ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা কিছু সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হলেও যারা হল ছেড়ে যাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাত্র বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বা অনুসারী যিনি হউক না কেন, অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে আবাসিক হল ছেড়ে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।’
সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরেন উপাচার্য।
হল থেকে অছাত্রদের বের করতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘হলগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের রিপিটার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার এবং তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’
দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনা প্রবাহে কয়েকটি দাবি উল্লেখপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার জন্য ২/১টি পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনার পর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা-সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, মাদক নির্মূল, ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
ঢাকাঃ পড়ালেখায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের ছয়জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘সূরুচী বালা পাল ট্রাস্ট ফান্ড’ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তির চেক বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এসময় উপাচার্য বলেন, দেশ, জাতি ও পরিবারের প্রত্যাশা পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। পিতামাতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ট্রাস্ট ফান্ডের দাতার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের জন্য তিনি দাতাকে ধন্যবাদ দেন।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম মাহবুব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা ড. তাপস চন্দ্র পাল বক্তব্য দেন।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মাহিয়ুল ইসলাম (ম্যানেজমেন্ট), আল আরাফাহ (অর্থনীতি), বাবুল মিয়া (জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি), নয়ন চন্দ্র বর্মণ (ফার্মেসি), সাদিয়া শারমিন চৈতি (ফার্মেসি) ও রাবিনা আক্তার রোশনী (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ইকোনোমিক্স অ্যান্ড সোসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন কক্ষে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার আগামী দুই বছরের জন্য এ দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
অধ্যাপক ড. ইমরানুল ইসলামের সঞ্চালনায় একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বদিউজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গতকাল ১৮ মার্চ সদ্য বিদায়ী ডিন ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক আবুল বাশার খানের দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আজ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বারংবার সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনা শিক্ষাঙ্গনকে চরম একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আজ চরমভাবে বিঘ্নিত। মহামান্য হাইকোর্টের রায় অনুসারে গঠিত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে এবং নারীর প্রতি অবমাননাকে সামাজিক অবমাননা হিসেবে দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকলেও যদি তার মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে যায় তাহলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের হার ৫০:৫০ থাকার পরও সেখানে ক্রমাগত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ না থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং একই সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ও পরিপন্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায় না বরং শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ের তৎপরতা দেখা যায়, যা প্রকৃত শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উদ্বেগজনক।’
প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মজীবী নারীদের ব্যানারে আরও একটি সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, প্রশিক্ষণ-গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত লিগ্যাল এইড পরিচালক অ্যাড. দীপ্তি শিকদার, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস, লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, সদস্য হেনা চৌধুরী এবং অ্যাড. হালিমা খাতুন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কানিজ ফাতেমা সই করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন, তবে এর আগেই বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হলে তখনই সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হবে।
প্রদীপ কুমার পান্ডে রাজশাহীর বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে এসএসসি, ১৯৯১ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ব্রিটিশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
ঢাকাঃ রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোজার আরবি শব্দ সওম, যার আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। পরিভাষায় সওম বলা হয়-প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নর-নারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোজাভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং রমযান মাসের চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ, মুকীম প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং হায়েয-নেফাসমুক্ত প্রাপ্তবয়স্কা নারীর ওপর পূর্ণ রমযান রোজা রাখা ফরয। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।-সূরা বাকারা (২) : ১৮৩অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন-
সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে।- সূরা বাকারা (২) : ১৮৫
হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন হাদিসে রোজা রাখার ফজিলত ঘোষণা করেছেন। সেসব ফজিলতের হাদিস অসংখ্য। এখানে কয়েকটি ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হলো:
১. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,রোজা হলো ঢাল। (অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ঢাল) সুতরাং কেউ যেনো নির্লজ্জ কাজ ও মূর্খপনা কথা না বলে। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে আসে বা তাকে গালি দেয়, তখন যেনো সে বলে দেয় আমি রোজাদার। আমার সত্তার কসম! রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার কাছে মেশকের সুঘ্রাণ থেকেও বেশি উৎকৃষ্ট। কারণ, সে আমার জন্য তার খাবার, পানীয় ও শারীরিক চাহিদা ছেড়ে দিয়েছে। (সুতরাং) রোজা আমার জন্য আর আমিই সেটির প্রতিদান দেবো। (বুখারি শরিফ: হাদিস- ১৭৯৫)
২. হযরত সাহল রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জান্নাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে। কেয়ামতের দিন রোজাদাররা উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে না। (কেয়ামতের দিন) রোজাদাররা কোথায় এই বলে ডাকা হবে। রোজাদাররা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যখন তারা উক্ত দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে, তখন সেটিকে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিছুতেই অন্য কেউ আর প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি শরিফ: হাদিস- ১৭৯৭)
৩. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রোজাদারদের দুটি আনন্দের সময় আছে যে দুটি সময়ে তারা আনন্দ করবে। একটি হলো, ইফতারের সময়। অপরটি হলো, (পরকালে) আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাতের সময়। (মুসলিম শরিফ: হাদিস- ১১৫১)
৪. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান অবস্থায় আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ: হাদিস- ১৮০২)
৫. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে অপর জুমা, এক রমজান থেকে অপর রমজান (অর্থাৎ যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, জুমার নামাজ আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে) মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। শর্ত হলো, (উক্ত সময়গুলোতে) কবিরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ (মুসলিম শরিফ: হাদিস- ২৩৩)
এছাড়া বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী রোজা শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ওষুধ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বেশি বেশি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
ঢাকাঃ সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আইকিউএয়ারের বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত-দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশে বায়ুদূষণের হার সবচেয়ে বেশি। এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। খবর রয়টার্সের।
বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইকিউএয়ার।
২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৫ দেশের মধ্যে সবার শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় এর পরপরই রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তান। বাকি দুটি দেশ হলো- তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসো।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার এই তিন দেশের ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণ সম্পর্কে বলেছেন, জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব আকাশ ছুঁয়েছে।
শ্রোয়েডার আরও বলেন, বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণ হলো-দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব।
এর আগে ২০২২ সালে দূষিত বায়ুমানের তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম ও ভারত অষ্টম অবস্থানে ছিল।
ভারতের বায়ুদূষণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে ১১ গুণ বেশি। রাজধানী দিল্লি সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে দূষণের হার ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম।
২০২২ সালে বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশ চাদকে এবার তথ্যের অপ্রাপ্যতার কারণে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ইরান নিজেদের এই তালিকা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
রাজশাহীঃ রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা পর্যন্ত ফিতরা দেওয়া যাবে। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসায় ওলামায়ে কেরামদের বৈঠকে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামী সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস ও ওলামায়ে কেরামরা।
বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজার দর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসাবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসাবে ২ হাজর ৬৪০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া চলতি বছর রমজানে জাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। শেষে পুরোনো রুপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে জাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)। বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যে কোনো একটির মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
ঢাকাঃ দেশের বাজারে রেকর্ড দাম হওয়ার পর কমেছে সোনার দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভালো মানের এক ভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। তবে সোনার গয়না কিনতে এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা।
অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২০ হাজার ২১৫ টাকা গুনতে হবে।
মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার (২০ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৭ মার্চ ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১৩ দিন রেকর্ড দামে বিক্রির পর এখন সোনার দাম কিছুটা হলেও কমল।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাতের মাস হলো পবিত্র রমজান। সংযম ও সহনশীলতা অনুশীলনের জন্য আল্লাহ আমাদের রোজা ফরজ করেছেন। রমজানের রোজা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এই ভুলধারণাগুলো সংশোধন করে নিতে বলেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
রোজা সম্পর্কিত ২০টি ভুল হচ্ছে-
১. রমজানের চাঁদ না দেখা।
২. রোজার জন্য শুধু খাবার মজুদ করা।
৩. বাচ্চাদের রোজা রাখতে না দেয়া।
৪. মুখের নিয়তকে জরুরি মনে করা।
৫.রোজা রেখেও পাপ কাজ করা।
৬.মিসওয়াক করাকে দোষের মনে করা।
৭.সাহরি বেশি দ্রুত বা বেশি দেরি করে করে খাওয়া।
৮.গোসল ফরজ হলে সাহরি খাওয়াকে দোষের মনে করা।
৯.সাহরি না খেলে রোজা হয় না মনে করা।
১০.সাহরিতে খেজুর না খাওয়া।
১১.সাহরিতে দোয়া না করা।
১২.থুথু গিললে রোজা ভেঙে গেছে মনে করা।
১৩.ফজর পড়ে ঘুমানো।
১৪.মাগরিবের আজানের জবাব না দেয়া।
১৫.তারাবীর নামাজে তাড়াহুড়ো ও চার রাকাত পর পর দোয়াকে জরুরি মনে করা।
১৬.রোজা রেখে সময় অপচয় করা।
১৭.ইফতারদাতার জন্য দোয়া না করা।
১৮.ইতেকাফ না করা।
১৯.রোজার শেষ দিন কেনাকাটায় বেশি ব্যস্ত হওয়া।
২০.ফিতরা সময়মতো আদায় না করা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
জামালপুরঃ জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় অন্তত তিন ডজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে দাপ্তরিক কাজ চালানো হচ্ছে। এমনিতেই এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট। এর মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এতে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজেও বাড়ছে জটিলতা।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ের বেশির ভাগেই তিনজন করে শিক্ষক রয়েছেন। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে ওইসব বিদ্যালয় চালানো হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রায়ই নানা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে মাত্র দুজন সহকারী শিক্ষক দিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা ছুটিতে থাকলে সেদিনের পাঠদান প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে মানতে চান না। অনেক ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
মদনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৬ বছর যাবৎ এখানে প্রধান শিক্ষক নেই। চারজন শিক্ষক দিয়ে চলছে। মাসে অন্তত ১০ কর্মদিবস উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে অথবা কোনো সভায় যোগ দিতে আমাকে উপজেলা সদরে যেতে হয়। তখন তিনজন শিক্ষক দিয়েই প্রাক্প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণির শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়ানো যায় না। একই সঙ্গে দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে।’
একই অবস্থা সুবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নেই ২০১১ সাল থেকে। ১৪০ শিক্ষার্থীর এই বিদ্যালয়টিতে আমিসহ তিনজন শিক্ষক রয়েছি। আমাকে মাসে ৮ থেকে ৯ দিন দাপ্তরিক কাজের জন্য উপজেলা সদরে যেতে হয়। অপর দুজন শিক্ষককে সবগুলো ক্লাস নিতে হয়। এতে ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যায় না এবং শিক্ষার মান দুর্বল হচ্ছে। বিষয়গুলো শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।’
সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিজান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। সহকারী শিক্ষকও নেই পর্যাপ্ত। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সুবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাজমা বেগম বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাঝেমধ্যে অফিশিয়াল কাজে উপজেলা সদরে যান। এ সময় এক শিক্ষককে অনেকগুলো ক্লাস নিতে হয়। এতে ঠিকমতো হচ্ছে না লেখাপড়া।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার মো. আতাবুজ্জামান হেলাল বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণেই মূলত সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বকশীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ৩৬টি বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। নানা জটিলতার কারণে পদোন্নতি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, তাঁদের একটি তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষকসংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, বেশ কিছু সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ অথবা পদোন্নতি হলেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। এটা সময় সাপেক্ষ।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা রাখি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত- এমসিকিউ) পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া হবে ২৩ মার্চ। ওইদিন থেকেই প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা আবেদনের সময় যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে টেলিটক নম্বর (০১৫৫২-১৪৬০৫৬) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের খুদেবার্তা পাঠানো হবে।
পরীক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইট থেকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোড করা। প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি বিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাঁকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাতে বলা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪