বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

নওগাঁর রাণীনগরের পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের দাবীতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রধান শিক্ষক নিয়ম না মেনে নিজে কমিটিতে থেকে নিজের ছেলেকে নিয়োগ প্রদান করা এবং অপর দুইটি পদে ১০/১৫লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে নিয়োগ স্থগিত করতে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬এপ্রিল পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া এই তিনটি পদে তিনজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। নিরাপত্তাকর্মী পদে প্রধান শিক্ষক তার ছেলে মামুনুর রশিদকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন যা সম্পন্ন নিয়ম বর্হিভ’ত। নিয়মানুসারে প্রধান শিক্ষক ওই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব তাই তিনি ওই নিয়োগ কমিটিতে থেকে কিভাবে তার ছেলেকে নিয়োগ দিতে পারেন। যিনি শত শত শিক্ষার্থীদের নিয়ম মানার শিক্ষা দেন আর তিনিই নিজের স্বার্থ হাছিলের জন্য অন্যের হক আদায় না করে সুযোগে সদ্ব্যবহার করতে চলেছেন।

এছাড়াও সুযোগ বুঝে প্রধান শিক্ষক অপর দুটি পদের জন্য গোপনে প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০/১৫লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৬এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রহসনমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার কোন বিকল্প নেই।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেন সুযোগ বুঝে প্রধান শিক্ষক সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম ভেঙ্গে তার ছেলেকে নিয়োগ দিবেন এটি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। এমন কর্মকান্ড বিদ্যালয়ের জন্য যেমন সুখকর নয় তেমনি ভাবে বিদ্যালয় নিয়ে এলাকাবাসীদের মাঝেও নেতিবাচক মনোভাবের জন্ম দেয় যা বিদ্যালয়ের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাই প্রধান শিক্ষকের আয়োজিত এই প্রহসনের নিয়োগ স্থগিত করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করতেই আবেদনকারী অন্যান্য প্রার্থী ও এলাকাবাসীদের অনুরোধ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি শতভাগ আশাবাদি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুতই একটি সুষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের মোবাইল ফোনে (০১৭৫৯৪৪৯৫৬৭) একাধিকবার ফোন দিলে তা রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান কোন শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে থেকে নিজের সন্তান কিংবা আত্মীয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন না। যে পদে সন্তান কিংবা আত্মীয় পরীক্ষা দিবে সেই পদের পরীক্ষা এবং ভাইভা বোর্ড থেকে অবশ্যই ওই শিক্ষককে বিরত থাকতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ডেস্ক ।।

চলতি বছরের জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু জুন মাসের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সীর সই করা চিঠি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। যদিও মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করে ডিএমটিসিএল। কিন্তু রাজস্ব বোর্ডের পর্যালোচনায় দেখা যায়, রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত দেশের কাতারে সামিলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ওই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পাদনে সরকারকে প্রতিনিয়ত অর্থের জোগান দিতে হচ্ছে, যা মূলত আহরিত হচ্ছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের মাধ্যমে। দেশীয় শিল্পের বিকাশ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সময়ে সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।

উন্নয়নের বিপুল কর্মযজ্ঞে অর্থের জোগান অব্যাহত রাখাসহ দেশকে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন এবং কর-জিডিপি অনুপাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সেজন্য বিভিন্ন খাত থেকে কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকুচিত করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় মেট্রোরেল সেবার ওপর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষে পুনরায় অব্যাহতি প্রদানে এনবিআর অপারগতা জ্ঞাপন করছে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতোদিন।

নিউজ ডেস্ক।।

রাজধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্ম সম্পর্কে জানেন অনেকেই। তিনি একা নন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এতে জড়িত। অনেকে তার অপকর্মের আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন।

রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন, তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতেন না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আবার অনেকে চাকরি করছেন। এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো, এই প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন— সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটা ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো। সবকিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

হারুন বলেন, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে অনেক ব্যাপারে চুপ থাকছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পবিত্র ঈদুল ফিতরে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. টার্মিনালের ভেতর থেকে বাসে যাত্রীদের উঠা-নামানোর কাজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টার্মিনাল থেকে বের হয়ে সড়কে পার্কিং করে বাসে যাত্রী উঠা-নামানো যাবে না ।

২. গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। বিশেষ করে ছাদে কোনো যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করবেন না ।

৩. দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী উঠা-নামার কাজ করবে না।

৪. যাত্রার শুরুতে যাত্রীদের নিজ নিজ মালামাল নিরাপদে রাখার জন্য আহ্বান ডিএমপির।

৫. যাত্রাকালে যাত্রীদের অপরিচিত কোনো ব্যক্তির দেওয়া খাবার গ্রহণ না করার আহ্বান।

৬. মোটরসাইকেলে দূরপাল্লার যাত্রীদের অবশ্যই যাত্রাকালীন হেলমেট পরতে হবে।

৭. ঝুঁকি পরিহার করার জন্য মোটরসাইকেল যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল বহন না করা জন্য আহ্বান ডিএমপির।

৮. দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক যাত্রী না উঠার আহ্বান।

৯. যারা নিজস্ব গাড়িতে বা মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার যাত্রায় অংশীদার হবেন তাঁরা নিজ নিজ মালিকানাধীন যানবাহনের ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

১০. যাত্রাকালে নিজ নিজ ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই যানবাহনের সঙ্গে থাকতে হবে।

১১. গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও ফিটনেসের বিষয়টি মালিক/শ্রমিকরা নিশ্চিত করবেন এবং তা অবশ্যই যানবাহনের সঙ্গে রাখতে হবে।

১২. অনেক সময় টার্মিনালের ঠিক বাইরে সড়কে, বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে, খালি ট্রাক/পিকআপে যাত্রী বোঝাই করে দূরপাল্লার যাত্রা পরিহার করা জরুরি।

১৩. নগরবাসী এবং বাসমালিকদের কাছে অনুরোধ, যানবাহনের চালক যেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অসুস্থ না থাকেন সে বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দেওয়া।

১৪. চালকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ, ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালাবেন না। কেননা তা নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।

১৫. ঈদের শুরুতে দেখা যায়, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ছুটি হলে লাখ লাখ শ্রমিকের বাড়ি ফেরার সুযোগ নিয়ে অনেক ফিটনেসবিহীন গাড়ি অযাচিতভাবে সড়কে, মহাসড়কে নামানোর প্রয়াস চালানো হয়। এতে যানজট সৃষ্টি হয়, আবার দূর-দূরান্তে যাত্রাপথকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই দূরপাল্লার এবং সিটিং সার্ভিসের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনের মালিকদের এ বিষয়ে সতর্ক থেকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

১৬. যে সব যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি যেন মেয়াদোত্তীর্ণ/ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে সে বিষয়টি যাত্রা শুরুর আগে নিশ্চিত হতে হবে।

১৭. বাস যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে সপরিবারে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করবে।

১৮. লঞ্চ টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীদের গমনাগমন সুষ্ঠু করতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।

১৯. রমজানের শেষপ্রান্তে বিভিন্ন মার্কেট কেন্দ্রিক ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পার্কিং এর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। মার্কেটের আশেপাশে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নিশ্চিত কতে আসা যানবাহনের চালকদের মার্কেট সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

২০. মার্কেট কেন্দ্রিক পথচারী/ক্রেতা-বিক্রেতাদের সড়ক পারাপারের ক্ষেত্রে ফুটওভার ব্রিজ/জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।

২১. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ/বাহির পথে যানবাহন চলাচল সুষ্ঠু স্বাভাবিক রাখতে পার্শ্ববর্তী সব পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও বদলির ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা ২০২৪’–এর খসড়া প্রণয়নও করা হয়েছে।

তবে কেবল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরাই এ সুযোগ পাবেন। সূত্রমতে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সভার মধ্য দিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন পাঁচ লাখের মতো। এখন পর্যন্ত এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে সেখান থেকেই অবসর নিতে হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কারণ তাদের বদলির কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয়, নিয়োগরে ক্ষেত্রেও একসময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরিভাবে নিজেদের উদ্যোগে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিত।

খসড়া নীতিমালায় বদলির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘বদলির আবেদন অধিকার বা সুযোগ হিসেবে দাবি করা যাবে না। বদলির জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠনের সুপারিশ শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বদলির জন্য বদলি হওয়া শিক্ষক কোনো ভাতা পাবেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বদলির পাবেন এমন শিক্ষক আছেন এক লাখের বেশি। যেহেতু এসব শিক্ষক এনটিআরসিএর সুপারিশে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছেন তাই আপাতত তাঁদের বিষয়টিই বদলির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, এনটিআরসিএর প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি থেকে সংস্থাটির সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরাই বদলির সুযোগ পাবেন। সমপদে ও সমস্কেলে বদলির জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। প্রতিবছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ও জনবল কাঠামোর ১৯৯৫, ২০০৫, ২০১০, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২১ সালের নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির কথা বলা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলির ব্যবস্থা রেখে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ জারি করে।

এতে বলা হয়, এনটিআরসিএ’র সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক/প্রদর্শক/প্রভাষকদের কোনো প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে সমপদে ও সম স্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা প্রণয়ন করে জনস্বার্থে আদেশ জারি করতে পারবে।

নিউজ ডেস্ক।।

এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে উত্তাল দেশের শিক্ষাঙ্গন। সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ চাইছে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি আবারও চালু হোক। কিন্তু বুয়েট শিক্ষার্থীরা চাইছেন, ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতি মুক্ত হোক। এমন অবস্থায় কেউ কেউ বুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এমন অবস্থায় কেউ কেউ বুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার অনেকেই ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন।

এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে অপি করিম লিখেছেন, ‌‘বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলামনাই হিসেবে, আমি বুয়েটে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।’

হ্যাশট্যাগে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’। অপি করিমের সেই স্ট্যাটাসে অনেকেই তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। আবার অনেকেই তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গবেষক, লেখক, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও শিক্ষক চমক হাসান বলেছেন, আমি বুয়েটের অ্যালামনাইদের একজন হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, বুয়েটে ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ থাকা উচিত। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র শিবির- কিছুরই দরকার নাই।

তিনি লেখেন, কারণ দেখানো খুব সহজ। দুই কলামের একটা সারণি বানানো হোক। বামপাশে থাকুক ছাত্র-রাজনীতির উপস্থিতি বুয়েটে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন উপহার দিয়েছে তার একটা তালিকা, আর ডানপাশে থাকুক ছাত্র-রাজনীতির উপস্থিতির কারণে কী কী যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে গেছে ছাত্র-শিক্ষক-প্রশাসন, তার একটা খতিয়ান। ডানপাশে আবরার, সনি এই নামগুলোর কোনো একটার যে ভার, সেটা বামপাশের সম্মিলিত ভারের চেয়েও বহুগুণে বেশি। এরপরেও ডানদিকের তালিকায় র‍্যাগিং, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, ক্ষমতা প্রদর্শনী, অন্যায় সুবিধাভোগ – এসবের উপাখ্যান পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যাওয়া যাবে। তাহলে ছাত্র-রাজনীতি কেন চাইবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করে চমক হাসান বলেন, ডিপার্টমেন্টের প্রিয় জুনিয়র আবরারকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, মন থেকে সেই ক্ষত এখনও মুছে যায়নি। চেনা জুনিয়রদের সাথে যত আলাপ হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আবরার-হত্যার ঘটনার পর যখন ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, তারপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক শান্তিতে ছিল, আছে। কোনো যুক্তিতেই আবার ওই নরক ফিরিয়ে আনার মানে হয় না।

চমক হাসান আরও বলেন, ছাত্রলীগ না থাকলে শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এটাও মেনে নেওয়ার মতো যুক্তি না। সহজ কথা ছাত্র রাজনীতি নেই মানে কোনো সংগঠনেরই কার্যক্রম নেই। ছাত্রলীগও না, শিবিরও না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাইকেই প্রতিহত করবে। গত কদিনে সবার সাহস আর ঐক্য দেখে তাদের প্রতি এই ভরসা আমার আছে।

সবশেষে চমক হাসান তার পোস্টে বলেন, একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে, পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা যে ঐক্য দেখিয়েছে, সেটা অসাধারণ। মন থেকে ভালোবাসা আর টুপিখোলা সালাম! আমার পূর্ণ সমর্থন রইলো তোমাদের জন্য।

নিউজ ডেস্ক।।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবারো ডাক পাননি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বল্পনা রানী। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভালো ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেরোবির অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যথাযথভাবে আবেদন করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো চিঠি, প্রবেশপত্র, ইমেইল বা মেসেজ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এবং অন্য কাউকে সুযোগ না দিতে কৌশলে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগেও বিশ্বববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগেও নিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তারকে একই কৌশলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। পর্বর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি।

স্বল্পনা রানী বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের ২০০৮-৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতকে ৩.৭৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৭৮ সিজিপিএ অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি আবেদনপত্র জমা দেন।

স্বল্পনা রানী বলেন, আমি বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি শিক্ষক নিয়োগের জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেছি। এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করেছিলোম। কিন্তু আমাকে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো রকম চিঠিপত্র বা মেইল করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল কেটে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী জানান, তিনি দরকারি কাজে চট্টগ্রামে আছেন। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিভাগে ভালো ফলাফল করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে চান না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ না দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। এর ফলাফল স্বরুপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী নানা বিতর্কের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের জামাত আগামী ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় (টানেলের নিচে) ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, অন্যান্য হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেবেন।

উল্লেখ্য, এ জামাত সবার জন্য উন্মুক্ত। জামাতে আগ্রহী মুসল্লিদের অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক।

ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চলাচলে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার ঈদযাত্রা নিয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক বিভাগের প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ঝুঁকি পরিহার করতে মোটরসাইকেল যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল বহন না করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক যাত্রী না উঠার জন্য বলা হলো। এছাড়া মোটরসাইকেলে যারা দূরপাল্লার যাত্রী থাকবেন তাদের অবশ্যই যাত্রাকালীন হেলমেট পরিধান করতে হবে।

মুনিবুর রহমান জানান, যারা নিজ গাড়িযোগে অথবা মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার যাত্রায় অংশীদার হবেন তারা নিজ নিজ মালিকানাধীন যানবাহনের ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত করে নেবেন। যাত্রাকালে নিজ নিজ ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজ ও নথিপত্র অবশ্যই যানবাহনে সুরক্ষিত থাকতে হবে।

জসীমউদ্দীন ইতি।।

চলমান বাজেটের একটি আলোচ্য বিষয় বিদেশ থেকে "শিক্ষক আমদানি” করা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে শিক্ষা ও শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে আপনাদের জাহাজ পরিকল্পনা চলছে।এতই যখন শিক্ষা নিয়ে ভাবছেন তখন একজন ক্ষুদ্র শিক্ষক হিসেবে আপনাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্নঃ “শিক্ষা " বিষয়টি কি শিক্ষক সংশ্লিষ্ট নয়?

ছোট বেলায় শুনতাম শিক্ষকের যে দীক্ষা সেটাই শিক্ষা।তাহলে শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে এত ভাবছেন শিক্ষকের জীবন-মান উন্নয়ন নিয়ে কি ভাবছেন তা কি জানিয়েছেন?এত বড়ো মাথা মুডা বুদ্ধিটা যিনি প্রসব করেছেন আমি তাকেই বলছি, ১০০০ টাকায় কোথায় বাড়ি ভাড়া হয় একটু জানাবেন প্লিজ?৫০০ টাকায় চিকিৎসা ভাতা!

একটা ডাক্তারের ভিজিটেই তো ৫০০ টাকার উপরে।তাহলে এটা কি দিচ্ছেন শিক্ষকদের? ৩০০ টাকা দিচ্ছেন সারা মাসের নাস্তা খরচ। বিবেকের কাছে জবাব দিন আপনার দৈনিক নাস্তা/আপ্যায়ন খরচ কত?ন্যূনতম পত্রিকা পড়ার সামর্থটুকু থাকলে আপনি খোঁজ নিয়ে জানান বেসরকারি শিক্ষকদের যোগ্যতা আপনার চেয়ে/ সরকারি শিক্ষকদের চেয়ে তিল পরিমান কম কি না?

আর শিক্ষক আমদানির কথা বলছেন? আপনি কি কখনো পত্রিকায় চোখ ভুলান? ভুলিয়ে থাকলে দেখে থাকবেন আমাদের ছেলেরা নাসায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।ইউটিউবের আবিষ্কারক আমাদের।অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে আমাদের ছেলেরা।তাহলে কাদের শিক্ষার জন্য শিক্ষক আমদানি করতে চাচ্ছেন?

প্রশ্ন করবেন নাসায় যাচ্ছে মেধাবীরা আর বেসরকারি শিক্ষকরা মেধাবীরা নয়।।আমি আপনাকে একটা ওপেন চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, আনেন আপনার বিদেশি শিক্ষক আর তাকে দিয়ে একটা ক্লাস করান।দেখি জীবন দক্ষতার দশটি উপাদান সহ শ্রেণী শিক্ষকের বিশটি ক্রাইটেরিয়ার কয়টি ফলো করে ঐ শিক্ষক ক্লাস নেন।তার পর শিক্ষার্থীদের কাছে খোঁজ নিন বিদেশি শিক্ষকের কেমন যোগ্যতা সম্পন্ন!আশা করি ফল পেয়ে যাবেন।

বড়ো সখ করে শিক্ষকতাকে ভালো বেশে দেশ সেরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে শিক্ষকতায় প্রবেশ করেছিলাম।এখন যা পাচ্ছি তা লিখলে পত্রিকার পাতা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবে না। বলবেন মেধাবী হলে তো ভালো চাকরিই হতো।আমি স্পষ্ট করে বলি আপনাদের এই মানসিকতার জন্যই দেশের শিক্ষার এই অবস্থা।

শিক্ষক আমদানি লাগবেনা শুধু মাত্র ঐ ন্যরো মানসিকতাটা বদলান,দেখবেন মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসবে,দেশ শিক্ষায় উন্নত হবে।পাশাপাশি আমদানি নয় ভবিষ্যতে শিক্ষক রপ্তানি করতে পারবেন।সন্তানের সাথে সন্তানের মায়ের খোঁজ নিন দেখবেন দেশের শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে জাহাজ পরিকল্পনা করে দেহের ঘাম ঝাড়াতে হবেনা।

এমনিতেই তা হয়ে যাবে।আমি কোন এমপি,মন্ত্রি বা কোন মাস্টারপ্লানার নই।তারপরো লিখে রাখুন কথাটা।শিক্ষা নিয়ে যখন এতই ভাবছেন।আশা রাখি কাজে লাগবে।

ভালো বেতন হলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসবে সেই সোজা হিসেবটা মাথায় আসছেনা না? বিদেশ থেকে শিক্ষক আমদানি করবেন ভালো কথা।বিদেশে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন দেয়া হয়,সম্মান দেয়া হয়,বিদেশের এই শিক্ষাটা আমদানি করুন।তাই বলবো শিক্ষক নয় শিক্ষককে সম্মান দেয়ার শিক্ষাটা আমদানি করুন।

হলফ করে বলতে পারি শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এই দেশে শিক্ষিত হয়ে নিজ দেশে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত করেছে, আমরা কেন তা পারছিনা সেটা নিয়ে একটা বুদ্ধি প্রসব করতে পারলেননা?

৫% ইনক্রিমেন্ট দিয়ে ৪% কর্তন করা হলো পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির কোথায় আছে একটু বের করে দেখাবেন কি? ইরানের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করতে না পারায় পদত্যাগ করলেন আর বাংলাদেশে ৪% বেতন কর্তনের পর শিক্ষামন্ত্রী তো দূরের কথা কোন্ বিশিষ্ট নাগরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে দেখান? তাই প্লিজ শিক্ষকদের নিয়ে এসব মশকরা বন্ধ করুণ।

সময় থাকতে একটু ভাবুন।বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার শিক্ষার জন্য অনেক পরিকল্পনা করছেন।কিন্তু কতিপয় মাথামুডা বুদ্ধিজীবির জন্য সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনাার কাছে আকুল অনুরোধ,আপনিই আমাদের শেষ ভরসা।আপনার মাধ্যমেই শিক্ষকদের একটু বেঁচে থাকার ব্যবস্থা আশা করছি।একযোগে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করন করে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করুণ।

জাতি গঠনের কারিগররা সারা জনম আপনাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।পরিশেষে বলবো, নেপোলিয়ন বলেছিলেন, তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেবো। আপনারা শিক্ষকদের সম্মান দিন,শিক্ষকরা আপনাদের একটি সুশিক্ষিত উন্নত সমাজ গড়ে দেবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/০৪/০৪/২০২৪

আ, তা, মু, নিজাম উদ্দীন।।

পবিত্র রমজান মাস চলছে, আর কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে এখন থেকেই চারিদিকে উৎসব উৎসব ভাব। সিয়াম সাধনা ও ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ঈদ উৎসব পালনে ঘরে ঘরে চলছে কেনাকাটার আমেজ। ঘরের ছোটবড় সকলের জন্য চলছে কেনাকাটা।

প্রত্যেকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টার কমতি করছেন না। তবে সেই আমেজ অনেকটাই ম্লান বেসরকারি শিক্ষকদের ঘরে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই যুগে বেতন দিয়ে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে ‘সিকি বোনাস’ (বেসিকের ২৫%) দিয়ে ঈদের কেনাকাটার চিন্তা করাটা যেন আকাশ কুসুম কল্পনা। তারউপর মূল বেতন (এমপিও) ঈদের ছুটির আগে তুলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তাই অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য ঈদ আসে না!

অথচ গত দুই যুগ ধরে শিক্ষকরা শতভাগ বোনাসের দাবি জানিয়ে আসলেও সেটাতে কর্ণপাত করছেন না কেউ। সর্বশেষ গত ১১ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২১ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়।

ওইসময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) এর আহ্বানে মাধ্যমিকের শিক্ষকরা টানা ২১ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলন চলাকালে তারা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির সাথেও বৈঠক করেন। তবে সেখানে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কোনো সুরহা না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন।

তবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ারের আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে যান শিক্ষক নেতারা। সেখানে তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী (বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী) মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক উপকমিটির নেতাদের সাথে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

ওই সময় তাদেরকে আশ্বাস দেয়া হয়, এই মুহূর্তে জাতীয়করণের বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও সরকারি শিক্ষকদের সাথে তাদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তবে আন্দোলনের পর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষকদের কোনো দাবিই সরকার বাস্তবায়ন করেনি। এতে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও আক্ষেপ বাড়ছে।

দেশের ৩% শিক্ষা কার্যক্রম সরকারি শিক্ষক দ্বারা চললেও ৯৭% চলে বেসরকারি শিক্ষক দ্বারা। অথচ ৩% সরকারিরা সব সুযোগ সুবিধা, বেতন-বোনাস পেলেও একই সিলেবাস ও কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা বেসরকারিরা অনেকটাই অবহেলিত। তাই শিক্ষকদের দাবি দাওয়া অগ্রাহ্য করে তাদের আর্থিক সংকটে রেখে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা বিবেচনায় আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দুটি শিক্ষাধারা বেসরকারি শিক্ষা হিসেবে চালু আছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজ ও অপরদিকে আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা। উভয় শিক্ষা আজও অবহেলিত, বঞ্চিত এবং উপেক্ষিত। চলমান মুদ্রাস্ফীতিতে সরকারের এমপিও দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা পাঠ্যক্রম সমান হলেও শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধায় রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।

এসব বৈষম্য নিরসনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও তা আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ আন্দোলনের আগে তাদের দাবি-দাওয়ার মধ্যে ছিল- সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর করা, শতভাগ বোনাস, সম্মানজনক বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা নিশ্চিত করা। তবে এসব দাবি মেনে না নেয়ায় ক্রমান্বয়ে জাতীয়করণ আন্দোলনে গড়ায়।

এদিকে জাতীয়করণের বিষয়ে শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ জরুরি। তাদের অভিযোগ, আর্থিক সংকট এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা নয়; সমস্যা সদিচ্ছার। তারা বলছেন, সমস্যা সর্বত্র। যেখানে সংকট আছে সেখানে সমাধানও আছে। তবে সমাধানের জন্য সংকটের মূল কারণ বের করা এবং ওই কারণ দূর করার উপরই সমাধান নির্ভর করে।
লেখক- প্রভাষক, সাবেক ব্যাংকার ও গণমাধ্যমকর্মী

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/০৪/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে (ইউজিসি)। ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো ‘দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

গত ০১ এপ্রিল ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে ১০৪টি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত / অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ।

আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না—সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান মঞ্জুরি কমিশনের।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/০৪/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram