বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

ঢাকাঃ আবেদনকারী প্রার্থীর চেয়ে শূন্য পদ কয়েক গুণ কম থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেখানে ঠিক উলটো চিত্র দেখা গেছে। আবেদনকারীর চেয়ে তিন গুণ বেশি শূন্য পদের সংখ্যা। ফলে সবাই নিয়োগ পাওয়ার পরও এক-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য থাকবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দেয় এনটিআরসিএ। মূলত সরকারি এই সংস্থা শিক্ষক নিয়োগের জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে না পারায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। আর এতে ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীরা বলছেন, কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থী থাকলেও এই সংস্থা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে, যাতে আবেদন করার যোগ্যতা মাত্র এক-তৃতীয়াংশ চাকরিপ্রার্থীর রয়েছে।

গত ৩১ মার্চ এনটিআরসিএ স্কুল ও কলেজের ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টিসহ মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু আবেদনের জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে মাত্র ৩০ হাজার নিবন্ধনধারী আবেদন করার সুযোগ পাবে। ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ৯ মে পর্যন্ত।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের মেধাক্রম তৈরি করে এনটিআরসিএ। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি। ঐ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এই মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। কেন্দ্রীয়ভাবে কে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের যোগ্য, তা নির্ধারণ করে দেয় এই সংস্থা।

এ পর্যন্ত ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এখনো চাকরি পাননি এমন কয়েক লাখ প্রার্থী মেধা তালিকায় রয়েছেন, যাদের বয়স ইতিমধ্যে ৩৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাদের তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী, বয়স ৩৫-এর বেশি হলে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ হারাবেন। এছাড়া এবার নতুন শর্ত যুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন।

২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে মোট ১৮ হাজার ৫৫০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এ দুটি পরীক্ষায় মাত্র ৪২ হাজার ৫৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন, ১৮তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আগের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে প্রার্থী আরো কমে গেছে। আর চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, এই নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের মধ্যে কারো কারো বয়স ৩৫ শেষ হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী এই প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন না। ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৩০ হাজার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। এই সংখ্যা আরো কমও হতে পারে।

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ঐ সময়ও মাত্র ২৭ হাজার ৭৪ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। বাকি সব পদ শূন্য ছিল।

এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, অনেক পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী কম থাকবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছুই নেই।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, এনটিআরসিএর অদক্ষতায় এমনটি হচ্ছে। তাদের অদক্ষতায় প্রতিবারই শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই সংস্থার সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থায় যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হতো। ১৫ বছরে তারা মাত্র চারটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত তারা সিদ্ধান্ত বদল করছে। প্রার্থীদের নিয়ে তারা গবেষণা করছেন, শিখছেন। আর এ কারণে শূন্য পদ থাকার পরও চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা।

মিজানুর রহমান নামে নবম নিবন্ধনধারী গণিতের এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যখন নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করি, তখন এনটিআরসিএ জানিয়েছিল, ৪০ মার্কস পেয়ে পাশ করলেই শিক্ষক হওয়া যাবে। এখন তারা বর্তমান নিবন্ধের সঙ্গে পূর্বের নিবন্ধনধারীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে, এটা নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে অনেক বড় একটা অন্যায়। নিবন্ধন পাশ করে অনার্স মাস্টার্স প্রথম শ্রেণি পেয়েও একটা স্কুল মাদ্রাসায় চাকরি হয় না, একজন ছাত্রের জন্য এর চেয়ে কষ্টের আর কোনো বিষয় হতে পারে না। কারণ সিদ্ধান্ত বারেবারে বদল করা হচ্ছে।

আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা পাশ করার পরে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ তাদের নিজের আয়ত্তে নিল। সেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া করতে তাদের কয়েক বছর লেগে যায়। অথচ প্রতি বছর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ছিল। আগের প্রতিটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় ছিল। এবার কী এমন হলো, তারা বয়সের কোনো ছাড় দিল না? অথচ গত কয়েকটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়েছে।

সব নিবন্ধনধারীর কথা বিবেচনা করে সার্কুলার পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এই প্রার্থী। এর আগে বয়সের সীমা শিথিল এবং সব নিবন্ধনধারীর আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানালে তা আমলে নেয়নি এই সংস্থা। তবে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার ৩০ রমজান পূর্ণ হবে সেখানে। তাই দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বুধবার।

সোমবার ইনসাইড দ্য হারামাইনের ফেসবুক পেজে চাঁদ উঠার এই তথ্য জানানো হয়।

আগেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখার দায়িত্বে থাকা প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল খুদাইরি জানিয়েছিলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা খুব কঠিন হয়ে যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাাঃ চলতি বছরের দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাসের হার ৮৮.৩৭ শতাংশ।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীতে বোর্ডের অফিস মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

বোর্ডের অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরীক্ষা মনিটরিং সেলের সদস্য, পরীক্ষা উপকমিটির সদস্য এবং নিরীক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষার ফলাফল এই লিঙ্কে ঢুকে জানা যাবে। এছাড়া প্রতিটি মাদরাসার অ্যাডমিন নিজ নিজ আইডিতে প্রবেশ করে স্ব স্ব মাদরাসার ফলাফল প্রিন্ট করতে পারবেন। বোর্ড অ্যাডমিনরাও নিজ নিজ আইডিতে প্রবেশ করে স্ব স্ব অধিভুক্ত সব মাদরাসার ফলাফল দেখতে ও প্রিন্ট করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এই পরীক্ষায় সর্বমোট ৩১ হাজার ৯৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ১৪৫ এবং ছাত্রী ১৪ হাজার ৮৫৪।

আল-হাইআর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে জানানো হয়, ৩১ হাজার ৯৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ হাজার ২৭৯ জন, অনুত্তীর্ণ তিন হাজার ৭২০ জন এবং অনুপস্থিত ৮০৮ জন। পাসের হার ছাত্র ৯২.১৭ শতাংশ, ছাত্রী ৮৪.০ শতাংশ। গড় পাসের হার ৮৮.৩৭ শতাংশ।

মুমতায (স্টার) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে, ছাত্র ১৪৮১ জন এবং ছাত্রী ১৬৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৫০৭৯ জন, ছাত্রী ২২৫৫ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৬৫৮১ জন, ছাত্রী ৬০৮০ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২৬৬১ জন, ছাত্রী ৩৯৭৬ জন। মোট ১৬ জনের পরীক্ষা বাতিল (যবত্) করা হয়।

ছাত্রদের মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মাদরাসা বায়তুল উলূম ঢালকানগর, সূত্রাপুর, ঢাকার মো. শাব্বীর আহমদ খন্দকার। ২য় স্থান অধিকার করেছেন জামিয়া রহমানিয়া আজিজিয়া, বছিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। মেধা তালিকায় ৩য় স্থান অধিকার করেছেন মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর, সূত্রাপুর, ঢাকার আবূ উমামা।

ছাত্রীদের মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জামিয়া আরাবিয়া খাদিজাতুল কুবরা (রা.) মহিলা মাদরাসা, গৌরিপুর (বটতলা), আশুলিয়া, সাভার, ঢাকার জান্নাতুল ফেরদৌস। ২য় স্থান অধিকার করেছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন মহিলা মাদরাসা, ঢালিবাড়ি, ভাটারা, ঢাকার মারিয়াম বুশরা। ৩য় স্থান অধিকার করেছেন জামিয়া আরাবিয়া খাদিজাতুল কুবরা (রা.) মহিলা মাদরাসা, গৌরিপুর (বটতলা), আশুলিয়া, সাভার, ঢাকার মোসা. সামিয়া জাহান মুক্তা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ফের বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল হলো বাংলাদেশের নাম। সেনেগালে অনুষ্ঠিত ১১তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর আসরে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচিত বাংলাদেশি প্রতিযোগী হাফেজ আবু রায়হান ১ম স্থান অর্জন করেছে।

হাফেজ আবু রায়হান মুফতি আবদুল কাইয়ুম মোল্লা পরিচালিত আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। সে গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব থেকে তাকে নির্বাচিত করে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ। এরপর সংস্থাটির মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।

সে গত ২রা এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ত্যাগ করে এবং বর্তমানে তারা সেনেগালে অবস্থান করছে। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৪ এর আসরে, বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ২৮ টি দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত দশটায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ, ২য় স্থান অর্জন করে মিশর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে সেনেগাল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ২০ হাজার ইউএস ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১০ হাজার ইউএস ডলার, তৃতীয় পুরস্কার ৩ হাজার ডলার রয়েছে।

বাংলাদেশি প্রতিযোগী হাফেজ আবু রায়হানকে পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার ইউএস ডলার, সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন শায়েখ ইব্রাহিম নিয়াস আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার প্রধান ড. শায়েখ আব্দুল মালিক নিয়াস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পুরস্কার মূল্য ২১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার থেকেও বেশি।

এর আগে শিশু ক্বারি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া হাফেজ আবু রায়হান ২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন ভিত্তিক রিয়েলিটিশো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিল।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২০ জন কর্মকর্তা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মাহবুবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারেন নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন— সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, এটিএম আমিনুল ইসলাম আবু ছালেহ মো. আনছার উদ্দীন, গোলাম রহমান, সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া, আশরাফ হোসেন, রেজাউল হাসান, আব্দুল করিম, ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, মনজুরুল আলম, জানে আলম খান, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল হক, আজিজুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মাহবুব উর রশীদ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ রুহুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির ও রিয়াজ হোসেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

রাজশাহী: বিধিবহির্ভূতভাবে ছয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তার বেতন গ্রেডের ধাপে নিম্ন অবনতিকরণ লঘুদণ্ড বহাল থাকলো।

গত ৩১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- বর্তমানে ওএসডি হয়ে থাকা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের নামে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ছয়জন কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতির আদেশ দেওয়া ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের জন্য নির্ধারিত তারিখ অবহিত থাকা সত্ত্বেও তদন্তে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় একই বিধিমালার বিধি ৪(২) (ঘ) বিধি মোতাবেক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপনমূলে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকর’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ মার্জনা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনার আবেদন না মঞ্জুর করে আগের দণ্ড বহাল রেখেছেন।

কাজেই ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক লঘুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হলো। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের আলাদা দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরেজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করে।

২০২২ জানুয়ারিতে এ কমিটি দুদক ও মাউশিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ওই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক মো. মোকবুল হোসেনের নিজ নিজ আমলে পদোন্নতির এসব অনিয়ম ঘটে। দুই দফায় ১৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে নানা অনিয়ম করেছেন তারা। সিলেকশন কমিটিও নিয়ম না মেনে তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল। প্রথমে ২০১৭ সালে ৯ জন সপ্তম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান।

এদের পদোন্নতি দিতে সিলেকশন কমিটি ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে ৪৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। কমিটির সভাপতি ছিলেন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ৪৮ জনের মধ্যে কমিটি নয়জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করলে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৯ জনের পদোন্নতির তালিকাটি করা হয়।

ওই মেধাতালিকা থেকে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন আরও ছয়জনকে পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি দেন। প্রথমে বিতর্কিত ওই মেধাতালিকার ১ থেকে ৯ নম্বর ক্রমিকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ ক্রমিক অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চূড়ান্তভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন মোকবুল হোসেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (৮ মার্চ) বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মনজুর মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলিতে (রাত্রি দ্বিপ্রহরে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাহুত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েটছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস) উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশ করছে-

প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানাচ্ছি।

দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে রায় গত ১ এপ্রিল হাইকোর্টে দিয়েছেন তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টিতে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

তৃতীয়ত, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলোতে বুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমন অবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর দেওয়া সংক্রান্ত রিট আপিল নিষ্পত্তি হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ কারণে ঈদের আগে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ও বোনাসের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এদিকে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পুনর্বিবেচনার সুযোগের আগেই ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে। এমনকি দুর্বল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় ট্রাস্টের মাধ্যমে, যার কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সঙ্গেও কর আরোপকে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন অনেকে।

এ বিষয়ে আয়কর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন বলেন, আয়কর আইন ২০২৩ এর ষষ্ঠ তফসিলের দফা ১২ তে বলা আছে– ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত স্বেচ্ছা প্রদত্ত চাঁদা যাহা কেবল ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটিও আয়করের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এখানে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪১ ধারায় বলা আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় কিংবা পরিচালনায় আয়ের উৎস কী হবে। সেখান থেকে বোঝা যায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দান কিংবা
অনুদানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হবে। এখন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেবে। এসব ব্যয়ের ব্যাপারেও আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এসব বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানেই রুপ নেয়। এখান থেকে ট্রাস্টিদের কোনও অর্থ বা মুনাফা নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। অর্থাৎ অবশিষ্ট অর্থটি শিক্ষার উন্নয়নেই ব্যয় হবে। সুতরাং জটিলতার কোনও সুযোগই নেই। এখানে আইন অনুযায়ী কর নেওয়ারই সুযোগই নেই।

এদিকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপ নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন ও স্থগিত করা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঈদের আগেই চালুর অনুরোধ জানিয়েছে ট্রাস্টিদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

সম্প্রতি সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন মাহামান্য রাষ্ট্রপতি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে এ অনুরাধ জানান।

শেখ কবির হোসেন লিখিত পত্রে জানান, অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান সংক্রান্ত রিট আপিল নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে সম্প্রতি আদালত রায় দিয়েছেন। আদালতের ‘আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের বিশদ বিবরণ আদেশের পূর্ণাঙ্গ পাঠ’ এখনো প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর প্রদানের চাহিদা পত্র পাঠিয়ে দুঃখজনকভাবে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে।

চিঠিতে শেখ কবির হোসেন বলেন, আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং সেই অনুায়ী কর প্রদান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কোনোরূপ সময় না না দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করায় এই খাতে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অকস্মাৎ এহেন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি পরিবারের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা প্রদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলে শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকায়। সরকার থেকে কোনও অনুদান তারা পায় না। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে গবেষণা, গ্রন্থাগার নানা একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম তাদের চালাতে হয় ওই টাকা থেকেই। তারা কর না দিলেও পরোক্ষ কর দিচ্ছে। তাদের উন্নয়ন, নির্মাণ, ইত্যাদিতে যেসব খরচ হয়, তা থেকে সরকার ভ্যাট পায়। এদের শিক্ষক, কর্মকর্তারা আয়কর দেন। তারপরও যদি তাদের নিয়মিত কর দিতে হয়, কয়েক বছরের কর এক সঙ্গে পরিশোধ করতে হয়, তাহলে তারা চাপের মুখে পড়বে। হয়তো তাতে বেতন ভাতা কমবে, সুযোগ সুবিধাও কমে যাবে; নয় তো শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়বে। আমি আবারও বলি, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম হয়, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হোক, কিন্তু তাদের উপর করারোপ করাটা ভালো উদ্যোগ নয়।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর কর আদায় শুরু হলে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কত টাকা জমা হবে, তা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত, সেই অংকটি এমন বিশাল কিছু হবে না, যা সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনায় বড় ভূমিকা রাখবে, বরং বিভিন্ন বড় প্রকল্পে যেসব নয় ছয় হয়, তা রোধ করা গেলে এর থেকে অনেক বেশি টাকা সাশ্রয় হত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কর প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষাদান, গবেষণা এবং জনসেবার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজের কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা তাদের রাজস্বের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম ব্যয়/বিনিয়োগ করতে পারে।

অধ্যাপক জাকির হোসেন আরও বলেন, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কিছু খারাপ মানুষ সিটিং অ্যালাউন্স, অন্যান্য ভাতা, বিলাসবহুল গাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অবৈধ ব্যবসায়িক চুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ আহরণে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অর্থ পাচার করছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের এই অপরাধমূলক কাজের জন্য অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু কয়েকজনের অপরাধের জন্য সামগ্রিকভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর অব্যাহতি বাতিল পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। এটি অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মৃত্যুঘণ্টা হয়ে আবির্ভূত হতে পারে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, ঠিক ঈদের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যেভাবে ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত করলো সেটি সম্পূর্ণ অমানবিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।

উল্লেখ্য, বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শতকরা ১৫ ভাগ হারে আয়কর আদায়ের জন্য ২০০৭ সালের ২৮ জুন ও ২০১০ সালের ১ জুলাই পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এই দুটি প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এক শিক্ষার্থীর করা পৃথক ৪০টির বেশি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

এনবিআরের ওই দুই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতকরা ১৫ ভাগ হারে রিট আবেদনকারী যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে আয়কর বাবদ অর্থ আদায় করা হতো, তা ফেরত দিতে সরকার ও এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ৪৫টি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক ৪৫টি আপিল করে, যার ওপর শুনানি শেষে ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের কপি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে এখনও পৌঁছায়নি। তাছাড়া রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলে তারা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিশন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আইনি এসব প্রক্রিয়ার বিষয়টি মাথায় না নিয়েই ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/০৮/০৪/২০২৪

রাজশাহীঃ জেলার দুর্গাপুরে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন অনার্স পড়া এক কলেজছাত্রী (২২)। তিনি উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের ঝালুকা গ্রামের সেনাসদস্য প্রেমিক সাগরের বাড়িতে এ অনশন করে আসছেন। সাগর ওই গ্রামের বাবর আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী একই গ্রামের বাসিন্দা।

এদিকে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের পর থেকেই পলাতক রয়েছে তার পরিবারের সকল সদস্য। এমন ঘটনায় প্রেমিক সাগর বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে জানান প্রেমিকা।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, একই গ্রামের সাগরের সঙ্গে সে পড়াশোনা করে আসছিলেন। গত ২০১৮ সালে কলেজে পড়ার সময় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সাগরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এমন সম্পর্ক তার পরিবারসহ প্রতিবেশীরাও জানেন। বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছে একাধিকবার সাগর। বিয়ের দাবি নিয়ে বিউটি এলাকার চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যের কাছেও গিয়েছেন।

গত এক বছর আগে সাগরের কর্মস্থল ময়মনসিংহ সেনা ক্যান্টনমেন্টে বিয়ের দাবি নিয়ে যান কলেজছাত্রী। এরপর ছেলের পরিবার থেকে যোগাযোগ করে তাকে বলা হয় এক মাসের মধ্যে তোমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেব তুমি সেখান থেকে চলে আসো। চলে আসার পরে প্রায় ৮ মাস পার হলেও কেউ কোনো ব্যবস্থ্যা নেয়নি। অবশেষে এর সমাধান না করায় তিনি গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে প্রেমিক সাগরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন।

তিনি আরো বলেন, এ অনশনে থাকা অবস্থায় তাকে মানসিকভাবে টর্চার করছে সাগরের লোকজন।

এদিকে এমন ঘটনায় সাগরের পরিবারের সকল সদস্য পলাতক থাকায় তাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কলেজছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বিয়ের দাবিতে আজ তিন দিন হলো সাগরের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। আমার মেয়ের সুষ্ঠু বিচার চাই। সাগর আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ের সর্বনাশ করেছে।

এদিকে গত শনিবার রাতভর স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান এর সমাধানের জন্য বৈঠক বসান। ওই বৈঠকে বিষয়টি ধামাচাপার জন্য ছেলের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে মিমাংসার চাপ প্রয়োগ করা হয়। মেয়ের পক্ষের লোকজন সেটাতে না রাজি হলে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সময় ওই মেয়ের কাছে স্বাক্ষর নিতে গেলে সে লিখিত কাগজটি ছিড়ে ফেলেন এবং তাদের বলেন, কোটি টাকা দিলেও সে বিয়ের দাবিতে অনশন করেই যাবেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। জুড়ি বোর্ডের সিদ্ধান্তে মেয়েকে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। তারা রাজি না হওয়ায় মিমাংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা যে ব্যবস্থা নেয় নেবে।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, বিয়ের দাবিতে অনশনের খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপির পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পেয়েছে কোমলমতি শিশুরা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দীন মামুনের ব্যবস্থাপনায় কলেজ ক্যাম্পাসে শিশুদের মাঝে এ ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

এ সময় মায়মুন উদ্দীন মামুন বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় শিশুদের মাঝে রং-বেরঙের ঈদের নতুন পোশাক তুলে দিলো মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ। ঈদ সবার জন্য আনন্দের।

তবে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দ বয়ে আনে এই ঈদ। তাদের সেই আনন্দ বহুগুণে বেড়ে যায়, যখন তারা ঈদ উপহার পায়।

নতুন জামা পেয়ে এ সময় শিশুদের চোখে মুখে আনন্দের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে। সবার মুখে যে দৃশ্যমান অমূল্য হাসি আমরা দেখতে পেয়েছি, সেই হাসির জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা তাফহিমুল ইসলাম, সাফায়েত ফাহিম, যুবরাজ দাশ, আরিফুল ইসলাম, আসাদুল্লাহীল গালিব, রুকন উদ্দীন, মেহের ইসলাম আয়ান, সাইমন উদ্দীন প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৮/০৪/২৪

ঢাকাঃ শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠার আগেই ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করলো অস্ট্রেলিয়ায়। আগামী ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ উদযাপন করবেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ ও খালিজ টাইমস জানিয়েছে, শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সরকারি সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখনও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি, তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোর্তিবিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ফতোয়া কাউন্সিল এই মর্মে নিশ্চিত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার টাইমজোন অনুযায়ী সিডনি ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে নতুন চাঁদ উঠবে।’

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বার্মিংহাম মেইল বলছে, সরাসরি চাঁদ না দেখে বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এবং তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এবারের ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে সিডনি ও পার্থের জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্যমতে।

পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে পালিত হয় মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার এই ঈদ হতে পারে। আজ সোমবার ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র আটকে রাখলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৮/০৪/২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram