মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।
কিশোরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মো. কাউছার উদ্দিন (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।

মঙ্গলবার ১৯ মার্চ রাত সাড়ে ৩ টার দিকে র‍্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায় মো. আশরাফুল কবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামি যুবক কাউছার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাতড়াপাড়া গোয়ালবাড়ি এলাকার মৃত আ. কাদিরের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, ভিকটিম কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে আসা যাওয়ার পথে আসামি কাউছার উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে কাউছার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার নেহাল গ্রীণ পার্কে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে আসে। ঘোরাফেরা করে বিকাল অনুমানিক ৪ টার দিকে পার্কের ভিতর একটি পরিত্যাক্ত অন্ধকার ঘরে কাউছার ভিকটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামি পালিয়ে যায়। আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায় মোঃ আশরাফুল কবির জানান, র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তার আসামি কাউছার উদ্দিন উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নোয়াখালীঃ জেলার হাতিয়ায় চর আফজল ভূমিহীন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক চরিত্র, বদমেজাজী স্বভাব, শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত, বই বিতরণ, উপবৃত্তি ও পরীক্ষার ফি’র নামে চাঁদাবাজির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মাইন উদ্দিন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেনের সংঘটিত অন্যায়, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিচার চেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক-পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

গতকাল সরজমিন গেলে বেলা সাড়ে ১১টায়ও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ বা শ্রেণিকক্ষের কোথাও দেখা মেলেনি ওই প্রধান শিক্ষকের। একপর্যায়ে খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন তিনি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায়ের সত্যতা স্বীকার করেন সহকারী শিক্ষিকারাও। তবে প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণিতে থাকা এক শিক্ষিকা বলেন, আমি এসেছি মাত্র ১ বছর হলো। এসব বিষয়ে আমার জানা নেই।

এ সময় পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ছাত্র অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টাকা ছাড়া বই দেয়া হয় না, পরীক্ষাও নেয়া হয় না। একইসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন কিছুদিন আগে একজন ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্ম করেছে বলেও স্বীকার করেন তারা। তবে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে এতবেশি বাড়াবাড়ি করেননি।

মাইন উদ্দিন বলেন, ৩রা ফেব্রুয়ারি তার পুত্রকে সামান্য ভুলের দায়ে গায়ের জেকেট খুলে বেদম মারধর করেছে প্রধান শিক্ষক। এতে তার ওই পুত্রের হাতের আঙ্গুল ও বাম হাত ভেঙে গেছে।

তিনি জানান, ফজলুর রহমান নামে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে রামগতি হতে এখানে সাময়িকভাবে বদলি করে পাঠানো হয়েছে। তাকেও বেত্রাঘাত করেছেন প্রধান শিক্ষক আখতার। তবে ওই শিক্ষক এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। এদিকে, বেশ কয়েক বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পদে শিক্ষকতা করেছিলেন রাবেয়া সুলতানা। ২০১১ সালে ওই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণকালে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন প্রধান শিক্ষক আখতার। রাবেয়া জানান, তিনি ওই টাকা দিতে না পারায় অন্য ব্যক্তির নাম শিক্ষক, শিক্ষিকার তালিকায় পাঠিয়ে তাকে প্রতারিত করা হয়েছে। রাবেয়া দীর্ঘ কয়েক বছর অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একপর্যায়ে, হতাশ হয়ে হাতিয়ায় দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মামলা দায়েরের অজুহাতে ওই শিক্ষিকার দুটি বাচ্চাকেও বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেননি প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন। বিষয়টি চরম অমানবিক বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাফর আহমদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কমিটির লোকজন সহসাই এসব নিয়ে বসবো।

বইয়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আখতার বলেন, হাতিয়া থেকে বই আনতে প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে ওঠে হয়তো বা ছয় বা সাত হাজার টাকা। তিনি বলেন, বাকিটা আমার পকেট থেকে দিয়েছি।

স্থানীয়রা আরও জানান, এ বিদ্যালয়ের পাশেই প্রধান শিক্ষক আখতারের বাড়ি। যে কারণে বিদ্যালয়টিকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। এ ছাড়া কোনো অভিভাবক কিংবা কোনো সচেতন নাগরিক তার এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তার পুত্র সেসব অভিভাবকের হেনস্তা করে বলেও জানান স্থানীয়রা।

কয়েক জন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন নিজের আয়ত্তে অনেকগুলো সিম রেখেছেন। শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরের স্থলে নিজের কাছে রক্ষিত সেসব সিম নম্বর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির এক বৃহদাংশ অর্থ লোপাট করছেন তিনি। অবশ্য আখতার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ডাহা অসত্য বলেই দাবি করছেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী  বলেন, এ রকম একটা অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। অফিস খোলার পরই এ বিষয়ে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। চৈত্রের প্রথম দিন থেকে উত্তরাঞ্চলে গরমের প্রভাব শুরু হয়েছে কিছুটা। এরই মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে- দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে থাকতে পারে ঝড়ো হাওয়া। এছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রাও কমতে পারে।

এতে বলা হয়- আজ মঙ্গলবার রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। সামান্য কমতে পারে রাতের তাপমাত্রাও।

আগামীকাল বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এই দিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সামান্য কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসা যে কোনো প্রকারের গবেষণা অনুদানকে শর্ত সাপেক্ষে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা এক আদেশে এ সুবিধা দিয়ে সম্প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে, যা ২০২৬-২০২৭ করবর্ষ পর্যন্ত বলবত থাকবে।

আদেশে বলা হয়েছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালনার উদ্দেশে বাংলাদেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গৃহীত যে কোনো প্রকারের গবেষণা অনুদানকে শর্ত সাপেক্ষে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোট আয় পরিগণনা থেকে বাদ দেওয়া হলো। শর্ত হলো—সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কর অব্যাহতির সমর্থনে অব্যাহতি সনদ গ্রহণ করতে হবে। এনবিআরের এমন উদ্যোগ গবেষকদের আরো বেশি কাজে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জ্ঞানভিত্তিক দেশ গঠনে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইনঃ সারাদেশের সাড়ে পাঁচ লাখ বেসরকারি শিক্ষক অধির আগ্রহে বসে আছে অন্তত এই ঈদে তাদের শতভাগ ঈদ বোনাসের ঘোষণা আসবে। দীর্ঘ আন্দোলনের পথ ধরে ২০ বছর আগে সিকি বোনাস পেয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার আমলে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জমানায় বেসরকারি শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটাতে পারে শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবী বাস্তবায়ন হলে।

গত বছরের আগস্ট মাসে প্রেস ক্লাবের সম্মুখে কাফনের কাপড় পরিধান করে আমরণ অনশন ভঙ্গ করিয়েছিলেন বর্তমান সরকারের কর্তা ব্যক্তিরাই, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই মর্মে শিক্ষা জাতীয়করণ মূল দাবী বাস্তবায়ন করতে দেরী হলেও বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক দৈন্যদশা দূর করবেন পর্যায়ক্রমে। দুর্মূল্যের বাজারে এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও পাঁচশো টাকা মেডিকেল ভাতার কোনো পরিবর্তন দেখছে না শিক্ষকরা। সামনে রমজানের ঈদ অতি সন্নিকটে অথচ এখনও বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবীটি সরকারের নজরে আসেনি। শতভাগ ঈদ বোনাস দিতে কোনো ধরনের আলাপ আলোচনায় দেখা যাচ্ছে না, এতেই প্রমাণিত বেসরকারি শিক্ষকগণ আসলেই অভিভাবকহীন। আন্দোলনের মাঠে সরকারের উচ্চ মহলের আন্তরিকতার কমতি ছিলো না। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের আবেগ নিয়ে খেলা করেছিলো সেদিন। আপাতদৃষ্টিতে সেটাই মনে হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষকদের মনের আকুতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাউকে খোলে বলতে পারেনি এটি শিক্ষক নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছাড়া আর কি? ছুটি দেয়ার সময় অন্যদেশের উদাহরণ খোঁজ করে আর বেতন ভাতা বাড়ানোর সময় উগান্ডার মত দেশের উদাহরণ টানে এটা-ইতো আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সবকিছু শেষ হলেও একমাত্র আশা-ভরসার স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর শিক্ষক সমাজের আস্থা রাখেন বলেই শিক্ষকরা রাজপথে নেমে দাবী আদায়ের ভিন্ন পথ গ্রহণ করেনি। আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের প্রাণের দাবী শতভাগ ঈদ বোনাস অচিরেই ঘোষণা দিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের সুন্দর ঈদের খুশী ভোগ করার সুযোগ দিবেন।

লেখকঃ  সহকারী অধ্যাপক, বাকলিয়া শহিদ নুর হোসেন ডা. মিলন মোজাম্মেল জেহাদ ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম।

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বিএনপি তিনজন নেতাকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পদোন্নতি দিয়েছে। পদোন্নতির পর তারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হককে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দল আশা প্রকাশ করে যে, উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন (খসড়া)’ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। খসড়াটি গত ৫ মার্চ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি দমনের পাশাপাশি ব্যবসা-শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যানবাহনে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ বছর আগে হাইকোর্ট থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে ওই নির্দেশনায় হাইকোর্ট উপযুক্ত আইন প্রণয়নের আগে পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশনার পর যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নে সোচ্চার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা অন্যান্য সংগঠন। এসব সংগঠন আলাদাভাবে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে জমা দেয়। এরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সভা শেষে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘খসড়াটি আমরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, সেখানে আমরা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত করার সুপারিশ করেছি।’ তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি যেন দ্রুত এটি আইনে পরিণত করতে কাজ করেন তারা। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন একাধিক সভা করেছে বলে জানান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

খসড়া আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশে প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি করার কথা রয়েছে, দেখা গেছে অনেক জায়গায় কমিটি নেই, থাকলেও কোনো কার্যকর না। যে কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা বারবার ঘটছিল। এ খসড়া আইনে কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য কর্মস্থল ও যানবাহনে হয়রানির বিষয়গুলো যুক্ত করেছি। আমি মনে করি এ আইনটি দ্রুত হওয়া উচিত।

হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে কমিটি করা হয়নি এবং বহু প্রতিষ্ঠানে তা অকার্যকর বলে মনে করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘কমিটিগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। বিশেষ করে বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে এর কোনো কার্যকারিতা নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও কমিটি করা হয় না।’

আইনজীবী সালমা আলী বলেন, সংবিধানের ১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের নীতিমালাটি একটি আইনের মতো কাজ করবে। যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো ফৌজদারি আইন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে বিচার প্রক্রিয়া চলে। নতুন আইনের জন্য খসড়াটি মানবাধিকার কমিশন থেকে সমন্বয়নের কাজ করা হচ্ছে। এ আইনটি দ্রুত পাস হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অবৈতনিক সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আইনে এমন বিষয়গুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ কেউ মনে করতে না পারেন যে তিনি সমাজ থেকে বিচ্যুত। এখন বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আবার এ বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ে যাব। মন্ত্রণালয় যদি এ বিষয়ে কোনো ফিডব্যাক দেয় তা হলে তাড়াতাড়ি তা সম্পন্ন করে ফের জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দিনাজপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন (২০) নামের এক মাদরাসাছাত্র।

রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে শহরের কালিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার সাখাওয়াত শহরের বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার আরিফুল ইসলাম মিন্টুর ছেলে। রংপুরের একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন তিনি। রোববার ওই ছাত্রী স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় চাচাতো বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল। তাকে অনুসরণ করে জাপটে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই মাদরাসাছাত্র। এ সময় তার নখের আঁচড়ে ছাত্রীর গালে ক্ষত দেখা দেয়। পরে চিৎকার দিলে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় সিসিটিভিতে ঘটনার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে তুলে দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ওই মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেওয়া চাকুরেদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে প্রয়োজনে তারা আন্দোলনে যাবেন।

এ ব্যাপারে সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যেই কাজ করছে সরকার। সার্বিকভাবে বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্টরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে সরে আসবেন বলে আশা করছি।

অর্থ মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করল। একই দিন সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা সংশোধন করে আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর ১ জুলাইয়ের পর থেকে ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা– এই চার পেনশন কর্মসূচি ঐচ্ছিক হলেও নতুন স্কিম বাধ্যতামূলক।

‘প্রত্যয়’ স্কিমে চাঁদার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা– এ দুয়ের মধ্যে যেটি কম, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা চাকরিজীবীর বেতন থেকে কেটে রাখবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংস্থা দেবে। দুই অঙ্ক একত্রে চাকরিজীবীর পেনশন আইডির (পরিচয় নম্বর) বিপরীতে সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা করবে। যেদিন প্রতি মাসের বেতন দেওয়া হয়, তার পরের কর্মদিবসের মধ্যেই কাজটি করতে হবে। এ জমা অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদের ভিত্তিতে অবসরকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশন ভোগ করবেন।

নতুন এ সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষুব্ধ হলেও চাকরির ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয়েছেন সরব। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার এসআরওর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য সরকারের ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তারা প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলনে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিবৃতিতে দিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে চতুর্থ দফায় ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন। এ তালিকার মধ্যে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, ইমাম, যাজক, পুরোহিত, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, নারীনেত্রী, সমাজসেবক প্রাধান্য পেয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বীকৃতি প্রদান-সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সুপারিশ করা নামের তালিকা আগামী সপ্তাহে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা প্রত্যেকেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সময় হত্যার শিকার হন।

তালিকা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্বীকৃতির সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন ৪৭ শিক্ষক, স্থানীয় ১৭ রাজনীতিবিদ ও ১৩ চিকিৎসক। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা প্রণয়নে প্রথম কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১৯১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের ২২ মে ১৪৩ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর পর দেড় বছর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা-সংক্রান্ত সভা হয়নি।

অবশেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৮ জনকে (একজনের নাম দুইবার) দেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি। সব মিলে এ পর্যন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছে ৪৪২ জনের নাম। চতুর্থ দফায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়ে মোট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬০-এ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্বীকৃতি প্রদান-সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সদস্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তালিকা চূড়ান্ত করেছি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরলে তালিকা হস্তান্তর করা হবে। আগামী ২৪ মার্চ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে।’

কমিটির অপর সদস্য অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সমাজের প্রতিটি শ্রেণিরই অবদান রয়েছে, যেটা শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় উঠে এসেছে। তালিকায় শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, ইমাম, যাজক, পুরোহিত, নাট্যাভিনেতা, নারীনেত্রী, সমাজসেবক প্রাধান্য পেয়েছেন।’

যাদের নাম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন– হবিগঞ্জের শিক্ষক অনিল চন্দ্র দেব, সত্যরঞ্জন অধিকারী, হরিপদ গোস্বামী, হরিদাস সাহা, শফিকুর রহমান, পল্লিচিকিৎসক অবিনাশ রায়, শিক্ষক কালীচরণ নমঃশূদ্র, হারুনর রশীদ, হোসেন সিদ্দিক, জগৎজ্যোতি দাস (বীরপ্রতীক), মানিকগঞ্জের ডা. অজিত কুমার চক্রবর্তী, ডা. সন্তোষ রঞ্জন কুমার বসাক, ডা. নিবারণ চন্দ্র সাহা, হীরালাল সরকার, রাজনীতিবিদ সিদ্ধেশ্বরী প্রসাদ রায়চৌধুরী, নারীনেত্রী যোগমায়া চৌধুরী কালী, রাজনীতিবিদ ব্রজেন্দ্র কুমার সাহা, রামলাল সাহা, মোহিনীকান্ত গুহ রায়, সমাজসেবী নীহাররঞ্জন রায়, পৃথ্বীশচন্দ্র সাহা, নৃপেন্দ্রকান্ত রায়চৌধুরী, নরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু, শিক্ষক নিতাই চন্দ্র বসাক, স্বদেশচন্দ্র বসু মজুমদার, প্রবন্ধ কুমার নাগ, নারায়ণ চক্রবর্তী, গণসংগীত শিল্পী জগবন্ধু সাহা, সমাজসেবক অবনী কুমার রায়, অভিনয়শিল্পী অতুল কৃষ্ণ সাহা, আবু ইলিয়াস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, লোকসংগীত শিল্পী আবুল বাশার খান, রাজনীতিক আবদুল হামিদ শেখ, সমাজেসেবী উমেশ চন্দ্র সাহা, এজেডএম জিয়াউদ্দিন, আইনজীবী চিত্ররঞ্জন বসু, শিক্ষক কালীপ্রসন্ন রায়, ডা. চিত্তরঞ্জন সাহা, ডা. বিজয়রত্ন রায়, সুধীর কুমার রায়, ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা হারুন অর রশীদ; যশোরের নাট্যাভিনেতা অমল কৃষ্ণ সোম, অরুণ কৃষ্ণ সোম, রাজনীতিবিদ মো. আসাদুজ্জামান, লুৎফর রহমান, সংস্কৃতিকর্মী শেখ ওয়াহিদুর রহমান চারু, সমাজসেবী শহীদ উদ্দিন আহম্মেদ, প্রকৌশলী শামস-উল-হুদা, পল্লিচিকিৎসক তফেল উদ্দিন আহম্মাদ, শিক্ষক কাজী আইয়ূব হোসেন, সিদ্দিকুর রহামান, সিরাজুল ইসলাম, গোবিন্দ, নওয়াব আলী বিশ্বাস, প্রবোধ কুমার নাগ, গণসংগীত শিল্পী সাবুদেব কুমার দত্ত বাচ্চু, লেখক ইয়াকুব আলী, চাকরিজীবী মহিউদ্দীন আহমেদ বিশ্বাস, শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম টিপু, আইনজীবী সুশীল কুমার রায়, সৈয়দ আমির আলী, ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান; সিরাজগঞ্জের ডা. প্রকাশ প্রামাণিক মিন্টু, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, শাহেদ আলী, মহাদেব চন্দ্র সাহা, নূরুল ইসলাম, ননীগোপাল বসাক, গোলাম মোস্তফা, চিত্রশিল্পী গোবিন্দ চন্দ্র দাস, ইঞ্জিনিয়ার আহসান-উল-হাবীব, শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আবেদ আলী, সংস্কৃতিকর্মী ওয়ালিউর রহমান পারু, শিক্ষক ইয়ার মোহাম্মদ; পাবনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, রাজনীতিক আব্দুর রহমান খান কাশেম, ভাষাসংগ্রামী আব্দুর রহিম, ইমাম ও সমাজসেবী মাওলানা আব্দুল আজিজ, শিক্ষক আব্দুল গফুর বিশ্বাস, সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল জব্বার, চিত্রশিল্পী আব্দুল লতিফ খান, রাজনীতিক আব্দুল হামিদ, রাজনীতিক ও সংগঠক আহসান উদ্দিন মানিক, দিনাজপুরের শিক্ষক আবুল হোসেন, শাহ মো. সোলাইমান, হোমিও চিকিৎসক আবু বক্কর আকন্দ, শিক্ষক আছাব উদ্দীন সরকার, মফিজ উদ্দীন সরকার, সংগীতশিল্পী আমিরুল হুদা জিন্না, শিক্ষক আব্দুল খালেক, নেত্রকোনার শিক্ষক কামিনী কুমার চক্রবর্তী, নওগাঁর আইয়ুব হোসেন, প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল, শিক্ষক খাজা আব্দুস ছাত্তার, জয়নাল আবেদিন, কুমিল্লার মাওলানা আবদুল লতিফ, বরিশালের ইমাম ও স্কুলশিক্ষক মুনশি আলী আজিম খান, কিশোরগঞ্জের শিক্ষক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ, নীরদ রঞ্জন গিরী, সংগীতশিল্পী ভূপতিনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী, ময়মনসিংহের ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা ছফির উদ্দিন মুনশী, নীলফামারীর অভিনেতা নূর মোহাম্মদ, মুন্সীগঞ্জের ডা. সুরেন্দ্র চন্দ্র সাহা, সিলেটের পুরোহিত স্বামী পরমানন্দ গিরী, ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা মকদ্দস আলী, ইতালির নাগরিক ফাদার মারিও ভেরোনেসি, গোপালগঞ্জের শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রামের শিক্ষক সুমতি রঞ্জন বড়ুয়া।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান ঝলককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সলিমাবাদ মধ্যপাড়া মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ মধ্যপাড়া এলাকার ছামিনুর রহমানের ছেলে ঝলক।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, ঝলক তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় মাঠের কাছে ফাঁকা একটি জায়গায় আসলে পূর্ব থেকেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হোসেন রতন বলেন, ঝলক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

তানজিদ শাহ জালাল ইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম দেবশ্রী রায়। কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। দেবশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷গত রবিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে দেবশ্রীর স্বামীর কর্মস্থলের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।তার স্বামী বরগুনার গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক কঙ্কন রয়।

বরগুনা থানা সূত্রে জানা যায়, দেবশ্রী রায় তার স্বামীর সাথে বরগুনার সদরে থাকতেন। সেখানে কক্ষে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ দেবশ্রীকে উদ্ধার করে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে আত্মহত্যা করেছে।দেবশ্রীর মৃত্যুতে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানানো হয়।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বারেক। দেবশ্রীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।শশুরবাড়ি খুলনায়।তার স্বামীর চাকরি সূত্রে তিনি বরগুনায় থাকতেন।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহপাঠী জানান, দেবশ্রী ছিলো শান্তশিষ্ট। আসলে কি কারণে আত্মহত্যা করল তা জানা নেই।তবে পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা কি।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, তার বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তার ক্লাস প্রতিনিধি আমাকে জানিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram