতে ‘নো কমেন্ট’ অবস্থানে থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি করার দপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী জানান, আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছেন। সরকার যদি আপিলও করে সেই আপিলের শুনানি হয়ে রায় হতে হতে আগামীকাল স্কুলের কর্মঘণ্টা শেষ হয়ে যাবে। তাই আপাতত বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষেই আমাদের মত।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি এপ্রিলজুড়ে একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে আদালত নির্দেশ দিলেও বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পাওয়া যায়নি। তাই আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আপিল করিনি। যেহেতু তারা একটি নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আমরা আপিল করিনি তাই বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু বিষয়টি আদালতের আদেশ, এই মুহূর্তে মন্তব্য করবো না। আমরা এখন পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে, সুনির্দিষ্টভাবে অবগত নই। আগে আদেশ টা দেখি। শুধু ঢাকার প্রভাবশালী অভিভাবকদের দাবির মুখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ঠিক হবে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার শুধু ২৭ জেলাই নয়, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলা, ঢাকা বিভাগের ৬ জেলা, রংপুরের ২ জেলা এবং বরিশালের এক জেলাসহ মোট ২৭ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে। বাকি ৩৭ জেলায় মাধ্যমিকের সব প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাকি বন্ধ এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও নোটিশ না দেওয়ায় হাইকোর্টের আদেশ মেনে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ ভয়ংকর তাপপ্রবাহে পুড়ছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। সকাল থেকেই সূর্যের চোখরাঙানিতে নাজেহাল মানুষ। এরই মধ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরাও।

পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের জন্য গত ২২ এপ্রিল সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। সাধারণত মে মাস থেকে শুরু হয় গরমের ছুটি। কিন্তু এবার এপ্রিলেই তীব্র গরমের কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সবাইকেই। তাদের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। কিন্তু, সেই সুবিধা পাচ্ছেন না রাজ্যের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য এখনো গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে। আগে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলোতে সাধারণত সকাল ১০টায় শুরু হতো পাঠদান। তীব্র গরমে কারণে সেটি এগিয়ে আনা হয়েছে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। আর ছুটি হচ্ছে ১০টা ৩০ মিনিটে। অর্থাৎ, গরমের তীব্রতা চূড়ায় পৌঁছানোর আগেই ছুটি হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলো।

এ বিষয়ে সেন্ট জুডস হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল অদিতি রায় জানান, আমাদের ছুটির ক্যালেন্ডার এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। গরমের ছুটি আগামী ১৩ মে থেকে শুরু হবে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করানো হবে।

এছাড়া, ক্লাসরুমগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানো হচ্ছে, যাতে গরমে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয়। অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের আনতে বাড়ির দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি পাঠাচ্ছে।

পানিহাটির বাসিন্দা স্বপ্না দেবনাথের ছেলে মুহুল দেবনাথ স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।

স্বপ্না দেবনাথ বলেন, এই গরমে সকালে ক্লাস শুরু হওয়ায় ভালো হয়েছে। সকালে ছেলের উঠতে একটু অসুবিধা হয়। তবুও গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটু কষ্ট করতে হচ্ছে। তীব্র গরমে স্কুলের বাইরে আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। স্কুল থেকে গাড়ি আসছে বাড়িতে এবং ছুটি হলে আবার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ, ভারতসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়া। কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ উঠছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এমন আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে মানুষ। আশার কথা হলো, কিছুদিনের মধ্যেই দেখা দিতে পারে বহুল প্রত্যাশিত সেই বৃষ্টি। তবে সেই সঙ্গে খারাপ খবরও রয়েছে!

চলতি বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, ভয়ংকর গরমের পর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে এ অঞ্চলের মানুষ। গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরাম (এসএসিওএফ) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, ২০২৪ সালের দক্ষিণপশ্চিম বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।

মূলত আবহাওয়ার লা নিনা দশার কারণে এবারের বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল অংশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে এসএসিওএফ।

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু-ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনো কোনো বছর দক্ষিণমুখী উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। এটিকে এল নিনো বলা হয়। এর বিপরীত দশার নাম লা নিনা। এল নিনোর প্রভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যেমন অতিরিক্ত তাপমাত্রা, খরা সৃষ্টি হয়, তেমনি লা নিনার প্রভাবে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা থাকে।

এসএসিওএফ জানিয়েছে, বর্তমানে মাঝারি মাত্রায় এল নিনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্ষা মৌসুমের প্রথমার্ধে এনসো (এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন) নিরপেক্ষ অবস্থায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে লা নিনার প্রভাব দেখা দিতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডিএস পাই বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, এল নিনোর বিপরীত অবস্থা হচ্ছে লা নিনা। বর্ষা মৌসুমে ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টিপাত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণে এটি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে আটক করে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।’

সম্প্রতি মানবিক মুখোশের আড়ালে মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মতো অপকর্মের অভিযোগ ওঠে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম।

রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দেন তিনি। জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও।

তবে অভিযোগ রয়েছে, মিল্টন সমাদ্দার যতটুকু ভালো কাজ করেছেন, প্রচার করেছেন তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর এই তিন বিভাগে ৪৮ ঘন্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ চলমান তাপপ্রবাহ খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ৪৮ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

ঢাকাঃ মযুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশনের প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে এশিয়া মহাদেশের সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ওয়েবসাইটে ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৪’ প্রকাশ করে টাইমস হায়ার এডুকেশন। এশিয়ার ৩১ দেশের ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‌্যাংকিং করা হয়েছে। তাতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রকাশিত র‌্যাংকিং অনুযায়ী— বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০১-৩৫০তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো— বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবস্থান আরও পেছনে। তালিকায় ঢাবির অবস্থান ৪০১-৫০০ এর মধ্যে। আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে। একই অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

গত বছর এ তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থানে ছিল ঢাবির। আর ১৯২তম স্থান অর্জন করেছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এবার ঢাবি ও নর্থ সাউথের র‌্যাংকিংয়ে পতন হয়েছে।

অন্যদিকে র‌্যাংকিংয়ে পেছালেও এবার বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান হয়েছে, যা গতবার ছিল ১৫টি। ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়নি।

এবারের র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের পাঁচটি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের দুটি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মে দিবসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাপমাত্রার পারদ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে। দুই জেলাতেই আজ বুধবার (১ মে) দুপুর তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সামান্য তাপমাত্রা কমলেও গরমের তীব্রতা কমেনি। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা গত ৪০ বছরে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর এদিন যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা৷ বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশ নাজুক।

এদিকে, তাপমাত্রা নিয়ে কিছুটা সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কাল থেকে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে গ্রীষ্মকাল হওয়ায় গরম অনুভূত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান। সারাদেশের তাপমাত্রা স্বস্তিদায়ক হতে আরও ৪-৫ দিন লাগবে।

আজ থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল এবং কাল থেকে অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়। এছাড়া, আগামীকাল ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সামান্য সময়ের জন্য বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।

তবে চার তারিখ পর্যন্ত রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, পাবনা ও রংপুরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। তবে ৫ তারিখে সারাদেশে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০২/০৫/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram