বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে আজ রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফলাফল রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

এজন্য মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম এরই মধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রোববার দিনগত রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিকেল থেকে অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি, তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

ফল না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ কারণে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই সেটের ফল নিয়ে অভিযোগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রার্থী শারমিন আক্তার। পরীক্ষায় তার সেট কোড ছিল মেঘনা। তিনি ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল আসেনি বলে অভিযোগ করেন। শারমিন আক্তার বলেন, ‌‌‘আমার ৫৭-এর বেশি নম্বর আসার কথা। নারী ও জেলা কোটার কারণে আমার রেজাল্ট অবশ্যই আসার কথা।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার প্রার্থী রোকসানা আক্তার। তার সেট কোড ছিল যমুনা। তিনি বলেন, ‘৬৮ নম্বর আসার কথা। তারপরও রেজাল্ট না আসায় মন খারাপ ছিল। পরে ফেসবুকে দেখছি একের পর এক পোস্ট। মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা বলছেন, তাদের রেজাল্ট আসেনি। তখন বিষয়টি নিয়ে আমারও খটকা লাগলো। আমাদের দাবি, ফলাফলে প্রস্তুতে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি হলো কি না, তা যেন কর্তৃপক্ষ পুনরায় যাচাই করে দেখেন।’

একই অভিযোগ করেন যমুনা সেট কোডে পরীক্ষা দেওয়া লক্ষ্মীপুরের তাসলিমা আক্তর, মোহাম্মদ রোমান হোসাইন, কুমিল্লার হোসনা বেগম, মেঘনা সেটের চাঁদপুরের কচুয়ার সোহাগ হোসেন, একই এলাকার ইভার রহমানসহ আরও অনেকে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/২১/০৪/২০২৪

এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) তিনটি হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরাতন হল অগ্নিবীণা ছাত্র হলের প্রভোস্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুশফিকুর রহমান (হীরক মুশফিক)। অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ লায়লা আক্তার দোলনচাঁপা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

এছাড়া কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইন্দ্রাণী মন্ডল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সবাইকে আগামী দুই বছরের জন্য প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অতিরিক্ত বেতন ও ভাতা পাবেন তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (২১ এপ্রিল) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

জানা যায়, গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে সেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এরপর রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়; তাদের তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামঃ বান্দরবানের থানচি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চলছে এক 'মানসিক ভারসাম্যহীন' কর্মকর্তা দিয়ে। ঐ কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ আসলাম খান। যিনি থানচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত নিচ্ছেন বেতন-ভাতা।

এ বিষয়ে থানচির স্থানীয় এক সাংবাদিক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত  থাকার বিষয়ে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এরপর বেশ কয়েকবার সাংবাদিকের মুঠোফোন নম্বরে পুনরায় কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। যার অডিও রেকর্ড শিক্ষাবার্তা'র হাতে রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আসলাম খান গত দুই বছর ধরে তার নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে তিনি তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। বর্তমানে একই জেলার লামা উপজেলায় বসবাস করছেন।  মাধ্যমিকের এই শিক্ষা কর্মকর্তা যে মানসিক ভারসাম্যহীন সে বিষয়ে থানচি উপজেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের অনেক কর্মকর্তাই জানেন। বিষয়টি জানার পরেও তাকেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বহাল রেখেছেন। শুধু সাংবাদিক না তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও অসদাচরণ করতে ছাড়েন না।

এই বিষয়ে থানচি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, উনার (আসলাম খান) ফোন আসলে আতঙ্কে থাকি, তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন।

একজন মানসিক ভারসাম্যহীন কর্মকর্তা দিয়ে সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে এই নিয়ে বিষ্ময়ের সাথে উদ্বেগ প্রকাশ করেন থানচি উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন সমাজের অনেকেই।

এই বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, আমিও শুনেছি ওই লোক মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে একজন মানসিক ভাবে অসুস্থ ব্যাক্তি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে এখনো বহাল সেটা আমার কাছেও যথেষ্ট বিস্ময়কর। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিবেন বলে জানান।

এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, তিনি আমার সাথেও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। এত কিছুর পরও তিনি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন এবং দুই বছর কর্মস্থলে না থেকেও বেতন ভাতা পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, সেটা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ভালো বলতে পারবে। তিনি গালাগাল করা স্থানীয় সাংবাদিককে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং সেই মর্মে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) উত্তম খীসা বলেন, আমিও শুনেছি তিন মানসিক ভারসাম্যহীন। আমি তার সাথে কথা বলব। দেখি কি করা যায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

ময়মনসিংহঃ পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষকদের ৩০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই)।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জিটিআই শ্রেণী কক্ষে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। ২১ এপ্রিল হতে ২৩ মে পর্যন্ত প্রায় ৩৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলবে। এতে মোট ২৫জন শিক্ষক অংশ নিবেন বলে জানা যায়।

জিটিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র শিক্ষা উপদেষ্টা ড. মাহামুদ-উল-হক, জিটিআইয়ের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোজাহার আলী এবং সিনিয়র কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকরা।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবির জিটিআই কর্তৃক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। সারাদেশে এ প্রশিক্ষণ ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য জিটিআই এ দক্ষ প্রশিক্ষক রয়েছে। আপনাদের আচরণ, ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা থেকে বোঝা যাবে আপনারা প্রশিক্ষণ থেকে কতটুকু গ্রহণ করেছেন। এ প্রশিক্ষণ হতে প্রাপ্ত জ্ঞান, দক্ষতা আপনাদের শিক্ষকতা পেশার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

ভোলাঃ জেলার বাপ্তা গ্রামে ৯নং ওয়ার্ডে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাশিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি নির্যাতন করায় স্বামীর বিচার দাবি করেছেন স্ত্রী উম্মে হাফছা।

ভোলা প্রেস ক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে উম্মে হাফছা তার পিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন, মা বিবি মরিয়মের উপস্থিতিতে নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন।

উম্মে হাফছার স্বামী মিজানুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। বাড়ি বাপ্তা কলঘাট এলাকায়।

২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পারিবারিক মতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে হাফছার বিয়ে হয়। ৯ মাস আগে জন্ম নেয় কন্যাসন্তান মাহেরা রহমান। কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুরু হয় নতুনমাত্রায় নির্যাতন। মাদ্রাসা করার কথা বলে দাবি করেন ২ লাখ টাকা। ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও হাফছাকে পাঠিয়ে দেন বাবার বাড়ি। ৯ এপ্রিল ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান।

এ বিষয়ে হাফছা বেগম লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করলে স্বামী মিজানুর রহমান আর এমন কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করেন; কিন্তু আদালত থেকে বেড় হয়ে ফের আগের ভূমিকা ধারণ করেন বলে জানান হাফছা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা সালিশি বৈঠক ডাকলে ওই বৈঠক উপস্থিত হন না মিজান।

মিজানুর রহমান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার স্ত্রী কথা শোনে না।

হাফছার মা বিবি মরিয়ম বেগম জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। প্রায়ই মেয়ের ওপর নির্যাতন করা হয়। এখন ৯ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে হাফছা কোথায় যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশব্যাপী জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে; ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু সৌদিই নয়, শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।

আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি জর্ডানের রাজধানী আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে এদিন।

এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি, তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি ও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

সেইসঙ্গে সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬ ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ অন্য যেকোন সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে এবার। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ট্রেন থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার। দিনাজপুরে একটি স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি আজ রোববার ঢাকায় ফিরছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আনু মুহাম্মদ। তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুল মারাত্মকভাবে থেঁতলে গেছে। এতে আঙুলের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান বিধান সরকার বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পায়ের আঙুলের চামড়া কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আঙুলের হাড় বের হয়ে গেছে। তবে আঙুল কাটা হয়নি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বন্ধু নজরুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন আনু মুহাম্মদ। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৌঁছানোর পর ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যান। এতে তাঁর দুই পা ট্রেনের চাকার নিচে চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোশহিতা সুলতানা বলেন, একটি স্মরণসভায় যোগ দিতে গত শুক্রবার দিনাজপুরে যান অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

গতকাল শনিবার ছিল ওই সভা। সভা শেষ করে আজ ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর শুনে তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা হাসপাতালে ভিড় করেন।

এক বিবৃতিতে এ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে অবস্থতি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ব্যাবহার না করে এবং খালি করে সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।

রবিবার মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার  সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মোঃ আঃ খালেক স্বাক্ষরিত পত্রে এই ত্রিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন "আরবান রেজিলিয়েন্স প্ৰকল্পঃ রাজউক অংশ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় "Vulnerability Assessment and Prioritized Investment Plan for Critical Assets in Dhaka" পরামর্শ সেবার জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান JV of NKY (Turkey) Protek-Yapi (Turkey) Sheltech (Bangladesh) কর্তৃক ঢাকা DMDP এলাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করা হয়। ইতোমধ্যে রাজউক কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৪২টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে খালিকরতঃ সিলগালা/ভেঙ্গে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানকে নির্দেশনা প্রদান করে বিগত ০৩/০৪/২০২৪ তারিখে মাউশি অধিদপ্তর থেকে একটি পত্র জারি করা হয় (মাউশির ওয়েবসাইট দ্রষ্টব্য)।
এ প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা-এর পত্রের আলোকে গত ০৪/০৩/২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত নগর উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকায় বর্ণিত আপনার প্রতিষ্ঠানের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সম্মুখে "এই ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ভবনের ব্যবহার বন্ধের জন্য অনুরোধ করা হলো -অনুরোধক্রমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)" মর্মে সাইনবোর্ড আগামী ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে স্থাপনপূর্বক রাজউক কার্যালয়কে জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতাধীন সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির ৬ষ্ঠ হতে ১২শ ও সমমান শ্রেণির উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাংক হিসাব এবং ‘নগদ’ একাউন্ট ব্যতীত অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টসমূহ 'নগদ'-এ রূপান্তররের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি রবিবার প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।  নির্দেশনাটি সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর আওতাধীন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ অন্যান্য সকল ভাতা ডাক অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে বিতরনের জন্য সূত্রোক্ত ‘ক’ নং পত্রে অনুরোধ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩০/০১/২০২৪ খ্রি: তারিখের ৩৭.00.0000.061.99.0৬০.১৮-২৫ নং স্মারক অনুযায়ী বর্তমানে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে HSP-MIS সফটওয়্যারে ‘নগদ’ একাউন্ট এবং অনলাইন ব্যাংক হিসাব ব্যতীত অন্যান্য মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সকল উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নম্বর 'নগদ'-এ পরিবর্তনে প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়৷ তৎপরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ হতে ১২শ শ্রেণির ‘নগদ’ একাউন্ট ও অনলাইন ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিংসহ) হিসাবধারী ব্যতীত অন্যান্য মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী (বিকাশ, রকেট, উপায়, শিওরক্যাশ ও এম ক্যাশ) প্রতিষ্ঠানের সকল উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নম্বর ‘নগদ'-এ পরিবর্তনের লক্ষ্যে HSP-MIS সফটওয়্যারে “শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন অপশন” আগামী 21/04/2024 তারিখ থেকে ২৯/০৪/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

বর্ণিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামী ২১/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ হতে ২৯/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখের মধ্যে “এতদসঙ্গে সংযুক্ত নির্দেশনা-১” অনুসরন করে HSP-MIS সফটওয়্যারে বিদ্যমান বিকাশ/ রকেট/ উপায়/ শিওরক্যাশ/ এম ক্যাশ হিসাবধারী উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের হিসাব নম্বর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড ( Password) ব্যবহার করে HSP-MIS - এ প্রবেশ করে ‘নগদ একাউন্টে’ রূপান্তর করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণকে আগামী ৩০/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ হতে ০৫/০৫/২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত “এতদসঙ্গে সংযুক্ত নির্দেশনা-২” অনুসরন করে প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে প্রাপ্ত উপকারভোগীর সংশোধিত তালিকা অনুমোদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ তাঁদের স্ব স্ব ইউজার আইডি হতে বিদ্যমান উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করবেন। এ সংক্রান্ত কাজে কোনভাবেই তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁর আওতাধীন উপজেলার স্কিমভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগনকে অতি জরুরীভিত্তিতে উক্ত বিষয়টি অবহিতকরণসহ এতদ্ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করবেন। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড:

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান HSP-MIS এর আইডি/পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোন কারণে HSP-MIS এ লগ ইন করতে না পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখিত আবেদনসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে অস্থায়ী পাসওয়ার্ড প্রাপ্তির জন্য [email protected] ই-মেইলে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো। অস্থায়ী পাসওয়ার্ড অতীব জরুরী ভিত্তিতে পরিবর্তন ও নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী নতুন পাসওয়ার্ড তৈরী করে নেবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ২৫  কর্মকর্তাকে বিভিন্ন সরকারি কলেজে বদলি পূর্বক পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পদায়ন করা ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে প্রভাষক ১০ জন এবং সহকারী অধ্যাপক ১৫ জন।

রবিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাঃ রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই ২৫ কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে বর্ণিত কর্মকর্তাগণ বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। বর্ণিত কর্মকর্তাগণ আবশ্যিকভাবে তার পিডিএস এ লগইনপূর্বক অবমুক্ত ও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

নরসিংদীঃ তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী জেলার মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) কলেজটিতে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তীব্র গরমে সারাদেশে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে সেখানে মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম চলছে দেশের সব অঞ্চলেই। এতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় দেশব্যাপী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তিন দিনের হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের দাবির মুখে স্কুলকলেজের ছুটি আরও সাত দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেইল করিয়ে দেওয়ার ভয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরম এবং বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাও একদিনে দুটি পরীক্ষা নেওয়ায় দুপুরে খাবারের সুযোগ পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ঘনিয়ে এসেছে। দ্বাদশ শ্রেণির দুইটি পরীক্ষা বাকি থাকায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে কলেজ বন্ধ থাকবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেওয়ার আগে মনোহরদী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবেচনা করা দরকার ছিল।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram