নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নতুন কারিকুলামে অটিজম শিশুরা আরও বেশি শিখতে পারবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আগে যে পদ্ধতি ছিল, তা অটিজম শিক্ষার্থীদের জন্য আরও চাপের ছিল। বর্তমানে নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে অটিজম শিশুরা আরও বেশি শিখতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে সাধারণ যে শিক্ষার্থীরা আছেন, তারাও উপলব্ধি করতে পারবেন দলগত কাজ করলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা দ্রুত মূল ধারায় ফিরতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অত্যন্ত প্রয়োজন।
বিমঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ব অটিজম দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আপনারা ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজের (নায়েম) নাম শুনেছেন। সেটার ডিজাইন আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। সেখান থেকে আমাদের সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রস্তুত করা হবে।
তিনি বলেন, সেখানে শুধু অটিজম শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা হবে, তা না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও হবে। যারা প্রশিক্ষণ পাবেন, তারা সেখান থেকে মাস্টার ট্রেইনার হবেন। তারা দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের অটিস্টিক সন্তানদের কীভাবে মূল ধারায় আনা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন। যাতে তারা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অটিজম শুধু পালন নয়, প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে অটিস্টিক শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা ও তাদের অধিকারের প্রশ্নে সবার দায়িত্বশীল হতে হবে। যারা অটিস্টিক তাদের আগে সামাজিকভাবে গুটিয়ে রাখা হতো। তবে এখন তাদের নিয়ে আজ এ দিবস পালন এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমাদের সন্তাদের মধ্যে যারা অটিস্টিক তাদের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। তাদের চাহিদা আমাদের বুঝতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
ঢাকাঃ বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, শিক্ষার মান ঠিক রাখতে না পারলে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি বাদে আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ডিপ্লোমাইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান ভালো থাকুক এটা আমরা চাই। বুয়েটের শিক্ষার মান নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। বুয়েটের ছাত্ররা যেনো ছাত্র থাকে। বুয়েটে ছাত্র অবস্থায় আমি রাজনীতিবিদ হয়নি, পাশ করে রাজনীতিবিদ হয়েছি। সবার কাছে আহ্বান রাখছি, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেনো শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।
তিনি বলেন, দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ৫ বছরেই শেষ। বাকি ৪০ হাজার ভোটিং মেশিনও অকেজো হওয়ার পথে। বেশির ভাগ ইভিএম-ই এখন অকেজো। শেষ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধিন কেনা ইভিএম সম্পদের বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একইভাবে জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এসব পণ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম দেখে চালানটি আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
তারপর এসব পণ্য আমদানিকারক সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুধু এই দুটি পণ্য নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা এ চালানটির আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ মার্কিন ডলার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের দ্বিতীয় নিবাস গড়ায় নতুন করে উৎসাহ জোগাচ্ছে মালয়েশিয়া। মাঝে কড়াকড়ি করলেও এখন বিনিয়োগ টানতে 'মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)' কর্মসূচির শর্ত শিথিল করছে দেশটির সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
ঢাকাঃ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ডাক্তারদের হাতে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে অভিযোগ তুলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, গ্যাস্টিকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে, শিশুর সুন্নতে খাৎনা, প্রসূতিদের মৃত্যু হচ্ছে। যে ডাক্তারদের হাতে এদের মৃত্যু হচ্ছে, এরা কারা? এরা আওয়ামী লীগের আমলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ডাক্তাররা। এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বর্তমান সরকারের পাশাপাশি এদের প্রভু রাষ্ট্রও জড়িত।
তিনি বলেন, দেশে দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি করে তাদের রাষ্ট্রের প্রতি যেন আমরা নির্ভরশীল হয়ে পড়ি তার একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রভু রাষ্ট্র নানাভাবে আগ্রাসন করছে। চলছে অর্থনৈতিক আগ্রাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন।
মঙ্গলবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী প্রচারদল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ‘ভয়ে’ সাতক্ষীরা মেডিকেল বন্ধ ঘোষণাছাত্রলীগের সংঘর্ষের ‘ভয়ে’ সাতক্ষীরা মেডিকেল বন্ধ ঘোষণা
আলাল বলেন, আজকে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসেও আমাদের লাশ উপহার দেওয়া হয়। হত্যার পর এদের গরু চোর বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ফেলানীও কি গরু চোর ছিল? এসবের প্রতিবাদ করলেই বলা হয় পাকিস্তানের দালাল। পাকিস্তান আমলেও তো এত সীমান্ত হত্যা হয়নি। আজকে নির্লজ্জের মতো সংসদে বলা হয় ভারতকে এতকিছু দিয়েছি যে তারা আজীবন মনে রাখবে। এই নতজানু সরকারের জন্য দেশ আজ ধীরে ধীরে পরাধীন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। কেউ সত্য বলতে পারে না, লিখতে পারে না। এমন একটি সময়ে সরকারের অন্যায়-অবিচার এবং রাজপথে নেতাকর্মীদের ভূমিকা প্রচার দল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে তুলে ধরছে তা জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
প্রচারদলের উপদেষ্টা ও বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, প্রচারদলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি আল আমিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমা আক্তার স্বপ্না, আসাদুজ্জামান আকাশ, সহ সাংগঠনিক ও যুক্তরাজ্য প্রচারদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
সাতক্ষীরাঃ ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মারামারির জেরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের হল সুপার ও তথ্য কর্মকর্তা অধ্যাপক নাসির উদ্দিন গাজী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটা থেকে ছাত্র ও ছাত্রীদের হলের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এবং সামেকের শিক্ষা কার্য্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামেকে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। ওই কমিটিতে দুই গ্রুপ ছাত্রের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এটি সাংঘর্ষিক পর্যায়ে চলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এস এম রায়হান কবির জানান, কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নতুন কমিটির নেতারা তার হাতের আঙুল ভেঙে দিয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেরদিন রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মুহিতের ইন্টার্নশিপ দুই মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সভাপতি আব্দুল মুহিত ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার জানিয়েছে, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকা হবে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন ঘটবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ১১টি বিষয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়। এর বাইরেও কিছু বিষয় আছে, সেগুলোও রেখে বাজেট করা হবে।’
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, সংসদ সদস্য মো. নাসির শাহরিয়ার জাহেদী, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বাজেট ও সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৮ লাখ কোটি টাকা। আমরা এরই মধ্যে নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমরা কর জিডিপি রেশিও বাড়াতে আগ্রহী। প্রকৃত অর্থে মুক্ত অর্থনীতির অনুসারী আমরা না। আমরা মূলত কল্যাণকর অর্থনীতির অনুসারী। জনকল্যাণ অর্থনীতির জন্য যা করার তাই করা হচ্ছে। জনকল্যাণকর অর্থনীতিতে দেশ চলছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো। সুদহার বাড়ানোর মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘বিগত দুই বছরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। কোভিড-১৯, ডলার সংকট, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাততো ছিলই। ব্যবসার ওপর ট্যাক্সের চাপ বাড়লে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়। যেটা অর্থনীতি নিতে পারবে না। এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে ট্যাক্স ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু প্রদক্ষেপ জরুরি। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের প্রবাহ বাড়াতে হবে, ট্যাক্স না বাড়িয়ে ট্যাক্সের আওতা বাড়াতে হবে এবং ট্যাক্স সম্প্রসারণ সহজ করতে হবে।’
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বছরের বাজেটের তাৎপর্য রয়েছে। চাপ রয়েছে মূল্যস্ফীতি ও বিদেশি মুদ্রার। আমদানি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়, এক্ষেত্রে কিন্তু বিদেশি মুদ্রার চাপও রয়েছে আমাদের। উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো ও সরকারি ব্যয় কমানো মুখোমুখি অবস্থানে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘১০ বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এ কারণে আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে রাজস্ব আহরণ সংস্কার প্রয়োজন, মুদ্রা বিনিময়হার সংস্কার দরকার। একইভাবে ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা গুণগত মান বজায় রাখা দরকার।’
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, ‘বাজেট তৈরি করা হচ্ছে, পাস হচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বাজেট করা হচ্ছে বড় আকারের, একাধিক বিষয়ের বিশ্লেষণে। সাধারণরা সেখানে যেতে পারছে না। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাজেট পেশ হলো কয়েক পৃষ্ঠার। আবার বাজেট তৈরি করা হয়, সব মহলের বাজেট বক্তৃতা হয়, তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? বাজেট তৈরির আগেই সবার মতামত নেওয়া দরকার, স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে পেশ ও মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন। এটা হলে বাজেট বাস্তবায়ন না হলে তাদের ধরা যেতো।’
কর বাড়ানো নিয়ে এনবিআরের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এনবিআরের কর আদায় প্রক্রিয়া অনলাইন বা ডিজিটালাইজেশন কেন হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। অনেক আগেই এটা হওয়া উচিত ছিল। আজ আমাদের করদাতা বাড়ছে না। অথচ উপজেলা পর্যায়েও মানুষের আয় বেড়েছে, সে হারে করদাতা বাড়েনি। কর খেলাপিদের বাড়তি সুযোগ দেওয়ার কারণে সাধারণ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এনবিআরের কর আদায় প্রক্রিয়া অনলাইন বা ডিজিটালাইজেশনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এনফোর্সমেন্ট বাড়াতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ সব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে কাজে লাগাতে হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
সুনামগঞ্জঃ জেলায় মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে ভার্চুয়াল যুক্ত থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নজরুল ইসলাম নামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমি আমেরিকার একটি শহরে বসবাস করি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পুরোনো বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের (৩০) সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা, আইফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। তার দ্বারা আমি মারাত্মকভাবে প্রতারিত হয়েছি। তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাই।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৮ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তাহেরার সঙ্গে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর একপর্যায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আন্তরিকতা তৈরি হয়। এরই মধ্যে তাহেরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে আমার সঙ্গে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। আমি সরল মনে রাজি হই।’
তাহেরা বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে টাকা নিয়েছে বলে দাবি করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ইনকাম থেকে কষ্ট করে তার জন্য টাকা পাঠাই। সে আমার পাঠানো ১৫-২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছে। তার দুই বোনের সরকারি চাকরি ও বিয়ের জন্য আমার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে। আমি সরল চিন্তা থেকে ব্যাংক মারফত এবং বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দফায় দফায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। এর বাইরেও তাহেরা আমাকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাসে মাসে হাতখরচের টাকাসহ আইফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়েছে আমার কাছ থেকে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দেশে আসতে চাইলে তাহেরা বাধা দিত। সে চাকরি ছেড়ে উন্নত জীবনের জন্য আমেরিকায় আমার কাছে আসার ইচ্ছা জানায়। আমেরিকায় আসার জন্য সরকারি ছুটিতে আমার টাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আইইএলটিএস করে। সে নিজের পেশাগত পরিচয় আড়াল করে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে একটি ও সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আরেকটি পাসপোর্ট বানায়।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালে একাধিক ছেলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে, যা প্রথমে আমি জানতাম না। পরে বিভিন্ন মারফতে ও তাঁর আচরণে বিষয়টি বুঝতে পারি। আইইএলটিএস করার সময় তাহেরা একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। দু-এক মাস আগে তাহেরা গোপনে সেই ছেলেকে বিয়ে করে।’
স্কুলশিক্ষিকা তাহেরার আচরণে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নজরুল ইসলাম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। তিনি বলেন, ‘তাহেরা আমাকে এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে নারী নির্যাতনের মামলা দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে স্কুলশিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েট থেকেই ছাত্রলীগের আধুনিক রাজনীতি শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ধরে রেখে সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি শুরু করবে ছাত্রলীগ। প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গেও আলাপ করে সংস্কৃতি চর্চা শুরু হবে। ক্যালেন্ডার তৈরি হবে।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম এরপর বলেন, বুয়েটের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না ছাত্রলীগ। বুয়েট থেকেই শুরু হবে ছাত্রলীগের আধুনিক ও পরিবর্তিত রাজনীতি। বাইরে থেকে নেতৃত্ব তৈরি হবে না, নিজেরাই নেতৃত্ব করবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুয়েট থেকে হবে মডেল ছাত্র রাজনীতির শুরু।
আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্রলীগ বুয়েটে নিজেদের কমিটি দেবে উল্লেখ করে এ ছাত্রনেতা আরো বলেন, বুয়েটে কমিটি গঠনে তাড়াহুড়া নেই। শিক্ষক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ঘোষণা অনুযায়ী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হল ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রলীগ। আধুনিক, স্মার্ট, পলিসি নির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সংগঠনটি। এরপর সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। এছাড়া বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আলোচনায় বসা হবে প্রশাসনের সঙ্গে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
ঢাকাঃ তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী তথ্য সরবারাহের সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন। এই সিদ্ধান্ত তথ্য কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সোয়া ১০টায় তিনি তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেওয়া শেষে বেলা পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন।
সিএনজিতে উঠে ইউএনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।'
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সন্তান সাথে থাকা অবস্থায় অন্য কোনো নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা যায় কী না। এমন প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।
উল্লেখ্য, শফিউজ্জামান তার ছেলে শাহরিয়ার জাহানকে সঙ্গে নিয়ে এডিপি প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন। আবেদনটি কার্যালয়ের গোপনীয় সহকারী (সিএ) শীলার কাছে দিয়ে রিসিভড কপি (গ্রহণের অনুলিপি) চান। শীলা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। শফিউজ্জামান অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আবার শীলার কাছে অনুলিপি চান।
তখন শীলা বলেন, ‘ইউএনওকে ছাড়া রিসিভড কপি দেওয়া যাবে না।’ পরে শফিউজ্জামান জেলা প্রশাসককে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। এতে ইউএনও আরও ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে নকলা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ইউএনও ও সিএ শীলার সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে শফিউজ্জামানকে আটক করে। পরে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ ওই কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শফিউজ্জামানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
এ ঘটনার পর তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার পরও সাংবাদিককে তথ্য না দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় তথ্য কমিশন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
কিশোরগঞ্জঃ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভুক্তির আবেদনের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক গোলাম মস্তুফার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার কোদালিয়া সহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বিদ্যালয় চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য সাইদুর রহমান, আবদুল মোমেন, সদস্য আবদুল মাজহারুল হক এংরাজ, সহকারী শিক্ষক হাফিজ উল্লাহ, মাসুদ আহমেদ, আলী হোসেন, মনি রানী গুন, তাসমিন আক্তার, চন্ডিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, ২০১৪ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মো. মাজহারুল হক মাসুদ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা নামে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন।
এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে এ নিয়োগের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সহকারী জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ফলে গোলাম মোস্তুফা প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ে আর যোগদান করতে পারেননি। মামলাটি বর্তমানে চলমান। এছাড়াও এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গোলাম মোস্তুফার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে।
একাধিক মামলার পরেও হাল ছাড়েননি গোলাম মোস্তুফা। সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল হক মাসুদের যোগসাজসে ২০২১ সালে তার স্বাক্ষরিত একটি পেশাগত দক্ষতার সনদ ও প্রত্যয়নপত্র নেন গোলাম মোস্তুফা। পরে ২০২৩ সালে বর্তমান সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদের স্বাক্ষর জাল করে একাধিক কাগজপত্র তৈরী করে গোলাম মোস্তুফা তার নাম এমপিও ভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে আবেদন করে এমপিও ভুক্ত হন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। পরে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ১৮ মার্চ গোলাম মোস্তুফার এমপিও ভুক্তির আদেশ স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ আরও বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে এই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে রয়েছি। অথচ সাবেক সভাপতি মাজহারুল হক মাসুদ ২০২১ সালে কি করে তার স্বাক্ষরে গোলাম মোস্তুফাকে পেশাগত দক্ষতার সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন? এছাড়াও গোলাম মোস্তুফা ২০২৩ সালে আমার স্বাক্ষর জাল করে তার নাম এমপিও ভুক্তির জন্য মাউশিতে আবেদন করেছেন। আমি এদের দুইজনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম মোস্তুফা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বর্তমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভুক্তির আবেদনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে শূন্যপদ সংরক্ষণ করে বদলির নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা, ২০২৩ এর অনুচ্ছেদ ১.১ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/প্রধান শিক্ষকদের (চলতি দায়িত্ব ব্যতীত) ৩০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত একই উপজেলা/থানার মধ্যে (আন্তঃউপজেলা/থানা) এবং ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃউপজেলা/থানায় বদলি কার্যক্রম শুরুর অনুমতি নির্দেশক্রমে দেওয়া হলো।
তবে সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃউপজেলা/থানা বদলির ক্ষেত্রে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩’ এর মাধ্যমে নতুন নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূন্যপদ সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ অটিজম শিক্ষার্থীদের দেখাশোনায় একাডেমি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিশ্ব অটিজম দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজের ডিজাইন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে আমাদের সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রস্তুত করা হবে। সেখানে শুধুমাত্র অটিজম শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা হবে তা না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। যারা প্রশিক্ষণ পাবেন তারা সেখান থেকে মাস্টার ট্রেইনার হবেন। তারা দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের অটিস্টিক সন্তানদের কীভাবে মূল ধারায় আনা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন। যাতে তারা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে সাধারণ যে শিক্ষার্থীরা আছেন তারাও উপলব্ধি করতে পারবেন। দলগত কাজ করলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা দ্রুত মূল ধারায় ফিরতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অত্যন্ত প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে যে পদ্ধতি ছিল তা অটিজম শিক্ষার্থীদের জন্য আরও চাপের ছিল। বর্তমানে নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে আমাদের অটিজম শিশুরা আরও বেশি শিখতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অটিজম শুধু পালন নয়, প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে অটিস্টিক শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা ও তাদের অধিকারের প্রশ্নে সবার দায়িত্বশীল হতে হবে। যারা অটিস্টিক তাদের আগে সামাজিকভাবে গুটিয়ে রাখা হতো। তবে এখন তাদের নিয়ে আজ এ দিবস পালন এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমাদের সন্তানদের মধ্যে যারা অটিস্টিক তাদের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। তাদের চাহিদা আমাদের বুঝতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দুই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বদলীকৃত কর্মকর্তা দুইজন আগামী ৮ এপ্রলি তারিখের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
সোমবার মাউশির সহকারী পরিচালক (সাঃ প্রশাঃ রূপক রায় স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মমিন মন্ডলকে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ তাঁদের দায়িত্বে থাকা নথিপত্র তালিকা করে এবং মূলধনী সম্পদসমূহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নিকট যথাযথভাবে হস্তান্তর করে ছাড়পত্র নতুন যোগদানকৃত কর্মস্থলে জমাদান করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ পিডিএস হালনাগাদ করে বর্তমান কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনলাইনে অগ্রায়নপূর্বক নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০২/০৪/২০২৪