বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামীকাল রবিবার ঈদের ছুটি শেষে আগামীকাল রবিরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এদিকে স্কুল-কলেজের ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এই পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাাসন কেন্দ্র সিআরপিতে নার্সিং কলেজের ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।

স্কুল বন্ধের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা আরও এক সপ্তাহ স্কুলগুলোকে বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সেগুলো সব জায়গায় দেওয়া হবে।’

গরমে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘বয়স্ক ও শিশুরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেন না যায়। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে, যাতে করে কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত না হয়। এ ছাড়া হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে ডাবের পানি সালাইন ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।’

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার বদলে আগামী ২৮ এপ্রিল খোলা হবে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের কারণে এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়ে আগামীকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি এই কথা জানান।

ড. সীতেশ চন্দ্র বলেন, আমরা এখনো এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসিনি। আমরা কালকে ডিনস কমিটি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সভা করে সিদ্ধান্ত নেব। এখন মাননীয় উপাচার্যও দেশে নেই। উনার সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসময় তিনি মন্ত্রণালয়ের সাত দিনের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখায় ঘোষণা উল্লেখ করে বলেন, আমার নিজস্ব ধারণা এটা। সাধারণত গ্রাম-গঞ্জের স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনেক দূর থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেলে বা ভ্যানে চড়ে স্কুলে যেতে হয়। তখন এই রোদের মধ্যে যাতে হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যায় বাচ্চারা না পড়ে, তাই এই ঘোষণা। এটি একটি কারণ যেটি মাইনর। তারা ১৫-১৬ বছরের।

এই শিক্ষক বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের, যারা ১৮ এর উপরে তাদের ক্ষেত্রে হয়ত এটি বিবেচ্য না। এটি আমার ধারণা। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবাসিক, আবার যারা থাকে না তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে, সেক্ষেত্রে রোদের মধ্যে তাদের দাঁড়িয়ে থাকার সময়টা কম। সেটি একটা কারণ হতে পারে। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি ক্লাসরুম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেটি একটি কারণ হতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে এটি (মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা) বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করেনি বলে আমার ধারণা। তবে বিষয়টি বিবেচনার যোগ্য।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত চলমান পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন।

শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। দেশ রূপান্তরকে একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কবে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে কবে সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে—সে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব, আলোচনা করব, এরপর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো এবং হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা একটা সমাধান করব। আর হাইকোর্ট এর লিখিত আদেশ না পাওয়ায় আমরা এখনো সেদিকে চিন্তাভাবনা করিনি। লিখিত আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

বুয়েট সূত্রে জানা যায়, ঈদ ও নববর্ষের ছুটির পর গত বুধবারের পরীক্ষায় ব্যাচের ১ হাজার ২৭৯ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। তাদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। আজও ২০ ব্যাচের কেউ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ঈদের আগেও কয়েকটি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা না পেলে পরীক্ষা কিংবা ক্লাসে ফিরবেন না তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যে দাবি ছাত্ররাজনীতি বিরুদ্ধে সেটিতে আমরা অনড় রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরব না। আমরা পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো বর্জন করেছি। সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা আবারো আন্দোলনে নামব।

গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাদ্দাম হোসেনকে প্রবেশে সহযোগিতা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি হলের সিট বাতিল ও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা প্রশাসন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে সিট ফেরত দিতে ও ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

কুষ্টিয়াঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ শনিবার দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। চিঠিতে চার অধ্যাপকের নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পাঠিয়েছে দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নতালিকায় বর্ণিত শিক্ষকদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, নিম্নতালিকায় বর্ণিত শিক্ষকদেরকে তাদের নামের বিপরীতে উল্লিখিত তারিখ দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকার্যে সহযোগিতা করার নিমিত্ত বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করতে আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।’

চার শিক্ষক হলেন- অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এইচ, এম, আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।

আগামী ২২ এপ্রিল অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. আক্তারুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। পরদিন ২৩ এপ্রিল আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, দুদুকের চিঠি হাতে পেয়েছি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড সাক্ষাৎকার হয়। সাক্ষাৎকার শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ারের মতবিরোধ দেখা দেয়। তাই চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বের হয়ে যান তিনি।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন সময় ইবি ভিসির দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপসহ নানা অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেন চাকরি প্রার্থী শাহবুব আলম। পরে ১ জুলাই অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে দুদক।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

মো. নূরুজ্জামান-গফরগাঁও উপজেলা প্রতিনিধি :
ইসলামি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদেরকে গুনগতমান উন্নয়নে, একবিংশ শতাব্দির যোগ্য, দক্ষ, স্মাট শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা প্রত্যয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকগনের সমন্বয়ে গঠিত মাধ্যমিক ইসলামি শিক্ষক পরিষদ (মাইশিপ) এর গফরগাঁও উপজেলা শাখার উদ্যোগে ঈদ পূর্র্নমিলনী অনুষ্ঠান আজ সকালে গফরগাঁও উপজেলার ইউনিক সাকসেস একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মাইশিপ গফরগাঁও উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইশিপ ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি কাজী মো. আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মাইশিপ ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, মাইশিপ ময়মনসিংহ জেলার সহ-সভাপতি এ.কে.এম. শহীদ সারওয়ার, মাইশিপ ময়মনসিংহ জেলার সহ-সভাপতি মো. কাজিম উদ্দিন, মাইশিপ ময়মনসিংহ জেলার কোষাধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুক, মাইশিপ গফরগাঁও উপজেলার সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন সোহেল। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মাইশিপ গফরগাঁও উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের একবিংশ শতাব্দির যোগ্য, দক্ষ, স্মাট শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের একসাথে কাজ করার ও নিজেদের মানোন্নয়নের তাগিদ দেন।

মাইশিপের মাধ্যমে শিক্ষকদের আর্থ -সামাজিকভাবে নিজেদের সাবলম্বি ও নতুন কারিকুলামের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মাট শিক্ষক শিক্ষক হিসেবে নিজেদের তৈরি হতে বলেন। তাছাড়া বিশেষ অতিথিগন জেলা মাইশিপের গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে গফরগাঁও উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মো. সরোয়ারঃ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির দাবি দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। তাদের প্রয়োজনের দিক থেকে এই দাবিটি খুবই মানবিক ও যৌক্তিক।এনটিআরসি এ কর্তৃক সনদ প্রাপ্ত এমপিভুক্ত শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন (সর্বোচ্চ ২ বছরের অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করা যেতে পারে) শিক্ষকদের পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে সমপদ সমস্কেলে বদলি চালু করা যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কোন ভেদাভেদ থাকবে না। সমপদ সমস্কেলে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে নিবন্ধনের মেধাক্রম অনুসারে মাদ্রাসা থেকে স্কুল/কলেজ এবং কলেজ থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে । আর এটিকে ভালো হিসেবে সমর্থন করেছেন প্রায় সকল বদলি প্রত্যাশী নিবন্ধনধারী এমপিওভুক্ত শিক্ষক।

বদলি ব্যবস্থাটি বিশ্বস্বীকৃত। তবে সেটি একই প্রতিষ্ঠানে/ সংস্থায়/ ব্যাংকে/ এনজিওতে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তর ও শাখার কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু প্রত্যেকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে নতুন পদ্ধতিতে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে শূন্য পদ সাপেক্ষে সমপদ / সমস্কেলে শিক্ষকদের বদলি করা যেতে পারে।

যথাযথ নীতিমালা প্রবর্তন ব্যতীত বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘ দিনেও হয়নি সে নীতিমালা প্রণয়ন ও কাঙ্খিত বদলির ব্যবস্থা। তাই শিক্ষকরা খুব মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জন্মের শুরু থেকে চতুর্থ গণবিজ্ঞতির পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পেয়ে আসছিলেন এবং যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়োগ পেয়ে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন ও এমপিও স্থানান্তরের সুযোগ পেতেন। এমনকি এক অধিদপ্তরের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্য অধিদপ্তরের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ নিয়ে, এমপিও ট্রান্সফার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। শিক্ষকদের বদলি সুবিধা প্রদানের প্রয়োজনে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সে ব্যবস্থাটিকে আরো মডিফাই করা যেতে পারতো। কিন্তু চতুর্থ ও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সেই সুযোগ রহিত করা হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা। কারণ এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি ও দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রাপ্ত শিক্ষকরা কোন সুযোগ পাননি। তাই তারা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও কষ্টে দিন যাপন করছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি চাকরির ন্যায় সর্বোচ্চ চাকরির বয়সসীমা দুই বছর করা করা যেতে পারে।।

বর্তমানে গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আবেদন করতে পারেন না। তাদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার ন্যূনতম সুযোগটুকুও বর্তমানে নেই। এতে শিক্ষকদের দুঃখ-কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থেই দূর-দূরান্তে অবস্থিত সকল ধরনের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরিসহ সাধারণ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা) এর এমপিওভুক্ত ‘অভিজ্ঞ’ শিক্ষকদের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্ত হবার সুযোগ দিয়ে তাদের মধ্যে দ্রুত বদলি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।

সব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সন্তুষ্ট রেখে একটি বদলি নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যেই আমি কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করছি

১। এনটিআরসি এ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের ২০২১ এর ১২.২ নীতিমালা অনুসারে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে সমপদ সমস্কেলে বদলি চালু করা যেতে পারে।

২) মাদ্রাসা থেকে স্কুল/কলেজ অথবা স্কুল/কলেজ থেকে মাদ্রাসায় সমপদে/ সমস্কেলে বদলির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় সাধন করা যেতে পারে।

৩)) মাউশির এমপিও নীতিমালায়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালা অর্থাৎ প্রতিটি অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালায় সমপদে/সমস্কেলে বদলির কথা বলা হয়েছে, তাই সমপদে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে।

৪) এক অধিদপ্তর থেকে অন্য অধিদপ্তরে বদলি হওয়ার পর অটো ইন্ডেক্স ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৫) স্কুল/কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী মাদ্রাসার জেনারেল প্রভাষকদের কলেজে সহকারি অধ্যাপক, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের বিধান থাকলে বদলিতেও এই বিধান প্রণয়ন করা যেতে পারে।

৬) মাদ্রাসার জেনারেল শিক্ষকরা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমপদে/সমস্কেলে যেভাবে বদলি হবে মাউশিতেও ঠিক সেভাবেই সমপদ/সমস্কেলে বদলি হবে। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ভিন্ন অধিদপ্তরে ইনডেক্স ট্র্যান্সফারের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

৭) জেনারেল প্রতিষ্ঠান থেকে সমপদ/সমস্কেলে মাদ্রাসা কারিগরিতে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি করা যেতে পারে।

৮) মাদ্রাসা ও কারিগরি থেকে জেনারেল প্রতিষ্ঠানে সমপদ সমস্কেলে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি করা যেতে পারে।

৯) বর্তমান প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরির ন্যায় সর্বোচ্চ দুই বছর চাকরিতে বহাল রাখা যেতে পারে।

১০) বদলির ক্ষেত্রে প্রথমে উপজেলায়/তারপর জেলায় সর্বশেষ বিভাগে বদলি কার্যকর করা, এক্ষেত্রে মেধা বিবেচনা করা ও দূরের শিক্ষকদের অগ্রধিকার দেওয়া যেতে পারে।

১২) বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর পছন্দক্রম অনুসরণ করে স্বয়ংক্রিয় একটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বদলি করা যেতে পারে।

সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এনটিআরসিএ কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষকদের-কাঙ্খিত বদলি দ্রুত কার্যকর করা আবশ্যক।

লেখক: প্রভাষক ও সভপতি, ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ।

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

।। সাইদুর রহমান রিমন।।

'সেই প্রেম তোমাকে দিলেম...তুমি আজ কত দূরে,,, আমার বলার কিছু ছিল না' - বাঁশিতে এসব গানের সুর তুলে ধীরলয়ে হাঁটতে থাকেন আসাদুর রহমান আসাদ। হাঁটতে থাকেন তিনি আমব্রেলা চেয়ার আর সমুদ্র পানি সীমার মাঝ দিয়ে। তার বাঁশির সুর, সমুদ্রের গর্জন মিলিয়ে মোহনীয় পরিবেশের সূচনা ঘটায়। সেই সুর মূর্ছনায় মোহিত হন হাজারো পর্যটক। আসাদ দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজালেই তাকে ঘিরে দর্শক শ্রোতাদের বৃত্তকার চক্র গড়ে উঠে, জমে ভিড় ভারাক্কা। এতে বখশিস বেশি মিললেও তার নিজের জন্য অন্য সমস্যা হয়।

ঢাকার উত্তরা আজমপুর মধ্যপাড়ার অধিবাসী
আসাদদের কপালে দুর্যোগ নেমে আসে বাবার মৃত্যুর পরেই। স্বজনরা
কিছুদিনের মধ্যেই ঘরবাড়ি, ভিটে মাটি সবকিছুই গ্রাস করে নেয়। ফলে আসাদরা স্রোতের শ্যাওলার মতো দিগ্বিদিক ভাসতে থাকেন। সে সময় বরগুনায় বিয়ে দেয়া এক বোনের বাড়ি হয়ে উঠে আসাদের সাময়িক আশ্রয়স্থল। সেই সুবাদে ওখানেই বিয়ে করেন তিনি। খুব ভালো বাসতেন স্ত্রীকে, সুখও ছিল ঘরে। কিন্তু কপালে তাও সইলো না। বিয়ের আট বছর পর সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবকালে করুণ মৃত্যু ঘটে স্ত্রীর। এরপর থেকে আবারও ভাসমান হয়ে পড়েন আসাদ।

এক সময়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মী আসাদ বাউল হয়ে ঘুরেন ফিরেন সারাদেশ, হাতে তুলে নেন বাঁশি। আড়াই বছর যাবত আছেন কক্সবাজার পর্যটন এলাকায়। কাপড়ের কাধ ব্যাগে নানা আকারের ৩০/৩৫ টি বাঁশি নিয়ে হেঁটে চলেন, মুখের শিশে তুলেন সুর মূর্ছনা। কখনও সুরের বখশিস পান, কখনও বেচেন বাঁশি।

স্ত্রী হারা আসাদের মনে হঠাত করেই দোলা দিয়েছে সোনিয়া নামের এক নারী। তারও বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। আসাদ বলেন, সোনিয়ার মতো কাউকে এতো ভালোবাসিনি, তাকে নিয়ে সুখ স্বপ্ন বুনি। কিন্তু সে যেন আমায় বুঝতেই চায় না। কথায় কথায় মাইন্ড করে, অনেক মানসিক শাস্তি পাই আমি। ৬৫ কেজি ওজনের এই আমাকে কয়েকদিনে ৫৬ কেজি বানিয়ে ছেড়েছে।
বাঁশি বাজানোর সময়ই আসাদের মোবাইল ফোনে পরপর দুই বার রিং বেজে উঠে, কিন্তু কল রিসিভ করতে পারেননি। পরক্ষণেই মোবাইল বের করে সোনিয়ার মিস কল দেখে সে নাম্বারে ব্যাক কল দিতে থাকেন। কিন্তু সোনিয়া আর আসাদের কল রিসিভ করে না। হতাশ আসাদ বলে উঠেন, 'এই দেখেন এখনই আমার নাম্বারটা ব্লক করে দিলো সোনিয়া। এ ব্লক পাঁচ দিনেও খুলতে পারে, আবার দশ দিনও ব্লক রাখতে পারে। সব তার মর্জি।' দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আসাদ বলতে থাকেন, 'আহারে দুনিয়া,,, হাজারো পর্যটকের ভালোবাসা পাইলাম, শুধু সোনিয়াই আমাকে বুঝলো না!'

প্রেম জীবনের সোনিয়া ছাড়া কক্সবাজার সী বিচ আর পর্যটকদের প্রতি দারুণ মমত্ত্ব তার। সমুদ্র সৈকতকে তিনি কক্সবাজার বাসীর জন্য আল্লাহপাকের বিশেষ উপহার বলে মনে করেন। বলেন, সামান্য কয়েক কিলোমিটার সৈকত হাজারো মানুষের যুগ যুগের নিশ্চিত উপার্জনস্থল। সুব্যবহার আর সততার দ্বারাই তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এই ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে শিক্ষা প্রশাসন। শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিলেই প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাউশির উপপরিচালক (কলেজ-২) হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ অধ্যক্ষদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এর ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাউশি।

এতে আরও বলা হয়, 'টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না' মর্মে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তোমাদেরকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার সর্বোপরি দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কমপ্লেক্স সেমিনার হলে সমিতির উদ্যোগে আইজিপি মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, তোমাদেরকে দেশের সীমা ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মেধার স্বাক্ষর রেখে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অন্যতম অভিযাত্রী হিসেবে কাজ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা কর্মজীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরাও আপনাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে সমিতিকে আরও মানবিক ও সামাজিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আইজিপি শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৬ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। পরে আইজিপি শিক্ষার্থীদের হাতে মেধাবৃত্তি ও সনদপত্র তুলে দেন।

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মশিউল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজমুল হক।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ তীব্র দাবদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষাবার্তা'কে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা।

শনিবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে দুপুরে মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে একই ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রবিবার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ১৯৯৫ এবং ২০০২ সালেও সমান তাপমাত্রা উঠেছিল। ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশে আবহাওয়ার রেকর্ড রাখা শুরুর পর সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এই গরমে মানুষের অস্বস্তি বেশি হওয়ার কারণ, এখন বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প আছে। এর ফলে প্রচুর ঘাম হয়। তাতে মানুষ ক্লান্ত হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ সময় তাপমাত্রা কমা-বাড়ার মধ্যেই থাকতে পারে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল।

তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। তবে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

জয়পুরহাটঃ জেলার আক্কেলপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে নিরাপত্তাকর্মী পদের নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার গণিপুর দাখিল মাদ্রাসায় ঘটেছে। নিয়োগে আর্থিক লেনদেন করে পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একজন প্রার্থী অভিযোগ দিলে ওই নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন ইউএনও।

শনিবার সকালে অভিযোগটি দায়ের করেন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী পদের আবেদনকারী মো. আতাবুল হোসেন নামের একজন প্রার্থী।

শনিবার ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসার একটি কক্ষে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন জন প্রার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তবে দেখা মিলেনি নিয়োগ বোর্ডের অন্যতম সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসানের। তার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁকে ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হবে এবং এর আগেও তাকে ছাড়াই নিয়োগ দিয়েছি বলে জানান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইদ্রিস আলী।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গণিপুর দাখিল মাদ্রাসায় আজ শনিবার নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য আগে থেকেই ডি.এম মুনিম নামের একজন প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করে তাকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধান। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টাকা লেনদেন করে পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে বলে একটি পোস্ট করেন অপর প্রার্থী আতাবুল হোসেন। পরে অনিয়মের বিষয়গুলি উল্লেখ করে শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রার্থী। অভিযোগের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে মুঠোফোনে পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং সুপারকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে নিদের্শ দেন ইউএনও মনজুরুল আলম। এরপরও তারা নির্দেশ অমান্য করে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগের দিনের আগের রাতে ওই পদের আবেদনকারী প্রার্থীদের বাড়িতে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। পারিবারিক কাজে প্রার্থী আতাবুল হোসেন এলাকার বাহিরে অবস্থান করায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ করতে পারেননি। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় ডি. এম মুনিম নামের একজনকে নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী প্রার্থী মো. আতাবুল হোসেন বলেন, তারা নিয়ম অমান্য করে বিধি বহির্ভূতভাবে অর্থ লেনদেন করে ডি. এম মুনিম নামের প্রার্থীকের নিয়োগ প্রদান করবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সেই লক্ষ্যে তারা কৌশলে পরীক্ষার আগের রাতে আমার বাড়িতে নোটিশ পাঠায়। এত অল্প সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এটি মূলত লোক বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা ছিল।

ওই মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সরকারি বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। পরীক্ষা শুরুর আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসেছিলেন। পরে ইউএনও স্যার তাকে অফিসে ডেকে পাঠালে তিনি চলে যান। অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।

মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছি। এই নিয়োগে আমরা কোনো প্রার্থীর নিকট থেকে আর্থিক লেনদেন করিনি। যদি কেউ অভিযোগ দেয় সেটি মিথ্যা। ইউএনও সাহেবের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষা শেষে তাঁর সাথে দেখা করবো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, শনিবার বেলা ১১ টায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের কথা ছিল। ওই দিন সকালে নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ হলে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে জানানো হয়েছে। তবে আমি ওই মাদ্রাসায় যায়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তথা নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্যও অনুপস্থিত থাকলে নিয়োগ অবৈধ হিসাবে গণ্য হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, ওই মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে বলা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে পরে তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এরপরও যদি নিষেধ অমান্য করে পরীক্ষা গ্রহণ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

কুষ্টিয়াঃ জেলায় প্রকাশ্যে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় শামীম হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষক ও তার স্বজনদের ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ায় এঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতের শিকার শামীম হোসেন তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও তার বড় ভাই শাহীন বিশ্বাস।

আহতদের রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফারাজী পাড়া জামে মসজিদের পাশে একটি দোকানে এলাকার কয়েকজন যুবক সিগারেট খাচ্ছিল।

এমন সময় ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন তাদের সিগারেট খেতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এ পর্যায়ে এলাকার যুবক জয়, প্রান্ত, প্রান্ত, জিসান, সাফায়েত, রাব্বি, হাবিবুর রহমান হ্যাপি সহ তারা সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কলেজ শিক্ষক শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে। এছাড়াও ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

পরে স্থানীয় লোকজন শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় রাতেই ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে এ মামলার ২জন আসামিকে পুলিশ রাতেই গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, এ মামলার ২জন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram