শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে যদি এবার রোজা ২৯টি হয় তাহলে ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

সেক্ষেত্রে ঈদের আগের দিনও (৯ এপ্রিল) অফিস করতে হবে চাকরিজীবীদের। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম  বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতে পারব।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

চাকরিজীবীরা বলেন, যদি ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হয় তাহলে আমাদের ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে।

এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের ছুটি।

সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন। কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও।

এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।

ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আগামী অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সহস্রাধিক বেসরকারি সংস্থার মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।

গত ৮ বছরের বাজেটের চিত্র তুলে ধরে গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শিক্ষাখাতের বাজেট একই বৃত্তে আটকে আছে৷ যেখান থেকে বের হওয়া প্রয়োজন। এর বাইরে আমরা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিতে পারছি না৷ যেটি পাওয়া যাচ্ছে সেটি কম, ব্যবহার করা হচ্ছে আরো কম। বাজেট দিলেই হবে না, ব্যবহারের যে সক্ষমতা সেখানে হাত দিতে হবে৷

“গত অর্থবছরে শিক্ষা খাতের ১১৮টি প্রকল্পে ২৯ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল৷ রিভাইজ বাজেটে সেটা হয়েছে ১৭ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা।"

চলতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই হার ১২ দশমিক ১ শতাংশ, এর আগের অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ৷

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহারের প্রসঙ্গ টেনে মোস্তাফিজুর বলেন, “শিক্ষাখাতে যথাযথ অর্থায়ন করাসহ শিক্ষকদের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেখানে৷ এগুলোর শতভাগ না পারলেও, ৬০-৮০ ভাগ পালন করা হলেও শিক্ষার নতুন চিত্র আমরা দেখতে পাব৷"

শিক্ষার্থীদের মাসিক উপবৃত্তি অন্তত ৫০০ টাকা করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা করা, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি তিনি তুলে ধরেন।

আলোচনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন৷

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক আছেন ৩১৪ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন ১১০ জন। এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক না থাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ভেদে ১০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৪ শিক্ষকের মধ্যে ১৫ শিক্ষক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ শিক্ষকের মধ্যে তিনজন, রসায়ন বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৮, মার্কেটিং বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৬, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১০ শিক্ষকের মধ্যে ৫, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৪, ফার্মেসি বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৬, পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭ শিক্ষকের মধ্যে ৪, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪ শিক্ষকের মধ্যে ৭ এবং অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৬ শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরুন্নবী, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পিয়ার হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাফসা আশা ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল আনোয়ার ইতোমধ্যে নিজেদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ছুটির নিয়মে এক বিভাগের শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে থাকার নিয়ম ছিল। বর্তমানে এ বিষয়ে কোনো বিধিবিধান নেই। তবে চাকরিতে যোগদানের দুই বছর শেষে পিএইচডি ও এমফিল করতে শিক্ষা ছুটি পাওয়ার বিধান বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এতে পিএইচডি করার জন্য পাঁচ বছর ও এমফিল বা স্নাতকোত্তর করার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সীমা শেষে বিদেশ থেকে ফিরছেন না অনেক শিক্ষক। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান শিক্ষক নিজেদের নির্ধারিত ক্লাস নিচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের নিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লাস। এতে একাধিক বিভাগে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক গড় অনুপাতের মানদণ্ড ধরা হয় ১: ২০। সেখানে বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১: ৫০। অর্থাৎ প্রতি পঞ্চাশ শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন।

রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষা ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের অনেকেরই ছুটি শেষ হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যোগদান না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে কেউ কেউ অব্যাহতির আবেদন করেছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দেনাপাওনা মেটানোর পর অব্যাহতি দেওয়া হবে।

বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরই শিক্ষক সংকট সমাধানের চেষ্টা করে আসছেন। ইতোমধ্যে ইউজিসি ও রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করে বেশ কয়েকটি বিভাগে স্থায়ী ও খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক সংকট কাটাতে আরও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিক্ষক সংকট কাটিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিত করবেন বলে জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শিক্ষাপ্রাঙ্গণ ও তার ১০০ মিটারের মধ্যে ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি করা যাবে না। এই নিয়ে আবার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করে নির্দেশিকা পাঠালো উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুলের ভিতরে বা তার আশপাশে ধূমপান করা বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা বহুদিন ধরেই নিষিদ্ধ ছিলো। কিন্তু কোথাও কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা দেখা গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনও দু-তিনটি স্কুলের মধ্যে ধূমপানের অভিযোগ এসেছিলো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা ও তারা যেনো পড়ুয়াদেরও সচেতন করেন।”

শুধু যে সিগারেট বারণ করা হয়েছে তা নয় শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি হয় সেগুলোর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক মহল স্বাগত জানালেও সচেতনতা প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘শিক্ষা সংসদের এই সচেতনতা নির্দেশকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি। তবে সিগারেট থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে গেলে খালি প্রধান শিক্ষকরা সচেতনতায় উদ্যোগী হলে হবে না। তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রশাসনকে।’

শিক্ষা দফতরের আইন বিভাগের এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শুধুমাত্র স্কুলে সচেতনতা ও প্রচার করে ধূমপানের মতন ক্ষতিকারক নেশাকে নিয়ন্ত্রণ করা স্কুলগুলোর পক্ষে একা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “আমরা শিক্ষা সংসদের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। শুধু শিক্ষকরা সচেতন করলে হবে না, শিক্ষকদেরও সচেতন থাকতে হবে ধূমপানের ক্ষেত্রে। তবেই নতুন প্রজন্ম এই ধূমপান থেকে বিরত থাকবে। অভিভাবকদেরও পড়ুয়াদের ধূমপানের নেশা থেকে দূরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”

বহুদিন ধরেই এই ধূমপান সামগ্রী স্কুলের আশপাশে যাতে বিক্রি না হয় ও যুবসমাজের মধ্যে এই নেশা না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আইন রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা সঠিক না হওয়ায় এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এমনটা মত শিক্ষক সংগঠনগুলোর। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘শিক্ষা সংসদের তরফে সচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি দিলে শুধু হবে না। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে আইন রয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না থাকলে সরকারের সদিচ্ছা না হলে খালি বিদ্যালয়গুলোর পক্ষে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।’

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, বহু শিক্ষক স্কুল প্রাঙ্গণে বা তার আশে পাশের ধূমপান করে থাকেন। এই সচেতনতা মূলক নির্দেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছেও বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যেনো তারাও শিক্ষাঙ্গন ও তার আশপাশে ধূমপান থেকে বিরত থাকেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখা এবং এর অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে ১৮টি পদে ৫৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর

পদের বিবরণ

চাকরির ধরন: অস্থায়ীপ্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষকর্মস্থল: যে কোনো স্থান

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ৩০ জনের নিয়োগ, আবেদন ফি ২২৩ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ম্যানেজার পদে চাকরির সুযোগ
বয়স: ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৪০ বছর

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১-১৩ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ১৪-১৮ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।

আবেদন শুরু: ০১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সন্ধা ০৬টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক, ২৮ মার্চ ২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দেশে মাধ্যমিক স্তরে চার বছরে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পলাশীতে ব্যানবেইস কার্যালয়ে জরিপ প্রতিবেদন নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জরিপের ফল উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের জরিপ শাখার প্রধান শেখ মো. আলমগীর।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ তিন হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে।

এ চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। তারা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী।
মাধ্যমিক স্তরে এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কর্মশালায় জানতে চাইলে মো. আলমগীর জানান, সাধারণত ১১-১৫ বছরের বাচ্চারা মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) বলছে এই পর্যায়ের জনসংখ্যা কমেছে।

আগামী বছর এই সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা তার। তবে তারা শুধু পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কেন শিক্ষার্থী কমেছে, তার কারণ অনুসন্ধান করেননি।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, আমরা শুধু বেসিক তথ্য সংগ্রহ করেছি। ভবিষ্যতে বিষয়গুলো দেখা হবে।

করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদরাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে। আর গত কয়েক বছরে ঝরে পড়ার হার কমেছে। ২০১০ সালে ঝরে পড়ার হার ছিল ৫৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশে।

কর্মশালায় জানানো হয়, প্রাথমিকোত্তর স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপের আওতাভুক্ত ছিল। ৩৯ হাজার ৭৮৮টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, পেশাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (আইন কলেজ, লেদার টেকনোলজি কলেজ ইত্যাদি), মেডিকেল কলেজ/নার্সিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ জরিপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৩ সালের ৩ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

বুধবার (২৭ মার্চ) বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র অনুযায়ী কলেজের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৩ মার্চ কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছিল বোর্ডগুলো।

তবে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা ঠিক কবে শুরু হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ৩০ জুন তারা পরীক্ষা শুরু করতে চান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে ওই তারিখেই পরীক্ষা শুরু হবে।

এদিকে, পরীক্ষার তারিখ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ ও প্রক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

আরও পড়ুনএইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ১৬ এপ্রিল, পরীক্ষা ৩০ জুন২০২৫ সালের এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়ে এ প্রক্রিয়া চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি ছাড়া ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া যাবে। ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে এ ফি জমা দেওয়া যাবে।

কোন বিভাগের জন্য কত ফি

ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে।

অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।

শিক্ষা বোর্ড বলছে, বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।

এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত কেন্দ্র তালিকা দেখুন এখানে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং চারুকলা ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবারফল প্রকাশের পাশাপাশি ইউনিটগুলোতে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন খুলনার সরকারি এমএম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তিনি পেয়েছেন ১০৫.২৫ নম্বর।

বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী প্রতীক রসূল। তিনি পেয়েছেন ১১১.২৫ নম্বর।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১০৫.৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর।

চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের বাঁধন তালুকদার। তিনি পেয়েছেন ৯৮.১৬ নম্বর।

ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চার ইউনিটে গড়ে ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী, যা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর ১০.০৭ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছরিন জাহান তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নুরুর রহমান। তিনি জানান, গত ২০ মার্চ জামিন আবেদন করে দ্বীন ইসলামের আইনজীবী। তখনও তার আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি মৃত্যুর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন।

ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি এ মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মার্চ কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন এ মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিন ও সহপাঠী আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে উভয় আসামি কুমিল্লা কারাগারে আছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এছাড়া চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশল শিক্ষাসহ দেশের পেশাগত শিক্ষায় যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’– এর খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত এক কর্মশালায় খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এখন প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, দেশে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৮৪২টি (১৩০টি সরকারি)। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী পৌনে দুই লাখ। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। পেশার শিক্ষার মধ্যে আবার চিকিৎসা শিক্ষায় নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১০৯টি মেডিকেল কলেজের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ছাত্রী।

ব্যানবেইসের এ প্রতিবেদনে শিক্ষার আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এ ছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের হার ৫৩ শতাংশের বেশি, কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি, মাদ্রাসায় প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রীদের হার ২৯ শতাংশের বেশি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের হার ৩৭ শতাংশের বেশি। অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের এই হার আরও বেশি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যানবেইসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।

ঢাকাঃ চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশল শিক্ষাসহ দেশের পেশাগত শিক্ষায় যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’– এর খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত এক কর্মশালায় খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এখন প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, দেশে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৮৪২টি (১৩০টি সরকারি)। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী পৌনে দুই লাখ। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। পেশার শিক্ষার মধ্যে আবার চিকিৎসা শিক্ষায় নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১০৯টি মেডিকেল কলেজের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ছাত্রী।

ব্যানবেইসের এ প্রতিবেদনে শিক্ষার আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এ ছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের হার ৫৩ শতাংশের বেশি, কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি, মাদ্রাসায় প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রীদের হার ২৯ শতাংশের বেশি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের হার ৩৭ শতাংশের বেশি। অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের এই হার আরও বেশি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যানবেইসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।

জামালপুরঃ জেলার সরিষাবাড়িতে মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ি থানার ওসি মুসফিকার রহমান।

জানা গেছে, সরিষাবাড়ির বাঁশবাড়ি গ্রামের আব্দুল বারেকের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিলো আব্দুল জলিল। এ অবস্থায় বুধবার রাতে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে খোদেজা বেগম সরিষাবাড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।

খোদেজা বেগমের অভিযোগ, তার একমাত্র ছেলে শ্যামেরপাড়া ফিরোজ মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নন-এমপিও সহকারী শিক্ষক আব্দুল জলিল ভরণ পোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরিষাবাড়ি থানায় অভিযোগ করেন।

সরিষাবাড়ি থানার ওসি মুসফিকার রহমান বলেন, খোদেজার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইনে মামলা দায়ের করে ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram