বৃহস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

১৯৮০ সাল থেকে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি শুরু করে। শুরুতে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেওয়া হলেও ২০০৮ সাল থেকে শতভাগ বেতন দেওয়া শুরু হয়। শিক্ষকদের আন্দোলন ও দাবির মুখে ২০০৩ সালে তাত্ক্ষণিকভাবে থোক বরাদ্দ থেকে শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী অর্থবছরে এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রেখে শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়া হবে। কিন্তু গত ১৯ বছরেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে। সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে। এর সঙ্গে দুই ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে হলে অতিরিক্ত আরো এক হাজার ১০০ কোটি টাকা লাগবে।

সূত্র জানায়, ৩৯ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানী ও জেলা-উপজেলা সদরে বড় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি বরাদ্দের বাইরে শিক্ষকদের বাড়তি কিছু ভাতা দেয়। বাকিগুলোতে সরকারি বেতন-ভাতাই ভরসা। এমনকি ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়িয়ে আলাদা আয় করতে পারলেও অন্য শিক্ষকদের সে সুযোগ নেই। বেশির ভাগ শিক্ষকের সেই সুযোগ নেই।

২০০৩ সালে যে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দিয়ে শুরু হয়েছিল, ১৯ বছরেও তা সেখানেই আটকে আছে। এই ১৯ বছরে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, শিক্ষকরা ব্যাপক বঞ্চনার শিকার।

শিক্ষকরা বলছেন, ‘শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে অতিরিক্ত এক হাজার ১০০ কোটি টাকা লাগলেও সেটি সরকারের জন্য বড় কোনো ব্যাপার নয়। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়বে, সরকারেরও ভাবমূর্তি বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের মতোই শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দিচ্ছে।

শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো তারা দুই ঈদে শতভাগ বোনাস বা উৎসব ভাতা চান।

শিক্ষক নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে শিক্ষকদের আর্থিক সমস্যা সমাধান ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে।

তাদের ৮ দফা দাবিগুলো হলো-

১. ঈদের আগেই পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সমপরিমাণ করতে হবে।

২. অবিলম্বে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার মাধ্যমে কারিগরি এবং বিজ্ঞান মনস্ক সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলীর ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

৪. অতিদ্রুত বিভিন্ন বোর্ড কর্তৃক যথাযথ নিয়মে এফিলিয়েশনপ্রাপ্ত সব স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে হবে।

৫. সরকারের স্বদিচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর, শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের প্রত্যাহার করতে হবে।

৬. সব শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ডিভাইস, খাতা-কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান ও মাধ্যমিক পর্যায়ে (স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি) শিক্ষার্থীদের সরকারি উদ্যোগে দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্দশা লাঘবে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

৮. স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

বাড়িভাড়া উৎসব ভাতা নিয়ে শিক্ষক নেতা মোঃ সাইদুল হাসান সেলিম ফেজবুকে লিখেছেন তা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

নির্বোধের আর্তি:
মোঃ সাইদুল হাসান সেলিম

আশ্বাস দিয়ে শুরু
মিথ্যা দিয়ে শেষ,
জীবনযুদ্ধে ব্যর্থ চেষ্টা
বিমূঢ় বাংলাদেশ।

চোর যদি হয় সমাজপতি
লোক ঠকাবে নিশ্চিত,
চকলেট হলেও চেটে খাবে
যৎসামান্য কিঞ্চিৎ।

মুখে মুখেই মানবতা
অন্তর জুড়ে বিষ,
জীবন নিয়ে হলি খেলা
করছি চাক্ষুষ।

নামমাত্র বাড়িভাড়া উৎসবের
নেই খোঁজ,
সম্মান নিয়ে দিব্যি আছি
হয়না ভুড়িভোজ।

পরিবারের মলিন মুখ
সহ্য হয়না আর,
আর কতকাল ঠকতে হবে
রাষ্ট্র তুমি কার?

দায়িত্ব পালন কঠোরতায়
বিধির ছড়াজড়ি,
দুর্নীতিবাজের সখ্যতা বেশ
করছে জড়াজড়ি।

স্বপ্নভঙ্গের পঞ্চাশোর্ধ্ব বছর
চেতনার হলো বলি,
ইঁদুর নিত্য চলছে উদরে
শুন্য পাকস্থলী।

সামনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষকদের এই দাবি সহসাই পুরন করতে ”১০০% ঈদ বোনাস”: সকল বেসরকারি শিক্ষকদের প্রত্যাশা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরঃ পবিত্র শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৪ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। তবে খোলা থাকবে আবাসিক হল।

সোমবার (১ এপ্রিল) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

তিনি জানান, আগামী ৩ এপ্রিল বুধবার থেকে ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে। এবং ৭ এপ্রিল রোববার থেকে ১৫ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত অফিস বন্ধ থাকবে।

ছুটি শেষে আগামী ১৬ এপ্রিল অফিস ও ১৭ এপ্রিল ক্লাস পরীক্ষা যথারীতি চলবে জানান মোহাম্মদ আলী।

আবাসিক হলের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট বিজন মোহন চাকি বলেন, ঈদের ছুটি থাকলেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থী হলে থাকেন চাকুরির প্রস্তুতি নেন। সেক্ষেত্রে হল বন্ধ দেওয়া উচিত নয়। অফিস বন্ধ থাকলেও হল খোলা থাকবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সচিবের ছেলের জিপিএ-৫ পাওয়া ঘিরে তৈরি হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। অভিযোগ উঠে— নিজের ছেলে জিপিএ-৫ না পেলেও তাকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিতে সচিব নারায়ণ চন্দ্রনাথ ফলাফল কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি, গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারা, তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও ফলাফল কার্যক্রমে চরম দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের প্রমাণ পায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। পরে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও উল্টো পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়েছেন বোর্ড সচিব।

অভিযোগকারী ড. মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তার (নারায়ণ চন্দ্র নাথ) ছেলের ফলাফল নিয়ে অসংগতি ও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কোনো অনিয়ম হলে তদন্তের মাধ্যমে সেটি বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম  শিক্ষা বোর্ডের সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক তাঁর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত নিয়োগপত্র অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানের হাতে তুলে দেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রংপুর মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. শাহ্ মো. সরওয়ার জাহান। তিনি একই মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আজসোমবার (১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বিসিএস স্বাস্ত্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ও জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি ও এমবিবিএস রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে সম্পন্ন করেছেন অধ্যাপক ডা. সরওয়ার জাহান। এছাড়া তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন যুক্তরাজ্য থেকে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক একই মেডিকেলে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ আদেশ দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হককে কুমিল্লা মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন করে মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের ৯টি মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ আদেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে একই মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহ্ মো. সরওয়ার জাহানকে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হককে একই মেডিকেলের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ডা. দিলরুবা জেবা একই মেডিকেলের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. অমল চন্দ্র পালকে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আশুতোষ সাহা রায়কে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সাহেলা নাজনীন একই মেডিকেলের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবু রায়হান মো. সুজা-উদ-দৌলাকে নীলফামারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. পীযুষ কুমার কুন্ডুকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ও জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ মর্যাদার রাত লাইলাতুল কদর। যে রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

এ রাতে মহান আল্লাহ বান্দার মুক্তির জন্য নাজিল করেছেন কোরআনুল কারিম। এ রাতের উপস্থিতি কেউ জানতে পারলে তাকে নবীজি (স.) বিশেষ দোয়া পড়তে বলেছেন।
আরবি:

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ:
‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি। ’

অর্থ:
‘হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে পছন্দ করেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। ’

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তা যদি আমি জানতে পারি, তখন কোন দোয়া পড়বো?’ তখন রাসুলুল্লাহ (স.) তাকে উপরোক্ত দোয়াটি পড়তে বলেন। (তিরমিজি: ৩৫১৩)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি এ দোয়া পড়ার।

শবে কদরে আরও যে আমল করা যেতে পারে

শবে কদরের অন্যতম ইবাদত হলো দুই ব্যক্তির বিরোধ বা কোনও পরিবারের পারস্পরিক ঝগড়াবিবাদ মিটিয়ে দেওয়া। উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হলেন। এ সময় দুইজন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম (সা.) বললেন, ‘আমি আপনাদের ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের নামে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ এ বদলির আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটি একই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। তবে মামলার আদেশে চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে লিখিত না থাকায় তা গ্রহণের জন্য মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে নথি পাঠানো হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান।

আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে ও বাকিরা জামিনে আছেন।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এরপর ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত ৬ এ বদলির আদেশ দেন।

ওই বছরের ১২ জুন আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।

চার্জশিটে আসামিদের নামে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি তি হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।

এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের নামে সর্বমোট তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের জন্য দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচজনের নামে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ দেশে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গভবনে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এছাড়া তারা উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে কাউন্সিল গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসহ তাদের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে হবে।

জ্ঞান বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা’ আদালতে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের চাওয়া বিচার বিভাগে যথাযথভাবে তুলে ধরা হোক। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার যে দাবি, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।

তারা বলেন, গত চার বছরে শিক্ষকদের থেকে আমরা কখনোই এমন অনুভব করিনি যে, তারা রাজনীতি ফেরত চান। এ সংকটে আমরা শিক্ষকদের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান।

এর আগে বুয়েটের সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। দুপুরে হাইকোর্টের এই আদেশের পর বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘আদালত যেটা বলবেন, আমাকে সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। আমরা আদালত অবমাননা করতে পারব না। ’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হয়। রিটটি করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ আয়কর না দেওয়ার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি বকেয়া কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে।

সূত্র জানায়, প্রায় ৫০টির বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আয়কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ১২টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

জানা গেছে, ঈদের আগে ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জব্দ করা ব্যাংক হিসাব দ্রুত খুলে না দিলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ৩১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কর পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে এনবিআর। এরমধ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক কর পরিশোধ করায় তাদের দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পরিচালক বেলাল আহমেদ বলেন, বকেয়া কর পরিশোধে চিঠি দিয়েছে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে। প্রায় ৩০টা বিশ্ববিদ্যালয় ঝামেলায় ফেসে গেছে। অনেকগুলোর একাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। কোনো কোনো জায়গা থেকে এনবিআর অলরেডি ডেবিট করে নিয়েছে টাকা। এটা করা উচিৎ হয়েছে কি না জানি না।

তিনি বলেন, কতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্ধ করা হয়েছে এটা সুনিদৃষ্ট না। গত বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত ১০-১১টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। আজকে আরও ২টার খবর জেনেছি। এটা অফিশিয়ালি জানি। আর আনঅফিশিয়ালি ২৫টার ওপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বরাবর ৪ মার্চ চিঠি পাঠান ঢাকা কর অঞ্চল-১১-এর উপ-কর কমিশনার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। প্রাইম ইউনিভার্সিটিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে একই দিন আয়কর প্রদানের তাগাদাপত্র দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ১৫ মার্চের মধ্যে আয়কর পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কর প্রদানে ব্যত্যয় হলে আয়কর আইন ২০২৩-এর ২৭৫ ধারা অনুযায়ী জরিমানাসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় এনবিআরের ওই চিঠিতে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানে চিঠিতে আয়কর আইন ২০২৩-এর ২১৪ ধারা মোতাবেক বকেয়া কর পরিশোধের জন্য বলা হয়। ২০০২-৩ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত (১৬ অর্থবছরে) মোট ১৮০ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৪ টাকা কর পরিশোধ করতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কর পরিশোধের জন্য এনবিআর থেকে চিঠি পেলেও, ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে কোনো চিঠি তারা পায়নি। ব্যাংক থেকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

২০০৭ সালের ২৮ জুন এক প্রজ্ঞাপনে রাজস্ব বোর্ড জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনর্নির্ধারণ করা হলো। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।

২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা শুধু তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

এরপর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৪৬টি রিট করা হয়। ওই দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর উচ্চ আদালতের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আয়কর আদায় থেকে বিরত থাকতে এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আইনি লড়াই শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আদেশ দেন, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।

আইনি জটিলতা নিরসনের আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর আদায় না করা এবং ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাংক হিসাব জব্দ করার মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। একই সঙ্গে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পুনরায় চালুর নির্দেশনা দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। জাগো নিউজ

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram