বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই বিভাগের সব জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষা ঘিরে প্রতারণা ও জালিয়াতি ঠেকাতে প্রার্থীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে।

অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো।
অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে।

কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘বঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দিয়ে তাদেরকে আমরা সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

যেন এসব এতিম ও বঞ্চিত শিশুরা আগামীতে দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়।’

বুধবার রাজধানীর শ্যামপুরে পথশিশু ও এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে আমাদের ওপরে অর্পিত দায়িত্ব।

বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাওয়া যায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না।

জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। শিশুরা সঠিক শিক্ষা হতে বঞ্চিত হয়। এ দলটির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মানুষ সবসময় ভয়ে থাকে।

তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাই তারা জনগণের ভোটাধিকারের কোনো তোয়াক্কা করে না। দেশের জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা এখন বিদেশীদের কাছে নিজেদের সত্বা বিলিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রিয় নবী সা. একদল যোগ্য লোক তৈরি করে সোনার মদিনা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আমরাও একইভাবে সেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি।

আল্লাহর দ্বীন এই জমিনে বিজয়ী হলে দেশের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে, ইনশাআল্লাহ।

এ জন্য আমরা সমাজের বঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের হাতে শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী উপহার প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। একই সাথে তাদের মাঝে কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার জন্যও আমরা আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাসুল সা.-এর আদর্শের আলোকে সোনার মানুষ হিসেবে আগামী প্রজন্মকে তৈরি করতে চাই।

যাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি সত্যিকার অর্থে কল্যাণ লাভ করবে।’

তিনি জামায়াতে ইসলামীর এ সকল সমাজকল্যাণমূলক কাজে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও শ্যামপুর দক্ষিণ থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান, সুত্রাপুর উত্তর থানা সেক্রেটারি নোমান শিকদার, শ্যামপুর দক্ষিণ থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিলুল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিউজ ডেস্ক।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সবাই সমান। আমি কারো অন্যায় আবদার শুনব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন। আমার অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমি মনে করি, আপনারা সবাই খুবই ক্যাপাবল। বছরের পর বছর এখানে শ্রম দিয়ে আসছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরে একসাথে কাজ করতে চাই। আমি প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে আসিনি, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হবো। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’

দীন মোহাম্মদ আরো বলেন, ‘আমার রুমে এসে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করা আমি পছন্দ করব না। আপনারা সবাই অনেক কর্মঠ, কাজের মাধ্যমেই আপনাদের সাথে আমার কথা হবে। অনুরোধ করব, আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের মতোই একজন।’

এসময় সাবেক ভিসিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান ভিসি শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সাথে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করব না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরো বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করব। গবেষণা ছাড়া মেডিক্যাল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।

মোঃ মোজা‌হিদুর রহমান।।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে হীড বাংলাদেশ মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির আওতায় বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি এবং ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ ও ৫ প্রাপ্ত ১৮৩ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও এককালীর উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ এসব শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট ও বৃত্তির টাকা তুলে দেন। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু।

হীড বাংলাদেশ’র সেন্ট্রাল ম্যানেজার অদ্বৈত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান, মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. হিটলার গোলদার, পিলজংগ ইউপি চেয়ারম্যান মোড়ল জাহিদুল ইসলাম।

হীড বাংলাদেশ’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিমল কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মো. সুজন আলী, মো. সেকেন্দার আলম, মো, ইকবাল হাওলাদার, শিক্ষার্থী আকাশ রায়, রাবেয়া খাতুন, রিতুপর্ণা দাসসহ অন্যান্যরা।

এসময় এসব শিক্ষার্থীদের ক্রেষ্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিন ১৮৩ শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭লাখ ৭২হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

শিবা/জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কমিটিতে মো. ফয়েজ আহমেদ নিজুকে সভাপতি ও রুবেল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন— আক্তারুজ্জামান হাওলাদার হাফিজ, সাইফুল বাদশা, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. রাসেল হাওলাদার, ফরহাদ হোসেন রানা, কাউসার আহমেদ জনি, মো. রাসেল মোল্লা, রবিউল আউয়াল সানি, ইসরাত খান বাবু, মো. আরিফ হোসেন, মো. আল-আমিন মজুমদার, কাজী অমিত, মো. শাহরিয়ার আল ইমাম সাগর, মো. শাহরিয়ার নাফিজ সজীব, মো. জিয়ারুল ইসলাম, মো. রবিউল হাসান, বিপ্লব মীর উজ্জ্বল, মোহাম্মদ শামীম ও হযরত আলী হিমু।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন— মো. আক্তার হোসেন, মো. হামিদুল্লাহ জিহাদ, মো. সাখাওয়াত হোসেন অর্নব, সোহাগ খান, মো. শিপন শিকদার ও মো. মাহাবুব আলম।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে— শরিফুল ইসলাম সাগর, মিঠুন হালদার আকাশ, মেহেদী হাসান, সালাহউদ্দীন সরকার, মো. শফিকুর রহমান ও আদনান হাবিব অল ইন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ দশম শ্রেণির পড়ালেখা শেষে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে এ পাবলিক পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করা হতে পারে। নতুন নাম কি হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

  • শুধু দশমের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা
  • প্রতিটি বিষয়ে এক কর্মদিবসে মূল্যায়ন হবে পাঁচ ঘণ্টায়
  • নম্বর নয়, রিপোর্ট কার্ডে শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল
  • তিন বিষয়ে বেশি খারাপ করলে কলেজে উত্তীর্ণ নয়
  • পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণির মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিকে যে পাবলিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে, তাতে লিখিত পরীক্ষাও থাকছে। প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট সমস্যার সমাধান ইত্যাদির পাশাপাশি একটি অংশের মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। তবে এই লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়ার ধরন এখনকার মতো মুখস্থনির্ভর হবে না। একজন শিক্ষার্থী যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলোই মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে বলা হবে। এ জন্য প্রশ্নও করা হবে তার আলোকে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পাবলিক পরীক্ষার যে মূল্যায়ন কাঠামোর খসড়া করেছে, তাতে এভাবে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ বছর যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো পাবলিক পরীক্ষা দেবে। আগামী বছর দশম শ্রেণি শেষ করে তারা এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ জন্য চলতি বছরের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে পাবলিক পরীক্ষার আদলে নবম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এনসিটিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এখন এই খসড়ার ভিত্তিতে মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষাগুলো হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, মূল্যায়নপদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো কিছু হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

গত বছর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর এ বছর নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিক্ষাকালীন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন এবং বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে।

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কাঠামো নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে। অভিভাবকদের একটি অংশ মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা রাখার দাবি জানিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যায়ন কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিও করে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্যায়নপদ্ধতির খসড়া তৈরি করেছে এনসিটিবি। সেখানে নতুন শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটের মতো পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কেমন করে হবে, সেটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, তাঁরা মূল্যায়ন কাঠামোর খসড়াটি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত করার জন্য গঠিত কমিটির সামনে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছেন। তাঁরা আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়িই সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে এটি চূড়ান্ত হবে।

দশম শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষার নাম কী

এনসিটিবির সূত্রমতে, দশম শ্রেণি শেষে হবে এই পাবলিক পরীক্ষা। তবে নামটি এখনকার মতো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাও থাকতে পারে, আবার ভিন্ন নামও হতে পারে। নামের বিষয়টি এখনো ঠিক হয়নি। এত দিন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হতো। নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এই মূল্যায়ন বা পরীক্ষা। ১০টি বিষয়ের প্রতিটির ওপরই হবে এই মূল্যায়ন। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন। এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা। শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে।

মূল্যায়নের খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয়ভাবে যে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন কার্যক্রম হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এই পরীক্ষা। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। মানে হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে। সময়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কাঠামোর সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিভিন্ন শ্রেণিতে বছরজুড়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের পাশাপাশি বছরে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। এর মধ্যে একটি হবে শিক্ষাবর্ষের ৬ মাস পর এবং আরেকটি হবে ১২ মাস পর। বিদ্যালয়ের এসব মূল্যায়নেও এক দিনে এক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে। মূলত স্কুল সময়টিকে বিবেচনায় নিয়ে পাঁচ ঘণ্টার বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়নপদ্ধতি তৈরির সঙ্গে যুক্ত আছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতির মূল্যায়নে একটি অংশে লিখিত পরীক্ষা থাকলেও এখনকার মতো মুখস্থনির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে কতটুকু পারদর্শিতা অর্জন করতে পারছে, সেটিই মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে হবে। এ জন্য প্রশ্নপত্রের পদ্ধতিও হবে ভিন্ন।

অধ্যাপক এম তারিক আহসান বলেন, প্রতিটি বিষয়ে এক কর্মদিবসের পাঁচ ঘণ্টায় মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্তটি এসেছে বাস্তবতার ভিত্তিতে। কারণ, ইতিমধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ছয় ঘণ্টা ধরে সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করা হয়েছিল। এমনকি একটি বিষয়ে একাধিক দিন এবং একই দিনে একাধিক বিষয়ে মূল্যায়ন কার্যক্রমও হয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীদের ওপর কিছুটা চাপ পড়ে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে এক দিনে এক বিষয়ে পাঁচ ঘণ্টায় মূল্যায়ন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি এমনভাবে করা হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীরা চাপ অনুভব করবে না। আর এই পাঁচ ঘণ্টায় শিক্ষার্থীরা কেবল লিখিত পরীক্ষাও দেবে না। তারা নানা রকম হাতে–কলমে কাজেও নিয়োজিত থাকবে এবং বিরতিও থাকবে।

যেভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি হবে

এনসিটিবির খসড়া মূল্যায়ন কাঠামো অনুযায়ী, বরাদ্দ করা সময় এবং শিক্ষার্থীর সক্ষমতা বিবেচনা করে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরি হবে। শিক্ষা বোর্ডের নির্বাচিত ও প্রশিক্ষিত বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারীরা (মডারেটর) প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, চেক লিস্টসহ প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন। এই চেক লিস্টে দুটি অংশ থাকবে। পর্যবেক্ষণ ছক, যা প্রত্যাবেক্ষক (পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক) কেন্দ্রে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা (উপস্থাপন, প্রদর্শনী ইত্যাদি) পর্যবেক্ষণ করে একটি অংশ পূরণ করবেন। আরেকটি অংশ পরীক্ষক লিখিত মূল্যায়ন করে পূরণ করবেন।

পরীক্ষক কোনো শিক্ষার্থীর পর্যবেক্ষণ ছকে প্রাপ্ত তথ্য এবং লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন ছকের তথ্য বিবেচনা করে নৈপুণ্য অ্যাপের (মূল্যায়নের ফলাফলের তথ্য সংরক্ষণ হয় এই অ্যাপে) পারদর্শিতার নির্দেশকে (পিআই) ইনপুট দেবেন। তাতে এখনকার মতো নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।

এনসিটিবি বলছে, প্রতিটি পরীক্ষার শুরুতে শিক্ষার্থীর কী কী পারদর্শিতা মূল্যায়ন করা হবে, তা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন। বিষয়ের ভিন্নতা অনুযায়ী কাগজ, পরীক্ষণ, মডেল, নকশা, গ্রাফ ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা থাকবে পরীক্ষার কেন্দ্রে। শিক্ষা বোর্ডই কেন্দ্র ঠিক করবে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র হবে না। এখনকার মতো অন্য প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র হবে। মোদ্দাকথা, পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থাপনার কাজটি এখনকার মতোই শিক্ষা বোর্ডগুলো করবে।

এদিকে পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগেই ‘রিসোর্স পুল’ গঠন করা হবে। আগামী মে মাসে কর্মশালার মাধ্যমে তাদের প্রস্তুত করা হবে।

শিক্ষার্থীর বৈচিত্র্য, চাহিদা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা কার্যক্রমের কৌশলে নমনীয়তা ও বিকল্প উপায়ও রাখা হবে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।

নবম শ্রেণির ভিত্তিতে নিবন্ধন

এখন একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে কি না, সেটি নির্ভর করে দশম শ্রেণিতে হওয়া নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার ভিত্তিতে। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে একজন পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা দিতে পারবে কি না, সেটি নির্ভর করবে নবম শ্রেণিতে বিদ্যালয়ে হওয়া শিখনকালীন মূল্যায়নের ওপর। যদি কোনো শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে শিখনকালীন মূল্যায়নে ভালো করে, তাহলে দশম শ্রেণিতে উঠবে এবং তার আলোকে নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) হবে। তারাই পাবলিক পরীক্ষা দেবে। এখনকার মতো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তবে দশম শ্রেণিতেও শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে।

এনসিটিবি বলছে, দশম শ্রেণির শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে এনসিটিবি প্রণীত নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরা শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রমাণের ভিত্তিতে পারদর্শিতার নির্দেশক (পিআই) অনুযায়ী নৈপুণ্য অ্যাপে ইনপুট দেবেন এবং প্রমাণগুলো সংরক্ষণ করবেন। তারপর শিক্ষা বোর্ড নির্বাচিত বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নকারীরা (সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে নমুনা নিয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রমাণ যাচাই করবেন।

সাত স্কেলে রিপোর্ট কার্ড

এনসিটিবি খসড়া মূল্যায়ন কাঠামো অনুযায়ী, মূল্যায়ন বা পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ড তৈরি হবে। ট্রান্সক্রিপ্টে একজন শিক্ষার্থী প্রতিটি বিষয়ে পারদর্শিতা কতটুকু অর্জন করল, তার তথ্য উল্লেখ থাকবে। আর রিপোর্ট কার্ডে শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য আলাদাভাবে সাতটি স্কেলে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সাতটি ছকের মাধ্যমে এই সাতটি স্কেল বোঝানো হয়েছে। নির্ধারিত পারদর্শিতা অনুযায়ী ছকগুলো পূরণ করা হবে। তাতে যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীর ছয়টি ঘরও পূরণ হবে, আবার কারও বেলায় তা কমবেশি হবে। ধরা যাক, একজন শিক্ষার্থী নির্ধারিত সূচক অনুযায়ী ছয়টি পারদর্শিতা (পারফরম্যান্স) অর্জন করেছে, তাহলে ছয়টি ছক পূরণ করে বাকি একটি খালি রাখা হবে। এই রিপোর্ট কার্ডই সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

তিন বিষয়ে বেশি খারাপ করলে কলেজে উত্তীর্ণ নয়

নতুন মূল্যায়ন কাঠামোর খসড়া তৈরির সঙ্গে যুক্ত একজন শিক্ষক বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি তিনটি বিষয়ে পারদর্শিতার প্রারম্ভিক স্তরে থাকে, তাহলে তারা ওপরের ক্লাসে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। অর্থাৎ দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তাতে কোনো শিক্ষার্থী তিন বিষয়ে এমন বেশি খারাপ করলে সে কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে না।

শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, মূল্যায়নে মিশ্র পদ্ধতি হতে পারে। কিন্তু সেটি অবশ্যই কার্যকরভাবে করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, বুঝতে ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ইত্যাদি যাচাই করা যায়। আর ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছে ১৭২ দিন ধরে। এই হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের যে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে, তাদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। বিভিন্ন দেশই এখন এই গণহত্যার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন ফ্রান্সেস্কা আলবানেজ। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে গত সোমবার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন সময়ে গণহত্যার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজার রাফাহ এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে হামলায় ৭৬ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩২ হাজার ৪৯০ জন নিহত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার ফিলিস্তিনের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত আলবানেজ তাঁর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই হামলা শুরুর পর থেকে গাজার বাসিন্দাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল। এই গাজাবাসীদের ওপর হামলা করা যায়, তাদের মেরে ফেলা যায়, এমনকি তাদের ধ্বংস করে ফেলা যায়—এমনটাই ধরে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা ফিলিস্তিন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের দূতেরা। ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যাঁরা আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মুসলিম ও আরব দেশের দূতেরা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন লাতিন আমরিকার দেশের দূতেরাও।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) হয়ে আলবানেজের এই প্রতিবেদনে সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তান। ওআইসির পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। আলবানেজ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে যখন এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, তখন সেখানে উপস্থিত পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যার তথ্য নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আপনার সাহসের প্রশংসা করি আমরা।’

আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে কথা বলেন মিসরের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কাঠামোগত এবং পদ্ধতিগত আক্রমণ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তাঁরা। বৈঠকে উপসাগরীয় দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে কাতার। ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের পদক্ষেপ চায় তারা।

যা বললেন আলবানেজ
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন আলবানেজ। তিনি বলেন, গাজা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যেটা হচ্ছে তাতে গণহত্যার অভিপ্রায় স্পষ্ট। আমরা সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারি না। আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে, এই গণহত্যা আমাদের ঠেকাতে হবে এবং এই পদক্ষেপ যারা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মানবাধিকার পরিষদের এই বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে গত মঙ্গলবারই তাঁর প্রতিবেদন খারিজ করেছে দেশটি। ইসরায়েলের দাবি, আলবানেজের এই প্রতিবেদন বাস্তবতা বর্জিত।

ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও আলবানেজের সমালোচনা করেছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদন ইসরায়েলবিরোধী।

গাজায় ত্রাণ ফেলা অব্যাহত
এদিকে গাজায় ত্রাণ না ফেলতে আহ্বান জানিয়েছিল হামাস। তাদের দাবি, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তবে হামাসের এই বক্তব্য খারিজ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার এই কার্যক্রম চলবেই।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

মুফতি আইয়ুব নাদীমঃ রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল। ইতিকাফ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত, যার প্রভাব মানুষের মননে ও জীবনে অনেক বেশি। যেসব আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য খুব সহজে লাভ করা যায়, এর মধ্যে অন্যতম ইতিকাফ। কোরআন-হাদিসের আলোকে ইতিকাফের কয়েকটি উপকারের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—

নেক কাজ না করেও সওয়াব লাভ: ইতিকাফকারী ব্যক্তি ইতিকাফের কারণে যেসব নেক কাজ করতে পারছেন না, অথচ যাঁরা ইতিকাফ করছেন না, তারা বাইরে থাকার কারণে সে কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারছেন, যেমন জানাজার নামাজ আদায় ইত্যাদি ইতিকাফকারীর আমলনামায় সেসব নেক আমলের সওয়াব লিখে দেওয়া হবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফকারী সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে গোনাহ পরিত্যাগকারী। সব সময় কোনো পুণ্যের কাজে অংশগ্রহণকারীর মতো সে সওয়াব লাভ করবে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৬৭৮)

শবে কদর লাভ: ইতিকাফের মাধ্যমে শবে কদর লাভ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) শবে কদর লাভের আশায় একবার রমজানের প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেন। এরপর কয়েকবার ইতিকাফ করেন মাঝের ১০ দিন। এরপর একসময় শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতে শুরু করেন এবং এরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকে শবে কদর অন্বেষণ করো।’ (বুখারি: ২০২০)

মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন: পুরো পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় স্থান মসজিদ। তাই ইতিকাফকারী অবসর সময়ে কোনো আমল না করলেও দিনরাত তাঁর মসজিদে অবস্থান করাটাই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।

হজ-ওমরাহর সওয়াব লাভ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, সে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সওয়াব লাভ করবে।’ (শুআবুল ইমান: ৩৬৮১)

লেখকঃ শিক্ষক ও মুহাদ্দিস

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তারিক মুর্শেদ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পড়তে গিয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের অধীন রিফিউজি স্টাডিজ সেন্টার থেকে রিফিউজি এবং ফোর্সস মাইগ্রেশন স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়। অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট মানসম্পন্ন ও ভর্তি-নির্ধারিত বিষয়ে ভালো জ্ঞানসম্পন্ন হলে সহজেই ভর্তি হওয়া যায়।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ
MSc in Refugee and Forced Migration Studies সহ অন্য অনেক মাস্টার্স প্রোগ্রামের আবেদনপ্রক্রিয়া সাধারণত অক্টোবরে শুরু হয়ে পরের বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়।

ভর্তির যোগ্যতা
⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া বেশ প্রতিযোগিতামূলক। কেবল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তরিকভাবে পড়তে আগ্রহী একাডেমিকভাবে দক্ষ ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ন্যূনতম প্রথম শ্রেণি বা উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের আন্তর্জাতিক যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।

⊲ যাঁদের IB (International Baccalaureate), A- Level, SAT–এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষার সনদ রয়েছে, ভর্তি কমিটি তাঁদের বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া বেশির ভাগ আবেদনকারীকে আইইএলটিএস বা টোফেলের মতো ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ প্রদর্শন করতে হয়। আইইএলটিএসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭.৫ স্কোর অর্জন করতে হবে, যেখানে সাব-স্কোরের সব পর্যায়েই ন্যূনতম ৭ থাকতে হবে।

⊲ সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম সব সময়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আবেদনকারীদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কোনো কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত অর্জন যেমন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি সার্ভিস প্রজেক্ট, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার মতো সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে ভর্তি কমিটি।

⊲ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আলাদা কোনো ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। মূলত আপনার আবেদন প্যাকেজ, সহায়ক ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। তবে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা থাকতে পারে।

⊲ সহায়ক নথি: ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষা দক্ষতার প্রমাণ, ব্যক্তিগত বিবৃতিসহ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে।
⊲ লেখার নমুনা: একটি বা দুটি অ্যাকাডেমিক নিবন্ধ বা অন্যান্য লেখা যা আপনার লেখার দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলবে।

⊲ রেফারেন্স লেটার: শিক্ষাবিদ বা পেশাদারদের কাছ থেকে আপনার ও আপনার কাজ সম্পর্কে লেখা সুপারিশমূলক চিঠি।

⊲ পড়াশোনা খরচ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা আছে। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি পেয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মাস্টার্স প্রোগ্রাম অনুযায়ী ভিন্ন হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের https://www.ox.ac.uk/admissions/ undergraduate/fees-and-funding এই ওয়েবসাইটে বর্তমান ফি কাঠামো দেখতে পারেন।

বিষয় ও কলেজ নির্বাচন: সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, আগ্রহ এবং পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ২০০টি মাস্টার্স-স্তরের কোর্স অফার করে এবং প্রতিটি কোর্সের জন্য ওয়েবসাইটে নিজস্ব জায়গা আছে, যাতে কোর্স সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সেখান থেকে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কোর্সটি নির্বাচন করুন।

অন্যান্য শর্ত
⊲ ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।
⊲ শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে আবেদন করা যাবে না।

নতুনদের জন্য পরামর্শ: আবেদনের প্রতিটি পর্যায়ে আপনার পছন্দের প্রোগ্রামের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ প্রদর্শন করবেন। অতীতের অ্যাকাডেমিক সাফল্য এবং প্রাসঙ্গিক সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে সামনে তুলে ধরবেন যা প্রোগ্রামের উদ্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময় নিয়ে একটি আকর্ষণীয় ব্যক্তিগত বিবৃতি তৈরি করুন, যা আপনার প্রোগ্রামের প্রতি আগ্রহ, যোগ্যতা ও সম্ভাব্য অবদান তুলে ধরবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ ফ্রান্সের আইন অনুসারে, হিজাব মাথায় দিয়ে স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই নিজ স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে মাথা থেকে হিজাব খুলে নিতে জোর করেছিলেন এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার পর থেকেই একের পর এক হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন সেই শিক্ষক। প্রাণভয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতাই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরি ছেড়ে দেওয়া ওই প্রধান শিক্ষকের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না এমন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

অতীতে ফ্রান্সে অন্তত দুজন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তারপর থেকেই ফরাসি স্কুলগুলোর প্রতি ইসলামপন্থী হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। হত্যার শিকার ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে স্যামুয়েল প্যাটি নামে একজনকে ২০২০ সালে প্যারিসের একটি শহরতলির রাস্তায় শিরশ্ছেদ করা হয়। ডমিনিক বার্নার্ড নামে আরেক শিক্ষক পাঁচ মাস আগেই ফ্রান্সের আরাসে অবস্থিত নিজের স্কুলে ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

বিবিসি জানিয়েছে, প্যারিসের মরিস লাভেল লাইসি এলাকায় চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণে অবশেষে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত তিন সপ্তাহ ধরে সমর্থন দেখানোর জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদও জানান ওই শিক্ষক। জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুলের মধ্যে হিজাব পরে এসেছিলেন তিন ছাত্রী। পরে প্রধান শিক্ষক তাদের হিজাব খুলে আইন মানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় দুজন মাথা থেকে হিজাব সরিয়ে নিলেও একজন শিক্ষকের কথা অমান্য করেন এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।

এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে পরে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইনেও অভিযোগ করা হয়। বাড়ানো হয় স্কুলের চারপাশ ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা। এমনকি ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত ওই স্কুলটি পরিদর্শন করেন।

শিক্ষকের চাকরি ছাড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের বাম এবং ডান উভয়পন্থী রাজনীতিবিদেরা। কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরি লি পেন একটি অ্যাক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘এই সরকার আমাদের স্কুলগুলোর নিরাপত্তা দিতে অক্ষম।’

সোশ্যালিস্ট পার্টির বরিস ভ্যালাউড বলেছেন—‘এটি মেনে নেওয়া যায় না। একজন প্রধান শিক্ষক মৃত্যুর হুমকির কারণে যখন পদত্যাগ করেন, তখন এটি একটি সম্মিলিত ব্যর্থতা।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ  জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহ উদ্দিন আহমেদকে ওএসডি করেছে সরকার, সেই সঙ্গে ৫ যুগ্মসচিবের দপ্তর বদল করা হয়েছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা আলাদা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহ উদ্দিন আহমেদকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়েছে।

অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব অঞ্জনা খান মজলিসকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মতিয়ার রহমানকে পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে পদায়ন করা হয়েছে।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশনে দায়িত্বপালন শেষে সদ্য যোগদান করা ড. এ কে এম আতিকুল হককে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিএসএস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক শারমিন জাহানকে যুগ্মসচিব হিসেবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব (পিএস) মো. আল মামুনকে যুগ্মসচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মোতাহার হোসেনকে দুদকের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) যুগ্মসচিব শাহ আবদুল তারিককে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

কুমিল্লাঃ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে উপজেলার চান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা তাহমিনা হক সভাপতি ও শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাসেম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটিতে কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার এবং কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহের সুপারিশ করেছেন।

কমিটিতে নির্বাহী সভাপতি হয়েছেন রাজিবুল হক, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক শেখ রাবেয়া পলি, দপ্তর সম্পাদক রাকিব উদ্দিন এবং অর্থ সম্পাদক জামাল হোসেন। এছাড়াও বিভিন্ন দাপ্তরিক পদ ও কার্যনির্বাহী সদস্যসহ ৭১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৩/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram