বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ৬-৯ এপ্রিল চারদিনে ৫৭ লাখ সিমধারী রাজধানী ছেড়েছেন। আর এ সময়ে ঢাকায় ঢুকেছেন ২৩ লাখের মতো সিমধারী। তবে গত বছর ঈদুল ফিতরে এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন।

অপারেটরদের তথ্যমতে, চার দিনের মধ্যে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ১৯ লাখের মতো সিমধারী ঢাকা ছেড়েছেন। আর প্রবেশ করেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া ৬ ও ৭ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছিলেন ২০ লাখের বেশি মুঠোফোন সিমধারী। এ সময় ঢাকায় প্রবেশ করেছেন সাড়ে ৯ লাখের মতো। ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে বের হওয়া ও ঢাকায় প্রবেশ করা সিমধারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭ লাখের বেশি ও ৫ লাখের মতো।

তবে সিমধারী একজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের অন্য অনেক সদস্য থাকেন, যারা মোবাইল ফোন সংযোগ ব্যবহার করেন না। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে কত জন গেল এবং কত জন এলো, তার প্রকৃত হিসাব বের করা কঠিন।

তথ্য বলছে, গত বছর ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে (১৮-২২ এপ্রিল) এক কোটির বেশি সিমধারী ঢাকা ছেড়েছিলেন। সে হিসেবে এবার প্রায় অর্ধেকের মতো মানুষ ঈদের আগে ঢাকা ছেড়েছেন।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তথ্য থেকেও এমন চিত্রই উঠে আসে। তারা জানায়, প্রতিবছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী থেকে মানুষের বাড়ি ফেরার ব্যাপক চাপ থাকলেও, এ বছর সেই চাপ অনেকটাই কম ছিল। বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির ম্যানেজার ও কাউন্টার মাস্টাররা জানান, অন্যবারের মতো মানুষ এবার ব্যাপকভাবে রাজধানী ছাড়েনি।

গাবতলী টার্মিনালের মূল ভবনে গ্রামীণ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আতাউর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘এবার পুরো রমজান মাসে ব্যবসায় মন্দা। ২৩ রোজা পর্যন্ত তেমন কোনো যাত্রীই পাইনি। যাত্রীর অভাবে ট্রিপ দিতে না পেরে কোম্পানির ১৪টি বাস বসিয়ে রাখা হয়েছে।’

২৩ রোজার পর ঘরে ফেরা যাত্রীদের সংখ্যা একটু বাড়লেও তা অন্যবারের মতো ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদের তিন-চার দিন আগে একটু যাত্রীর চাপ থাকলেও তা লোকসান পোষানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। ঈদের আগের দিনও তাদের সিট খালি রেখে ট্রিপ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবার অর্ধেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

দেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদের দিন কাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন দেশের বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বাসসের একটি প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রধান প্রধান জামাতের স্থান ও সময়সূচি তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা: ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাতটা থেকে পর্যায়ক্রমে এই মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার ১৯৭তম ঈদের জামাত হবে। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়।
দিনাজপুর: দিনাজপুরে গোর-এ–শহীদ ময়দানে ঈদের জামাত সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট: সিলেটে শাহি ঈদগাহে ঈদের একমাত্র জামাত সকাল আটটায় শুরু হবে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আশপাশের মসজিদে নামাজ হবে।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত আটটায় এবং সর্বশেষ জামাত হবে সাড়ে আটটায়।

গোপালগঞ্জে: গোপালগঞ্জে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় পাঁচুড়িয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে আটটায় থানাপাড়া জামে মসজিদে, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় এস কে আলিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল আটটায় স্থানীয় লঞ্চঘাটে অবস্থিত জেলা মডেল মসজিদে এবং একই সময়ে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কোর্ট মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

কুমিল্লা: কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ছাড়াও শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের ঈদের জামাত পৃথকভাবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী: ফেনীতে জেলার ঈদের প্রধান জামাত মিজান ময়দানে সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে।

মাগুরা: মাগুরায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল আটটায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।

মেহেরপুর: মেহেরপুরে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় মেহেরপুর পৌর ঈদগাহে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পুরাতন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

শেরপুর: শেরপুরে ঈদের প্রধান জামাত পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে।

নীলফামারী: নীলফামারীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এর আগে পুলিশ লাইনস ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহঃ জেলার ফুলবাড়িয়ায় চাতাল শ্রমিক সামিউল হত্যার ঘটনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাকীব ও সাধারণ সম্পাদক তানজিল হুসাইন মুণিম এক যুক্ত বিবৃতিতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহত শ্রমিক সামিউলের সারাজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

নিহত শ্রমিক সামিউল ইসলাম বৈবাহিকসূত্রে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় 'সরকার অটো রাইস মিল' এ দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ কর্মরত ছিলেন। তার পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায়। গত ২৯ মার্চ ঈদ উপলক্ষে বেতন ও বোনাস দাবি করলে মালিক্ষপক্ষ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, সামিউল তার প্রতিবাদ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিল (চাতাল) মালিকের ছেলে শরিফ মিয়া স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাকে গুদাম ঘরে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় অকথ্য নির্যাতন চালায়। রড দিয়ে পিটিয়ে কোমড় ও পা ভেঙে ফেলে। পরদিন পরিবারের সদস্যদের আকুতিতে সামিউলের বাঁধন খুলে দিলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সামিউলকে ঢাকায় পাঠাতে বলে কিন্তু অর্থসংকটের কারণে তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে পারেনি এবং বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দাসযুগের অবসান হলেও আধুনিক শ্রমদাসত্ব বিদ্যমান। সামগ্রিক পরিবেশ শ্রমিকদের প্রতিকূলে। শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য রাষ্ট্রের যথেষ্ট উদ্যোগ নেই। শ্রম আইনের বাস্তবায়ন নেই, ন্যূনতম মজুরি অনির্ধারিত, নেই শ্রমিকদের নিয়োগ পত্র , ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নাই। যেন মালিকশ্রেণীর টাকার কাছে শ্রমিকের জীবন জিম্মি।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে সর্বহারাশ্রেণীর বিপ্লবী আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে। এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে চাতাল শ্রমিক সামিউল ইসলামের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সারাজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশবাসীকে সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনুক সীমাহীন আনন্দ, সুখ ও শান্তি।

আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন। ঈদ মোবারক। এ কথা বলে শেখ হাসিনা তার ঈদের বার্তা শেষ করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম-সিপে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন থ্রু স্ট্রেনদেনিং ওয়াস গভর্ন্যান্স সিস্টেম ইন রামু, কক্সবাজার’ প্রকল্পে হাইজিন প্রোমোশন অফিসার পদে দুজনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি, ডাকযোগে বা ই-মেইলে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।

পদের নাম: হাইজিন প্রোমোশন অফিসার
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: সমাজবিজ্ঞান/ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ/অর্থনীতি/ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস/পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। ইমারজেন্সি রেসপন্স, এনএফআই ডিস্ট্রিবিউশন মডালিটি, ওয়াস, কমপ্ল্যায়েন্ট রেসপন্স মেকানিজম ও ফিল্ড অফিস ম্যানেজমেন্টে দুই থেকে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রোহিঙ্গা শিবিরে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কক্সবাজারের স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে ভালো। এমএস অফিস, গুগল অ্যাপ্লিকেশনস, কোবোর কাজ জানাসহ কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। প্রজেক্ট সাইকেল ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ হতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: রামু, কক্সবাজার
বেতন: মাসিক বেতন ৫৩,১০০ টাকা

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের কভার লেটার, পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সব সনদসহ আবেদনপত্র সরাসরি, ডাকযোগে বা ই-মেইলে পাঠাতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ডিরেক্টর-এইচআর, সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম-সিপ, বাসা নম্বর-৫, রোড নম্বর-৪, ব্লক-এ, সেকশন-১১, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। ই-মেইল: [email protected]

আবেদনের শেষ সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৪, বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে অবস্থিত দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির (ডিএসইউ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. শেখ আসিফ এস মিজান। দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির ফেসবুক পেজে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এক পোস্টে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে ব্যবস্থাপনা পর্ষদে তাঁকে উপাচার্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে।

দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির আচার্য ড. ওসমান মুহামেদ হাসানের পক্ষ থেকে দেওয়া ফেসবুক পোস্টটিতে বলা হয়, তিনটি স্নাতকোত্তর ও একটি পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ড. শেখ আসিফ এস মিজানকে দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

ডক্টর শেখ আসিফ এস মিজানের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি এর আগে সোমালিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটি অব মোগাদিসুর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আলফা ইউনিভার্সিটির পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামসের অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ব্যুরাউয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকার কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

ড. শেখ আসিফ এস মিজান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের বাসিন্দা। আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক প্রয়াত মৌলভি জোবায়েদ আলী ও নূরজাহান বেগমের সন্তান তিনি।

দেশে–বিদেশের জার্নালে ড. মিজানের বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ড. মিজান বহু দেশ ভ্রমণ এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করে পেপার প্রেজেন্ট, মূল বক্তা, রিসোর্স পারসন ও চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  জাহাজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিভিন্ন দেশের মতো সোমালিয়ায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে।

নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন, পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবং একসঙ্গে ছবিও তোলেন। ছবিটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। শর্ত হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গাজা ভূখণ্ডের শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাসের কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুততার সঙ্গে শান্তি ফেরাতে এমন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে ক্যানবেরা। খবর বিবিসি।

ক্যানবেরা সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই আসতে পারে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং ইহুদিবাদীদের সংগঠন জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেয়া অস্ট্রেলিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ব পদক্ষেপ।

আর পড়ুন : সন্ধ্যা বা রাতে নয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ঈদের চাঁদ দেখা গেল সকালে

বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন, তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সরকার কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘দ্বিপক্ষীয় অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রনীতি’ ভঙ্গ করার হুমকি দিচ্ছে।

তবে ওংয়ের মন্তব্যে চলতি বছরের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সেসময় ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান সম্পর্কে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতের ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন, ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান, যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবেন।

তিনি বলেছেন, এই পথ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানো ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে।

এক বিবৃতিতে সাইমন বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে, এতে তাদেরই জয় হবে।

জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য এখনো সঠিক সময় আসেনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখেরও বেশি। সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ ওপরের দিক আছে। এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে মালয়েশিয়া। প্রতিবছর ১৪০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুবিধা পান দেশটিতে।

রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরকে শিক্ষার্থীরা সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রাখেন। কিন্তু অবাক ব্যাপার হচ্ছে, এই কম খরচেই পাওয়া যায় উচ্চমানের জীবনযাত্রা।

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুরসংখ্যক প্রোগ্রাম অফার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় এই প্রোগ্রামগুলোয় ভর্তির যোগ্যতা। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যে সাধারণ যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হয়, তা হলো—স্নাতকের জন্য কমপক্ষে ১২ বছরের একাডেমিক সময়। এসএসসি/এইচএসসি/ও-লেভেল/এ-লেভেল-এ সিজিপিএ ৫–এর মধ্যে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫০ (স্নাতক প্রোগ্রামগুলোর জন্য)। সিজিপিএ–৪–এর মধ্যে ন্যূনতম ২ দশমিক ৫সহ একটি স্নাতক ডিগ্রি (স্নাতকোত্তরের জন্য)। আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ (প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নির্ভর করে স্কোর পরিবর্তন হতে পারে)। কিছু প্রোগ্রামের জন্য জিআরই বা জিম্যাট স্কোরও প্রয়োজন হতে পারে।

সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-
ইউনিভার্সিটি মালায়া (ইউএম)
ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া (ইউটিএম)
ইউনিভার্সিটি পুত্র মালয়েশিয়া (ইউপিএম)
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (আইআইইউএম)
ইউনিভার্সিটি সেন্স মালয়েশিয়া (ইউএসএম)
উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া জনপ্রিয় বিষয়গুলো—

এমবিএ
কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স
ডেটা সায়েন্সে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স
মেডিসিন ও হেলথ কেয়ারে ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স
ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সে ব্যাচেলরস ও মাস্টার্স। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়ের জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেঁছে নিতে পারে।

মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার খরচ
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ভিত্তিতে সাড়ে তিন থেকে চার বছরের স্নাতক অধ্যয়নে খরচ পড়তে পারে ৯ হাজার ৬০০ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত। ১ রিংগিত সমান ২৩ টাকা। আর এক থেকে দুই বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে খরচ হতে পারে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৭০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত।

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অধ্যয়নের জন্য আবেদন শুরুতেই যে কাজটি করতে হয়, তা হচ্ছে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন করা। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত দুই সময়ে আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে—প্রতিবছরের জুন মাসে আবেদন শুরু হয়। এ আবেদনের সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নভেম্বরে, এ আবেদনের সময়সীমা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় আসার আগে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী ইএমজিএসের (এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস) মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার আবেদন শুরু করতে পারেন। এ ছাড়া তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি বা ইএমজিএসের এজেন্টের মাধ্যমেও এই আবেদন করতে পারেন। ইএমজিএস হলো মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অংশ, যা মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইএমজিএস মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানে ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করে।

জীবন যাত্রার ব্যয়
প্রত্যেক মানুষের খরচগুলো মূলত তার ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় স্থানীয় গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি কতটুকু মানিয়ে চলতে পারছেন। মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, মেডিকেল, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট; সব মিলিয়ে প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে।

খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার বিরতি বা সপ্তাহান্তের ছুটির দিনগুলো মিলিয়ে সর্বাধিক ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। এর সঙ্গে অবশ্য তাদের স্টুডেন্ট পাসের বৈধতার সময়ও জড়িত। খণ্ডকালীন কাজের জন্য আবেদনগুলো অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হয়। তবে উত্তম হলো ক্যাম্পাসেই কাজ খোঁজার চেষ্টা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, ক্যাফে বা অফিসের অভ্যর্থনা প্রায়ই বিভিন্ন কাজের সুযোগ দেয়, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে বেশ সুবিধা হয়।

পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ
মালয়েশিয়ার বিদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের প্রথম ধাপ হলো প্রথমেই একটি চাকরির ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্মচারীর পক্ষ থেকে তার ওয়ার্ক পারমিটের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এটি ইমপ্লয়মেন্ট পাস নামেও পরিচিত, যার মেয়াদ থাকে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর। এ ছাড়া ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১৮ মাস থাকা বাঞ্ছনীয়।

ইউএনবি

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ সিরিয়ার মূলভূখণ্ডে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় ফের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিলো তেহরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। খবর রয়টার্স।

রমজান মাসের সমাপ্তি ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) এক ভাষণে এ হুমকি দিয়েছেন খামেনি। তিনি বলেছেন, কনস্যুলেটে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি অবশ্যই তাদের পেতে হবে।

এর আগে ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরসিজি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন।

এদিকে খামেনির হুমকির পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ইরান যদি নিজ ভূখণ্ড থেকে (ইসরায়েলে) হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল জবাব দেবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সংঘাতের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইরানপন্থী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  বৃক্ষরোপণের জন্য পুরস্কার পেতে আবেদন করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে সেই আবেদনে হিতে বিপরীত হয়েছে। পুরস্কারের বদলে তাকে তিরস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারী উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীনের সঙ্গে।

রুহুল আমীন হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা থাকার সময় ওই উপজেলায় গাছ লাগিয়ে ২০২১ সালে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনীত হন। কিন্তু এই পুরস্কার তাকে না দিয়ে পরবর্তীতে পদক দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা পরিষদকে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ওই তিরস্কার করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘রুহুল আমীন ২০২২ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলার প্রাক্কালে হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ও আইনসম্মত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।’

যদিও প্রজ্ঞাপনে রুহুল আমিনের বাগান সৃজনের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি বেশ কয়েকটি বাগান সৃজন করে জনস্বার্থের জন্য ইতিবাচক কাজ করেছেন বিধায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তাকে সর্বনিম্ন দণ্ড ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হয়।’

সাবেক ইউএনও রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে এই দণ্ড প্রদানের কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য আবেদন করেছেন।’

একইভাবে দণ্ড প্রদানের আরেকটি কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ না থাকায় মিথ্যা তথ্য ও জাল কার্যবিবরণী সহকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ২৮ মে ২০২২ পুরস্কারের আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এবং অনুরুপ মিথ্যা তথ্য ও জাল দলিল সরবরাহ করে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করানোর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।’

এ বিষয়ে কথা বলতে হাটহাজারীর সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ নিয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

মোহাম্মদ রুহল আমীন এখন চা বোর্ডের চট্টগ্রামে সচিব (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনে হতবাক হয়েছেন হাটহাজারীর মানুষ। যে ব্যক্তির দক্ষতায় হাটহাজারীর দুর্গম মনাই ত্রিপুরা পল্লী, বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীর সুরাক্ষায় যার অবদান ছিল সর্বজন প্রশংসিত। যিনি নিজ উদ্যোগে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করে সুশোবিত করেছিলেন হাটহাজারী উপজেলা, সেই কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত না করে উল্টো শাস্তির মুখে পরার ঘটনা তারা মেনে নিতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন বলেন, ‘রুহুল আমিন সাহেব একজন সাহসী এবং সৎ মানুষ। উনি হাটহাজারীতে থাকাকালীন যা করেছেন, এর আগে কোনো ইউএনও সেটি করেননি। গাছ লাগিয়ে উনি মনায় ত্রিপুরা পাড়াসহ পুরো হাটহাজারীতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এই কাজের জন্য তাকে পুরস্কার না দিয়ে মন্ত্রণালয় উল্টো তিরস্কার করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram