শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪

।। অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খাঁন।।

পবিত্র মাহে রমজান বছরের প্রথম দিকে তাই এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাধারে ছুটি শিক্ষার্থীরা পাঠ ভুলে যাবে, শিক্ষক শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা শিক্ষা পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাবে ।

আবার এ সময়টা শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিকে তাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সপ্তাহে এক দিন ছুটি কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে । পবিত্র রমজান মাসের ৩০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব না ।

তারপর ঈদের ছুটি দিতেই হবে । হয়তো শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে ১০/১২ দিন খোলা থাকতে পারে । যেমন এ বছর ১৫ দিন খোলা রেখেছেন । আর শনিবার ছুটি বাতিল করলে বছরে ৫২ দিন ছুটি বাতিল হয় ।

তাছাড়া সারাদেশের সরকারি কর্মকর্তা –কর্মচারিদের সকল অফিস আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনের । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুদিনের ছুটি নিয়ে এতো ভাবনা কেন?

বেসরকারি শিক্ষকরা আছেন অনেক বেতন বৈষম্যে, উৎসব ভাতা ২৫%, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া নাম মাত্র। এসব নিয়ে ভাবনার কোনো নেতা বা দেশপ্রেমিক পাওয়া যায়না ।

প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানোর মতো কোন নেতা পাওয়া যায় না। অথচ সাপ্তাহিক ছুটি নিয়া বিভ্রান্তির মধ্যে সকল শিক্ষক-কর্মচারিদের রাখছে যাতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামার সময় না পায় ।

আগে শিক্ষা জাতীয়করনের পথে হাটতে হবে দেশ । নতুন কারিকুলাম শুরুই হয়েছে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে । শিক্ষকদের লজ্জা থেকে বাঁচাতে উৎসব ভাতা পূর্ণাঙ্গ হতে হবে ।

১০/১২ দিন রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ৫২দিন সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর ভাবনা দূরে সরে যাবার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি ।

সকল প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সাপ্তাহিক ছুট শুক্রবার ও শনিবার থাকবে এটাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রত্যাশা ।
শিক্ষা বিপ্লবের শুভেচ্ছা ।

লেখক-
অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান
মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর ।

অধ্যাপক মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ।।

“জীবনে যাদের হররোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ
মুমূর্ষ সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ”?
কাজী নজরুল ইসলাম
জাতীয় কবির এমন অভিব্যক্তি আজো একজন শিক্ষকের জীবনকে চরমভাবে বিদ্রæপ করে। রূঢ় সত্য হলো, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র বেতন বেশি অথচ শিক্ষকের বেতন ও সুযোগ সুবিধা কম, অন্যদিকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র বেতন কম অথচ শিক্ষকের বেতন ও সুযোগ সুবিধা বেশি!

সরকারি বেতনস্কেল অনুযায়ী স্নাতক পাস একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতন ১২৫০০/=, তিনি এরই ২৫% (সিকি ভাগ) উৎসবভাতা হিসেবে পান ৩১২৫/=! এবার আমরা যদি তার ঈদ বাজেট দেখি তবে, উন্নয়নের মহাসড়কে তিনি যে কতটা বেমানান তা বলা বাহুল্য।

বেসরকারি শিক্ষকের ঈদ বাজেট (পরিবারের সদস্য সংখ্যা ০৬ জন)

আয় ব্যয় মন্তব্য

৩১২৫/= মায়ের শাড়ি ১০০০/= কান্না হতাশার নিরব হাহাকার
বাবার পাঞ্জাবি ৮০০/=
বউয়ের আবদার ১০০০/=
বা”চাদের বায়না ১২০০/=
কাজের বুয়ার দাবি ৭০০/=
ঈদের দিনের খাবার ১২০০/=
ফিতরার টাকা ৬৯০/=
সর্বমোট- ৬৫৯০/=
ভাবতে অবাক লাগে বেসরকারি শিক্ষকদের হাহাকার কেঊ শোনেন না। এখানে যদিও একটি কাল্পনিক বাজেট দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে একজন বেসরকারি শিক্ষকের জীবনে ঈদ এর চেয়েও বিবর্ণ ও হতাশার। বিশেষতঃ যারা নন-এমপিও তাদের অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করবার মতো নয়।

আশা ছিল, এবারের ঈদের আগেই বেসরকারি শিক্ষকদের ব্যাপার সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকবে। অথচ এ ব্যাপারে আমরা হতাশ হয়েছি। যদিও মাঠে-ময়দানে সরকারের অনুগত ও সুবিধাভোগী শিক্ষক সংগঠনগুলো আশার বাণী শোনা”েছন। কিš‘ ভরসা কোথায়? আমরা জানি না।

একটি ‘জাতীয়লজ্জা’ এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণের উৎসবভাতা! দেশের প্রায় শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি। শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের প্রারম্ভিক বেতনের ১০০% রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকবৃন্দই বিশ্বের একমাত্র পেশাজীবী যারা ২৫% উৎসবভাতা পান! এমপিওভুক্তদের সর্বো”চ ও সর্বনিম্ন পদের সবাই একই পরিমাণ ১০০০/= বাড়িভাড়া পান। তারা পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ও উৎসবভাতা, বৈশাখীভাতা, সে”ছা অবসর, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার।

১৯৬৬ প্যারিস সন্মেলনে ১৩ টি অধ্যায় ও ১৪৬ টি ধারা-উপধারায় শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকারের জন্য প্রণীত সুপারিশে শিক্ষকের চিকিৎসা- স্বাস্থ্যসেবা, ছুটি বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ক্ষেত্রে বলা আছে (ক) সম্মানজনক পারিতোষিক নিশ্চিতকরণ (খ) যুক্তি সংগত জীবনমান বিধানকল্পে সুবিধাদি নিশ্চিতকরণ (গ) স্কেল অনুযায়ী নিয়মিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা (ঘ) জীবনধারণের ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে বেতন কাঠামো পূণঃবিন্যাস ও বর্ধিতবেতন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ইত্যাদি।
অথচ ‘মানুষ গড়ার কারিগর’দের জীবনমান অনুন্নত থাকলে, কারিগরকে অভূক্ত, অবহেলিত রাখলে জাতি হয়ে ওঠবে অবনমিত ও নিন্মগামী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে দারুণ অনগ্রসর ও করুণ পেশাজীবীর অখ্যান ‘বেসরকারি শিক্ষক’। ঐসব মানুষদের আকাক্সক্ষা ও অপেক্ষা অনন্ত হাহাকার হয়ে শূন্যে মেলায়!

শিক্ষা মানুষের মৌলিকাধিকার। ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’। জাতিকে খাড়া-সোঝা রাখার দায়িত্ব পালন করেন ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ অর্থাৎ ‘শিক্ষক’। অথচ দেশের অভিন্ন সিলেবাসে পাঠদানকারী প্রায় শতভাগ বেসরকারি শিক্ষক নানান বঞ্চনা শিকার। আছে নন-এমপিওদের কষ্টের নিরব চিৎকার! এ অবস্থার  কারণেই সব চেষ্টা, সব উদ্দোগ পায় না প্রকৃত গতি।
পরিশেষে আশরাফ সিদ্দিকীর ‘তালেব মাস্টার’ কবিতার ছন্দে আমার নিবেদন:

“অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে আমার
.......সুদীর্ঘ দিন ধরে বহু ঝঞ্ঝা ঝড়
বয়ে গেছে। ভুলেছি।
অক্লান্তভাবেই জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলেছি।
পানির মত বছর কেটে গেল
কত ছাত্র গেল, এল.......!

কাজেই, এক ঘোষণায় সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ দরকার। পাঁচ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ও তাদের পরিবার এবং সর্বস্তরের নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীগণ মাদার অব হিউমিনিটি খেতাবধন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো সুরঙ্গমুখে আলোর ঝিলক দেখা যাবে সহসাই!

লেখক: বিভাগীয় প্রধান ইসলামিক স্টাডিজ কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ কাপাসিয়া গাজীপুর

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

ঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত ফজিলাতুন্নেসা হলের একটি কক্ষে সিগারেট থেকে আগুন লাগার ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড)। মোসাররাত লামিয়া নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক নুরল আলমের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কারের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে এই শাস্তি সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ০৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মিত ফজিলাতুন্নেছা হলের ৮১০নম্বর কক্ষে সিগারেট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

শিক্ষা বার্তা ডট কমে/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

যশোরঃ জেলার চৌগাছায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে চৌগাছার কয়ারপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটিকে মাদরাসা শিক্ষক একের পর এক বেত্রাঘাত করছেন। এমনকি লাথিও মারছেন। এ সময় শিশুটি বারবার শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে।

ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী সোনানুর রহমান সাজিদ জানান, মোবাইল ফোনে এসএমএস দেয়া নিয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন কয়রাপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আখতারুজ্জামান। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে বেধড়ক পেটান।

এদিকে, নির্যাতনের এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।সাজিদের বাবা আলী আকবর বলেন, নির্মমভাবে নির্যাতনের কারনে ছেলের শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষত হয়েছে।

এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কমে/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে আজ শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।

শিক্ষা বার্তা ডট কমে/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা পত্রিকায় গত ২২ মার্চ ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে অচলাবস্থা' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রহিমা আফরোজ। তিনি দাবি করেছেন, অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বড়ির সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান ব্যক্তি স্বার্থে তার দলবল নিয়ে বাধা দেন এবং অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করেন। লালবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ।

পঞ্চগড়ঃ জেলার মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও তাঁদের পাঠদানের জন্য আছেন মাত্র ৩৫ জন শিক্ষক। খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েও বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যক্রম শেষ করা যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজের বেশ কয়েকটি বিষয়ে তিনজন বা এর বেশি শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন করে। ফলে একজন শিক্ষক পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র একজন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি এবং স্নাতক ৩২০ শিক্ষার্থীর পাঠদানের দায়িত্বে আছেন একজন শিক্ষক।

আইসিটির শিক্ষক প্রভাষক মো. রাহাত আলম প্রধান বলেন, ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে গিয়ে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অতিথি শিক্ষকের (খণ্ডকালীন শিক্ষক) সহায়তায় চালিয়ে নেওয়া হয়।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক মো. ছায়েদুর রহমান প্রধান বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের ১২০ জন আর স্নাতকের (পাস) ২০০ জন শিক্ষার্থীকে একাই পাঠদান করতে হয় তাঁকে। প্রায় সাত বছর ধরে তিনি একাই এভাবে পাঠদান করছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর আগে একজন শিক্ষকের পদায়ন হলেও তিনি যোগদান করার অগেই বদলি হয়ে চলে যান। মাঝেমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালানো হয় বলে জানান তিনি।

রসায়ন বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকে (পাস) মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. পশিবুল হক বলেন, শিক্ষার্থী অনুযায়ী রসায়ন বিভাগে পাঠদানের জন্য আরও শিক্ষক প্রয়োজন। একাই ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ না নেওয়ায় শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হয়েছে। তবে খণ্ডকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কলেজের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনেই চালানো হয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি কলেজে দ্রুত একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।

কলেজের কার্যালয় ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় ৯ দশমিক ১৬ একর জমিতে গড়ে ওঠে মকবুলার রহমান কলেজ। এরপর ১৯৮৩ সালের ১ মে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। ১৯৭০ সালে স্নাতক (পাস কোর্স) এবং ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে ৬টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। স্নাতকোত্তর চালু হয় ২০১৩ সালে। কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থী ৭ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে ১ হাজার ১০০ জন, স্নাতক ৮০০ জন, ৯টি বিষয়ের স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ৪ হাজার ৬০০ জন এবং ৬টি বিষয়ের স্নাতকোত্তরে ৬৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। কলেজে ৮০ আসনের ১টি ছাত্র হোস্টেল ও ১০০ আসনের একটি ছাত্রী হোস্টেল আছে। কলেজের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনে একটি গ্রন্থাগার আছে, তবে গ্রন্থাগারিক না থাকায় সেখানে কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুসনাদ আহম্মেদ মান্নান বলেন, ‘প্রথম বর্ষে যেভাবে ক্লাস হয়, সেভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে ক্লাস হয়। চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের যে কয়েকজন শিক্ষক আছেন, তাঁদেরকেই উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি, অনার্স—সব জায়গায় সামাল দিতে হয়। কলেজে আরও শিক্ষক হলে আমরা শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতাম।’

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এহতেশামুল হক বলেন, ‘থাকায় আমরা যাঁরা কর্মরত আছি, তাঁদেরকেই উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাঠদান করতে হয়। এতে পাঠদানে হিমশিম খেতে হয়।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

কুমিল্লাঃ   এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক মোহাম্মদ আইনুল হক একসঙ্গে দুই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তিনি এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

পদত্যাগ পত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং সেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরোন্ত নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি ওই পদগুলোতে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য আমার মনে হয়েছে, এই পদে আমার থাকা অনুচিত।'

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।

এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ  নতুন বছরে ক্লাস শুরুর ৩ মাস পার হলেও এখনও কাটেনি শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের জটিলতা। বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষকেরাই এই অ্যাপে ঢুকতে পারছেন না। এখনও চূড়ান্ত হয়নি মূল্যায়ন পদ্ধতিও। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে।

চলতি বছর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রম চলছে। যা চালুর পর থেকেই প্রস্তুতির যথেষ্ট ঘাটতির কথা বলছেন শিক্ষা গবেষকেরা।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের ফল শিক্ষকরা ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপসে দেবে। বছর শেষে ওই অ্যাপের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী মূল্যায়ন হবে। অথচ ৩ মাস পার হলেও অ্যাপের জটিলতাই কাটেনি।

মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেওয়ান তাহেরা আক্তার বলেন, ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপসে ছেলেদের তথ্য ইনপুট দিয়েছি। তবে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কাজ চলছে বলে দেখাচ্ছে। সেগুলো ইনপুট দিতে পারছি না।

রাজধানীর বাইরের অবস্থা আরও শোচনীয়। ঢাকার বাইরের শিক্ষকের জানান, অ্যাপস পুরোপুরি চালু না হওয়ার তাঁদের জটিলতা বেড়েছে। মূল্যায়ন আদৌ হচ্ছে কিনা তাই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। অনেকক্ষেত্রে অ্যাপসে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা।

অভিভাবক নেতারা বলছেন, একদিকে অ্যাপস জটিলতা, অন্যদিকে মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কেও তারা স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন না।

অভিভাবক নেতা আনোয়ার কবির ভূঁইয়া পুলক বলেন, আমরা অনেক উদ্বিগ্ন। আমাদের বাচ্চাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে আমরা তা জানিনা। স্কুল বা সরকারের তরফ থেকেও আমাদের বিস্তারিত কিছু জানানো হচ্ছে না।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলছেন, সফটওয়্যারের জটিলতা দ্রুতই নিরসন হচ্ছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, যে স্কুল আমাদের কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছে তা সাথে সাথেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলে আমাদের জানাতে হবে।

এদিকে, মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করতে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন হলেও এখনও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ  সম্প্রতি অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এখনও ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

তদন্তে ইতোমধ্যে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

জানা গেছে, ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।

জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হোক, তখন জানা যাবে।’

এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। ছাত্রী ভর্তিতে তাকে দায়ী করা হলে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।

লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান শাহ আলম।

এরপর তদন্ত শুরু করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ভর্তি সংশ্লিষ্টদের। জবাব পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে বলে জানানো হয় ওই চিঠিতে।

এর আগে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে ভর্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওই ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করলে হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

মুহাম্মদ আবদুল কাদিরঃ সপ্তদশ শতকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, তা আজ বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, যার গতি কল্পনার গতিকেও হার মানায়, যা আমাদের বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, চিকিত্সা, শিক্ষা ও উত্পাদনব্যবস্থাপনায় টর্নেডোর মতো ঝড় তুলে নতুনত্বের ধারণা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। আমাদের চিন্তাজগেক করেছে প্রসারিত ও পেশাগত জীবনকে করেছে চ্যালেঞ্জিং। আমাদের মনোজগতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। টিকে থাকার লড়াইয়ে তাই বারবার আমাদের সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কেননা আগামী ১০ বছরে বর্তমানের অনেক পেশা হারিয়ে যাবে এবং তদস্থলে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তির বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। এভাবে আগামীর পৃথিবী কতটা পরিবর্তন হতে পারে, তা আমাদের ভাবনাতেও নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে এমনটি হতে পারে। পরিবর্তিত এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব মনোভাব কীভাবে যুগোপযোগী হবে, তাই নিয়ে এখন আলোচন চলছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে।

প্রকৃতপক্ষে দক্ষ শিক্ষকই কেবল পারেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত্ যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে শিল্পবিপ্লবের সফলতা নিশ্চিত করতে। তাই আজকের যোগ্য শিক্ষকই আগামীর চ্যালেঞ্জিং জাতি বিনির্মাণের প্রধান কারিগর। শিক্ষকদের তাই প্রথমত যুগোপযোগী টিচিং লার্নিং মেথড সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এ মেথড বাস্তবায়নে বর্তমানে TPACK (Technological Pedagogical and Content Knowledge) একটি আদর্শ অ্যাপ্লিকেশন বা মডেল, যেখানে বিষয়বস্তু, শিক্ষাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি চমত্কার সমন্বয় ঘটেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়বস্তু ও শিক্ষণ-শিখন ফলপ্রসূ করাই এ মডেলের উদ্দেশ্য। এ মডেল বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকের টেকনোলজিক্যাল, পেডাগোজিক্যাল ও কনটেন্ট নলেজের (Technological, Pedagogical ও Content Knowledge) দক্ষতা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে বর্তমানে এ পদ্ধতি বিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মালটিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাদানকে স্থায়ী ও ফলপ্রসূ করাই এ পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষাদান পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ, ব্রেইন স্টর্মিং, সৃজনশীলতা, বিতর্ক প্রভৃতি পদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানো হয়। কী শিখতে হবে, তার পরিবর্তে কীভাবে শিখতে হবে, তার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা অর্জনে সক্ষম ও আগ্রহী করা এবং আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাকে স্থায়ী ও ফলপ্রসূ করা এ পদ্ধতির প্রধান উদ্দেশ্য।

একবিংশ শতকের শিক্ষকের প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণে ‘মুক্তপাঠ’ একটি চমত্কার প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন শিক্ষক অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে নিজের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজেকে শিক্ষার নতুন নতুন আইডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেন। অন্যদিকে ‘শিক্ষক বাতায়ন’ শিক্ষকদের একটি সর্ববৃহত্ প্ল্যাটফরম, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকগণ মানসম্মত ডিজিটাল কনটেন্ট আপলোড, ডাউনলোড, ব্লগ বা কমেন্ট প্রভৃতি করতে পারেন। কনটেন্ট নির্মাণ করে এখানে সেরা কনটেন্ট নির্মাতা ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে একজন শিক্ষক এখানে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদাও লাভ করতে পারেন। তাই শিক্ষকদের এ দুটি প্ল্যাটফরমে যুক্ত থাকা এখন সময়ের দাবি।

শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমানে একটি নবতর সংযোজন হচ্ছে ব্লেন্ডেড লার্নিং, যা ট্র্যাডিশনাল মেথডের সঙ্গে ই-লার্নিংয়ের সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড টিচিং মেথড। এখানে সশরীরে উপস্থিতি ও অনলাইন পদ্ধতির মিশ্রণে শিক্ষণ শেখানো কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষের একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি একজন বিহেভিয়ার স্পেশালিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হন। অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণ করা শিক্ষকের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতে শিক্ষককের শিখন বিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি গুগল ক্লাসরুম, গুগল ফরম, গুগল মিট, জুম, মাইক্রোসফট টিম, এডমোডো, এ আই টুলসে প্রভৃতি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে পারদর্শী হতে হয়। এজন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে শিক্ষকদের পাঁচটি বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো :১. শিক্ষণ বিজ্ঞানে যোগ্যতা, ২. সামাজিক যোগ্যতা, ৩. ব্যক্তিগত যোগ্যতা, ৪. পেশাগত যোগ্যতা, ৫. প্রযুক্তিগত যোগ্যতা।

সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন সামিট ফর এডুকেশন-২০২৩ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল ‘জীবনের জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষা’ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কীভাবে সংবেদনশীল, দায়িত্ববান, সহযোগিতামূলক, কর্মোদ্যোগী, ডিজিটাল ও অংশীদারি হিসেবে রূপান্তর করা যায়, সেই উপায়টি খুঁজে বের করাই ছিল এ সামিটের উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে ইউনেসকো-প্রণীত ফোর পিলার্স অব লার্নিং ধারণাটি বারবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আর তা হলো :১. লার্নিং টু নো (জানার জন্য শিখন) :এই শিখনে পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও জীবনদক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে, যা বাস্তবিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে। ২. লার্নিং টু ডু (করার জন্য শিখন) :এই শিখন হবে প্রয়োগমুখী। শিক্ষার্থীর শিখন প্রয়োগের মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় দক্ষতায়। এই দক্ষতা শুধু কর্মক্ষেত্রের জন্য নয়; হতে হবে ব্যক্তিক উদ্যোগ ও গুণাবলির উন্নয়ন, মনোবৃত্তির ইতিবাচক পরিবর্তন, মানানসই সামাজিক আচরণ ও ঝুঁকি গ্রহণ করার মানসিকতার ক্ষেত্রেও। ৩. লার্নিং টু বি (পরিপূর্ণ হওয়ার শিখন) :এই শিখনের উদ্দেশ্য হবে শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখা; যেখানে ব্যক্তির অধিকার আদায় ও দায়িত্ববোধ পালনের মূল বিষয়; যথা—শরীর ও মন, মেধা, সৌন্দর্য, সংবেদনশীলতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, কল্পনাশক্তি, আধ্যাত্মিকতা, আত্মনির্ভরশীলতা, স্বাধীনতা, বিচার, সৃজনশীলতা, সংকটপূর্ণ চিন্তা, ও মানুষের স্বাধীনতাসহ শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ সম্ভাবনার বিকাশের মাধ্যমে তাদের সামষ্টিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ৪. লার্নিং টু লিভ টুগেদার (একত্রে বসবাসের শিখন) :এই শিখন হবে সামাজিক মূল্যবোধমুখী; যা উত্সারিত হবে শিক্ষার্থীর হূদয় থেকে। এর উদ্দেশ্য হবে সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর, মানবাধিকার সুরক্ষা ও গণতন্ত্রায়ন, মানসম্পন্ন টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশের সুরক্ষায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

শিক্ষার একটি টেকসই ভিত্তি গড়ার জন্য এই ফোর পিলার্স অব লার্নিং ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিক্ষার চমত্কার একটি সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কেই সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লাইফ লং লার্নিং (Life long learning) বা সারা জীবন শিখননীতিতে অনুপ্রাণিত করেছে। এছাড়া উক্ত সম্মেলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য একবিংশ শতকের শিক্ষার আরো পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হলো :১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা, ২. প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ, ৩. আন্তর্জাতিক ভাষা জ্ঞানে পারদর্শিতা, ৪. সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ৫. সৃজনশীলতা ও ইনোভেশন।

শিক্ষা প্রদান বা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের ভিশন ও মিশন ও সঠিকভাবে স্থির করতে না পারলে আমরা আমাদের পথ হারাব। সদা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে। মানবসভ্যতার বিবর্তনের মূলে রয়েছে শিক্ষা আর এই শিক্ষাকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফসল ঘরে তুলে আনাই হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষা ও শিক্ষকতা পেশায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম, প্রশিক্ষণ, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব মনোভাব, দায়িত্বশীলতা, বিষয়ভিত্তিক চর্চা ও গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তবে শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা সমুন্নত না হলে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

লেখক: সহকারী পরিচালক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে যদি এবার রোজা ২৯টি হয় তাহলে ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

সেক্ষেত্রে ঈদের আগের দিনও (৯ এপ্রিল) অফিস করতে হবে চাকরিজীবীদের। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম  বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতে পারব।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

চাকরিজীবীরা বলেন, যদি ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হয় তাহলে আমাদের ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে।

এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের ছুটি।

সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন। কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও।

এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।

ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram