বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

পটুয়াখালীঃ তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা নলদোয়ানী আব্দুস সালাম দাখিল মাদরাসা ও এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তীব্র গরমে সারা দেশে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে সেখানে আব্দুস সালাম দাখিল মাদরাসা ও এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্লাস কার্যক্রম চালু রেখেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গত কদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম চলছে দেশের সব অঞ্চলেই। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় দেশব্যাপী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তিন দিনের হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের দাবির মুখে স্কুল-কলেজের ছুটি আরো ৭ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সবকিছুই জেনেশুনেই তারা তাদের পাঠদান চালু রেখেছেন।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নলদোয়ানী এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মজিবুর রহমান বলেন, আসলে আমি ক্লাস চালু রাখতে চাইনি আমাদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশক্রমে ক্লাস চালু রাখতে বাধ্য হয়েছি।

নলদোয়ানী আব্দুস সালাম দাখিল মাদরাসা ও এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম সংবাদকর্মীকে হুমকি দিয়ে বলেন প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছি আপনি যা পারেন করেন যা পারেন লিখেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন্নেসা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের অগোচরে প্রতিষ্ঠান তারা খোলা রেখেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন মাহমুদ বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ খিলগাঁওয়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে পায়ের আঙুল হারানো অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁর বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশের তিনটি আঙুল পুরোটাই পড়ে গেছে। পাশের ছোট দুটি আঙুলের বাড়তি অংশ রাখা হবে নাকি ফেলে দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো বলা যাচ্ছে না। আগামীকাল ড্রেসিং করার পর বোঝা যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে আনু মুহাম্মদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবিউল করিম খান পাপন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের উপস্থিতিতে আনু মুহাম্মদের চিকিৎসার জন্য ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নির্দেশে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আজকে তাঁর পায়ে ড্রেসিং হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। ছোট দুটি আঙুলের বাড়তি অংশ রাখা যাবে নাকি ফেলে দেওয়া হবে সেটা আগামীকাল ড্রেসিংয়ের পর জানা যাবে। এ ছাড়া পায়ের তালুর দিকে কিছুটা নেই। রোগী বর্তমানে ঝুঁকিমুক্ত আছেন। তবে তাঁর কিডনি ও প্রেশারের সমস্যা আছে।

এর আগে গত রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে বাঁ পায়ের পাঁচটি আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের (৬০)। এরপরই তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ পার্থক্য ১০ শতাংশ বেশি হলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বাংলাদেশেও এমন আইন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

মঙ্গলবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে ওঠা অভিযোগের শুনানিতে এ প্রসঙ্গ আনেন বিচারপতি।

বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ।

এ সময় বেনজীর আহমেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক।

শুনানির সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘ভারতে পাবলিক সার্ভিস হোল্ডারদের (সরকারি চাকরিজীবী) জন্য সম্পদ বিবরণী আইন আছে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় সম্পদ কত ছিল, আর অবসরে যাওয়ার সময় কত, তার বিবরণী দিতে হয়। অবসরে যাওয়ার সময় সম্পদের পার্থক্য ১০ শতাংশের বেশি হলেই মামলা হয়। এ ধরনের সিস্টেম আমাদের দেশেও করা দরকার। নইলে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন বা দুর্নীতি–কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’

হাইকোর্ট বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে বেড়ালে হবে না। আমাদের চোখ খোলা রাখতে হবে। আপনাদের শুধু মামলা করলেই চলবে না। রাষ্ট্রের স্বার্থ আপনাদের দেখতে হবে। আমরা চাই দেশ দুর্নীতিমুক্ত হোক। কেউ অন্যায় করে যাতে পার পেতে না পারে।’

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে সাড়া না পেয়ে ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন রিগ্যান। এরপরও সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল রিট করেন তিনি। যা আজ শুনানিতে ওঠে।

গত রোববার বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে আবহাওয়া ঠাণ্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ ও আশ্রাফুন নেছা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আনতে ‘বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর’ এবং ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে কমিটি। বৈঠকে ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ চলতি মাসের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তারপরই এ শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

খান ইউনিসের সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান বলেন, ‌‘নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পাওয়া গণকবর থেকে সোমবার ৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৮৩টি মরদেহ পাওয়া গেল এ গণকবরে।’
তিনি অভিযোগ জানান যে, ‘কিছু মৃতদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের ফাঁসির চিহ্ন রয়েছে। তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে বেশিরভাগ মৃতদেহই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিসের সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র এবং অনুসন্ধান মিশনের প্রধান, রায়েদ সাকার সিএনএনকে জানিয়েছিলেন, ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের সদস্যদের প্রত্যাহারের পর থেকে তারা ৪০০ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান করছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সিএনএন ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাথে যোগাযোগ ও প্রশ্ন করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। তারপরও ইন্টারনেট ব্যবহার সক্ষমতায় এখনো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই হার পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। তবে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ প্রতিবেশী এবং সমপর্যায়ের অর্থনীতির বিভিন্ন দেশের তুলনায় কম।

বিশ্বব্যাংকের ‘ডিজিটাল অগ্রগতি ও প্রবণতা প্রতিবেদন ২০২৩’-এ এই চিত্র উঠে এসেছে। গত মাসে প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারসহ তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন সূচকে বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার নয়, স্মার্টফোন ব্যবহার, ইন্টারনেটের গতি, ব্যবসায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের বিভিন্ন দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ফোরজির আওতা, ইন্টারনেটের দাম ও ডিজিটাল লেনদেনের দিক থেকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ২২৫টির মতো দেশ ও অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার মিয়ানমারের চেয়েও কম। মিয়ানমারে জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের শ্রেণিভুক্ত। এই শ্রেণিভুক্ত দেশগুলোতে গড়ে জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে হার ৪২ শতাংশ। মানে হলো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার গড় হারের চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

ইন্টারনেট ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২২ সালের উপাত্ত ব্যবহার করেছে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যগুলো যেহেতু ২০২২ সাল পর্যন্ত, সে ক্ষেত্রে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারে এগিয়ে যাওয়ার তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে আরও এগিয়ে যেতে।

বিবিএসের স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস প্রতিবেদন-২০২৩ বলছে, এখন দেশের পাঁচ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই উপাত্ত বিবেচনায় নিলেও দেখা যায়, বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

নাটোরঃ জেলার বড়াইগ্রামে দুপুরের তীব্র দাপদাহের মধ্যে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে এক কৃষকের মুত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল বিলে তার মৃত্যু হয়। নিহত কৃষকের নাম রকুল হোসেন (৩০)। তিনি গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে।

স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রঞ্জু জানান, সকাল থেকে কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন তিনি। তীব্র দাপদাহ সহ্য করতে না পেরে পাশের জলাশয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে পোঁছানোর আগেই কাছাকাছি স্থানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরা টের পেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। কিন্তু তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেন নাই। তবে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে সনদ জালিয়াতির দায় এড়াতে পারেন না।

ডিবি পুলিশ তাকে দুই দিনের সময় দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ পাবেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তিনি সেটা না করেন এবং পরবর্তীতে সনদ জালিয়াতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ।

মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আলী আকবর খানকে। এরপর ডিবি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, সম্প্রতি আমরা রাজধানীর পীরেরবাগের পাইকপাড়ায় সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। অভিযানকালে দেখা যায়, তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে হাজার হাজার কাগজ জাল সনদ তৈরির কারখানা তৈরি করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৬ জনকে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে ৫ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কারিগরির চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনিও স্বীকার করেছেন। তিনি যে সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সেটাও স্বীকার করেছেন। শামসুজ্জামান ও কারিগরির চেয়ারম্যানের স্ত্রী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ আমরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা জানতে চেয়েছি, কারিগরির ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কীভাবে মাসের পর মাস ধরনের এ জালিয়াতি হয়েছে? তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠান চলে তার নির্দেশনা ও নেতৃত্বে। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ নিয়ে যাচ্ছে, সিসিটিভিতেও দেখা যাচ্ছে। তারপর কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। আবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকও সার্টিফিকেটগুলোতে স্বাক্ষর করে গেছেন মাসের পর মাস।

হারুন বলেন, এসব কাজ চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অবহেলায় করেছেন নাকি স্বপ্রণোদিত হয়ে করেছেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এমন জালিয়াতি জেনেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তখন চেয়ারম্যান ডিবি বলেন, ‘আমাদের লোকবল কম ছিল। তাই নজরদারি করা সম্ভব হয়নি।’

সার্টিফিকেট কেনাবেচা হচ্ছে, সার্টিফিকেট বানানোর পর আবার ওয়েবসাইটেও আপলোড হচ্ছে; এতসব অনিয়মের পরও তিনি (কারিগরির চেয়ারম্যান) দায় এড়াতে পারেন কি না। স্ত্রীর বিষয়টিও তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। জানতেন না বলে দাবি করেছেন।

হারুন বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নজিরবিহীন জালিয়াতির ঘটনা ইতিহাসে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কিত ও কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমি মনে করি, এ ঘটনার দায় কারিগরির চেয়ারম্যান এড়াতে পারেন না। কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখন দেখব, তিনি আসলেই সনদ বিক্রির বিষয়টি জানতেন কি না? তার তো জানার কথা। তিনি তো আসল সার্টিফিকেট বিক্রির মাধ্যমে শিক্ষা ও জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। তিনি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, তার তো জানার কথা, একটা মানুষ কতো পরিশ্রম করে ভালো রেজাল্ট করতে পারছে না, সেখানে পড়াশোনা না করেই টাকা দিয়ে আসল সার্টিফিকেট কিনে নিচ্ছে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।

হারুন বলেন, সনদ জালিয়াতির ঘটনায় তার দায় সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে তাকে এক দুদিনের সময় দেব। তিনি যদি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন আর আমরা যদি তার সংশ্লিষ্টতা বা অনৈতিক যোগসাজশের তথ্য-প্রমাণ পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ  ৪৬তম বিসিএস-২০২৩ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দেশের আটটি বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার এই পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ আমরা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে কথা বলেছি, গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি, এছাড়া মাঠ প্রশাসনের সকলকে নিয়ে অনলাইনে ও সরাসরি বৈঠক করেছি। পরীক্ষা মানে পরীক্ষা, কারও কাছে দেখে শুনে বা অন্য কোনও উপায়ে পরীক্ষা দেওয়া নয়। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল সাড়ে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কোনও পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবে না। সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষা হলের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রার্থীদের হলের নাম ও কক্ষ নম্বর আগেই মেসেজের মাধ্যমে তাদের মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে প্রার্থীরা টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) ক্লিক করে আসন বিন্যাস ও সময়সূচি সার্চ মডিউলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে হলের নাম ও কক্ষ নম্বর জানতে পারবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় প্রার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

পরীক্ষা শেষ হলে প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে অবস্থান করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। পরিদর্শকরা উত্তরপত্র সংগ্রহ করে বুঝে নেওয়ার পর প্রার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে ধীরে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করবেন।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষা কক্ষে পরিদর্শকরা প্রার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রয়োজনে) পরীক্ষা করবেন। প্রশ্নপত্র বিতরণের পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) কোনও প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

কোনও প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গরমিলসহ কোনরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনও ডিভাইস্, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনও প্রার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরীক্ষার দিন উল্লেখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনও আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনও ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেওয়া হবে।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নতুন পদসৃষ্টি, পদবিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণজনিত কারণে শূন্য পদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

বরিশাল: বরিশালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর প্রায়ই নানা কারণে হামলা করছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন সময় ম্যানেজিং কমিটিতে জায়গা না পাওয়া, ভুয়া বিলের মাধ্যমে স্কুলের টাকা উত্তোলন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনৈতিক কাজে শিক্ষকরা বাধা দিলে রোষানলে পড়েন।

সেইসঙ্গে অনেকেই শিকার হন হামলার। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, বলছে পুলিশ।

বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা বকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় পরিচালনায় নতুন কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় স্কুলে বসেই প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি বেগমকে মারধর করেছেন কমিটির সাবেক সদস্য আকতার হোসেন বাবু। এমন ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুধু বাবুগঞ্জই নয়, বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা।

প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে শুধু বরিশালের ১০ উপজেলায় পাঁচ থেকে সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের হামলা শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ছয়টি। তবে আসামিদের শাস্তি হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকদের ওপর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের হামলা রীতিমতো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনোভাবেই এসব হামলা থামানো যাচ্ছে না। আইনের দ্বারস্থ হলেও কতটুকু বিচার পাবেন, তা নিয়েও শঙ্কিত হামলার শিকার শিক্ষকরা। আমরা চাই এসব বন্ধ হোক।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, বিভিন্ন সময় ম্যানেজিং কমিটিতে পদ পাওয়া না পাওয়া, ভুয়া বিলের মাধ্যমে স্কুলের টাকা উত্তোলন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনৈতিক কাজ করতে চায়। এতে বাধা দিলেই ঘটে নানান বিপত্তি।

বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. ‍আকতারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন সময় ম্যানেজিং কমিটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে। ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করে। এমনকি অনেক সময় স্কুলের জমা টাকা নানা অজুহাতে উঠাতে চায়। এসব বিষয়ে সরকারের নিয়ম নীতি মেনে শিক্ষকরা বাধা দিলেই বাধে বিপত্তি। হামলা করা হয় শিক্ষকদের ওপর।

পুলিশ বলছে, শিক্ষক মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়ে থাকে। এতে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।

বরিশাল জেলার ১০ উপজেলার এক হাজার ৫৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যাতে দুই লাখ ২১ হাজার ৪৮ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।

মঙ্গলবার বিকালে ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা সনদ বাণিজ্যের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।

আলী আকবর খান বলেন, আমার স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সার্টিফিকেট বাণিজ্যের ঘটনায় আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও জানি না। আমি মনে করি আমার স্ত্রী বিনা অপরাধেই জেল খাটছে।

তবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।

সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি।

২০ লাখ টাকা ঘুসের বিষয়ে আলী আকবর খান বলেন, এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।

কী পরিমাণ সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ায় শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে আপনার দায় আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এর দায় আমি এড়াতে পারি না।

সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর গতকাল সোমবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, ‘গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে’ পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  সহযোগী অধ্যাপক ড. কল্যাণী নন্দীকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক হিসেবে পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলি করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক (ইংরেজি) মুহাম্মদ রবিউল আলমকে বদলি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বদলির একদিন পরেই এই পদে পদায়ন পেলেন ড. কল্যাণী নন্দী।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উক্ত কর্মকর্তা আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। বর্ণিত কর্মকর্তা আবশ্যিকভাবে তার পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram