বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

কুবিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে মারতে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইকিউএসির পরিচালক ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কোষাধ্যক্ষের সাথে শিক্ষক সমিতির আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনে তার গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সাথে ট্রেজারারের কথা চলাকালীন আইকিউএসির ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ পিছন থেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেকে মারতে তেড়ে যান। এসময় শিক্ষক সমিতি ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা দফায় দফায় বাগবিতণ্ডায় জড়ান। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রশাসন যে কমিটি গঠন করে অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ ঐ কমিটির অন্যতম সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শী রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ট্রেজারারের অনুমতিক্রমে যখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন আইকিউএসির ডিরেক্টর শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা করেন। বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রশাসন থেকে যে চিঠি দিয়েছিল, সাধারণ সম্পাদক সেই চিঠিই পড়ছিলেন। কিন্তু ওনি কি বুঝে হামলা করলেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এমন হতে পারে তাদের চিঠি তাদেরই বিরুদ্ধে গেছে অথবা চিঠির ভাষা তারা নিজেরাই বুঝতে পারেননি। এজন্য হামলা করতে পারে। তবে ওনি একজন শিক্ষক হিসেবে এভাবে আরেকজন শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করলেন এবং হামলা করলেন তা কোনোভাবেই শিক্ষকসুলভ আচরণ না।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ট্রেজারারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর ওনি পরিবহন সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। তাই আমরা ওনাকে এ বিষয়ে রিকুয়েষ্ট করতে আসি। কিন্তু ঘটনার একপর্যায়ে আইকিউএসির ডিরেক্টর শিক্ষক সমিতির সভাপতির উপর হামলা করেন। ওনি ট্রেজারারের ইন্দনেই হামলা করেছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতির উপর হামলা করা মানে আমাদের সকল শিক্ষকদের উপর হামলা। এখন আমাদের দাবি অতি দ্রুত তাকে আইকিউএসির ডিরেক্টরের পদ থাকা বরখাস্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ট্রেজারারকে উদ্দেশ্য করে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন পিছন থেকে আইকিউএসির ডিরেক্টর বলেন, এগুলো মিথ্যা। তখন আমি বলছি ওনাকে (শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক) বলতে দেন। কিন্তু তখন ওনি সুযোগ না দিয়ে আমার দিকে মারতে তেড়ে আসেন।

এবিষয়ে আইকিউএসির ডিরেক্টর ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.রশিদুল ইসলাম শেখ বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন, তাদের এ অভিযোগ মিথ্যা। তারা সেখানে চিঠির ভুল ব্যখ্যা করতেছিলো আমরা সে চিঠির সঠিক ব্যাখ্যা চেয়েছি। সবার সবার সামনে চিঠির ভুল ব্যখ্যা করতেছিলো তখন কাউকে না কাউকে প্রতিবাদ করতে হতো। তখন আমি প্রতিবাদ করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখেন অতীতে তারা কি করেছে আর আমি কি করেছি। আমি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি কিনা খোঁজ নিয়ে দেখেন। তারা এবিষয়টি নিয়ে ডাহা মিথাচার করেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৭/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ তীব্র দাবদাহের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক বাদে সব স্তরের ক্লাস শুরু হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

সংগঠনটি বলছে, সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে সবাই বাধ্য। এ সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থীর শারীরিক কোনো ক্ষতি বা জীবন বিপন্ন হয়, তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের তেমন কোনো উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার রোববার থেকে সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার পরিপত্র জারি করেছে। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য দেশের সব মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যদি কোনো শিক্ষার্থীর কোনো রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোনো রকম ক্ষতি হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, বড়রাই যেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা দেয়। নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি অব্যাহত থাকায় সামনে আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরাও আরও এক সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানোর দাবি করেছি। কিন্তু সরকার তা শুনেনি। এরপর যদি কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়, এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৭/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুলের উদ্যোগে "জাতীয় শিক্ষাক্রমের সঙ্গে উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষন পদ্ধতির সামঞ্জস্য বিধান" শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গাজীপুর ক্যাম্পাসে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ওপেন স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাকুরি ও পড়াশোনার ধরনের মধ্যে বিস্তর ফারাক লক্ষনীয়। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র, জ্ঞানার্জন ও মূল্যায়ন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। উত্তর চাওয়া নয়, প্রশ্নবান হিসেবে গড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। মূলত, জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাক্রমের বিকল্প নেই।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণায় জোর দিতে হবে। বাউবির ওপেন স্কুলে এসএসসি এবং এইচএসসি প্রোগ্রামের শিক্ষাক্রম মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর জ্ঞানের মূল্য যাচাইয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন উপাচার্য। এজন্য তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রম প্রনয়ণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

রিসোর্সপার্সন হিসেবে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গপেন স্কুলের শিক্ষক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মানবিক বিষয়ক কারিকুলাম কমিটি ও সমন্বয়কারী (এসএসসি প্রোগ্রাম) এমএস মেহেরীন মুনজারীন রত্না। ছয়টি স্কুলের মোট ৩৯ জন শিক্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৭/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সালের পর ৭৬ বছরের মধ্যে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে শুক্রবার।

এমন পরিস্থিতিতে খুব দ্রুত বৃষ্টির কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই অবস্থা চলতে পারে আরও অন্তত এক সপ্তাহ। দেশে চতুর্থ দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার থেকে খোলা হচ্ছে দেশের সব স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এখনই এই সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হয়নি।

শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ বলেন,“এই তাপমাত্রার মধ্যে শিশুদের কোনভাবেই ঘর থেকে বারহওয়া উচিত না,তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা বাইরে গেলে নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখাই ভালো। বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তখন স্কুল খুললে ভাল হতো। এখন যেহেতু স্কুল খোলা হচ্ছে, তাই বাচ্চাদের পোশাক, স্কুলের পরিবেশসহ আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে।''

শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিন আহমেদ   বলেন, "শিক্ষা কারিকুলামে তো অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। বিশেষ করে করোনার পর যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সেটা এখনও আমরা পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এভাবে যদি দিনের পর দিন স্কুল বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বড় শিখন ঘাটতি তৈরি হবে। তবে এই তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রেখে হাইস্কুল ও কলেজ খোলা হলে ভালো হতো। অন্তত আর একটা সপ্তাহ প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রাখা উচিত ছিল। কিন্তু সমস্যা হল, সামনে যে গরম কমবে তারও তো কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, "আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম আর অন্তত একটা সপ্তাহ স্কুলগুলো যেন বন্ধ রাখা হয়। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চারা বাইরে বের হলে কোন সংকটের দায় কে নেবে? তারপরও সরকার যেহেতু স্কুল খুলতে চায়, আমরা অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছিলাম। এখন তো সরকার আমাদের সেই অনুরোধও রাখল না। ফলে এখন সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে আমাদের ইচ্ছা না থাকলেও সবাইকে সেটা মেনে নিতে হবে।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক আদেশে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নির্দেশনায় আরো বলা হয় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

অনেক অভিভাবক বলছেন, অধিকাংশ স্কুলে এয়ার কন্ডিশনার নেই। পাশাপাশি বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতে রিকশা-সিএনজিসহ নানা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করতে হয়। এতে দীর্ঘ সময় রোদ্রের মধ্যে রাস্তায় থাকতে হয় শিশুদের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের সিদ্ধান্তে অনেক বাচ্চা রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, আর এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখলে কি ক্ষতি হবে? কিন্তু এই তাপমাত্রার মধ্যে বাচ্চারা স্কুলে গেলে বরং ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার  বলেন, "স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে মন্ত্রণালয় আলোচনা করে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। ফলে তারা নিশ্চয় খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বোর্ডের কোনো ভূমিকা নেই।”

তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, "কথায় কথায় স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে আমি না। আমার বক্তব্য হল, তাপপ্রবাহের কারণে সবকিছু চলতে পারলে, স্কুল চলবে না কেন? হ্যাঁ, স্কুল খোলা রাখতে হলে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা নিতে হবে। এখন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন দুপুর বেলা রাস্তায় পানি ছিটাচ্ছে। এটা তো কিছু হলো না। সূর্য উঠার আগে বা সূর্য ডোবার পরে পানি দিতে হবে। সেটাও রাস্তায় না, মাটিতে বা গাছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করলে তো সংকট বাড়বে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকেরা সবাই মিলে যদি ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখে তাহলে তো সমস্যা হওয়ার কথা না।'' সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৭/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের পর এবার খুলছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের ক্লাস।

শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস যথারীতি চলবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল তীব্র তাপদাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানায় শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ মাউশি। সেই সঙ্গে তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে জানায় মাউশি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৭/০৪/২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

রিকশাচালকদের মধ্যে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামীকাল রোবাবার (২৭ এপ্রিল) এই ছাতা বিতরণ করবেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার রিকশাওয়ালাদের মধ্যে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ করা হবে।

মকবুল হোসাইন আরও বলেন, আগামীকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টায় এই কার্যক্রম শুরু হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়েছে ভিন্ন সিদ্ধান্ত। আগের মতোই শনিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।
প্রাথমিকের শনিবারের সরকারি ছুটি বাতিল হচ্ছে না। ফাইল ছবি

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন সময় সংবাদকে জানান, শনিবার বন্ধ থাকবে কিংবা খোলা থাকবে—এমন কিছু আমরা বলিনি। আগের মতোই চলবে। অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার স্কুল খোলা রাখলেও আমাদের বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চলমান দাবদাহের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।

দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা নির্দেশে জানানো হয়, ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ এবং নানা কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

নিউজ ডেস্ক।।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেড়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের প্রবণতা। তারা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিক্ষোভে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে বিনিয়োগ করছে এবং গাজা যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিতে রাজি কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামাবে না।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত সপ্তাহে প্রায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, ইয়েল, ইউসি বার্কলে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষোভগুলো প্রায়শই অনুমোদন ছাড়াই এবং তা প্রতিরোধ করতে পুলিশ ডাকা হয়।

গত দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারীরা আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। কর্মীরা বলছেন, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা সজ্জা পরিহিত এবং ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অফিসাররা টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করেছে।

এমরি ইউনিভার্সিটিতে একজন অধ্যাপককে মাটিতে ফেলার এবং হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ একজন শিক্ষার্থীকে মাটিতে ফেলে ধস্তাধস্তি করছে। প্রফেসর ক্যারোলিন ফোহলিন তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বিক্ষোভকারীদের একটাই কথা, তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা জানায়। তারা চায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত সেগুলোতে এবং গাজা যুদ্ধে ইন্ধন জোগায় এমন অস্ত্রে তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে আনুক।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, স্পষ্ট ইহুদি বিরোধীতার কোনো ঠাঁই কলেজ ক্যাম্পাসে নেই। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, রাষ্ট্রপতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আগামীকাল রোববার আবারও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে সিলেট বাদ পড়তে পারে। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

স্বাধীনতার পর এবারই একটানা সবচেয়ে লম্বা তাপপ্রবাহ দেখছে এ দেশের মানুষ। ২৮ দিন ধরে চলা এ তাপপ্রবাহ ইতোমধ্যে ভেঙেছে ৭৬ বছরের রেকর্ড। আবহাওয়া অফিস বলছে, তাদের কাছে ১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়ার যে তথ্য রয়েছে, সে হিসেবে এবারই সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের ওপর দিয়ে। গত ৩১ মার্চ শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ টানা ২৮ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালে টানা ২৪ দিন ছিল তাপপ্রবাহ।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত তিন সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলতি মাসেই তিন দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সবশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আগামীকাল থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে চলমান তাপদাহের মধ্যে আগামীকাল রোববার খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির শঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তবে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

নিউজ ডেস্ক।।

আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানুষ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মানুষের দৈনন্দিন সব কাজই কোনো না কোনোভাবে তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এতে করে মানুষ যেমন সুবিধা ভোগ করছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে। দুষ্কৃতকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করছে। এ সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিআইডি সদর দফতরে ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কম্ব্যাট সাইবার ক্রাইম’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‌্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, তরুন প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল অ্যাওয়ারনেস বিল্ডআপের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ বন্ধে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণের পর থেকে সিআইডির এম্বেসেডর হিসেবে সাইবার অপরাধ নিবারণ এবং সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সিআইডিকে জানাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এবং গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৫৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সেমনিারে সফ্টওয়্যার আপডেট রাখাসহ অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যাবহারের কথা বলা হয়। সোস্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় শক্তিশালি পাসওয়ার্ড ব্যাবহার, নিজের সেনসিটিভ তথ্য শেয়ার না করা, স্প্যাম মেইলের অ্যাটাচমেন্ট না খোলা এবং থার্ড পার্টি অ্যাপস সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) তানভির হায়দার চৌধুরী। কর্মশালায় সাইবার পুলিশ সেন্টারের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান আলোচনক হিসেবে সাম্প্রতিক সাইবার অপরাধের ধরণ, করণীয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করেন অতিরিক্ত ডিআইজি (সাইবার ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশনস) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। ডিজিটাল ফরেনসিকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পুলিশ সুপার (ডিজিটাল ফরেনসিক) মুহাম্মদ সামছুল হক। প্রশ্ন-উত্তর ও উনমুক্ত আলোচনায় তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রানবন্ত অংশগ্রহণ করে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবসমূহ পরিদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

নিউজ ডেস্ক।।

প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট: প্রতিভা অন্বেষণের সঙ্গে শিক্ষাবৃত্তি
হৃদয় হোসেন। ঢাকা মেট্রোর ডানহাতি ব্যাটসম্যান। উইলিস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই শিক্ষার্থী পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি। শুধু হৃদয় নয়, বাংলাদেশের আরো ১৪, সব মিলিয়ে ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। যাদেরকে বেশ কয়েক ধাপে বাছাই করেছেন বিসিবির জুনিয়র নির্বাচকরা।

২০২২-২৩ মৌসুমের প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের দেশ সেরা ১৫ ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ (৬০ হাজার টাকা) তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।

দেশীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজন জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে জড়িয়ে আছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। প্রতি বছর সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার অংশ নেয় এই ক্রিকেট আসরে। দেশের ৩৫২ স্কুলের অংশগ্রহণে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জেলা পর্যায়ের ৫৭৯ ম্যাচ। জেলা চ্যাম্পিয়নরা এবার অংশ নেবে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। বিভাগীয় পর্যায়ের ৫৭ ম্যাচ শেষে ৭ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দল অংশ নেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।

স্কুল ক্রিকেট দিয়ে এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে উঠে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এক সময়ে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট ছিল ক্রিকেটার অন্বেষণের একমাত্র জায়গা। এখন প্রাইম ব্যাংক সেই কাজটা করে যাচ্ছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। তাদেরকে আমরা তুলে এনে পরিচর্যা করি। কোনো বছর পাঁচজন। কোনো বছর চারজন খেলোয়াড়কে আমরা বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। সুযোগ পাচ্ছে তারা খেলার। এছাড়া বাকিরা কিন্তু বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।’ – বলেছেন খালেদ মাহমুদ।

প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে বিসিবির উদ্যোগের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের অনেকেই এখন জাতীয় পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। অনেকেই পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি সেরা ক্রিকেটাররা যেনো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন সেই কারণেই শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হয়েছে।’

নিউজ ডেস্ক।।

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে ওইদিনই প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। তবে সব ফ্লাইটের সূচি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুত শিডিউল ঘোষণা করে যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫টি হজ ফ্লাইট ঘোষণা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

হজ ফরজ হলেও আদায় না করলে পাপ হবে?
জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram