শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

প্রিয় বন্ধু
মোঃইব্রাহিম ইবি

মনে আছে সকালের শিশির ভেজা
ঘাসের কথা?
কুয়াশার অনিমেষ আর তাজা
ফুলের ঘ্রানের কথা।
ভাবলাম এতদিন হল আজ,
দু 'এক কলম লিখি তবে
কেটে যাক সকল বেদনা বসন্তরাজ
মুছে যাক অভিমান যত আপন ভেবে।
এতো রক্তের নয় আত্মার টান
সমন্ধের উপরে
যে টানে প্রকৃতি অবাক হেরে যায়
এক মহা বিস্ময়ের ভারে।
প্রিয় বন্ধু, এ এক আজব শব্দ
দেখ কেমন পারে
ধুয়ে দিতে এক সাগর বেদনা
স্রোতেরও বিপরীত তীরে!
বন্ধু,এ এক অসাধারণ অনুভূতি
এক সাথে কাটানো সন্ধ্যে সকাল
আজো করতে পারেনি বিচ্ছেদ কিছু
কেটে গেলে কত সে-কাল এ-কাল।
কত ঝর এল গেল,কত সময় পেরুল
কত দিন চলে যায়,ভোরের কুয়াশায়
প্রিয় বন্ধু দেখ এখনো তোমায় ভাবি
এখনো স্বপ্নে আঁকি,সেই পুরুনো ছঁবি।
স্মৃতির তৈলচিত্রটা জলচ্ছবির গল্পের মাঝে
সেই বাঁকা পথে হেয়ালিপনার স্বপ্নসাঁঝে।
পাতিহাঁস গুলো আজো লেজ দুলিয়ে হাঁটে
দেখো আমাদের শব্দ শোনা যায় তাদের ঠোঁটে।
আবারো হবে দেখা কোন এক কুঁয়াশার সকালে
কাঁচা রাস্তার ধারে খুব চুপিসারে।
হঠাৎ যদি মনে পরে,চমকে তাকিও
একসাথে যেন থাকতে পারি
পরম সুখের জান্নাতেও।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাইদা ইসলাম তাছনিয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা’র হোমনা উপজেলা সদরে অবস্থিত খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে। তার বোর্ড  রোল: হোমনা-১,  নং: ৫৬১৬৯৫, রেজি: ১৯১১২১৬০৮৮ ।

৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে এ ফলাফল জানতে পেরে শিক্ষার্থী সহ তার স্বজনেরা আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়।

সাইদা ইসলাম তাছনিয়া জানায়, জেএসসি পরীক্ষায় আমি ভাল ফলাফল করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমি পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছি বলেই আজ ভালো ফলাফল করতে পেরেছি। আমার পিতা-মাতা, ভাই ও আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ আমার পড়াশোনাতে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। জেএসসি পরীক্ষার এই ফলাফলের পেছনে আমার পিতা -মাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

আগামীতে এরূপ ভাল ফলাফল করার লক্ষ্যে আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের সমাপনী পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে বিকল্প পদ্ধতি ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল প্রকাশের সময় তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জিপিএ ৫ জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অভিভাবকরা কোমলমতি শিক্ষার্থিদের জীবন বিষিয়ে তুলছেন। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। তিনি বলেন, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। শিক্ষার পাশাপাশি মানসিকতা, নীতি নৈতিকতা, সৃজনশীলতার বিকাশ হচ্ছে কিনা সেই দিকে লক্ষ রাখা উচিৎ।

শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ার চাপ কমানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাপনী পরীক্ষায় পুরো গ্রেডিং পদ্ধতি তুলে দিয়ে মূল্যয়নের নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ চলছে। আগামী বছর ২০২০ সালের শেষে সেই পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা আছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় দেশের এক হাজার ৮৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সবাই পাস করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতবারের চেয়ে এ বছর পাশের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

গত বছর এই হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৭৮ হাজার ৪২৯ জন, যা গত বছর ছিল ৬৮ হাজার ৯৫ জন। ফলে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ১০ হাজার ৩৩৪ জন। আর দুই স্তরে পাস করেছে মোট ২২ লাখ ৭৮ হাজার ২৭১ জন পরীক্ষার্থী। এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এতে অংশ নেয় ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পরীক্ষা ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সংবাদ সম্মেলনের পরই প্রকাশ পায় পরীক্ষার ফল।

প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের সমাপনী পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে বিকল্প পদ্ধতি ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল প্রকাশের সময় তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জিপিএ ৫ জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অভিভাবকরা কোমলমতি শিক্ষার্থিদের জীবন বিষিয়ে তুলছেন। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। তিনি বলেন, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। শিক্ষার পাশাপাশি মানসিকতা, নীতি নৈতিকতা, সৃজনশীলতার বিকাশ হচ্ছে কিনা সেই দিকে লক্ষ রাখা উচিৎ।

শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ার চাপ কমানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাপনী পরীক্ষায় পুরো গ্রেডিং পদ্ধতি তুলে দিয়ে মূল্যয়নের নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ চলছে। আগামী বছর ২০২০ সালের শেষে সেই পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা আছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সুখবর শুনতে কার না ভালো লাগে! আর সেটা যদি হয় নতুন বছরের প্রথম দিনেই তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সরকারি কর্মচারীদের এরকমই সুখবর দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য স্বল্প সুদে গৃহ ঋণ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে যে নীতিমালা করেছিল সুদের হারের দিক থেকে এখন তা আরো শিথিল করেছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে তা কার্যকর হবে। সোমবার নীতিমালা সংশোধন করে গৃহ ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এই হার আগে ছিল সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। সুদের ওপর কোনো সুদ আরোপ করা হবে না।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক প্রায় এক বছর ধরে স্বল্প সুদে এ ধরনের ঋণ দিয়ে আসছে। মূল নীতিমালায় বলা হয়েছে, ১০ শতাংশের মধ্যে ব্যাংক হার অর্থাৎ ৫ শতাংশ সুদ দেবেন ঋণ গ্রহণকারী, বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। নীতিমালার ৭.১ (ঘ) (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, নতুন সুদের হার শুধু নতুন ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। নীতিমালা অনুযায়ী চাকরির গ্রেড মেনে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। শুরুতে বেসামরিক ও সামরিক কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হলেও পরে বিচারক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ তালিকায় যুক্ত হন।

এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে পাস করেছে ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন। আর ইবতেদায়ীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ ফলাফল তুলে ধরেন। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন তিনি।

এবার সমাপনীতে মোট ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০ লাখ ৭২ হাজার ১৫৪ জন ছাত্র ও ১২ লাখ ৭১ ৫৮৯ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন। এদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ ও ছাত্রী এক লাখ ৮৪ ৬৩৭ জন। অন্যদিকে ইবতেদায়িতে এবার তিন লাখ চার হাজার ১৭৮ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪১ হাজার ৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫৬৮৫ জন ও এক হাজার ১৯২ জন ছাত্রী।

গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর ইবতেদায়ীতে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। সে হিসেবে এবার প্রাথমিকে পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ আর ইবতেদায়ীতে কমেছে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যেভাবে জানা যাবে ফল: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) ও (http://dperesult.teletalk.com.bd), এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে প্রাথমিক সমাপনীর ফল। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফল জানতে প্রথমে DPE লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখতে হবে। এরপর একটি স্পেস দিয়ে পাসের সন লিখে পাঠাতে হবে যে কোনো মোবাইল থেকে ১৬২২২ নম্বরে। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর ফল জানতে প্রথমে EBT লিখে একটি স্পেস দিয়ে শিক্ষার্থীর আইডি লিখতে হবে। এরপর আরও একটি স্পেস দিয়ে পাসের সন লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে । ফল পেয়ে যারা অসন্তুষ্ট তাদের জন্য পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে হবে। যেভাবে আবেদন করতে হবে শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে এ আবেদন করা যাবে। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে DPRSC লিখে স্পেস দিয়ে স্টুডেন্ট আইডি লিখে স্পেস দিয়ে স্পেস বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে। পিন কোড নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে আবারও মেসেজ অপশনে গিয়ে DPRSC লিখে স্পেস Yes লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর দিয়ে স্পেস মোবাইল নম্বর (যে কোনো অপারেটর) লিখে আবার ১৬২২২ তে পাঠাতে হবে। প্রতি বিষয়ের জন্য ১৮০ টাকা চার্জ ধরা হয়েছে। একটি এসএমএস দিয়ে একাধিক বিষয়ে আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিষয় কোডের পর কমা (,) ব্যবহার করতে হবে।

চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ৩লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে ১১ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ ভাগ। আর ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে ফল ঘোষণা করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করা হয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী। এদেন মধ্যে পাস করেছে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী। এদের পাস করেছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তথ্য আগামী এক মাসের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তালিকায় অন্তর্ভূক্ত এবং ব্যানবেইস তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছাড়া অনুমোদিত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত ছক মোকাবেক পৃথকভাবে আগামী ১ মাসের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তথ্য চেয়েছে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। ওই চিঠিতে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর তালিকায় থাকা সব মাদ্রাসার নিম্নবর্ণিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রেরিত ছক মোতাবেক চাহিত তথ্যাদি এক মাসের মধ্যের পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। যাচাই বাছাই কমিটিতে যারা আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদস্য, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সদস্য এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষণ অফিসার সদস্য সচিব।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,আমরা যত কম জিপিএ-৫ নিয়ে কথা বলি তত আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো। আমাদের জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা। এটি দিয়ে আমরা আমাদের শিশুদের, শিক্ষার্থীদের পুরো শিক্ষা জীবনটাকে একেবারে নিরানন্দময়তো করছেই, তার সঙ্গে বিষিয়ে দিচ্ছি প্রায়।“তাদের উপর যে অবিশ্বাস্য রকমের চাপ, পরিবারের দিক থেকে, বন্ধু-বান্ধবের দিক থেকে, জিপিএ-৫ই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না।” মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেএসসি-জেডিসির ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। দীপু মনি বলেন, “জিপিএ-৫ জিনিসটা আসলে আমাদের মাথা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিখছে কি না, তাদের নিজেদের যে প্রতিভা আছে সেটি বিকশিত করার ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারছি কি না, এই বিষয়গুলোই এখন মুখ্য হওয়া উচিত।” পাবলিক পরীক্ষার বিষয় কমানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা কিছু বিষয় এখন ধারাবাহিক মূল্যায়নে নিয়ে এসেছি। এক সময় ধারাবাহিক মুল্যায়নে বাচ্চারা সে কাজগুলো না করেই নম্বর যুক্ত হয়ে যেত, এ রকমই বলা হত। এখন আর তার কোনো সুযোগ থাকছে না।”

পাবলিক পরীক্ষাসহ সমাপনী পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি নিয়ে মাতামাতি না করে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকশিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আগামী বছর থেকে অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল ৫ ভিত্তিক জিপিএর বদলে ৪ ভিত্তিক জিপিএতে দেওয়া শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। নতুন এই ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাইলটিং হয়েছে, আমরা চালু করছি, সেখানে কিন্তু তাদের প্রতিটি কাজই প্রতিদিন করতে হবে এবং শিক্ষকদের সেগুলো ডিজিটালি ইনপুট দিয়ে দিতে হবে। এখানে ভুল কিছু করার সুযোগ নেই।” দীপু মনির ভাষ্য, শিক্ষার ক্ষেত্রে তারা গুণগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন, মানের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন।

“সেখানে পুরো মাইন্ডসেটটা পরিবর্তন করে দেখতে হবে কোন কোন বিষয়গুলোতে জোর দেব, কোনগুলোকে বড় করে দেখব।” জিপিএ-৪ এ মূল্যায়ন ২০২০ সাল থেকে অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল ৫ ভিত্তিক জিপিএর পরিবর্তে ৪ ভিত্তিক জিপিএতে করার সিদ্ধান্ত ২০২০ সাল থেকে কার্যকর করা হতে পারে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম এ বছর কার্যকর করতে পারি কি না, কিন্তু মনে হল এবার করতে গেলে অনেক বেশি তাড়াহুড়ো হবে, তাড়াহুড়ো করে একটা জিনিস পরিবর্তন করা- এটা বোধহয় সমীচীন হবে না। আমরা পুরোটাই বিশ্লেষণ করে দেখে আগামী বছর থেকে শুরু করব বলে আশা করছি।” “পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে পুরো গ্রেডিং সিস্টেমটা তুলে দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করতে পারি সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বসয়সীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরণ অনশনকারীদের ১১তম দিন গড়িয়েছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে অনশনে বসেছেন তারা। মঙ্গলবার (৩১ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের অনশন থেকে অনশনকারীরা ৩৫ দাবিতে তাদের ১১তম দিনের আমরণ অনশন চলছে বলে জানান। এসময় অনশনে অংশ নেয়া নাহিদা আক্তার এডুকেশন বাংলাকে বলেন, ২১ তারিখ থেকে আমরা অনশন করছি । গত পরশু আমি অসুস্থ হয়ে গেলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন আমার অবস্থা এতোটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল,তখন ডাক্তার আমাকে দুইটা স্যালাইন নেয়ার পরামর্শ দেন।

যে স্যালাইন দুই ঘণ্টা চলার কথা। সেটা আমার শরীরে মাত্র ২০ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো আমি মারা যেতাম। ঢাকার বাহিরে থেকে এসে আমি আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছি। ৩৫ শুধু আমার একার দাবি না, এটা সবার দাবি। তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আমরা না খেয়ে রাস্তায় বসে আছি। আপনি কি আমাদের প্রতি একটুও দয়া দেখাতে পারেন না ? ৩০ এর উপরে গেলে মানুষ কি তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ? আমরা চাকরি চাই না, শুধু চাকরিতে আবেদনের সুযোগ চাই। আবেদ হাসান এডুকেশন বাংলাকে বলেন, আমাদের ৩৫ দাবিটি যদি অযৌক্তিক হতো , তাহলে এ আন্দোলন আজ এ পর্যন্ত আসতো না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের নিজ সন্তানের ভূমিকায় একবার ভেবে দেখেন। ৩৫ প্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা ৩৫ চান আপনারা আমাদের সাথে এসে দলে দলে যোগ দিন। তাহলে অতিশীঘ্রই আমাদের দাবিটি বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। কেননা, জনসমর্থনের কারণে আমাদের যৌক্তিক দাবিট ঝুলে আছে। লায়লা জাহান এডুকেশন বাংলাকে বলেন, ৩৫ বয়সসীমা দাবিতে গত ২১ তারিখ থেকে আমরণ অনশনে আছি। আর এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে অনশন পালন করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আট বছর যাবত এই দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার কেন এখনো আমাদের এই দাবিটি কেন মানছে না তা আমাদের বোধগম্য নয় । আমাদের শিক্ষা জীবনে অনার্স মাস্টার্স মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বছর দেশের বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের মাস্টার্স ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। চাকরিতে বয়স ৩৫ না থাকার কারণে বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক পড়াশোনার মনোযোগী না হয়ে শুধুমাত্র চাকরি নামক প্রতিযোগিতার জন্য পড়াশোনা করছে। যার ফলে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন হচ্ছে না।

মোঃ মশিউর রহমান,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)থেকে।।
দিনাজপুর ফুলবাড়ী শিশু কানন প্র-ক্যাডেট স্কুল এর বার্ষিক ফলাফল ঘোষনা,বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের সনদপত্র প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রঙ্গনে ফুলবাড়ী জি,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন-উর-রশীদ এর সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী,দৈনিক দেশমার সম্পাদক,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক ওমর চাঁদ গুপ্ত অপু,তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক আলহাজ¦ সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল,ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হারুন-উর-রশীদ,জি,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গবিন্দ বাবু,দলিল লেখক হিরো,ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সনদ বিতরণ শেষ স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনু্িষ্ঠত হয়।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram