বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

ঢাকাঃ পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রবিবার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।

বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী— ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরুর কথা ছিল। শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রোজার শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিল। আর রোজার প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হলে দফায় দফায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়।

একইভাবে সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রোজার শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস চালু রাখে সরকার। তবে ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ভালো ক্যারিয়ার ও জীবনযাত্রার জন্য অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজারো শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থের খরচ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে স্বল্পব্যয়ে পড়াশোনা এবং ভালো ক্যারিয়ার ও জীবনযাত্রার জন্য আয়ারল্যান্ড হতে পারে অন্যতম গন্তব্য। আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর অন্যতম কারণ কম টিউশন ফি, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুযোগ।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে আয়ারল্যান্ড অ্যাডমিশন ডে। এতে আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকবেন। অ্যাডমিশন ডে’তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা কোর্স ফি, স্কলারশিপ, আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই অ্যাডমিশন ডে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২৭ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকার বনানীর ১৬ কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউয়ে হ্যামলেট টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হবে এই অ্যাডমিশন ডে।

আইইএলটিএসের (IELTS) পরিবর্তে ডুয়োলিংগো (Duolingo) ও পিটিই (PTE) টেস্ট আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য। অন্য অনেক দেশের চেয়ে আয়ারল্যান্ডে জীবনযাত্রার ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে কম। শিক্ষার্থীরা ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ করার সুযোগ পান।

আয়ারল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য আছে ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন (Trinity College Dublin), ইউনির্ভাসিটি কলেজ ডাবলিন (University College Dublin), ইউনির্ভাসিটি অব গ্যালওয়ে (University of Galway), ইউনির্ভাসিটি কলেজ কর্ক (University College Cork), ইউনির্ভাসিটি অব লিমেরিক (University of Limerick) ও ডাবলিন সিটি ইউনির্ভাসিটি (Dublin City University) প্রভৃতি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকিতে। কর্মজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। গরমে যেসব রোগ দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো- ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক ইত্যাদি। এ পরিস্থিতিতে একটু অসতর্কতায় ঘটতে পারে বিপদ।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন তীব্র গরমে অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক, তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ গরমেও নিরাপদ থাকা যায়, ভালো থাকা যায়। বাইরে বের হলে বা রোদে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রচুর পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হবে। তেল-মশলাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

শরীরের কোনো অংশে সরাসরি দীর্ঘক্ষণ রোদ লাগানো যাবে না। বাইরে বের হওয়ার সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, সানগ্লাস ও ছাতা, মাথায় ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে। রাস্তার খোলা খাবার পানি বা শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে অবশ্যই নিরাপদ পানি নিতে হবে।

বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেসের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, এ গরমে যারা সরাসরি সূর্যের আলোতে কাজ করেন, তাদের প্রচুর ঘাম হয়, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। শরীর থেকে পানি ও লবণ কমে গেলে পানিশূন্যতা বা ডি-হাইড্রেশন হয়।

তিনি বলেন, শরীর থেকে পানি ও লবণ কমে গেলে মানুষ শকে চলে যেতে পারেন, ব্লাড প্রেশার কমে যেতে পারে, মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন, কিডনি অচল, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়ে যেতে পারে। তীব্র গরমে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

গরমে সুস্থ থাকতে করণীয় সম্পর্কে এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলেন, এ সময়ে অনেক পানি পান করতে হবে, সঙ্গে ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। সহজে হজমযোগ্য তরল খাবার খেতে হবে। প্রচুর ঘাম হলে স্যালাইন বা হালকা লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, শ্রমিক, বিশেষ করে যাদের বাইরে কাজ করতে হয়, তারা যেন ছাতা ব্যবহার করেন। ছাতা না হলেও অন্তত মাথায় ক্যাপ কিংবা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। কাজের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর অন্তত কয়েক মিনিট ছায়াযুক্ত জায়গায় বিশ্রাম নিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি কথা হলো, টানা কেউ যেন বেশি সময় রোদে কাজ না করেন।

ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ঝড়, বন্যার মতো হিট অ্যালার্টকে আমরা এখনো তেমনভাবে দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারিনি। হিট অ্যালার্ট যে স্বাস্থ্যের জন্য বড় দুর্যোগ, তা আমাদের উপলব্ধি করার সময় এসেছে। শুধু হিট অ্যালার্ট ঘোষণা করেই দায়িত্ব শেষ করলে হবে না, তীব্র গরমকে দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে শ্রমজীবী মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অবলম্বনের আহ্বানও জানান এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

শিক্ষবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ আগামীতে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি নিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ বছর যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। আগামী বছর দশম শ্রেণি শেষ করে তারা এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ জন্য চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে পাবলিক পরীক্ষার আদলে নবম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কাঠামো নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে। এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষা কাঠামোয় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাঠামোর খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিকে পাবলিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট, সমস্যার সমাধান ইত্যাদির পাশাপাশি একটি অংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। তবে এই লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়ার ধরন এখনকার মতো মুখস্থনির্ভর হবে না। একজন শিক্ষার্থী যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলোই মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে বলা হবে।

পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিভিন্ন শ্রেণিতে বছরজুড়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের পাশাপাশি বছরে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। এর মধ্যে একটি হবে শিক্ষাবর্ষের ৬ মাস পর এবং আরেকটি হবে ১২ মাস পর। বিদ্যালয়ের এসব মূল্যায়নেও এক দিনে এক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে। মূলত স্কুল সময়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ৫ ঘণ্টার বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে।

গত বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর এ বছর নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিক্ষাকালীন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন এবং বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে। চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে জিপিএভিত্তিক ফলের ব্যবস্থা থাকছে না। একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে ত্রিভুজ, বৃত্ত ও চতুর্ভুজ চিহ্ন দেবেন শিক্ষকরা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ত্রিভুজ শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ পারদর্শিতার চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবার রূপ নেবে ‘ত্রিভুজ’ পাওয়ার লড়াইয়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বর্তমানে জিপিএর (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালের এসএসসি ও ২০০১ সালের এইচএসসিতে সবশেষ ডিভিশনে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, ‘চতুর্ভুজ’ চিহ্ন হলো পারদর্শিতার প্রারম্ভিক স্তর। ‘বৃত্ত’ চিহ্নিতটি পারদর্শিতার অন্তর্বর্তীকালীন স্তর (মাঝারি)। আর যে শিক্ষার্থী নির্ধারিত দক্ষতা পুরোপুরি অর্জন করবে, তাকে ‘ত্রিভুজ’ চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হবে। অবশ্য এসব চিহ্ন দিয়ে মূল্যায়নের রেকর্ড সংগ্রহ করা হলেও ট্রান্সক্রিপ্টে চিহ্নগুলোর উল্লেখ থাকবে না। ট্রান্সক্রিপ্টের ফরম্যাটে এই চিহ্নগুলোর পরিবর্তে শিক্ষার্থীর অর্জিত সর্বোচ্চ পারদর্শিতার মাত্রা ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। এখানে ত্রিভুজকে সবচেয়ে দক্ষ বা ভালো, বৃত্তকে মোটামুটি ভালো এবং চতুর্ভুজকে উন্নতি প্রয়োজন হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আর একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে স্কুলে উপস্থিতির হার ও বিষয়ভিত্তিক পারদর্শিতাকে বিবেচনা করা হবে। ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকলে তাকে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা যাবে। তবে তিনটি বিষয়ের ট্রান্সক্রিপ্টে কোনো শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা যদি ‘চতুর্ভুজ’ থাকে, তা হলে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে না। আর পারদর্শিতার বিবেচনায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতি কম হলে পরের ক্লাসে তাকে উঠতে দেওয়া হবে কি না, তা শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে গ্রেডিং পদ্ধতির পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে ত্রিভুজ, বৃত্ত আর চতুর্ভুজের মতো চিহ্ন।

নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা নিয়ে মাতৃছায়া জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক মো. রমজান হোসেন বলেন, প্রথাগত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পরিবর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন) মূল্যায়ন হবে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে পুরোটাই মূল্যায়ন হবে। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, অর্থাৎ পরীক্ষার ভিত্তিতে। তবে এই পরীক্ষাও আগের মতো শুধু খাতা-কলমনির্ভর নয়। ভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। যেমন- অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্প, ইভেন্ট আয়োজন, সমস্যা সমাধান ইত্যাদির মাধ্যমে এই মূল্যায়ন কার্যক্রম হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ পারদর্শিতা বোঝাতে ব্যবহার করতে হবে ত্রিভুজ। পারদর্শিতার সর্বনিম্ন সূচক চতুর্ভুজ। আর কোনো শিক্ষার্থী তিনটি বিষয়ে চতুর্ভুজ পেলে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না। মূল্যায়নের এসব বিষয় আরও সহজ ও বোধগম্য করা প্রয়োজন বলে এই শিক্ষক মনে করেন।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমবে না। এ জায়গা দখল করবে এবার ‘ত্রিভুজ’। ‘কোচিং কমবে না’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে শিক্ষকদের ভূমিকা বেশি দেওয়া হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের কোচিংয়ের নির্ভরতা বাড়বে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক কাজী ফারুক হোসেন  বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার পরিপূর্ণ পরিকল্পনা। একবিংশ শতাব্দীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট মেশিন লার্নিং এসব মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর শিক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। সামঞ্জস্যপূর্ণ নাগরিক চাইলে দক্ষতানির্ভর শিক্ষাক্রম প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা শিক্ষার্থীরা করছে না। তারা শ্রেণি কার্যক্রম উপভোগ করছে। সময়ের সঙ্গে, যুগের সঙ্গে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হবে এটিই স্বাভাবিক। শিক্ষাক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন একটি ভালো সূচনার ইঙ্গিত দেয়। যেকোনো পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জ থাকে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি চাই। আর দক্ষ জনশক্তির জন্য দক্ষতানির্ভর পাঠ্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষাগুলো হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো কিছু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

বাগেরহাটেঃ জেলার চিতলমারীতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বাহির দশ মহল সংস্কারমূখী হিন্দু সমাজের উদ্যোগে চরবানিয়ারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বর্ষ বরণ ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা বর্ষ বরণ উপলক্ষে চরবানিয়ারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে এলাকার ১৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালিন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি কমল কৃষ্ণ মজুমাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পঞ্চাণন বাড়ৈ সঞ্চালণে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাহির দশ মহল সংস্কারমূখী হিন্দু সমাজের সহ- সভাপতি শিক্ষাবিদ পীযূষ কান্তি রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক রনজীৎ কুমার বাড়ৈ, অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায়, সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল কৃষ্ণ মণ্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘরামীসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চরবানিয়ারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইলঃ জেলায় সপ্তাহব্যাপী দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস।

এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন।

তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আরও বাড়বে। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা মাপা হবে। আরও দুইদিন এ দাবদাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

এদিকে গরম আর প্রখর রোদে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালে লোকজন বাইরে বের হয়ে আসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাগম কম দেখা যাচ্ছে। বাইরে আসা লোকজন গরম সইতে না পেরে চায়ের দোকান ও গাছপালার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ।

অন্যদিকে তাপদাহে চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবীরা। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ শুক্রবার ড্রোন হামলার পর ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, যদি দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালানো হয়-তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। ইসরায়েল যদি সত্যিই পরমাণু স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেনারেল হাকতালাব।

পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব এক বার্তায় বলেছেন, যদি জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী আমাদের পরমাণু স্থাপনা ও কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের ভুয়া জায়নবাদী গোষ্ঠী যদি ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য পারমাণবিক স্থাপনা ও প্রকল্প কার্যালয়ে হামলা করে, তাহলে ইরানও তার পারমাণবিক ডকট্রিন ও নীতি সংশোধন করবে এবং পূর্বঘোষিত বিবেচন্য বিষয়গুলো থেকে সরে আসবে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিও ছিলেন। হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল-তা পরিষ্কার।

গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন-এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রবিবার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে ইরান।

আকস্মিক এই হামলার পর ইরানকে পাল্টা জবাব দেয় হবে বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও দ্ব্যর্থহীনভাবে আইডিএফের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। তারপর শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টা) দিকে ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় আইডিএফ। তবে হামলায় ব্যবহৃত ৩টি ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত যা ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সাতজন সেনা কর্মকর্তা নিহতের বদলা হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

বড় ধরনের এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা রুখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এই হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোক কিংবা সান স্ট্রোকের বড় ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই দুর্বলতা ভেবে ভুল করে বসেন। কিন্তু হিট স্ট্রোকের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা অনেকেই বোঝেন না। হিট স্ট্রোকের এসব লক্ষণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি ও ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুনীরউদ্দিন আহমেদ জানাচ্ছেন কিছু অভিমত।

ড. মুনীরউদ্দিন আহমেদের মতে, ‘হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে গরমে দুর্বলতা বা অস্বস্তির কথা ভেবে অনেকে ভুল কিছু করেন। অনেকে কোমল পানীয় এমনকি এখনকার ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক পান করেন। অনেকে স্যালাইন খান। ঠান্ডা পানি খান। অনেকে লেবু পানি পান করেন। নিজেকে স্বস্তি দেওয়ার এ কাজটি করতে গিয়েই ভুল হয়ে যায়। কোমল পানীয় সাময়িক স্বস্তি দিলেও আমাদের আবার শরীর ডিহাইড্রেট করে। আবার লেবু পানি খেলে অনেকের গ্যাস হয় যা আরো সমস্যা বাড়ায়। তাই প্রথমে লক্ষণগুলো দেখে নেওয়া জরুরি। সেগুলো আগে দেখে নেওয়া যাক।

কেন হয় হিট স্ট্রোক?
হিট স্ট্রোক হয় যখন আপনার শরীর তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে না। গরমের ক্ষেত্রে এটি হিট স্ট্রোক এবং ঠান্ডার ক্ষেত্রে অনেকাংশে হাইপারথার্মিয়ার মতো। গরমে মাত্র ১০-১৫ মিনিটের ব্যবধানে আপনার শরীর যখন ১০৬ ডিগ্রি ফাহরেনহাইট বা তার বেশি তাপমাত্রায় চলে যায় তখন শরীরে রক্তসঞ্চালন এত তীব্র হয় যে শরীরে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোকে আপনার শরীরে পক্ষপাত এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। গরমে কখন একটু জিরোবেন বাইরে হাঁটলে বা ব্যস্ততায় কিভাবে নিজেকে সামলে চলবেন সে জন্য লক্ষণ জানা চাই।

তীব্র মাথাব্যথা করবে
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি আসে যখন আপনার তীব্র মাথাব্যথা করবে। শুধু ঠান্ডাতে নয়, প্রচন্ড গরমে মাইগ্রেন ট্রিগার হয়ে যায়। আর গরমে মাথাব্যথা হওয়া মানে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়া। মাথাব্যথার সঙ্গে আপনার মধ্যে এক ধরনের কনফিউশন বা দ্বিধা কাজ করবে। অনেকের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা না হলেও দৃষ্টি ঝাঁপসা হয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে কথা বলতেও জড়তা কাজ করে। শরীরের তাপমাত্রাও অনেক বেড়ে যাবে। এটুকু আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। শরীর থেকে ভাপ বেরোবে।

প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা, ঘাম
হিট স্ট্রোকের ব্যবধান মাত্র ১০-১৫ মিনিটই। কারণ হিট স্ট্রোকের আগে ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে। শরীরে ভীষণ ঘাম হবে যা অপ্রয়োজনীয় মনে হবে। জবজবে ভিজে যাওয়া শরীর আর হাতে ঘাম জমার পাশাপাশি ত্বকও খসখসে মনে হবে। যদি হিট স্ট্রোক না-ও হয় আপনার রাতে জ্বর ও শরীর ব্যথা হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখলেই দ্রুত ছায়াযুক্ত কোনো জায়গায় যান। অন্তত রোদ থেকে একটু দূরে থাকুন। ভিড়বাট্টাও এড়ানোর চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন
আপনি বুঝতে পারবেন হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হচ্ছে। এটি গরমে হয়। তবে আপনি যদি তাড়ায় থাকেন তাহলে এটিকে পাত্তা না দেয়ার চেয়ে গরমে পাত্তা দিন। একটু থামুন। নিঃশ্বাস যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন। এ সময় হাইপার ভেন্টিলেশনের সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।

বমি বমি ভাব
মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে আরেকটি বাজে লক্ষণ থাকতে পারে। সেটি হলো আগে বমি বমি ভাব হতে পারে। এই বমি বমি ভাব হলে প্রথমেই বেশি ঠান্ডা পানি পান করবেন না। কোমল পানীয়ও নয়। বরং শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনার জন্য নরমাল তাপমাত্রায় পানি পান করুন।

বিরক্তি ও প্রলাপের লক্ষণ
হিট স্ট্রোকের আগে ব্যক্তি নিজে হয়তো বুঝতে পারেন না তার মধ্যে জড়তা ও মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশে কেউ থাকলে খেয়াল করবেন ওই ব্যক্তি প্রলাপ বকছেন। রাগ করছেন বা মেজাজ খিচড়ে আছে। আবার অযৌক্তিক কথা বলছেন। তখন আপনি পাশে থাকলে তাকে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করুন।

দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
পেশি ব্যথা হিটস্ট্রোকের আরেক লক্ষণ। অনেকে এ ধরনের ব্যথাকে সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু শরীরের কোনো জয়েন্ট বা অংশে দুর্বলতা বা ব্যথা থাকলে একটু জিরোন। ক্লান্তি ও দুর্বলতাকে পাত্তা দিন।

ঘাম না হওয়াও সমস্যা
ঘাম না হলেও কিন্তু সমস্যা হচ্ছে। যদি ঘাম না হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ঘাম উৎপাদনের মতো পর্যাপ্ত পানি আর একেবারেই নেই। শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখার প্রক্রিয়া আর ধরে রাখতে পারছে না। এখন এই গরমে বাড়ির বাইরে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হবে। কিন্তু আতঙ্কের নাম হিট স্ট্রোক এড়াতে সুযোগ পেলেই ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন। পানি ও পানি জাতীয় খাবারের মাধ্যমে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। সবসময় কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইসঙ্গে নদীবন্দরগুলোকে দেখাতে বলা হয়েছে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিন সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরের দিন ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

জামালপুরঃ জেলার সরিষাবাড়ীতে স্কুলছাত্র উজ্জ্বল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকসহ সব আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ডোয়াইল ইউনিয়নের বালিয়া ব্রীজপাড় এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত স্কুল ছাত্রের বাবার উসর আলী, স্থানীয় এলাকাবাসী মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও আমিনুল হক।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, চর বালিয়া গ্রামের উসর আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া স্থানীয় শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ২৭ মার্চ সন্ধায় মোবাইলে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হবার পর থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রতিবেশি আপেল মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা উসর আলী। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত সময়ে সব আসামিদের আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।

সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি পরানসহ ৫ জনকে আটক করেছে। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram