নিউজ ডেস্ক।।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিলে সংশ্লিষ্ট কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুন চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি নেওয়া এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ পেয়েছে ঢাকা বোর্ড।
বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেয়া থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপরে উল্লেখিত অভিযোগ পেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজ ডেস্ক।।
সপ্তদশ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হচ্ছে নিউ বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০০১ থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত রোল নম্বরধারীরা মোট ২৫০০ জন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে, ৩৫০১ থেকে ৫৩০০ পর্যন্ত রোল নম্বরধারীরা মোট ১৮০০ জন সিদ্ধেশ্বরী কলেজে এবং ৫৩০১ থেকে ৮৩১০ পর্যন্ত মোট ৩০১০ জন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষা দেবেন।
পরীক্ষার্থীদের কক্ষ নম্বর ও আসন বিন্যাস সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড ও কমিশনের ওয়েবসাইটে ২ মে তারিখে প্রদর্শন করা হবে। পরীক্ষার্থীরা উক্ত সময় নিজেদের আসন বিন্যাস জেনে নিতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে এ পাওয়া যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হবে আগামীকাল শনিবার।
প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি হওয়ার কথা।
কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় বড় ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেতে পারেন সংবাদকর্মীরা।
সূত্র জানায়, ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে নোয়াবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। তাছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানিয়েছে। অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে এবার ঈদের ছুটি ৬ দিন হলে এটি অনন্য রেকর্ড হবে। কারণ স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম টানা ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।
জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না– তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
নিউজ ডেস্ক।।
পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আগামীকাল শনিবার। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষ্যে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রাজউকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করে মাউশি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।
'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যশোরে সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০০টি ব্যাংক চেক ও ১৪৭টি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মনিরামপুর পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত সামছুল মোড়লের ছেলে বুলবুল আহমেদ বুলি (৪৬) ও হাকোবা গ্রামের সন্তোষ কুশারীর ছেলে পলাশ কুশারী (৪৩)। বৃস্পতিবার বিকেলে শ্যামল দাস নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে মনিরামপুর পৌর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তি করে ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ব্লাঙ্ক চেক গ্রহণ করত তারা। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার চাকরি হলে কৌশলে জিম্মি করে চুক্তির সমুদয় টাকা আদায় করতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করে আসতেন বুলবুল ও পলাশ।
কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের শ্যামল দাসের ছেলে সৌরভ কুমার দাস। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে যশোর জেলার প্রার্থী ছিল সৌরভ। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ টাকা চুক্তি করে ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প গ্রহণ করে চক্রটি। এদিকে, সৌরভ কুমারের চাকরি না হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে), ১০০টি ব্যাংক চেক ও ১৪৭টি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। এর মধ্যে যশোর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ১৭টি প্রবেশপত্র পাওয়া যায়।
জেলা গোয়েন্দা শাখা এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার বুলবুল ও পলাশ কুমারী প্রতারক চক্রের সদস্য। মনিরামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় শুক্রবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গত কয়েক দিন ধরে সারা দেশে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তিতে নেই মানুষ। সবার মধ্যেই এক ধরনের হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে তাপপ্রবাহের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘরের বাইরে বের হলেই ঘেমে অস্থির। ফলে শরীর থেকে সব পানি বের হয়ে যাচ্ছে। আবার রমজান মাস হওয়ায় দিনের বেলা পানি খেতে না পারায় সেই পানির শূন্যতাও পূরণ করা যাচ্ছে না। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, হিট স্ট্রোক হচ্ছে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তৈরি এক ধরনের জটিলতা। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হলেই হিট স্ট্রোক হতে পারে। এ সমস্যায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর গরমে অতিরিক্ত ঘামলে শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে পড়ে।
এর ফলে ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক, কলেরা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, পেটের সমস্যা, সর্দি-জ্বর, হাঁপানি, গ্যাসের সমস্যা, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকে সমস্যা, নানা ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের এ ঝুঁকি বেশি। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে তিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই অবস্থা বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটেও। এখানে গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। আর রোগীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমসহ নানা কারণে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডা-জ্বর, নিউমোনিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের রোগীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। তাই গরমকালে শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতা খুব বেশি প্রয়োজন। কারণ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, গরমের এই পরিস্থিতিতে ফলের শরবত, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন, গ্লুকোজ এবং পুষ্টিকর রসাল ফল বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যাওয়ায় পানির চাহিদা পূরণ হবে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ ও ফুটানো পানি পান করতে হবে। রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর ও উন্নত এবং পচা-বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে এ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ বলেন, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৫-এর ওপর উঠলেও ঘাম হয় না, মাথাব্যথা হয়, অস্থিরতা দেখা দেয়, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, লাল র্যাশের মতো দেখা দেয়, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়, চোখে ঝাপসা দেখা যায় এবং অবসাদ হয়। একসময় অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা হয়, অজ্ঞান হয়েও যায় অনেকে। এটি বিপজ্জনক। এটি খুবই সিরিয়াস, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পটিয়া সরকারি কলেজ। কলেজটি সরকারীকরণ হয় ৪৪ বছর আগে। বর্তমানে এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সংকট। প্রতিষ্ঠানটিতে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৪৯ জন। এ অনুযায়ী কলেজটিতে প্রতি ২০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র একজন।
কলেজটিতে সর্বশেষ নতুন শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল এটিকে সরকারি করার সময় ১৯৮০ সালে। সে সময়ে এখানে শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল ৫৬টি। এরপর গত ৫৩ বছরে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। যদিও এ সময় নতুন করে আর কোনো শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়নি। এমনকি এখন এ ৫৬ পদের মধ্যেও আটটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে এ কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রির প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন একজন। অ্যাকাউন্টিংয়ে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন তিনজন। দর্শনের জন্য শিক্ষকের পদ মাত্র দুটি। এমনকি কলেজটিতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া আর কোনো অধ্যাপকের পদ নেই।
একই সমস্যায় কম-বেশি ভুগছে দেশের অধিকাংশ সরকারি কলেজ। বাংলাদেশ শিক্ষাতত্ত্ব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকট ক্রমেই বেড়ে চলছে। বর্তমানে সরকারি কলেজগুলোয় প্রতি শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী আছে ৯৭ জন, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে দেশে সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ছিল ১:৭৯।
ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি কলেজগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত সবচেয়ে বেশি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজগুলোয়। এসব কলেজে এখন প্রতি ১১৭ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন একজন। এছাড়া স্নাতক পর্যায়ে ৭৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন, ডিগ্রি (পাস) কলেজগুলোয় ৫৫ ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোয় ৪১ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভাগীয় ও জেলা শহর পর্যায়ের কলেজগুলোয় পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকলেও এর বাইরে অধিকাংশ কলেজেই শিক্ষক সংখ্যা অপ্রতুল। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কলেজকে সরকারীকরণ করা হয়েছে, সেসব কলেজে সংকট সবচেয়ে বেশি। এর ফলে কলেজগুলোয় শিক্ষার মান যেমন নিশ্চিত হচ্ছে না, তেমনি নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হারও বাড়ছে।
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা বলেন, ‘সরকারি কম-বেশি সব কলেজেই শিক্ষক সংকট রয়েছে। বিশেষত শহরের বাইরের কলেজগুলোয় এ সংকট বেশি। সংকট নিরসনে পদ সৃজন, সঠিকভাবে পদায়নের পাশাপাশি দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ বিসিএসের কথাও বিবেচনা করা উচিত।’
সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কলেজ সরকারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে একটি বরগুনার আমতলী সরকারি কলেজ। কলেজটিকে ২০১৬ সালে সরকারি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ ছাড়া শিক্ষকের মোট পদ ৩১টি। এর মধ্যে ১২টিই শূন্য। প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ১৯ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় ১:১৩০। কলেজটিতে ১১টি বিষয়ের কোনো শিক্ষকই নেই।
এ বিষয়ে আমতলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কলেজে যে পরিমাণ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজন, সে পরিমাণ পদ সৃজন হয়নি। এছাড়া যেসব পদ রযেছে তারও অনেক পদ শূন্য। আমরা বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রায় প্রতি মাসে চিঠি দিচ্ছি। কিন্তু ২০১৬ সালের পর আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। বরং আগে যারা ছিল, তাদেরও অনেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। ফলে শিক্ষক সংকট আরো বেড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পাঠদান করতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শিক্ষক সংকট সবচেয়ে বেশি প্রকট হওয়া কলেজগুলোর অন্যতম গাইবান্ধা সরকারি কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য কলেজটিতে শিক্ষক রযেছেন মাত্র ৫৩ জন। ফলে শিক্ষক সংকটে প্রায় নিয়মিতই কলেজটিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কলেজের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কলেজটিতে শিক্ষকের ২৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ৮২টি শিক্ষক পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৫৩ জন। কলেজসংশ্লিষ্টদের দাবি এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
একই অবস্থা ফেনী সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ, সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, নওগাঁ সরকারি কলেজসহ অর্ধসহস্রাধিক সরকারি কলেজের।
কলেজপ্রধানরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক পদ সৃজন না হওয়া, সদ্য নিয়োগকৃতদের কলেজগুলোয় সুষমভাবে বণ্টন না করা এবং দীর্ঘ নিয়োগপ্রক্রিয়া কলেজগুলোর শিক্ষক সংকটের জন্য দায়ী।
পটিয়া সরকারি কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট চাহিদা অনুযায়ী পদ সৃজন না হওয়া। এছাড়া পদায়নের ক্ষেত্রেও অনেক সময় দেখা যায় যে কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন, সেখানে আরো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ যাদের সংকট রয়েছে, তারা শিক্ষক পাচ্ছে না। যেমন আমাদের কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বোর্ডে এবং স্নাতক ফলাফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর মধ্যে সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে। সে হিসেবে আমাদের কলেজে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের না আছে ভালো অবকাঠামো আর না আছে শিক্ষক।’
শিক্ষা খাতে ক্রমহ্রাসমান বরাদ্দ কলেজসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকেই এ ধরনের সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। বরাদ্দ বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত মাত্রায় জনবল নিশ্চিত করা না গেলে এ সংকট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু জিডিপিতে শিক্ষায় বরাদ্দ সে তুলনায় অনেক কম। এমনকি আগের তুলনায় এটি বাড়ার পরিবর্তে কমেছে। শিক্ষায় উন্নতি নিশ্চিত করতে হলে জিডিপিতে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’
শিক্ষক সংকটকে দেশের কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার মান নিশ্চিতের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংকও। সংস্থাটির কয়েক বছর আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত অনেক বেশি। এমনকি যেসব শিক্ষক রয়েছেন তাদের মাঝেও যথাযথ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই সময়ের পর থেকে দেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত আরো বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার মান নিয়ে নানামুখী অভিযোগও।
কলেজগুলোয় শিক্ষার মান নিশ্চিতে শিক্ষক সংকট দূর করার পাশাপাশি তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি তথা সব কলেজের ক্ষেত্রেই শিক্ষক, বিশেষত প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সংকট প্রকট। ফলে শিক্ষার মান নিশ্চিতও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। এ সংকট দূর করতে হলে আমাদের শুধু শিক্ষক নিয়োগ দিলেই হবে না, তাদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষিতও করতে হবে।’
দ্রুত নিয়োগ ও পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রশিক্ষণ নিশ্চিতের মাধ্যমে এ সংকট অনেকটাই দূর করা সম্ভব বলে মনে করছেন কলেজ শিক্ষকরাও। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শওকাত হোসেন মোল্লা বলেন, ‘শিক্ষক সংকট বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত একটি সমস্যা। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি আরো বেশি। সরকারি কলেজগুলো অনেক আগের শিক্ষক প্যাটার্ন দ্বারা পরিচালিত। আগের তুলনায় এখন কারিকুলাম ও কোর্সের বিস্তৃতি ঘটেছে, কিন্তু সে তুলনায় শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আদর্শ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যদি ১:৪০-ও ধরা হয়, তাহলে সরকারি কলেজগুলোয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মানসম্মতভাবে পড়াতে হলে এক লাখের বেশি শিক্ষক প্রয়োজন। অথচ শিক্ষা প্রশাসনসহ সরকারি কলেজগুলোয় মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১৬ হাজার। সরকারি কলেজগুলোয় যেখানে অনার্স-মাস্টার্স আছে, সেখানে পদ সংখ্যা থাকার কথা কমপক্ষে ১১টি। অথচ দুঃখজনকভাবে শিক্ষকের সংখ্যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চারজন। কোথাও কোথাও দুজন দিয়ে চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমি মনে করি তিনটি কাজ করা উচিত। প্রথমত, মাউশি যেভাবে পদসৃজনের প্রস্তাব করছে, সেভাবে পদসৃজনের কাজ দ্রুত শেষ করা। দ্বিতীয়ত, যেখানে-সেখানে অনার্স কোর্স বন্ধ করা দরকার। সর্বশেষে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা যৌক্তিকভাবে সীমিত পর্যায়ে নামিয়ে আনা।’
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কলেজ শাখার উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট নিরসন এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষক সংকট নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সংকট নিরসন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’বণিক বার্তা
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা সম্পর্কে সরকার জানে। সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটি রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে।
এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় গোটা পার্বত্য অশান্ত হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
মেট্রো রেলের ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে মেট্রো রেলের ভাড়ায় ১৫% ভ্যাট জুলাই থেকে বাড়বে।
এই ঘোষণা কে দিল? এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করব। মানুষ মেট্রো রেলের সুবিধা পাচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিল আমি জানি না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে কিছু কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ।
তারা বলেছিল সরকার নির্বাচন করতে পারবে না, তারা তা ঠেকাতে পারেনি। নির্বাচন হয়ে গেছে। তারপর বলেছে পাঁচ দিনের বেশি সরকার টিকবে না। ৭ জানুয়ারি থেকে তিন মাস হয়ে গেল। বিএনপির এখন চেয়ে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু করার নেই। গণতন্ত্র তারা ধ্বংস করেছে। আর গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।’
‘সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কিভাবে হরিলুট চলছে? কোথায় হরিলুট চলছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না, সত্য বলুন। ৮০ শতাংশ লোক জেলে, ফখরুল সাহেব মায়াকান্না কাঁদেন। এই ৮০ শতাংশের তালিকা কই? কোথায় হরিলুট চলছে? আমাদের আজকে পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন নেই, রাত নেই অবিরাম কষ্ট করে যাচ্ছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।’
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর লস্কর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্র : বাসস
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে। এ মাসকে ঘিরে মুসলিম ঐতিহ্যে রয়েছে নানা আয়োজন। এ সময় রোজাদারদের জন্য অনেকে ইফতার আয়োজন করে থাকেন। সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলেও রয়েছে ইফতার আয়োজনের দীর্ঘ ঐতিহ্য।
ঠিক এমনি এক ব্যক্তি হলেন আবদুল আজিজ আল-কুলাইব। তিন দশকের বেশি সময় ধরে পথচারীদের জন্য ইফতার আয়োজন করছেন প্রবীণ এই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়; বরং দীর্ঘ এই সময়ে তিনি পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কখনো ইফতার করেননি। সম্প্রতি সৌদি টিভি আল-ইখবারিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা জানান তিনি।
আল-কুলাইব জানান, ৩৮ বছর আগে সৌদি আরবের পূর্ব প্রদেশের জুবাইল শহরে রমজান মাসে গণ-ইফতারের আয়োজন শুরু করেন। তখন ছিল ১৪০৭ হিজরি সাল। সেই সময় থেকে আজ অবধি তিনি তার সন্তানদের সাথে ইফতার করতে পারেননি। অবশ্য এমন সামাজিক কাজ বাস্তবায়নে যারা তাকে সাহায্য করেছেন তিনি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবত্ পরিবারের সাথে ইফতার করতে না পারলেও সন্তানদের মধ্যে নেই কোনো আক্ষেপ; বরং পরিবারের সব সদস্য ইফতারের খাবার তৈরিতে আনন্দের সাথে বাবাকে সাহায্য করেন। তাছাড়া নিজ বাড়িতে ১৮ বছর ধরে উন্মুক্ত ইফতারের আয়োজন করছেন ইবরাহিম আল-তুর্কি।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা জানান। আল-তুর্কি সৌদি আরবের আল-কাসিম প্রদেশের উনাইজা শহরের বাড়িতে এই আয়োজন করে থাকেন। শুধু তাই নয়, ইফতারের খাবার পরিবেশনে তিনি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যথার্থভাবে অনুসরণ করেন।
এতে অংশ নেয়া অতিথিদের নানা রকম খাবার দেয়া হয়। এ আয়োজনে কারো কাছ থেকে তিনি কোনো অর্থ গ্রহণ করেন না; বরং পুরো ব্যয়ভার তার পরিবার বহন করে।
সূত্র : গালফ নিউজ
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
শবে কদর রজনিতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল ৬ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনি। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন। মহান আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাইল (আ.) অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কদরের রজনির অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) এক মুবারকময় রজনিতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনিতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনিতে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন।’
পবিত্র এই রজনিতে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মূল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও একই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। আমরা ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচির প্রয়োজন।
এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ১২ মার্চ এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই হিসাবে ১২ মের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য। তারা মূল্যায়ন শেষে বোর্ডে পাঠাবেন। তারপর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সেটা ১১ মের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০৫/০৪/২৪