বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪

ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বছরে ঘাটতি ৫৬০ কোটি টাকা টাকার বেশি। প্রতি বছরই এ ঘাটতি আরও বাড়ছে। ফলে অবসর সুবিধার জন্য বছরের পর বছর শিক্ষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অপেক্ষার শেষ হচ্ছে না। অনেকেই অবসর সুবিধা না পেয়ে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে মারাও যাচ্ছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধার অনিষ্পন্ন ৬১ হাজারের বেশি আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সংসদীয় কমিটির সহায়তা চাওয়া হয়েছে। অপরদিকে এসব অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধার আবেদন সময়মত নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে শিক্ষা সচিব সোলায়মান খান নিজেই প্রসঙ্গটি তোলেন।

সচিব বলেন, বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা খাতে বছরে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার চেয়ে বরাদ্দ অনেক কম হওয়ায় প্রতি বছর ঘাটতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে একজন শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন পার হলেও তার আবেদন নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। বর্তমানে অর্থভাবে প্রায় ৩৪ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় আছে। এগুলো নিষ্পত্তি করতে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন।

কল্যাণ ট্রাস্টে অনিষ্পন্ন ২৭ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রায় ২ হাজার কোটি ৪০০’শ কোটি টাকা প্রয়োজন বলেও তিনি কমিটিতে জানান। পরে তিনি এ বিষয়ে কমিটির সহায়তা কামনা করেন।

বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বৈঠকে বলেন, চাকরি শেষে যে অবসর সুবিধা পাওয়ার কথা সেটাও যথাসময়ে না পাওয়ায় তারা জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। এমনকি শেষ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পরায় অবসর সুবিধা ভোগ না করেই অনেকে মারা যান। তিনি এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নাছিম তার বক্তব্যে দেশে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের মূলকারণ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায় প্রতিষ্ঠানের তহবিলের প্রতি অনৈতিক লোভলালসার কথা তুলে ধরেন।

কমিটির সদস্য আহমদ হোসেন তার বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা দ্রুত নিরসণ করার প্রস্তাব করেন।

পরে বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের অনিষ্পন্ন আবেদন দ্রুত নিষ্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার অনিষ্পন্ন আবেদন নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পেতে বছরে গড়ে ১৬ হাজার ৮শটি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বছরে তাদের প্রয়োজন ৭২০ কোটি। কিন্তু এমপিও থেকে ৪ শতাংশ হারে কর্তন থেকে বছরে ৫৭৬ কোটি টাকা ও ব্যাংক সুদ থেকে বছরে ২৪ কোটিসহ বছরে তাদের আয় ৬০০ কোটি টাকা। বছরে তাদের ঘাটতি থাকছে ১২০ কোটি।

অবসর সুবিধা বোর্ডের ২০২০ সালের আগস্ট থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩৪ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

এ খাতে বছরে প্রায় ১০ হাজার ৮’শটি আবেদন পড়ে। এগুলো নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন ১ হাজার ৩২০ কোটি। এ খাতে শিক্ষকদের বেতন থেকে কর্তন থেকে বছরে আয় ৮৪০ কোটি ও ব্যাংক এফডিআর থেকে আয় ৩৬ কোটি। এ খাতে বছরে ঘাটতি থাকে ৪৪৪ কোটি টাকা। বর্তমানে সরকারি কর্মচরীদের মতো শিক্ষকদেরও বার্ষিক বেতন প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে এ দুটি খাতে ঘাটতি আরও বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজারের বেশি মামলা

বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (এমপিওভুক্ত) রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংসদীয় কমিটিকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, নিয়োগ, ছাত্র ভর্তি, দলাদলি, জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে বেশিরভাগ মামলা মোকাদ্দমা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মামলা চলমান আছে। যে কারণে এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

উচ্চ শিক্ষায় মানসন্মত শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব উল্লেখ করে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যান তাদের ৮০ শতাংশ দেশে ফেরেন না।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা প্রাপ্তি সংক্রান্ত অনিষ্পন্ন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির পাশাপাশি কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি স্থায়ী সমাধান করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও এবিষয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য ও সৃষ্ট পদ খালি রয়েছে তা দ্রুত পূরণেরও সুপারিশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, মো. মোতাহার হোসেন, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মো. আবদুল মজিদ, আহমদ হোসেন, মো. বিপ্লব হাসান এবং মো. আজিজুল ইসলাম অংশ নেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

ভোলাঃ জেলার চরফ্যাশন উপজেলার পূর্ব ওমরাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল সীমাকে (২৪) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি খালেক মালতিয়া (৫৬)-কে বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন হাসপাতাল চত্বর থেকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে।

জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ওমরাবাজ গ্রামে স্কুল শিক্ষিকা ও তার স্বজনদের ওপর হামলা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আবদুল খালেক মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিত হলে ফ্যানের বাতাসে মাথার ব্যান্ডেজ উড়ে যায়। এ সময় দেখা যায়, তার মাথায় কোনো ক্ষত নেই।

তিনি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আহত সীমা বেগম খালেক মালতিয়ার আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে ঈদের রাতে খালেক মালতিয়া ও তার সহযোগীরা সীমা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দা বটি দিয়ে স্কুল শিক্ষিকা সীমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এ ঘটনায় ১৩ এপ্রিল সীমার বোন জান্নাতুল ফেসদাউস বাদী হয়ে আবদুল খালেক মালতিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন।

শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামুল হক বলেন, মামলার প্রধান আসামি আবদুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুরঃ ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষার মান এখন সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট হলেই হলো। শিখতে আর হবে না। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাবদিহিতার অভাবে দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী মাধ্যেমে যুক্ত হয়ে দেশের ৬৪ জেলার এক সঙ্গে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।

ফরিদপুর শহরের মহিম ইনস্টিটিউশন মাঠে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে ৪০টি স্টল নিয়ে বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শন করা হয়।

সকালে শুরুতে প্রধান অতিথি এ কে আজাদ ফিতা কেটে প্রদশর্নীর উদ্বোধন করেন। সেখান তিনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও তাদের প্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে আলোচনা সভা ও সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

আলোচনা সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এলাকায় বেকারত্ব দূর করার অঙ্গীকার করেছি। আমি পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কিন্তু কর্মসংস্থান দিতে গিয়ে ইন্টারভিউ নেয়ার পরে রেজাল্ট দেখে খুব কষ্ট লাগে। এজন্য আমাদের কোয়ালিটি এডুকেশনের দিকে জোর দিতে হবে।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উদ্দেশ্যে করে এ কে আজাদ বলেন, আপনার (ইউএনও)র সুযোগ আছে। আপনার আন্ডারে স্কুল-কলেজগুলোর মান নিয়ে কাজ করা হয়। আপনি ভিজিটে যান। অনেক স্কুলেই শিক্ষকরা ঠিকমত স্কুলে থাকে না। শিক্ষার্থীদের আপনি (ইউএনও) যা পড়ানো হয়েছে তা থেকে প্রশ্ন করে দেখেন, তারা ঠিক মত উত্তর দিতে পারবে না। আমাদের শিক্ষার মান এখন সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট হলেই হলো। শিখতে আর হবে না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদনের দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিষয় পরিবর্তনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ((www.nu.ac.bd/admissions) ফলাফল দেখতে পারবেন। এছাড়া মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। এসএমএসে ফলাফল জানতে nu<space>athn<space>roll no লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বিতীয় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কোন শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ২৭ মার্চের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।

দ্বিতীয় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে Yes অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাজুস এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া পুষ্টি বাগানের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর সরকার গঠন করে ক্ষমতায় আছে। সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন গবেষণা। খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে তা গবেষণা ছাড়া সম্ভব হতো না।’

রুমানা আলী আরও বলেন, ‘বেসরকারি খাতে যারা খামারি আছেন তাঁদেরকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি। কৃষি সম্পদের জন্যও সেভাবেই কাজ করে যাব।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে কিন্তু আমরা গবাদিপশু, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করি। বাড়িতে পশুপাখি পালনে পুরুষের পাশাপাশি আমাদের মা-বোনেরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গরু-ছাগল হাঁসমুরগি পালনে মা-বোনদের বেশি করে সম্পৃক্ত করতে পারলে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’

রুমানা আলী বলেন, ‘আপনারা যাঁরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে ঘুরছেন। আমি বলব চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই একজন উদ্যোক্তা হন। প্রাণিসম্পদ একটি বড় সম্পদ। বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই সম্পদের ওপর ভর করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই আমরা নিজেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে দেশটা এগিয়ে নিতে কাজ করি।’

প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানান রুমানা আলী। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ক্ষমতায় আছে। সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন গবেষণা। খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে তা গবেষণা ছাড়া সম্ভব হতো না।’

রুমানা আলী আরও বলেন, ‘নিজের শিশু সন্তানকে একটি দায়িত্ব দিয়ে ছেড়ে দেন। হতে পারে একটি হাঁস, একটি মুরগি কিংবা একটি কবুতর। তা থেকে সে কাজে মনোযোগী হবে। ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। বই মেলার গেলে শিশুদের বই কিনে দিন আর বৃক্ষ মেলায় গেলে একটি গাছের চারা কিনে দিয়ে তাঁকে পরিচর্যার দায়িত্ব দেন। আরেকটি বিষয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন সেটি হলো পুষ্টি বাগান। আপনারা পুষ্টি বাগানের ওপর গুরুত্ব দেন।’

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসিনা মমতাজ প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ ক্রমেই মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯৯৯ এর সেবা পেতে ১১ হাজার ৪৮৪ জন মানুষ কল করেছেন। যার মধ্যে শব্দদূষণে বিরক্ত হয়ে অভিযোগ কল করে তথ্য দিয়েছেন ১ হাজার ১৭৫ ভুক্তভোগী।

৯৯৯ এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন।

ঈদের ছুটিতে ৬টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে ৯৯৯। সেগুলো হলো, শব্দদূষণ, মারামারি, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জিম্মি করা, জুয়া ও সন্ত্রাস বা জনশাস্তিমূলক কর্মকাণ্ড।

ঈদের ছুটির ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে এক হাজার ১৭৫টি কল পেয়েছে ৯৯৯। এছাড়া সর্বোচ্চ কল এসেছে মারামারির ঘটনায় তিন হাজার ১০৬টি, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় ৬৮৬টি কল, জিম্মি করার অভিযোগে ৬৮৬টি কল, জুয়ার অভিযোগে ৫৯৭টি কল ও সন্ত্রাস বা জনশাস্তিমূলক কর্মকাণ্ডে ৫৭৫টি কল করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি।

এসব কলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জরুরি সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ। এগুলোর বাইরে এবার ঈদে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগেও ভুক্তভোগীদের সেবা দিয়েছে ৯৯৯।

নাগরিকদের জরুরি সেবা দিতে পুলিশের অধীনে পরিচালিত জরুরি কল সেন্টার ৯৯৯ চালু হয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর। এখান থেকে শুধু পুলিশ নয়, জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এই সেবার জন্য ফোন করতে পারেন। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে এ সেবা। ৯৯৯–এ ফোন করতে কোনো খরচও নেই, এটি টোল ফ্রি।

জরুরি এই কল সেন্টারে বেশিরভাগ কল করেন ঢাকায় অবস্থানকারীরা।

রাজধানীর শব্দদূষণ দিন দিন বাড়ছে। এই নীরব ঘাতক রোধ হচ্ছে না। এর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগও তেমন নেই। রাজধানীতে গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দদূষণ হচ্ছে। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গত বছরের এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঈদুল ফিতরের ছুটির পরও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানা গেছে।

এর আগে গতকাল বুধবারে ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেন। বাকি ১২৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।

শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান বলে জানা গেছে।

বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা এসব বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে একটি হলে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা পর ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হয় বুয়েটে। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী রাতের আঁধারে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান, এমন অভিযোগ এনে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছাত্ররা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন। পরে বুয়েটের হল থেকে ইমতিয়াজ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর সিট (আসন) বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এরই মধ্যে রাজনীতি নিষিদ্ধে বুয়েট কর্তৃপক্ষের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেন রিট করেন ইমতিয়াজ। পরে এর শুনানি নিয়ে গত ১ এপ্রিল ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত ও ইমতিয়াজকে সিট ফিরিয়ে দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পক্ষে। সে মর্মেই তারা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পরীক্ষায় নম্বর না থাকলে শিক্ষার্থীরা কিছুই করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এটি ভালো মানসিকতা নয় উল্লেখ করে এ থেকে বের হয়ে আসতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন মানসিকতা তৈরি করেছি যে পরীক্ষায় মার্কস না থাকলে কিছুই করতে চাই না। এটা বিশেষ করে শহরাঞ্চলে দেখা যায়। সেজন্য অবশ্যই স্কাউটদের ক্রেডিট দেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমাদের নতুন কারিকুলামের মধ্যেও স্কাউটিং থাকবে।’

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শহরের অনেক অভিভাবকদের মধ্যে দেখা যায়, তারা শুধুমাত্র ফলাফল এবং পুঁথিগত বিদ্যার ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে আমাদের সন্তানেরা সমাজকে না জেনে, অপরে সহযোগিতা করার মানসিকতা ধারণ না করে অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে বেড়ে উঠছে৷ আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলবো। এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। সেজন্য শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, পুঁথিগত শিক্ষার মধ্যে নিজেদেরকে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না। অভিভাবকগণ যাতে নিজ নিজ সন্তানকে স্কাউটিং কার্যক্রমে যাতে সম্পৃক্ত করেন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, ফলাফল ও পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করতে না পারলে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে যে সমস্ত পরিবর্তনগুলো আসছে সেগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে বর্তমান জেনারেশনের অনেক কষ্ট হবে। স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হলে স্কাউটিংয়ের যে প্রশিক্ষণ সেটি আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ স্কাউটসের উপদেষ্টা ড. শাহ মোহাম্মদ ফরিদ, ড. মো. আব্দুল করিম, বাংলাদেশ স্কাউটসের স্পেশাল ইভেন্টস বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভাপতি মো. মফিজুল ইসলাম।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

ঢাকাঃ  বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। আরও ছয়টি দেশে দূতাবাস খুলবে গ্রিস, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রিস আরও ছয়টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এথেন্সে 'নভোটেল এথেন্স' হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নবম 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগদানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে সফরে রয়েছেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ই মার্চও বিএনপি পালন করে না। এতেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির কতটুকু বিশ্বাস আছে তার প্রমাণ মেলে।

তিনি গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজেরও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহ্বান জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

লক্ষ্মীপুরঃ পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram