বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

বান্দরবানঃ জেলার রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স লেলসমকিম বমকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। নার্স লেলসমকিম বম কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) প্রধান নাথান বমের স্ত্রী।

গত ৮ এপ্রিল নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপ সচিব পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, নার্সিং সেবা ১ শাখার এক আদেশে তাকে বদলির নোটিশ জারি করা হয়। একই নোটিশে, ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নার্স দীপালী বৈড়াকেও লালমনিরহাটের একই হাসপাতালে বদলি করা হয়।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, বদলিকৃত সিনিয়র নার্স দুজনকর ৯ এপ্রিলের মধ্যে কর্মস্থলে আবশ্যিকভাবে যোগদান করবেন। নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে ৯ এপ্রিল অপরাহ্নে স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

টাঙ্গাইলঃ জেলার মির্জাপুর সুমনা আক্তার (২২) নামে এক নারী একসঙ্গে ছয় সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে তিনি সন্তানগুলো জন্ম দেন। জন্ম নেওয়া সন্তানের কোনটিই জীবিত নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

সুমনা আক্তার জেলার সখীপুর উপজেলার কালমেঘা ছলঙ্গা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিবাহিত জীবনের সাত বছরে কোনো সন্তান না হওয়ায় সুমনা বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। সাত বছর পর তিনি গর্ভধারণ করেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী সুমনার গর্ভে চারটি সন্তান ছিল বলে জানা যায়।

গতকাল বুধবার শুরু হয় প্রসব ব্যাথা। গভীর রাতে বাড়িতেই একটি বাচ্চা জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পরপর আরও পাঁচটি সন্তান জন্ম হয়। এরমধ্যে চারটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একেক করে সবগুলো বাচ্চা মারা যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা মৃত বাচ্চাগুলো বাড়িতে নিয়ে দাফন করে।

কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. শতাব্দি সাহা জানান, সন্তান ধারণের জন্য ওষুধ খাওয়ায় অধিক সন্তান গর্ভধারণ করেছিল। এসব ক্ষেত্রে সময়ের আগে প্রসব হয়ে যায় এবং বাচ্চা বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। সুমানার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গর্ভের পাঁচমাসে সন্তান প্রসব করেছে এবং বাঁচার মতো কোনো অবস্থা ছিল না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি স্কুল বাস উলটে ৬ শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের মহেন্দ্রগড় জেলার উনহানি গ্রামের নারনল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জিএল পাবলিক স্কুলের ওই বাসটিতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিল।

রাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকলেও স্কুলটি খোলা রাখা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্ভবত চালক মদ্যপ অবস্থায় বাসটি চালাচ্ছিলেন।

আরেকটি বাসকে পাশ কাটানোর সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে স্কুলবাসটি রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে উলটে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ১২ শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আগুন এক নিমিষে সংসাররে সুখ-স্বাচ্ছন্দ কেড়ে নেয় এম এ এইচ গোলাম মহিউদ্দিন খোকনের। সেই আগুনে মারা যান তার স্ত্রী ভিকারুননিসা মূল প্রভাতী শাখার সিনিয়র শিক্ষক লুৎফুন্নাহার করিম লাকী ও মেয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতিন তাজরী নিকিতা।

তাদের সেই সার্কিট হাউস রোডের বাসায় আছেন স্বামী এম এ এইচ গোলাম মহিউদ্দিন খোকন ও ছেলে সামান সাকিব। কথা হয় শিক্ষক লুৎফুন্নাহার লাকীর স্বামীর সঙ্গে। হাসি-আনন্দে মুখর প্রাণচঞ্চল শিক্ষকের বাসায় শুনশান নিরবতা। স্ত্রী মারা যাওয়ার তিন মাস আগে হার্টে সমস্যা ধরা পরে। তবে এখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন আরও বেশি।

মহিউদ্দিন খোকন বলেন, ‘মানসিকভাবে ভালো নেই কেউই। আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসে। ছেলেটা খুব ছোট ও এখনও কিছুই মেনে নিতে পারছে না। ঈদ আসছে আমরা বাবা-ছেলে পায়জামা পাঞ্জাবি কিনেছি। ছেলের জন্য তো ভাবতে হয়। মন খারাপ করে থাকে সবসময়।’

মেয়েকে হারানো শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি এই বাবা। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় শপিংটা মা-মেয়ে করত। মেয়েটার জন্য বেশি কষ্ট হয়। আমার এতো সাধারণ একটা মেয়ে। এত সুন্দর একটা মেয়ে ছিল কোনো চাহিদা ছিল না। এমন মেয়ে হয় না।’

আগের ঈদের সময়টার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা সবাই ঢাকার বাসিন্দা। দেখা যেত আমাদের বাসা, ছোট ভাইয়ের বাসা, আম্মার বাসা এমন করেই দিনটা কেটে যেত। এবারের ঈদটাতো কষ্টের তবে কিছু টুকটাক কিনেছি। ইদ যখন আসছে, ছেলেটা আছে।’

কান্নারজড়িত কণ্ঠে তিনি বলতে শুরু করেন, ‘ও তো খুব পপুলার শিক্ষক ছিল। সবার প্রিয় লাকি টিচার ছিল ও। ওকে সবাই খুব ভালোবাসতো। মনের অবস্থাতো আর বলার কিছু নেই। এই শোক কেমন করে কাটাব।’

এদিকে ছোট ছেলেকে হারিয়ে এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি চাঁদপুরের বাসিন্দা বাবা ওলিউল্লাহ খান ও মা আমেনা বগেম। ছেলেকে হারানোর পর শারীরিকভাবেও অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছেন তারা। এখনও সারাক্ষণ ছেলের কথা মনে করে হু হু করে কেঁদে উঠেন। কথা হয় মিনহাজের বড় ভাই মেহেদী হাসানের সঙ্গে।

সেদিন রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মারা যান কে এম মিনহাজ উদ্দিন। পেটে অস্ত্রোপচারের দাগ থেকে বড় ভাই আমিনুল ইসলাম তার মরদেহ শনাক্ত করেন। ফোনের ওপাশ থেকে কিছুক্ষণ স্কব্ধ থেকে বলেন, মানসিক অবস্থা কিভাবে ঠিক হবে? বাবার কাধে সন্তানের লাশতো চারটিখানি কথা না। বাবা-মা অসুস্থ তাই এখন আমি যাচ্ছি বড়িতে কখনো আমার বড় ভাই যায়। আগে তিন ভাই মিলে ঈদ করতাম এখন দুই ভাই করব।

তিনি বলেন, পরিবারে সবার ছোট ছিল মিনহাজ। বাব মা তাই ওকে খুব আদর করতো। সেজন্য কষ্টটাও বেশি। এই কষ্ট থেকে এখনও বেরুতে পারছেন না তারা। ইদ আর কিভাবে আসে এই পরিবারে আপনারা বুঝেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/১১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে বরিশালে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বেলা ১১টায় নগরীর ফকিরবাড়ি রোড থেকে মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর রোডের টাউন হলের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল শাখার সভাপতি মহসিন উল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক রেজাউল করিম।

এতে শিক্ষক নেতারা বলেন, ঈদের আগেও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়ে দাবির কথা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা।

কিন্তু এরপরও ঈদুল ফিতরে বেসরকারি শিক্ষকদের মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাই ঈদের দিন রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

আগামী ঈদুল আজহায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতারা আরও বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৮ শতাংশ পরিচালনা করেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মানবসম্পদ বিকাশে ভূমিকা রাখা এই ৫ লাখের বেশি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে আসছেন।

এতে একজন শিক্ষকের ন্যূনতম জীবনমান নির্বাহ করা অসম্ভব। মানবসম্পদ উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। আগামী ঈদুল আজহায় যাতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ ভাতা পেতে পারেন, সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঈদের দিন এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

 রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। নগরবাসী পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে বিনোদন খুঁজতে প্রতি বছর এখানে আসেন।

ঈদুল ফিতরের দিনে লাখো দর্শনার্থী এসেছেন এমনটাই জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে থাকেন। বিকেলে বাড়ে সেই সংখ্যা। আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর, যারা অভিভাবকদের সঙ্গে এসেছে। চিড়িয়াখানায় অবস্থিত বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে এসে তারা ভিড় করছে। তারা কৌতূহলী মন নিয়ে অভিভাবকদের কাছে পশু-পাখির নাম জানতে চাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাড্ডা থেকে আসা মো. আরাফাত বলেন, চিড়িয়াখানায় বাচ্চাদের জন্য আসা। তাদের দাবি ছিল, ঈদে চিড়িয়াখানায় আসবে। এছাড়া আমার আত্নীয় এসেছেন, তারা এরআগে চিড়িয়াখানায় আসেনি। তাই সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি।

আশুলিয়া থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, চিড়িয়াখানায় শিশুদের সুযোগ করে নিয়ে আসা উচিত। এতে তারা বইয়ে যা দেখছে, তা সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রাণীদের নিয়ে তাদের ধারণাও পরিষ্কার হচ্ছে।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার  বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কোনো প্রাণী আনা হয়নি। তবে এখানে জন্ম নেওয়া তিন বাঘ শাবকে এতদিন আমরা প্রশিক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম। এবার ঈদে সেই তিনটি বাঘের বাচ্চাকে দর্শনার্থীদের সামনে এনেছি। এছাড়া আমাদের চিড়িয়াখানায় ১৩৭ প্রজাতির তিন হাজার ২০০টির মতো প্রাণী আছে।

তিনি বলেন, সাধারণত ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী কম থাকে। তবে এ বছর চিত্র ভিন্ন। বিকেল তিনটা পর্যন্ত খবর পেয়েছি প্রায় লাখের ওপর দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছে৷ এখনও আরও ঘণ্টা দুই বাকি। গত বছরে ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী এসেছিল ৭০ হাজারের মত। দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থী ছিল দুই লাখ। এ বছর প্রথম দিনই প্রায় দেড় লাখ হবে বলে আশা করছি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশি হবার সম্ভাবনা আছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানায় রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া অন্যদিনে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঈদের দিনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে হাজারো মানুষের বসেছে মিলনমেলা। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যায়।

কেউ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাচ্ছে। কেউ কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছে সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ। কেউবা আবার ঘোড়া কিংবা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরে দেখছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট। এছাড়া অনেককেই মোবাইলে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা গেছে। এরা বেশির ভাগই স্থানীয় ও ঈদের লম্বা ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। আগত নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। শুক্রবার থেকে দেশি বিদেশি আরো বেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিন দূরের পর্যটক কম আসলেও স্থানীয়দের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্বিতীয় দিন থেকে দূরের পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল কক্ষ বুকিং দেওয়ার জন্য পর্যটকরা যোগাযোগ করছে। এদিকে ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে প্রস্তত রয়েছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা।
অবির হাসান সে মূলত ঢাকায় বে-সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি। নামাজ শেষ করেই ছেলে মেয়েদের নিয়ে কুয়াকাটায় আসলাম। এখানকার পরিবেশটাও ভাল। অনেক লোকজন এসেছে।
সালেহীন আহম্মদ বলেন, ঈদ মানেই অনন্দ, তাই বন্ধুদের সাথে কুয়াকাটা এসে সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। এ এক দারুন অনূভূতি। এছাড়া বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটি ছাড়াও দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে। ঈদের দিনে অসংখ্য স্থানীয় পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকত। তবে এবার ঈদের এই লম্বা ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের আগমন ঘটবে এটাই জানিয়েছেন তিনি।
মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আমাদের টহল টিম মাঠে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা তৎপর রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নারী-শিশুসহ নিহত পাঁচজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। লঞ্চে ওঠা-নামার রশি ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১১/০৪/২০২৪

বিশেষ প্রতিবেদক।।

কবি নজরুলের রচিত ও তার শিষ্য আব্বাস উদ্দিনের কণ্ঠে ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই লাইনটির সঙ্গে আমরা পরিচিত শৈশব থেকেই। কৈশোর পেরিয়ে একটা পরিণত বয়সে পা রাখার পরে ঈদ যেন আমাদের কাছে একটি দায়িত্ববোধ। এই দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালনেই যেন আমরা ঈদের আনন্দের প্রকৃত নির্যাস খুঁজে পাই। তবে ছোটবেলার ঈদগুলো ছিল একটু অন্যরকম।

ঈদের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে কুমিল্লার শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বয়স ভেদে ঈদের আনন্দ ভিন্ন। বর্তমানে ঈদে তখনকার মতো রোমাঞ্চকর আনন্দ, খুশি আর এখন খুঁজে পাই না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আনন্দগুলো হারিয়ে যাচ্ছে! তখন ইদের আনন্দ শুরু হতো সেই প্রথম রোজা থেকেই। ঈদ কবে আসবে সেই দিন গুনতে থাকতাম প্রতিদিন। মনে মনে কত পরিকল্পনা! সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এখন তা কেবলই স্মৃতি।

বরিশাল থেকে শিক্ষক উম্মে  কুলসুম বলেন,ঈদ আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব, এখানে আনন্দ আর খুশির ব্যাপ্তিটা বিশাল। সেই খুশি ও আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারার মধ্যেই সার্থকতা। কর্মব্যস্ত জীবন শেষে যখন একটু ছুটি পাব সেই সময়টা কাটবে ঈদ আনন্দে। ধনী-গরিব সবার ঘরে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক, শান্তি মিলুক সবার অন্তরে এটাই এই ঈদে প্রত্যাশা।

খুলনা  থেকে শিক্ষক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন,মাহে রমজান শেষে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ ধনী-গরিবের মাঝে বৈষম্য দূর করে সাম্যের কথা বলে। এই তো ছোটবেলায় ঈদকার্ড কেনা, বন্ধুর বাড়ি গিয়ে হলুদ খামে ঈদকার্ড দিয়ে আসা, ঈদকার্ডের দোকান দেওয়া, স্টিকার কেনাবেচা কী এক আনন্দ ছিল। বয়স যতই বাড়ছে, হারিয়ে যাচ্ছে সোনালি দিনগুলো। সেই দিনগুলো হারিয়ে এখন আমরা ব্যস্ত বিলাসী ও শো অফ করতে। আসুন এই ঈদে শুধুই দামি পোশাকে বিলাসিতা না করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশা দল-মত নির্বিশেষে আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াই। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য, মৈত্রী, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই।

চট্রগ্রাম  থেকে শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন,শৈশবের ঈদে আনন্দ ছিল। ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। এবার ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিনের ছুটিতে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে আসি। কিন্তু আমেজটা নেই। ছোটবেলায় ঈদ এলে কী যে খুশি হতাম, নতুন জামাকাপড় কেনা হবে। সব থেকে মজার ছিল ঈদের সালামি।

রংপুর  থেকে শিক্ষক মো. আলী বলেন, এখনকার মতো এতটা বর্ণিল ছিল না আগের সময়ের ঈদ। সেই সময়ে চাকচিক্যের বাহুল্য নয়, সহজ–সাধারণ আনন্দের মধ্যেই ঈদের দিন যাপিত হতো। তখন শহরের লোকজন এতটা বেশি না থাকায় মাঠে এত বেশি জমায়েত না হলেও নেহাত কম হতো না। এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় মানুষের মধ্যে এক অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিলো এখন প্রায় শুন্যের কোঠায়।

রাজশাহী  থেকে শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘রমজানের ও ঈদের চাঁদ দেখার জন্য ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। ঈদের দিন আমরা গোসল করে আতর মেখে সার্কিট হাউস মাঠে যেতাম। পাটকলগুলো থেকে চট এনে বিছিয়ে দেওয়া হতো, তার ওপর যার যার জায়নামাজ পেতে আমরা ঈদের নামাজ পড়তাম। ‘ঈদের দিন আমরা বাড়ি বাড়ি যেতাম, সালাম করতাম, সালামি পেতাম। আসলে ঈদের দিন কাটত বেড়িয়ে বেড়িয়ে।

ময়মনসিংহ  থেকে শিক্ষক মো. সামিউর বলেন,ছোটদের পোশাকের আলাদা বৈচিত্র্য তেমন কিছু ছিল না। তবে নতুন পোশাক সবাই পরত। এখনকার মতো নতুন জামাকাপড়, জুতা আর সুস্বাদু খাবারের সমারোহ তখনো ছিল। তবে এখন ঈদের বাহ্যিক চাকচিক্য বেড়েছে বহুগুণ। সময়ের পরিবর্তনে যোগ হয়েছে প্রচুর অনুষঙ্গ। পোশাক, সাজগোজ আর আতিথেয়তায় বদল এসেছে অনেক।

সিলেট  থেকে শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান বলেন,তখন এখনকার মতো উপচে পড়া ভিড় হতো না। এখন জমকালো তোরণ, প্যান্ডেল, সিটি করপোরেশনের বড় আয়োজন—এসব আগে ছিল না। তখন নামাজ পড়ত, মানুষ কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করে চলে আসত। এখন তো অনেক কিছু, তবে কিছুটা আর্টিফিশিয়াল হয়ে গেছে।

ঢাকা  থেকে শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন,সালাম করলে দু-চার আনা সালামি পাওয়া যেত। তাতে খুব খুশি হতাম। নদীর ওপারে যাওয়া ছিল রোমাঞ্চকর। আর সামাজিক বন্ধন বেশি থাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ানোটা বেশি ছিল। ঈদের দিন মানুষ পার্কে সময় কাটাতে তেমন যেত না।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১১/০৪/২৪ 

ঢাকাঃ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম জিমেইল। এটি ছাড়া স্মার্টফোনে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তা ছাড়া কর্পোরেট জগতে জিমেইল ছাড়া চলা অসম্ভব ব্যাপার।

যদিও অনেক সময় জিমেইলের দীর্ঘ মেসেজের কারণে ব্যবহারকারীরা বিরক্ত হন। কিন্তু এখান থেকে তারা শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। জানা গেছে, জিমেইল ব্যবহারকারীরা শিগগিরই একটি এআই ফিচার পেতে যাচ্ছেন। এই ফিচারের সাহায্যে তারা চ্যাট করতে পারবেন।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিমেইল অ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ব্যবহারকারীদের জন্য শিগগিরই একটি নতুন ফিচার ‘সামারাইজ দিস মেইল’ চালু করা হতে পারে। এর পাশাপাশি গুগল অ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের জন্য একটি নতুন টগল বোতাম দেওয়া হবে, যেখানে জেমিনি সহায়তা করবে।

দুটি রিপোর্ট অনুসারে, জিমেইল অ্যাপের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফিচারটি দীর্ঘ মেইলগুলোকে সংক্ষিপ্ত করবে। এতে ব্যবহারকারীর সময় বাঁচবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামারাইজ দিস মেইল ফিচারটি সাবজেক্ট লাইনের নিচে দেওয়া হবে।

বর্তমানে ফিচারটি শুধু ওয়ার্কস্পেস ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন। এটি জিমেইলের ওয়েব সংস্করণে ব্যবহার হতে পারে। এই ফিচারটি বর্তমানে প্রাথমিক পরীক্ষার পর্যায় অতিক্রম করছে, যখন এই ফিচারটি সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে যাবে, এটি ইমেলের উপরে একটি বড় আকারের উইন্ডোতে দৃশ্যমান হবে। ব্যবহারকারীদের শিগগিরই একটি নতুন টগল বোতাম দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে ইউজাররা গুগল অনুসন্ধান এবং জেমিনি এআইতে স্থানান্তর হতে সক্ষম হবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইউরোপের দেশ স্পেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ একথা জানিয়েছেন। আর এই স্বীকৃতি মিলবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই।

এছাড়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্য দেশগুলোকে রাজি করানোর জন্য ইউরোপ সফরও শুরু করতে চলেছেন তিনি। বুধবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত’ বলে বুধবার জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। অন্যদিকে তার সরকার বলেছে, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতি আগামী জুলাই মাসের আগেই দেওয়া হবে।

এছাড়া অন্য দেশগুলোকেও একই কাজ করতে রাজি করানোর চেষ্টা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপ সফর শুরু করতে চলেছেন।

সংসদীয় বিতর্কের সময় সানচেজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি না দিলে তাকে (ফিলিস্তিনকে) সাহায্য করতে পারে না।’

স্পেনের এই সোশ্যালিস্ট প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ‘ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থেই’।

এদিকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রস্তাব সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল সম্ভবত এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করবে না।

যদিও পপুলার পার্টির নেতা আলবার্তো নুনেজ ফেইজু বুধবার বলেছেন, তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেন। তবে সানচেজ যে পদ্ধতিতে এগিয়ে চলেছেন সেটির সঙ্গে একমত নন তিনি।

অবশ্য স্পেনের আগে সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া।

আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সানচেজ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং বেলজিয়ামের নেতাদের সাথে তার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করতে এবং আরও দেশকে তার সাথে যোগ দিতে রাজি করানোর চেষ্টায় যোগাযোগ শুরু করবেন।

এর আগে গত সপ্তাহে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে টেকসই শান্তি অর্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে জর্ডান, সৌদি আরব এবং কাতারের নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  ঈদের ছুটির মধ্যেও দেশের কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে এটা আমার প্রথম ঈদ। আমি আশা করছি দেশের মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ পালন করছেন।

তিনি বলেন, আমি গতকালও (বুধবার) কয়েকটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আজ আরও কয়েকটি হাসপাতালে যাবো। গতকাল দুটি হাসপাতালে গিয়েছি, দুই জায়গায়ই আমি পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট। রোগীদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজ সকালেও দেশের সব হাসপাতালের পরিচালকদের ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায়ই চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যাঘাত ঘটেনি।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আকস্মিক পরিদর্শনে যান। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালের রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রোগীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে ছুটি থাকলেও তারা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram