বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

বান্দরবানঃ যৌথ বাহিনীর অভিযানের কারণে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি জানান, জেলার রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র-অর্থ লুটের ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করেছে। এসব কারণে এই তিন উপজেলায় ভ্রমণে পর্যটকদের ‘নিরুৎসাহিত’ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিশেষ করে জেলার যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে বা চলবে; ওই এলাকার সকল পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’

একইভাবে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে পর্যটক গাইড, পরিবহন মালিক এবং হোটেল -মোটেল মালিক সমিতিকে নির্দেশনা দিয়েছে রুমা উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি তাদের চারটি বিষয় মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এগুলো হলো– যৌথ বাহিনীর অভিযান চলার মধ্যে কোনো হোটেল-মোটেলে পর্যটককে কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না, কোনো ট্যুরিস্ট গাইড কোনো পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থী নিয়ে যাবেন না, কোনো জিপগাড়ি বা নৌপথেও পর্যটক বহন করা যাবে না।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. মামুন জানান, তাঁর উপজেলায় পর্যটনসংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে পর্যটন কেন্দ্রে কেউ ভ্রমণে আসতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে এটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আগের মতো ভ্রমণ করা যাবে।

পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র তৎপরতা শুরু হলে জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলা ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। তবে রোয়াংছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। এর তিন মাস পার না হতেই আবারও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ল বান্দরবানের তিনটি উপজেলা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৪

চট্টগ্রামঃ জেলার ফটিকছড়িতে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আব্দুর রহমান (১৭) ও মোস্তাকিম (১৪) নামে দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কুম্ভারপাড়া এবিসি রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুর রহমান নাজিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাক বাড়ির তৌহিদুল আলমের ছেলে। সে স্থানীয় আল জামিয়াতুল আরবিয়া বাবুনগর মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত অন্যজন মোস্তাকিমের বাড়ি নাজিরহাট পৌরসভার কুম্ভারপাড়া নামক এলাকায়। সে স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে সম্প্রতি হিফজুল কোরআন সমাপ্ত করেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে তিন খালাতো ভাই ঈদে বেড়ানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে করে নাজিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মোটরসাইকেলটি কুম্ভারপাড়াস্থ এবিসি রাস্তার মাথায় মহাসড়কে উঠলে পেছন দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুর রহমান নিহত হয়। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে মোস্তাকিমের মৃত্যু হয়।

নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘাতক বাসটি জনতা আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছেন।

বর্তমানে বাস ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ঈদুল ফিতরের ছুটি চলছে। সে কারণে ছুটিতে গেছে রাজধানীর হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউচর মোড়ের জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিম খানার অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থী। এদিকে আগুনে পুড়ে গেছে ছুটিতে থাকা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রায় আড়াইশো ট্রাঙ্কসহ বইখাতা, কোরআন ও চাল-ডাল।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে লাগা আগুনে পুড়েছে সবকিছু। মাত্র ৫০ মিনিটের আগুনে মাদ্রাসা, মসজিদসহ অন্তত ১৫টি দোকান পুড়েছে। যার বেশির ভাগই ছিল বন্ধ। ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও রক্ষা হয়নি কিছুই।

ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী হাসান মোল্লা টিন ও বাঁশের দোকানে থরে থরে গুছিয়ে রেখেছিলেন নানা ধরনের ভাঙ্গারি। উদ্দেশ্য ছিল ঈদের পরে বিক্রি করবেন। কিন্তু ঈদের দ্বিতীয় দিনেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নিজের চোখের সামনে ব্যবসার পুঁজি পুড়তে দেখে আহাজারি করছেন হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা।

হাজারীবাগ এলাকার বেড়িবাঁধ লাগোয়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুস্ সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিম খানা। একই সঙ্গে আলহাজ সামছুস হুদা জামে মসজিদ। আগুনের কারণে মাদ্রাসার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। থরে থরে সাজানো মাদ্রাসা ছাত্রদের পুড়ে যাওয়া ট্রাঙ্ক, কাপড়, বিছানা ও কোরআনসহ বিভিন্ন বই খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। স্থানীয়রা এই সব ট্রাঙ্ক সরাতে সহযোগিতা করছেন।

মসজিদের খতিব ও মাদ্রাসার শিক্ষক ফরিদ আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। শুক্রবার হওয়ায় আমরা জুমা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পাশের একটি পলিথিন ও কার্টুনের গোডাউন থেকে আগুন লাগে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসার সব কিছু পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসায় ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল। ঈদের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও তাদের ট্রাঙ্ক, কাপড় ও বিছানাপত্র মাদ্রাসায় ছিল। ছাত্রদের রেখে যাওয়া কুরআন, হাদীসসহ অনেক বই ছিল। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা চাল ডালসহ সব কিছুই পুড়ে গেছে।

রান্না চলছিল কী না জানতে চাইলে ফরিদ আহমেদ বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় কয়েক দিন ধরে কোনো ধরনের রান্না হচ্ছিল না।

এ দিকে মসজিদের পাশে দোকানি ও বাসিন্দারা বলছেন, মাদ্রাসার ভেতর থেকে আগুন লেগেছে। এখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পলিথিনের গোডাউনের দায় দিচ্ছেন।

৫০ মিনিটের আগুনে পথে বসে গেছেন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী হাসান মোল্লা। তিনি বলেন, দোকানে ভাঙ্গারি, কার্টুন, পলিথিনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব কিছু পুড়ে শেষ হয়েছে। আমি পথে বসে গেছি।

আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হাজারীবাগের ঝাউচরে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গারির দোকানে আগুন লাগে। হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনসহ আশপাশের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতার কারণে আশপাশে আগুন ছড়াতে পারেনি। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন তা আগুন নেভানোর পর জানানো যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

কী ধরনের স্থাপনা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে প্লাস্টিকের ভাঙ্গারি দোকান ছিল। প্রচুর কাগজ ছিল। যার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর এখানে পানির স্বল্পতা ছিল, দূরে থেকে পানি আনতে হয়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টায় আগুন ছড়িয়ে যেতে পারেনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।

আগামী রবিবার (১৪ এপ্রিল) সারা দেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তিনি আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় (ভিডিও) দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন,

প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

প্রধানমন্ত্রী কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে বলেন,

‘‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন
তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ!
এসো হে নতুন।”
শুভ নববর্ষ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রমজানে বিএনপির ইফতার মাহফিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি তো ককটেল পার্টি করেনি, ইফতার মাহফিল বা ইফতার পার্টি করেছে। এটা হচ্ছে ধনী-গরিব নির্বিশেষে আশে-পাশের যারা মানুষ, তাদেরকে নিয়ে এটা করে। যুগ যুগ ধরে এই ইফতার পার্টি করা হয়েছে। এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রীতিতে পরিণত হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাকর্মী যারা দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিলেন, সম্প্রতি কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যাদের অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যারা পথের ফকিরে পরিণত হয়েছে—তাদেরকে সাথে নিয়ে দলের বিভিন্ন ইউনিট ইফতার পার্টি করার চেষ্টা করেছে। এ জন্য আমরা গর্বিত। এত দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে, এই বেদনার মধ্যে আমরা সারা দিন রোজা রেখে আমাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনদেরকে নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছি, আমরা আনন্দিত।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘এখানে অনেক গরিব মানুষ, ভিক্ষুক-নিঃস্ব যারা এই ইফতার পার্টিতে অংশ গ্রহণ করে ক্ষুধা নিবৃত্ত করেন। এই ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে তাদের খাবারের সংস্থান হয়, সেটিকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্গ করছেন। বিএনপি সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে ধনী-গরিব-অসহায় মানুষকে নিয়ে ইফতার মাহফিলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ যে ককটেল পার্টিতে বিশ্বাস করে সেটিতে আমরা বিশ্বাস করি না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, এবারের নাকি ঈদ স্বস্তিদায়ক হয়েছে। এবারের ঈদ স্বস্তিদায়ক সেটা ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে, তার যে ক্ষমতাসীন দল তাদের কাছে স্বস্তিদায়ক; তাদের অর্থ-বিত্ত-টাকা কোনো কিছুর অভাব নাই। দেশে-বিদেশে অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন, তাদের কাছে ঈদ স্বস্তিদায়ক হয়েছে, আনন্দদায়ক হতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে ঈদ স্বস্তিদায়ক হয়নি। আমাদের পোশাক শ্রমিক, আমাদের শিক্ষার্থীরা, আমাদের শ্রমজীবী মানুষ যারা রিকশাচালক, ভ্যানচালক—তাদের যে সঞ্চয় সেই সঞ্চয় এখন নিঃশেষের পথে। গণমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন, ঈদে সাধারণ মানুষরা যে একটু কেনাকাটা করবে, তাদের সেই সঞ্চয় নেই।’

গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজান মাসে বিএনপি এক হাজার ইফতার পার্টি করেছে এবং নিজেরা খেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষকে সবসময় কিছু দেয়। আর বিএনপি শুধু নেয়।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

এবারের ঈদুল ফিতরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নববর্ষ, সঙ্গে সপ্তাহিক ছুটিও। ফলে টানা ছয় দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। টানা বন্ধে চাকরিজীবীদের মাঝে খুশির আমেজ বাড়লেও হতাশ কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ছয়দিনের ছুটির প্রথম দুদিন এক প্রকার পর্যটক শূন্যই গেছে।

তবে ঈদের দিন থেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তাছাড়া আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গরম উপেক্ষা করে বিপুল পর্যটক সমাগম হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সেখানে তিলধারণেরও যেন ঠাঁই নেই। আগামীকালও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তিনদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করছে পর্যটন জোনের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। পার্কিং এলাকায় নাগরদোলা, লবিতে বৈশাখী মেলার নানা স্টল বসছে। বৈশাখী সাজে সাজানো হয়েছে হোটেলে পার্কিং এলাকাসহ চারপাশ। বিনোদনে থাকছে জলের গান শিল্পী গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‌‘এবারের রমজানের মাঝামাঝি সময় হতেই তীব্র তাপদাহ চলছে। ফলে অন্য সময়ের রমজানের চেয়ে পর্যটক শূন্যতায় ছিল কক্সবাজার। তাছাড় ঈদের ছুটির প্রথম ‍দুদিনে তেমন কোনো কোলাহল ছিল না বলা যায়।

ফলে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটক নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা ছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে পর্যটন এলাকায় জনসমাগম বেড়েছে। গরম উপেক্ষা করেই বেলাভূমিতে আছে লোকজন। এ ধারা আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টে প্রায় দেড় লাখের মতো পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রোজা শেষ হওয়ার আগে ১২-১৩ এপ্রিলের জন্য ৮০-৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছিল।

টানা বন্ধ হলেও এ দুদিন একটু বেশি চাপ থাকবে বলে আশা করছি। তবে পহেলা বৈশাখেও পর্যটক উপস্থিতি মোটামুটি থাকবে বলে আশা করা যায়। সব মিলিয়ে এ তিন দিনে কয়েক লাখ পর্যটক আসতে পারে।’

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, ‘পর্যটন সেবায় আমাদের যাত্রার পর হতেই ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন করে থাকি। করোনা ও রোজার মাঝে পড়ায় গত কয়েক বছর বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল।

কিন্তু এবার পুরোনো ঐতিহ্য ধরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ থেকে তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছি। বাঙালিয়ানা ষোলআনা পূর্ণ করতে জলের গান ব্যান্ডদলসহ নানা আয়োজন থাকছে মেলায়।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পয়লা বৈশাখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে বৈশাখের শেষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে ‘কালবৈশাখী’ উৎসব। শুক্রবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, ঈদে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় এ বছর পয়লা বৈশাখ ক্যাম্পাসে পালিত হচ্ছে না। তবে বৈশাখের শেষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘কালবৈশাখী’ উৎসব পালিত হবে। শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে প্রতিবছর চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি ঘিরে বৈচিত্র্য রূপে সজ্জিত হয় পুরো চারুকলা অনুষদ। মঙ্গল শোভাযাত্রায় দেখা মেলে রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড ও ডামিসহ নানা চিত্র।

শিক্ষার্থীদের রং তুলির আঁচড়ে রঙিন হয়ে ওঠে চারুকলার দেয়ালগুলো। তবে করোনা ও ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর পয়লা বৈশাখে সেটা উদযাপন সম্ভব হচ্ছে না।

চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী নিশাত জাহান বলেন, নববর্ষ উদযাপন চারুকলার একটি ঐতিহ্য। বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি ধারণ ও চর্চার লক্ষ্যেই প্রতিবছর বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপিত হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জায়েদ খানের এবারের ঈদটা যেন অন্য রকম। মা–বাবাকে ছাড়া ঈদটা কষ্টে কাটছে এই অভিনেতার। দুই দিন ধরেই ঘুরেফিরে আসছে মা-বাবার নানা স্মৃতি। বাবার লুঙ্গির কোমরে গুঁজে রাখা ঈদ সালামি কিংবা মায়ের হাতের সেমাই খেয়ে শুরু হওয়া দিনগুলো তাঁকে স্মৃতিকাতর করছে।

জায়েদ খান জানান, দুই বছর আগেও ঈদের দিনগুলো ছিল তাঁর কাছে অপেক্ষার। শৈশবের পর বড় হওয়ার পরও ঈদের সালামির জন্য এই অপেক্ষা থাকত। এই অভিনেতা বলেন, ‘বাবা লুঙ্গিতে ঈদ সালামি রেখে দিতেন। আমি কাছে গেলেই টাকা বের করে দিতেন। সব সময় বাবা আমাকেই সবচেয়ে বেশি সালামি দিতেন। কখনো যদি দেখা যেত, মা আগেই বেশি দিয়েছেন, তখন বাবার কাছে বায়না ধরতাম। বাবার কাছ থেকে সব সময় বেশি নিতাম। এগুলো মনে পড়েই কষ্ট লাগছে।'

‘ঈদের দিন ঘুম থেকে উঠেই রেওয়াজ ছিল মায়ের হাতের রান্না করা সেমাই, ফিরনি, জর্দা খাওয়ার। মায়ের সঙ্গে খুবই ক্লোজ ছিলাম। সব সময় মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হতো। দেখা যেত ঈদের সালামি নিয়ে মায়ের সঙ্গেও খুনসুটি করতাম। দুই বছর হলো মা নেই। এখন দেখা যায়, ঈদের মধ্যে তেমন একটা বাইরে বের হওয়া হয় না। বাসায়ই আছি। গতকাল বাইরে বের হয়েছিলাম। বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। খুব বেশি বের হওয়া হচ্ছে না। ছোটদের সালামি দিতে হয়, বড়রা আমাকে সালামি দেন, যে কারণেই বের হতে হয়েছিল,’ বলেন জায়েদ খান।

এবার ঈদেও আগের মতোই সালামি পেয়েছেন। বড় ভাই, বোন, দুলাভাই ও অন্যদের কাছে থেকে এখনো সালামি পান। কত টাকা সালামি পেয়েছেন জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, ‘এটা তো বলা যাবে না।’ লাখ ছাড়িয়ে যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা তো হবেই। এক লাখ টাকার অনেক বেশি সালামি পেয়েছি।’ কত টাকা সালামি দিতে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো ভাতিজা, ভাতিজি, ভাগনে, ভাগনিসহ অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছে। কিছু ছোট ভাই রয়েছে। সবাইকে দিতে হয়। লাখ টাকার মতোই সালামি দিতে হয়েছে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

খুলনাঃ ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ভালো করে পড়াশোনা করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। শিক্ষা হতে হবে আদর্শভিত্তিক।

তিনি বলেন, লেখাপড়ার সঙ্গে উত্তম মন-মানসিকতা, দেশাত্মবোধ, দায়িত্ববোধ, মানবতাবোধ ও মানুষকে ভালোবাসার মতো গুণাবলী অর্জন করতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি আয়োজিত নবীনবরণ এবং শিক্ষা মেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে। এর সুফল নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে।

তিনি বলেন, সরকার দেশে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, অনেক চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যেতে মন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেন, সোনামুখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা এ এম কামরুল ইসলাম ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী কৃতি শিক্ষার্থীদের বই ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

মন্ত্রী বিকেলে ডুমুরিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বানিয়াখালী মাওলানা ভাসানী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে যোগ দেন। সকালে তিনি খুলনার বাগমারায় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা নাজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পাগলামি তো কত রকমই হয়। কিন্তু এই পাগলামির ব্যাখ্যা কীভাবে দেওয়া যায়! সন্তানের স্কুলের বেতন বাকি রেখে আইপিএলের ম্যাচ দেখার টিকিট কেনা, তা–ও আবার ৬৪ হাজার রুপি খরচ করে! আসলেই ব্যাখ্যাতীত এই পাগলামি।

ভদ্রলোক মহেন্দ্র সিং ধোনির ভক্ত। চেন্নাই সুপার কিংস তারকার ভক্তকুল বিশাল। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দেন লাখো কোটি মানুষ। কিন্তু ধোনি যদি সেই ভদ্রলোকের কাণ্ড জানতেন, খুব সম্ভবত বিরক্তই হতেন। শুধু প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা আরাম করে দেখার জন্য সন্তানের স্কুলের বেতন না দিয়ে ৬৪ হাজার রুপি খরচ করার ব্যাপারটি কেই–বা ভালো চোখে দেখবেন! তার ওপর সেই লোক টিকিট কিনেছেন কালোবাজারিদের কাছ থেকে।

ভদ্রলোকের নিজের মুখেই পড়ুন ঘটনাটি, ‘আমি আমার দুই মেয়েকে নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি আর চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টিকিট পাচ্ছিলাম না, তাই কালোবাজারিদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে। ৬৪ হাজার রুপি খরচ হয়েছে আমার। সে কারণেই আমি মেয়েদের স্কুলের বেতন দিতে পারিনি।’

ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটি যতটা হাসিঠাট্টার জন্ম দিচ্ছে, তার চেয়েও চলছে এর সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষই ধুয়ে দিচ্ছেন সেই ধোনি-ভক্তকে। একজন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘একটা সামান্য ক্রিকেট ম্যাচ, সে যত বড়ই ক্রিকেট-ভক্ত হোক না কেন, নিজের সন্তানের পড়াশোনার চেয়ে বড় হতে পারে না।’
একজন চিকিৎসক লিখেছেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। একটা লোক কতটা বেকুব হতে পারে। আবার বড় গলায় বলছে, মেয়ের স্কুলের বেতন না দিয়ে সে আইপিএলের টিকিট কিনতে টাকা খরচ করেছে।’

শ্রীনিবাসন নামের একজন ‘এক্স’ ব্যবহারকারী পুরো বিষয়টি দেখছেন একটু অন্যভাবে, ‘একটা জিনিস ভেবে দেখুন, এই মানুষটা নিজের দুই মেয়েকে সারা জীবনের জন্য দারুণ একটা স্মৃতি উপহার দিয়ে গেলেন। অনেক হিসাব করেই তিনি ব্যাপারটা করেছেন, তাঁর মনে হয়েছে, স্কুলের বেতনের টাকাটা যেভাবেই হোক তিনি জোগাড় করবেন, কিন্তু মেয়েদের দারুণ একটা উপহার দেওয়া যাক।’

ভদ্রলোকের টাকা খরচ সার্থক হয়েছে। যে ম্যাচটা তিনি দেখতে গিয়েছিলেন, সেটিতে জিতেছে চেন্নাই। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এবারের আইপিএলে প্রথম দুই ম্যাচ চেন্নাই জিতলেও পরের দুই ম্যাচে হেরে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যেই ছিল। কলকাতার বিপক্ষে জয় স্বস্তিই এনে দেওয়ার কথা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১২/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।

আগামী রবিবার (১৪ এপ্রিল) সারা দেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তিনি আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় (ভিডিও) দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন,

প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

প্রধানমন্ত্রী কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে বলেন,

‘‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন
তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ!
এসো হে নতুন।”
শুভ নববর্ষ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম /১২/০৪/২০২৪

টাঙ্গাইলঃ জেলার  কালিহাতীতে পৌলী নদীতে ডুবে কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার পৌলী নদীর আকুয়া অংশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নিরব হোসেন (১৯) সদর উপজেলার সুরুজ এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। তিনি ছাতীহাটি সাহেদ হাজারী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্র তার মামার বাড়ি কালিহাতী উপজেলার খল্লদ বাড়ি এলাকায় বেড়াতে যান। বন্ধুদের সাথে পৌলী নদীর আকুয়া অংশে গোসল করতে যান। গোসেলের এক পর্যায়ে ওই যুবকসহ কয়েকজন সাঁতার কাটতেছিল। এক পর্যায়ে ওই নিরব পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর আশপাশে থাকা স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। উপরে তুলে আনার পর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম (রতন) বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram