নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরির নিয়োগে পোষ্য কোটা রাখার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান।
এর আগে গত ২৬ মে বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরির নিয়োগে পোষ্য কোটা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান।
রিটে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে এ বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
রিটকারী আইনজীবী জানান, যারা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এ কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৪/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.