Breaking News

জগন্নাথপুর: অধ্যক্ষ মইনুলের জালিয়াতি চিঠি চালাচালিতেই আটকা!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চিঠি চালাচালিতেই আটকে আছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে জালিয়াতি করে বিদ্যোৎসাহী  সদস্য পদে মনোনয়ন নেওয়া একই উপজেলার হুলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: মইনুল ইসলাম পারভেজের জালিয়াতি। মাদ্রাসা প্রধান কর্তৃক প্রস্তাবিত নামের তালিকায় নাম না থাকলেও, মাদ্রাসা প্রধানের আবেদন উপেক্ষা করে ভুয়া আবেদন এবং মাদ্রাসার ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিদ্যোৎসাহী  সদস্য পদে মনোনীত হন অধ্যক্ষ মো: মইনুল ইসলাম পারভেজ।

বিষয়টি নিয়ে গত তারিখে শিক্ষাবার্তা’য় “ভুয়া আবেদন এবং স্মারকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হলেন সেই অধ্যক্ষ মইনুল” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে সেসময় বেশ আলোড়ন তৈরি হয়।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর অধ্যক্ষ মো: মইনুল ইসলাম পারভেজকে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করে চিঠি ইস্যু করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।  ঐ চিঠিতে বলা হয়, মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক একজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের নিমিত্ত সূত্রোস্থ ১ নং স্মারকে বর্ণিত মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), সুনামগঞ্জ ও অধ্যক্ষ কর্তৃক নামের প্রস্তাব সম্বলিত একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এডহক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), সুনামগঞ্জ ও অধ্যক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদন (স্মারক অনুযায়ী আবেদনের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৩) ও আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র পর্যালোচনান্তে সূত্রোস্থ ২ নং স্মারকের ১৬ নং অনুচ্ছেদে (ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন দান) বর্ণিত ক্ষমতা বলে ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজকে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে নির্দেশক্রমে মনোনয়ন দেয়া হলো।

অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষ মইনুলকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করার চিঠিতে মাদ্রাসার যে স্মারক নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। বাস্তবে এই স্মারক নম্বর ভুয়া এবং হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কখনই এই স্মারক নম্বর আবেদনে সংযুক্ত করেননি বা ব্যবহার করেনি। এই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘এডহক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), সুনামগঞ্জ ও অধ্যক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদন ও আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র পর্যালোচনান্তে’ তাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। আদতে এই আবেদন হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ করেনই-নি। বাস্তবে এই আবেদনটিই ভুয়া।

গত বছরের গত ২৭ মে ২০২৩ ইং তারিখে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় নিয়মিত কমিটি গঠনের লক্ষে ২০ মে ২০২৩ ইং তারিখে দাতা প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ২৩ মে ২০২৩ ইং তারিখে অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি কর্তৃক বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের জন্য সূচীপত্র সহ ২৪ পৃষ্ঠার কাগজপত্র সংযুক্ত করে গত ৮/৬/২০২৩ ইং তারিখে আবেদন করেন মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ যার স্মারক নম্বর হবিবপুরফামা/১২৯৯৬৫/২০২-৪২ তারিখঃ ২৩/০৫/২০২৩। এই আবেদনে এডহক সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর না থাকায় তা বাতিল করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর এবং পুনরায় সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর সহ নাম প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলা হয়। এরপর গত ১৯ জুন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৮ জুনের চিঠিতে মোঃ আবিবুল বারীকে সভাপতি করে এবং জগন্নাথপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য করে গভর্নিং বডির মনোনয়ন দেন। অধ্যক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মোঃ শিহাব উদ্দিন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য বাদে গভর্নিং বডির সকল সদস্যের পদ পূরণ হলে গত ০৫ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে ১৮ জুন ২০২৩ ইং তারিখে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আবিবুল বারীর প্রতিস্বাক্ষর নিয়ে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাম প্রস্তাব করে পুনরায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে (অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত) বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন যার স্মারক নম্বর-হবিবপুরফামা/১২৯৯৬৫/২০২-৫৫ তারিখঃ ০৫/০৭/২০২৩।

আরও পড়ুনঃ

অর্থ্যাৎ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের জন্য তৎকালীন এডহক সভাপতি সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) এর প্রতিস্বাক্ষর না থাকায় গত ৮/৬/২০২৩ ইং তারিখে অধ্যক্ষের আবেদন বাতিল করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এরপর আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আবিবুল বারীর প্রতিস্বাক্ষর সংযুক্ত করে নাম প্রস্তাব করে গত ০৫ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে পুনরায় আবেদন করে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। দুই বারের এই আবেদনে প্রস্তাবিত নামের তালিকায় মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ, মোঃ মইনুল ইসলাম পারভেজের নাম প্রস্তাব না করলেও চলতি মাসের গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে মোঃ মইনুল ইসলাম পারভেজকে অধিদপ্তরের ডিজি কর্তৃক বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করে ইস্যু করা চিঠিতে এডহক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), সুনামগঞ্জ ও অধ্যক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের (স্মারক অনুযায়ী আবেদনের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৩) প্রেক্ষিতে করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গত জুন এবং জুলাই মাসে এডহক সভপতির প্রতি স্বাক্ষর ছাড়া এবং গভর্নিং বডির নতুন সভাপতির প্রতিস্বাক্ষরে আবেদন করলেও ইস্যুকৃত চিঠিতে আবেদনের তারিখ দেখানো হয়েছে ২৮ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ। বাস্তবে এই আবেদনটি হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ করেন নাই।

বিষয়টি নিয়ে গত তারিখে শিক্ষাবার্তা’য় “ভুয়া আবেদন এবং স্মারকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হলেন সেই অধ্যক্ষ মইনুল” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে আরেকটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে বর্ণিত মাদ্রাসার স্বারক উল্লেখ করে (এই স্বারক মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে দেওয়াই হয়নি) শুধু মাত্র ডকেট নম্বর পরিবর্তন করে এবং হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যে অধ্যক্ষ মইনুলের নাম প্রস্তাব করেনি তা স্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে উল্লেখ করে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজকে পুনরায় বিদ্যোৎসাহী  সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার গভর্নিংবডিতে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক একজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের নিমিত্ত সূত্রোস্থ ১ নং স্মারকে বর্ণিত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সভাপতি কর্তৃক ৩জনের নামের প্রস্তাব সম্বলিত আবেদন দাখিল করা হয়। বর্ণিত মাদ্রাসার আবেদনে জনাব মোহাম্মদ কবীর উদ্দিন, পিতা: মোহাম্মদ আব্দুল হককে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের প্রস্তাব করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাবলী বিবেচনা ও সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র পর্যালোচনান্তে সূত্রোস্থ ৩ নং স্মারকের ১৬ নং অনুচ্ছেদে (ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজকে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে মনোনয়ন দেয়া হলো

হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজের নাম প্রস্তাব না করা হলেও তাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত করায় এবার লিখিত অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করেন হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আবিবুল বারি। লিখিত অভিযোগে তিনি যে স্বারক এবং আবেদনের কথা মাদ্রাসা অধিদপ্তর উল্লেখ করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত করা হয়েছে সে স্বারক এবং আবেদন হবিবপুর মাদ্রাসা থেকে করা হয়নি উল্লেখ করে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে নান অভিযোগ তুলে ধরেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৫ জুন ২০২৩ তারিখের স্মারক নং-৫৭,20,0000,00২,১৭,০৪৯.২০-১৪৫ এ কাবিন জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার কারণে চাকুরী বিধি পরিপন্থি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে মর্মে মহোদয়ের অফিস থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তি ।  ১৫/১০/২০২৩ তারিখে ৫৭.25.0000.002.00১.২১-২৮৮, স্মারকমূলে তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের কাগজপত্র চেয়ে মহোদয়ের অফিস থেকে নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তি । মনোনীত ব্যক্তি একজন বিতর্কিত ও জালিয়াত এবং অত্র মাদ্রাসার স্বার্থ পরিপন্থি কাজে জড়িত ব্যক্তি । মনোনীত ব্যক্তি সিঙ্গার ১৫/২৩ (জগন্নাথপুর) তার মাদ্রাসা সম্পর্কিত মামলায় (অর্থ আত্মসাৎসহ জাল জালিয়াতির মামলায়) দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকা ব্যক্তি। মনোনীত ব্যক্তি সিআর ৩৮/২৩ (জগন্নাথপুর) কাবিন জালিয়াতি মামলার আসামী। ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দুর্নীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক সমালোচিত ব্যক্তি । কপি সংযুক্ত। মহোদয়ের পত্রে উল্লেখিত সভাপতি অত্র মাদ্রাসার সভাপতি নন। ১৬/০৬/২০২৩ তারিখ থেকে নিম্নস্বাক্ষরকারী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি মহোদয় কর্তৃক মনোনীত সভাপতি। কপি সংযুক্ত। অত্র মাদ্রাসা থেকে ০৮/০৬/২০২৩ ডকেট নং ৭৬৭০ দাখিলকৃত আবেদন ও ১০/০৭/২০২৩ তারিখে দাখিলকৃত আবেদনের কপি। অত্রএব, মহোদয় সমীপে আরজ যে মাদ্রাসা গভর্ণিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উল্লেখিত দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির মনোনয়ন বাতিল করতঃ পুনরায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের আদেশ দাত মহোদয়ের মর্জি হয়।

 

হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আবিবুল বারির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে আরও একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,  সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলাধীন হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য বাতিল করে পুনরায় বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের আবেদন দাখিলের অনুমতি সংক্রান্ত আবেদন মাদ্রাসার সভাপতি, মো: আবিবুল বারী কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, উক্ত আবেদনের বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ-কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হাকিম শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, প্রথমত মাদ্রাসা অধিদপ্তর যে মাদ্রাসার স্বারক ও আবেদনের কথা উল্লেখ করেছে তা আমাদের না। আর দ্বিতীয়ত মাদ্রাসা অধিদপ্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যে সভাপতিকে অনুমোদন দিয়েছে তা অধিদপ্তর স্বীকারই করে না। স্থানীয় প্রশাসনই যদি শিক্ষার সব করব তাহলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের কাজ কি। একজন ডিসি, ইউএনওরা বাইরের জেলা থেকে এখানে দায়িত্বে আসেন তারা স্থানীয় বিষয়গুলো কিভাবে জানবেন। এই মতামত চাওয়া মানেই হচ্ছে হয়রানি করা। তাছাড়া মতামত চাওয়ার ছয় মাস হলেও আমাদের কে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি কোন মতামতও দেওয়া হয়নি। মইনুল ইসলাম একজন জালিয়াতি ব্যক্তি আমাদের কমিটির কেউ চাননি তিনি এখানে আসুক।

মাদ্রাসা অধিদপ্তর কর্তৃক এই চিঠি চালাচালিতেই আটকে আছে আবেদন ও স্বারক জালিয়াতি করে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত হওয়া অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজের জালিয়াতি। গত ১২ নভেম্বর মতামত চেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি পাঠানো হলেও সেই চিঠির জবাব মাদ্রাসা অধিদপ্তর এখনও পৌঁছায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, হবিবপুর মাদ্রাসার যে চিঠি আসছে তা অনেক দিন হয়ে গেলো সেভাবে বিষয়টি মনেও নেই। তবে আমি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) নির্দেশ দিয়েছিলাম। তার সাথে কথা বলুন বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, আমার যতদুর মনে পরে আমরা মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি।  এ সংক্রান্ত কোন মতামত সংশ্লিষ্ট দপ্তর পায়নি উল্লেখ করলে তিনি জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

ট্রাকের ধাক্কায় ঘুমন্ত ১২মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আ-হ-ত

লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হাড়িভাঙা তালিমুল ইনসান হাফেজিয়া ও কওমি মাদ্রাসায় চলন্ত ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে …