বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

ঢাকাঃ বিদায়ের পথে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্বের মুসলিমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের। ঈদের দিনকে রোজা ভঙ্গ করার উৎসবও বলা হয়। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের গণনা অনুযায়ী এ বছর ৩০টি রোজা হতে পারে। ফলে সৌদি আরবসহ তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশে আগামী ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরবে যেদিন ঈদ পালিত হয়, পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ হয়। যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। খবর আল জাজিরা

চন্দ্রবর্ষ হিসেবে প্রতিটি মাসই ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ বছর রোজা কতটি হবে তা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। সোমবার (৮ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যে ২৯টি রমজান হবে। এদিন বাসিন্দাদের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট। যদি ৮ এপ্রিল চাঁদ দেখা যায় তাহলে ৯ এপ্রিল সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর পালিত হবে। আর চাঁদ না দেখা গেলে ৩০ রমজানই পূর্ণ হবে।

ঐতিহ্যগতভাবে তিনদিনব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়ে থাকে। বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করে থাকে। তবে কোন দেশ কতদিন ছুটি ঘোষণা করে তা নির্ভর করে আর্থসামাজিক অবস্থানের ওপর।

মুসলিমরা পবিত্র ঈদের উৎসব শুরু করেন নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। এদিন সংক্ষিপ্ত খুতবা দেয়া হয়। ফজরের নামাজের পরই এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

একটি খোলা মাঠে পবিত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুসলিমরা আল্লাহু আকবার বলে তাকবির দিতে থাকেন। যার অর্থ আল্লাহ মহান।

নামাজের আগে মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি মুখ করার রেওয়াজ আছে। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে খেঁজুর এবং বিস্কুট পরিবেশন করা হয়। যাকে মামুল বলা হয়। এছাড়া মুসলিম বিশ্বে পবিত্র ঈদের দিন নাস্তা খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে।

এদিন মুসল্লিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। খোঁজ খবর নেন প্রতিবেশীদেরও। শিশুরা নতুন জামা কাপড় পরিধান করে এবং তারা বড়দের কাছ থেকে ঈদের সালামি হিসেবে অর্থ পেয়ে থাকেন।

নারী ও কিশোরীরা ঈদের দিন হাতে মেহেদী দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করেন। অনেকে আবার চাঁদের রাতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ভিড় করে হাতে মেহেদী দেয়ার জন্য।

অনেক দেশে আবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার আগে কবর জিয়ারত করা হয়ে থাকে। যেসব পরিবারের লোকজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জীবিত আত্মীয়রা করবস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করে থাকেন।

তবে এবারের ঈদে গাজার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসরায়েলের হামলায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন অবস্থায় স্বজন হারানোর শোক ও দুঃখ নিয়ে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি এবার ভিন্ন এক পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে খাবার ও পানির সংকট।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) দেশের সব বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্যদিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।

এতে বলা হয়, পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধিভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

এতে বলা হয়, ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আসনগ্রহণ করতে হবে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে দেয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার আশা থাকে সব শিক্ষার্থীরই। এ ক্ষেত্রে অনেকের ভাবনায় থাকে কম খরচে বিদেশে পড়াশোনা। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবনের সঙ্গে খরচের হিসাব মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য দেশে পাড়ি জমানো যায়।

ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া, আমেরিকার বিভিন্ন দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ আছে। বড় অংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম ১০ গন্তব্য হতে পারে এসব দেশ-

ফ্রান্স
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণ। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারেন। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা- জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স। এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতিবছর খরচ হতে পারে ২ হাজার ৭৭০ ইউরো। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছরপ্রতি ৩ হাজার ৭৭০ ইউরো। জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মতো অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে ৬৫০ ইউরোর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।

জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পছন্দের দেশ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোনো ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সঙ্গে টিউশন ফির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহন, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্রসংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি’র ব্যয়ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠানভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (১ ইউরো সমান বাংলাদেশি টাকা ১১৮ টাকা ৯১ পয়সা) মধ্যে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর মতো হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম সবই অন্তর্ভুক্ত।

অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া। ইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি। কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬ দশমিক ৭২ ইউরোর মতো খরচ হয়। তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ ইউরোর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহনসহ সব খরচ মেটাতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১ হাজার ইউরোর মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।

নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত। প্রতি সেমিস্টারে শুধু শিক্ষার্থীকে ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরোর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহন, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলোসহ বেশকিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ইউরোর মতো খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোয় গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ইউরোর মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।

তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, প্রাকৃতিক সম্পদসহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এ দেশটি। এখানে ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রচুর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। বহু সাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরোনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অধ্যয়ন খরচ প্রতিবছর ৬৭৫ থেকে ১২ হাজার ৭০০ ইউরো। এখানে ন্যূনতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো খরচ করতে হবে।

পোল্যান্ড
৪৫০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকুল্যে প্রয়োজন হবে শুধু মাধ্যমিক শিক্ষার একটি প্রশংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা প্রশংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা। প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যয়নের জন্য টিউশন ফি ২ হাজার ৩৬৮ ইউরো। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরোর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়ণের অবস্থার ওপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।

তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ, দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ, যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সব ইউরোপে স্বীকৃতি পায়। তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪ হাজার ইউরোর মতো খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশি শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।

মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালয়া। এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতিবছর ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ ইউরো। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো খরচ যায়। জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর মতো বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।

হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফির দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ইউরোর মতো খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর বসবাসের জন্য ব্যয় হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের ওপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোয় প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিদেশে স্নাতক অধ্যয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোয় জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।

গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যয়নের এই গন্তব্য শুধু তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশজুড়ে প্রচুর গ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসেবে গ্রিস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যেকোনো বোলোগনা সদস্য, দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন। নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ইউরোর মতো অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রিসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো হয়ে থাকে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রোববার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে রাত ১টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিন (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ; বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছে নোয়াখালী সরকারি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই)। জেলার বেগমগঞ্জে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হলের বাইরে চাকচিক্য থাকলেও দরজা-জানালা ভাঙা।

অপরিষ্কার পানি ব্যবহারে চর্মসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রয়েছে বহিরাগতদের উৎপাত, ক্যান্টিন ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পণ্যের অতিরিক্ত দাম নেয়ার অভিযোগ। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় প্রশাসনের রোষানলে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অপর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ আর শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তাদের শিক্ষাজীবন। প্রতি সেশনের শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে বরাদ্দ মাত্র দুটি ক্লাস। রয়েছে বহিরাগতদের উৎপাত। ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর মালিক পণ্যের দাম নিচ্ছে বাড়িয়ে। অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে আবাসিক হলে থাকলেও ভাঙা দরজা-জানালা, নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।

সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অধ্যক্ষসহ পাঁচ-সাতজন শিক্ষক রয়েছেন। নেই পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ। অথচ এখানে শিক্ষার্থী রয়েছে আট শতাধিক। শিক্ষক ও শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে প্রতি সেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ক্লাস বরাদ্দ মাত্র দুটি। এতে সিলেবাস নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যায় না। ভালোভাবে ক্লাস না হওয়ায় মৌলিক বা তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে।’

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অন্যান্য কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (এটিআই) ছয় মাসে হল ভাড়া দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। কিন্তু এখানে শুরুতেই দিতে হয়েছে ৯০০ টাকা। চলতি বছর আবারো বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর হল ভাড়া দিতে হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা।

অথচ আবাসিক হলের ভেতরের প্রত্যেকটি জানালা ও দরজা ভাঙা। দীর্ঘ আট বছরেও পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা হয়নি। প্রতিটি শিক্ষার্থী চর্মসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আট শতাধিক শিক্ষার্থীর এ ইনস্টিটিউটকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপ দেয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নিয়ম না থাকলেও দিঘিগুলো দেয়া হয়েছে লিজ। ফলে মাছ চাষ করতে গিয়ে পানিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা রাসায়নিক।

এসব নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলেও সমাধান মেলেনি অতীতে, উল্টো রোষাণলে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

আরাফাত ও লাব্বি নামে দুই শিক্ষার্থী জানান, ইনস্টিটিউটে দুটি বড় দিঘি রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এ দিঘির মাছের ভাগ পেতেন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত দিঘিগুলো লিজ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মাছের কোনো ভাগ পায় না, সব নিয়ে যায় তারা।

একই সঙ্গে সমানের দিঘিতে একটি ছোট দ্বীপের মতো ছিল, সেখানে পুরনো বড় একটি কদম গাছ ছিল। ওই গাছে শত শত পাখি আসত, অতিথি পাখি আসত দিঘিতে। কিন্তু গাছটি কেটে ফেলার কারণে পাখির সেই কলতান আর নেই। পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে অতিথি পাখিও আসে না। ইনস্টিটিউটের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষ।

ব্যক্তিমালিকানায় ক্যান্টিন লিজ দেয়া হয়েছে, এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে বহিরাগতদের আড্ডা বেড়ে গেছে। এতে করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় সময়ই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘এসব বিষয়ে অধ্যক্ষ বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। প্রতিবাদ করলে উল্টো রোষাণলে পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর মতো জঘন্য কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না শিক্ষকরা।’

তবে বেশির ভাগ অভিযোগ অস্বীকার করলেও শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করেন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন। তিনি  বলেন, ‘যা করা হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্যই করা হয়েছে।’

দ্বীপের গাছ কাটার কথা স্বীকার করলেও কেন কেটেছেন সেটার সঠিক উত্তর না দিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘সেখানে নতুন করে কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়েছে।’

তার দাবি, এরই মধ্যে নতুন একাডেমিক ভবন ও আবাসিক ভবনের জন্য ডিপিপি জমা দেয়া হয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দেয়া হয়েছে। দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একই সঙ্গে দ্রুত পানি সমস্যা সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৭/০৪/২৪

ঢাকাঃ  আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) বছরের প্রথম ও বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাবাসী। পাশাপাশি প্রযুক্তির কল্যাণে ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ।

ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যের পাশাপাশি মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে অন্যান্য দেশ থেকেও জড়ো হচ্ছেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী আগামী ৮ এপ্রিল দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।

একইসঙ্গে জানা যায়, এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে; যা ঘটে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের মধ্যে একবার। এর আগে, সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে এরকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

টাঙ্গাইলঃ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সর্বপ্রথম চালু হয় ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বা ‘অপরাধতত্ব এবং পুলিশ বিজ্ঞান’। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ‘সিপিএস’ বিভাগ। বিভাগটির জনক বলা হয় অধ্যাপক ড. ইউসুফ শরীফ আহমেদ খানকে। কারণ, তার হাত ধরেই ২০০৩ সালে মাভাপ্রবিতে বিভাগটি চালু করা হয়। বর্তমানে বিভাগটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু রয়েছে।

জানা যায়, দেশে কার্যকর অপরাধ দমন এবং অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যায় এমন বিষয়ে পাঠদান এবং জ্ঞানসৃষ্টির লক্ষ্যেই এই বিভাগটির সৃষ্টি। পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক পুলিশিং এবং উপাত্তভিত্তিক অপরাধ পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে অপরাধের মূলোৎপাটন করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব বিষয়ের সমন্বয় সাধন করে এর পঠন-পাঠন।

এ বিভাগের শিক্ষকগণ কানাডা, ভারত, জার্মানি, তুরস্ক, হাঙ্গেরি এবং চীন থেকে অপরাধের বহুমাত্রিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা (পিএইচডি এবং এমএস ডিগ্রি) গ্রহণ করে এসেছেন এবং এখনো অধ্যয়ন করছেন। ভবিষ্যতে এ বিভাগে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে পেশাজীবীদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ জানান, এখানে মূলত অপরাধ, অপরাধের কারণ, ধরন-প্রকৃতি বিশ্লেষণ এবং অপরাধ দমনের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রয়োগ-পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পড়ানো হয়। এই বিষয় পড়ার ফলে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ (CID), ঢাকাস্থ ফরেনসিক ল্যাব, সারদা পুলিশ একাডেমি, কোস্ট গার্ড চিটাগাং, শিশু উন্নয়ন সংস্থা, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, বাংলাদেশ প্রিজন, পুলিশ স্টাফ কলেজসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হাতে-কলমে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সবমিলিয়ে শিক্ষা জীবনে আমার পছন্দের তালিকায় ‘অপরাধতত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান’ প্রথম স্থানে এবং এ বিষয়ের শিক্ষার্থী হতে পেরে আমি গর্বিত।

সিপিএস বিভাগের ছাত্রী ফারাবি প্রমি জানান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বা বহুবিষয়ভিত্তিক বিভাগ। এটি অপরাধ বিষয়ক বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন, অনুসন্ধান এবং গবেষণা করে থাকে।

সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আওরঙ্গজেব আকন্দ বলেন, আধুনিক বিশ্বে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, অপরাধ তদন্ত ও দমন নীতি, অপরাধী সংশোধন, ভিকটিম অধিকার সুরক্ষাসহ অপরাধ বিচার ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাত্ত্বিক ও গবেষণা লব্ধ জ্ঞানের উপর নির্ভর করা হয়। চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষায়িত ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। একই লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিপিএস বিভাগের যাত্রা হয়।

তিনি বলেন, পাঠদান ও গবেষণার পাশাপাশি এখন জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে বিভাগের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপিএস বিভাগে আমাদের পাশাপাশি পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও বিচারকগণ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চাই। আমাদের ল্যাবকে আধুনিক করতে আমরা কিছু যন্ত্রপাতি কিনেছি, ল্যাবের আরো কিছু যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। আমাদের ল্যাব ও শিক্ষক স্বল্পতা সত্ত্বেও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাই নয়, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও তাদের কৃতিত্ব প্রদর্শন করছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ১৩ এপ্রিল শুরু হবে। যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ মে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ (আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ) এবং কলা অনুষদভুক্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগসহ মোট চারটি বিভাগের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৩২০টি আসনের বিপরীতে লড়বেন ভর্তিচ্ছুরা।

মোট ৮০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই ২০২২ অথবা ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০১৯, ২০২০ অথবা ২০২১ সনে মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত শর্ত পূরণ করা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://www.iu.ac.bd/admission) প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ১৫০০ টাকা মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং (বিকাশ/নগদ/রকেট) এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

প্রত্যেক আবেদনকারী কেবল ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র গ্রহণের তারিখ এবং পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

নোয়াখালীঃ জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কালবৈশাখি ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও গাছপালা।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কালবৈশাখি ঝড়টি আঘাত হানে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে জেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে তীব্র বাতাস ও বজ্রপাতসহ কালবৈশাখি ঝড় আঘাত হানে উপকূলীয় জেলা হাতিয়ায়। ঝড়ে হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মানিক বাজারের সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদরাসার টিনশেড একটি ঘর উড়ে যায়। এছাড়া হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের টিনশেডের একটি ভবন বিধ্বস্ত হয়। তীব্র বাতাসে জেলার বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদরাসার সভাপতি আবুল হাসেম জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের মাদরাসাটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে ১২০জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। আজ হঠাৎ ঝড়ে আমাদের পুরো ভবন উড়ে গেছে। এতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার সবাই মিলে চেষ্টা করে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শরফুদ্দিন বলেন, ঝড়ে কলেজের টিনশেড ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ভবনে ৪টি শ্রেণিকক্ষ ছিল, যেখানে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হতো।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, কালবৈশাখি ঝড়ে সোনাদিয়া ইউনিয়নের একটি মাদরাসাসহ কিছু গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ গত কয়েকদিনের তুলনায় আগামী তিনদিন স্বস্তির বাতাস বইবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। আর তিনদিন পর অর্থাৎ আগামী ১০ এপ্রিল থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু হবে।

রবিবার  (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ কিছুটা কমবে। সারা দেশের তাপমাত্রাই কমবে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে আবারও সারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। সেই হিসেবে এবার ঈদের দিন বৃষ্টি থাকবে না এবং ভ্যাপসা গরম থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ফরিদপুরঃ ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর রমা সাহা। তিনি কলেজটির সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহার সহধর্মিণী।

গত বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ-২ শাখার উপ-সচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে যোগদান করতে বলা হয়েছে তাকে।

এরআগে, তিনি ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজটিতে রমা সাহা নিয়োগ পাওয়ায় কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ গত কদিনের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। তবে আজ রোববার ভোর থেকে দেশের কয়েকটি এলাকার আকাশে দেখা গেছে মেঘের আনাগোনা। এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় হয়েছে বৃষ্টিও। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকালও আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে কাল বাদে পরশু অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে আবারও বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

এ বিষয়ে আজ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, সকালে ঢাকাসহ দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। আজ ও আগামীকাল তাপমাত্রা কম থাকবে। পরশুদিন থেকে আবারও একটু একটু করে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।

আগামী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল বা ঈদের সময় আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, ওই সময় বৃষ্টি হবে না। হয়তো সিলেটের দিকে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। ওই সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। ফলে গরম থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে এবং রাতে এক থেকে দুই ডিগ্রি কমতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram