বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সকল বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...
“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
এসো হে বৈশাখ এসো, এসো..

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পহেলা বৈশাখে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।

২৭ মার্চ সরকারে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়।

মাউশির সহকারী পরিচালক রূপক রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে মাউশি আওতাধীন সকল দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিন আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে।

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে ও যথাযথ আড়ম্বরের সাথে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম প্রভাতে নানা আয়োজনে সারা দেশে বরণ করে নেওয়া হবে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। বরাবরের মতই রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপনের সূচনা হবে রাজধানীতে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হবে বর্ণময় মঙ্গল শোভযাত্রা।

২০১৬ সালে ইউনেস্কোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ- এর মর্যাদা পায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। পরের বছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ চৈত্র মাসের শেষ দিনে আজ শনিবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১১ এপ্রিল এখানেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সন্ধ্যায় জানায়, আজ নীলফামারী, নেত্রকোনা জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

কাল রোববার পয়লা বৈশাখের দিনও এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তাপপ্রবাহ এদিন আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা।

অবশ্য সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

৩৬ থেকে ২৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বান্দরবানে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তার ওপরে তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার ও পাবনার ঈশ্বরদীতে। আর ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কাল গরম থাকবে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। হলেও বিকেলে বা রাতে হতে পারে। বৃষ্টির সময় মেঘ হবে এবং বৃষ্টি শেষে মেঘ কেটে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ এবার ২ লাখ ৭৭ হাজার ছাত্রের শিক্ষা ঋণ মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শিক্ষার্থীদেরকে ঋণের বোঝা মুক্তি দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মওকুফ করা এই ঋণের পরিমাণ ৭.৪ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দেড় লাখ শিক্ষার্থীর ঋণ মওকুফ করার ঘোষণা দেন বাইডেন। ঋণ মওকুফ করার ফলে দেশটির শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্বপ্নের পেছনে ছুটতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। ঘোষিত ওই ঋণের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন ডলার।

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হতে সহায়তা করতে পারে এমন প্রগতিশীল ও তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বাইডেন শিক্ষাঋণ মওকুওফ করছেন বলে অনেকে মনে করছেন।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের জন্য তহবিল সংগ্রহের সময় জো বাইডেন বলেন, উন্নত জীবনের টিকিট হলো একটি কলেজ ডিগ্রি। কিন্তু এই টিকিট অতিরিক্ত দামি বা ব্যয়বহুল।

একটি কলেজ ডিগ্রি নিতে গিয়ে বিশাল ঋণের বোঝা বইছেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে রিপাবলিকানরা মূলত ব্যাপকভাবে শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের বিপক্ষে সোচ্চার। তারা এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে থাকেন। ক্ষমতায় আসার পর ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মওকুফ করার পরিকল্পনা করেছিলেন বাইডেন। তবে এ পরিকল্পনায় বাধা দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হন বাইডেন। ঋণ মওকুফের জন্য কয়েক দফা নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।

সেই পরিকল্পনার ঘোষণা দেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেড় লাখ শিক্ষার্থীর ঋণ মওকুফের ঘোষণা দেন বাইডেন। যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঋণ হিসেবে ১২ হাজার ডলার বা তার কম পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন এবং ১০ বছর ধরে এ ঋণ পরিশোধ করে আসছিলেন, তাদের বাকি ঋণ মওকুফ হবে নতুন এ পরিকল্পনার আওতায়।

সবশেষ, আরও ২ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর আরও ৭.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফের ঘোষণা দিলেন বাইডেন। এর মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে তিন বছরে সব মিলিয়ে ৪৩ লাখের বেশি মার্কিন শিক্ষার্থীর ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের শিক্ষাঋণ মওকুফ করল বাইডেন প্রশাসন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

সরকারি বিধিমোতাবেক চরলক্ষ্মী জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডাকঘর -ইসলামগঞ্জ, উপজেলা-রায়পুর,জেলা-লক্ষীপুর।শূন্যপদে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, সৃষ্টপদে একজন অফিস সহায়ক ও একজন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ প্রদান করা হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদেরকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পনেরো দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের জন্য ২ হাজার টাকা, অন্যান্য পদের জন্য ১ হাজার টাকার ব্যাংকড্রাফটসহ (সোনালী ব্যাংক আগৈলঝাড়ার অনুকূলে) আবেদন করার অনুরোধ করা গেল ।

যোগাযোগ:- প্রধান শিক্ষক

চরলক্ষ্মী জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

মোবাইল:- 01740840614

শেরপুরঃ ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সালে হজের নীতিমালা তৈরি করার পর হজ যাত্রীদের ভোগান্তি কমে এসেছে। সেইসঙ্গে সরকার হজের খরচ ১ লাখ ২ হাজার টাকা কমানোর কারণে বর্তমানে হজ যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) শনিবার শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিকিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পুনর্মিলন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

৭৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডিপিডিসি'র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সচিব (অব.) নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও এসডিএফ চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এই বিদ্যালয় থেকে পাশ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ ৫ শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বর্তমানে অধ্যয়নরত নয় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক উৎসব, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, স্মারক উন্মোচন, ফলক উন্মোচন, সম্মাননা প্রদানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) পৃথিবীর শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এক হাজারের এর মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয়।

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৯১ থেকে ৭০০ অবস্থানে, বুয়েট ৮০১ থেকে ৮৫০ অবস্থানে ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ৮৫১ থেকে ৯০০ অবস্থানে আছে।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
অন্যদিকে, সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ৪৫টি ও পাকিস্তানের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে।

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইআইটি বোম্বে, ১৪৯তম অবস্থানে। আর পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে কায়েদে আজম ইউনিভার্সিটি, ৩১৫তম অবস্থানে।

এ তালিকায় বিশ্বের সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমআইটি, ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা ১০ এর মধ্যে এশিয়ার একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেটি হলো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর।

এদিকে, বিভাগভিত্তিক র‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে কলা ও মানবিক বিভাগে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। এর ৫০১ থেকে ৫৫০ অবস্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকায় ভারতের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। এ বিভাগে সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো হাভার্ড, ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগে বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বুয়েট ৩০৫ তম অবস্থানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০০ থেকে ৫৫০ অবস্থানের মধ্যে রয়েছে। এ বিভাগে ভারতের ১৬টি ও পাকিস্তানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এ বিভাগে সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

লাইফ সায়েন্স ও মেডিসিন বিভাগে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি। এ বিভাগে ভারতের ৩টি ও পাকিস্তানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এ বিভাগে সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো হাভার্ড, অক্সফোর্ড, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগেও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি। এ বিভাগের তালিকায় ভারতের ১৬টি ও পাকিস্তানের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এ বিভাগের সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো হাভার্ড, এমআইটি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

সোশ্যাল সায়েন্স ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বাংলাদেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বিভাগের ৪০১-৫০০ এর মধ্যে আছে। অন্যদিকে, এ বিভাগে ভারতের ৩টি ও পাকিস্তানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। এ বিভাগের সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো হাভার্ড, অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ বাঙালির জন্য পহেলা বৈশাখ মানেই হলো লাল পাড়ের সাদা শাড়ির সঙ্গে ছেলেদের পাঞ্জাবি, আর বৈশাখি মেলা তো আছেই। তবে একটি জিনিস যেন না হলেই নয়, তা হলো বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা-ইলিশ। পহেলা বৈশাখের সকালটা যেন জমেই ওঠে না পান্তা ইলিশ না হলে। তবে কেমন করে বাঙালি সংস্কৃতিতে যুক্ত হলো পান্তা ইলিশ? আসুন জেনে নিই।

বাংলা নববর্ষে পান্তা ইলিশ খাওয়ার প্রচলন আগে একেবারেই ছিল না। এর সঙ্গে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির কোনো সংযোগও নেই। বাংলা নববর্ষ সৌরপঞ্জিকা অনুসারে প্রবর্তিত হয়। এই এলাকায় পান্তা ভাত সব সময়ই কৃষকের কাছে পরিচিত খাবার। এর সঙ্গে বিভিন্ন শাকসবজি ও শুঁটকি ভর্তা ছিল খাবারের তালিকায়। কিছু এলাকায় কচুশাকের ডাঁটা মিশিয়ে রূপচাঁদা মাছের শুঁটকির প্রচলন বেশি ছিল বলে জানা গেছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উৎসবের দুটি দিক আছে। প্রথমটি আবহমান বাংলায় ধারাবাহিকভাবে চলে আসা সামাজিক রীতি। অন্যটি ৬০-এর দশকে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক আন্দোলন। রমনা পার্ককে ঘিরে শুরু হলেও বর্তমানে যার বিকশিত রূপ সারা বাংলাদেশ এবং বিশ্বে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

যতটুকু জানা যায়, ৮০-এর দশকে রমনাকে কেন্দ্র করে নববর্ষে কিছু খাবারের দোকান বসে। যারা ছায়ানটের অনুষ্ঠান দেখতে যেতেন তারা সেখানে খেয়ে নিতেন। এমনই একবার অল্প কয়েকজন মিলে পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা বিক্রি করলেন এবং তা সব বিক্রি হয়ে গেল। কয়েকজন বেকার তরুণ এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের উৎসাহিত করতে এবং নতুন একটা কিছু প্রবর্তন করার মানসিকতা নিয়ে একটি গ্রুপের প্রচারণা চালাতে লাগলেন। যাদের মধ্যে দু-একজন গণমাধ্যমকর্মীও ছিলেন। বিষয়টা আর কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। মুনাফালোভী গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে বৈশাখের অনেক কিছুই করপোরেটদের দখলে চলে যায়।

প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে পান্তা-ইলিশ বাঙালি খুব ঘটা করে খেলেও, অনেকে এর সমালোচনাও করে থাকেন। সমালোচকদের মতে, শহরে পান্তা ভাত খাওয়া আমাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ব্যঙ্গ করা। এটি শুরু হয়েছিল টাকা কামানোর ধান্দায়, সংস্কৃতি-প্রেমের জন্য নয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

পিরোজপুরঃ জেলার নাজিরপুরে বাথরুমের ভেতর থেকে রাজু শেখ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) উপজেলার সেখমাটিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজু শেখ উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান শেখের ছেলে।

এ বিষয়ে রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাজু আত্মহত্যা করতে পারে না। রাজু পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করেছে। কুপিয়ে জখমের মামলার আসামিরা রাজুকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল।

রাজু শেখের চাচাতো ভাই আল আমিন জানান, প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যেতেন রাজু। শুক্রবারও নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। নামাজ শেষে আর ঘরে ফেরেনি আসেননি। পরে পরিবারের লোকজন রাজুকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সকাল ১০টায় বাড়ির কাছের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তবে রাজু শেখের মৃত্যুকে স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তাপস।

এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থক হাফিজ শেখের নেতৃত্বে রাজু শেখের ওপর হামলা হয়। সে সময় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা করেছিল রাজু। সম্প্রতি ওই মামলার আসামি আব্দুর রব ও লুৎফর রহমান কারাগার থেকে বের হয়েছেন। তারা এলাকায় গিয়ে রাজু শেখকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন।

এ দিকে নাজিরপুর থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান শেখ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।

ময়নাতদন্তের পরে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

পটুয়াখালীঃ  ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে রাস্তায় পোশাক পরা এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অবশেষে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া সেই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। মূলত মান-অভিমানকে কেন্দ্র করেই তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণ ও কালো সালোয়ার কামিজ পরা এক তরুণী বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কে হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তরুণের পেছনের দিকে কালো পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেঁড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে ওই তরুণ তরুণীকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে কিলঘুষি মারছেন। চুল ধরে টানাটানি করছেন। ওই তরুণ সামনের দিকে হাঁটতে থাকলে তরুণী পেছন থেকে তরুণের হাত ধরে ফেলে। এরপর খানিকটা দুই জনে হেঁটে সামনে এগিয়ে তরুণ ওই তরুণীকে আবার ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তরুণী উঠে পুনরায় ওই তরুণের হাত ধরে এবং সামনে হাঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই তরুণ তরুণীকে চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন এবং ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। এভাবে দফায় দফায় তরুণীকে মারধর করা হয়। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।

ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা ভিডিওর নিচে নানা ধরনের কমেন্ট করছেন। অবশেষে পরিচয় মিলেছে সেই তরুণ-তরুণীর। তরুণীর নাম মিম। তার বাবার নাম মিলন। কালাইয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তাদের বাসা। এক বছর আগে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল নামের এক তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

লালমনিরহাটঃ জেলার হাতিবান্ধায় ঈদ সালামি দেয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে স্ত্রীর দায়ের কোপে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্বামী তাইজুল ইসলাম।

গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের চৌপুতি বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রী হাতিবান্ধা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, ওই এলাকার মকবুল হোসেনের পুত্র তাইজুল ইসলাম ঈদের দিন সকালে তার ভাতিজাদের ২০ টাকা করে ঈদ সালামি দিতে থাকলে তার স্ত্রী রাশেদা বেগম ২০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর তর্ক শুরু হয়ে, পরে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এক পর্যায়ে রাশেদা বেগম দা দিয়ে তার স্বামী তাইজুল ইসলামকে কোপ দেয় এমন দাবি তাইজুল ও তার পরিবারের। এতে তাইজুলের ঘাড়ের নিচে কেটে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতিবান্ধা হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় তাইজুল বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাইজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম। তার দাবি তার স্বামী তাকে মারধর করে ওই দা নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন এতে তিনি বাধা দিলে ওই দা তার স্বামী ঘাড়ের নিচে লাগে। এ ঘটনায় স্ত্রীও পাল্টা হাতিবান্ধা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হাতিবান্ধা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় জানান, ঈদের সালামি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

রংপুরঃ জেলায় মাহিন্দ্রার ধাক্কায় শুভ রায় (২৪) নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর সড়কের পাগলাপীর শলেয়শাহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শুভ রায় রংপুর সদর উপজেলার লালচাঁদপুর গ্রামের দিলীপ চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বাজার শেষে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন শুভ রায়। এসময় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে দ্রুতগতিতে চলা একটি মাহিন্দ্র ওই ভ্যানকে পেছনে এসে ধাক্কা দেয়। এতে শুভ পেছনে থাকায় সরাসরি তার গায়ে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে শুভর মৃত্যু হয়।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মাহিন্দ্র চালককে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram