শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ “যুক্তরাজ্যে বসেই বেতন তুলছেন জগন্নাথপুরের মাদ্রাসা প্রভাষক আলী আসকার” শিরোনামে ১৩ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে শিক্ষাবার্তা’য় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হুলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজ ও মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সভাপতি মো: ফয়জুল ইসলাম।
রবিবার শিক্ষাবার্তা’র বার্তা কক্ষে পাঠানো অধ্যক্ষ মোঃ মঈনুল ইসলাম পারভেজ ও মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সভাপতি মো: ফয়জুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপি-
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
শিক্ষাবার্তা সব সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার স্বার্থে সহযোগী ও সহযাত্রী হিসেবে কাজ করে আসছে, অতীতে করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও এই নীতির পরিপন্থী কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেনা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ব্যক্তি কিংবা কোন গোষ্ঠীর হীণ স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে কোন ধরণের সংবাদ প্রকাশ করেনি। ‘শিক্ষাবার্তা’ কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে যতবার কলম ধরেছে তার সত্যতা যাচাই, তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা স্বাপেক্ষে তার প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছে।
হুলিয়ারপারা জামেয়া কাসেমিয়া আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক মোঃ আলী আসকার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য দেশ ত্যাগ করেন। তিনি তিন বছরের জন্য যুক্তরাজ্য বসবাস করার জন্য ভিসা করেন। একজন ব্যক্তি তিন বছরের জন্য দেশ ত্যাগ করে কীভাবে অর্জিত ছুটি পান এবং মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডি বিদেশ গমনের অনুমতি পত্র দেন তা বোধগম্য নয়। স্থায়ীভাবে বসবাস করার উদ্দেশ্যে তিন বছরের রেসিডেন্সিয়াল ভিসায় দেশ ত্যাগ করে পরবর্তীতে দেশ ত্যাগের তিন মাস পর পদত্যাগ পত্র দিয়ে দিলেন এবং তা গৃহীত হলো। কোন শিক্ষক যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে থাকেন তাহলে তার বেতন অর্ধেক কীভাবে হয় এবং কোন নীতিমালায় আছে তা প্রতিবেদকের জানা নেই। আলী আসকার সেপ্টেম্বরে বিদেশ গমন করেন এবং সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের এমপিও শীট যা চলতি মার্চ মাসে ছাড় হয়েছে সেই এমপিওশীটেও আলী আসকারে নামে বেতন ভাতা এসেছে যার কপি শিক্ষাবার্তা’র হাতে রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষ এবং সভাপতিকে জানিয়েই স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন আলী আসকার। আলী আসকারের পদত্যগ পত্র গৃহীত এবং তার এমপিও বন্ধের বিষয়ে শিক্ষাবার্তা’য় উল্লেখিত প্রতিবেদন প্রকাশের দিন পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর জানানো হয়নি।
মাদ্রাসার আরেক ইংরেজি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন (ইনডেক্স নম্বর M0028115 ) ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরি ছেড়ে চলে যান। তিনি চাকরি ছেড়ে গেলেও ২০২৩ সালের সেপ্টম্বর মাস পর্যন্ত টানা আট মাস তার একাউন্টে বেতনের সরকারী অংশের টাকা এসেছে। যার কপি শিক্ষাবার্তা’র হাতে রয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ১৮/০৬/২০২৩ ইংরেজী তারিখে অনুষ্ঠিত মাদরাসা গভর্ণিং বডির সভার ৪নং সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৬/০২/২০২৩ইং তারিখ থেকে হেলাল উদ্দিন এর পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়। ১৬/০২/২০২৩ইংরেজী তারিখ থেকে মো: হেলাল উদ্দিন কে কোন প্রকার বেতন ভাতাদি প্রদান করা হচ্ছে না। তাছাড়া বিগত নভেম্বর ২০২৩ মাস থেকে অধ্যক্ষ মহোদয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এমপিও সিট থেকে তার নাম কর্তন করে ।
এমপিওনীতিমালা অনুযায়ী কোন শিক্ষক পদত্যাগ করলে তা মাদারাসা অধিদপ্তরকে জানাবেন মাদ্রাসা প্রধান। কিন্তু ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পদত্যাগ করলে হেলাল উদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়টি মাদ্রাসা অধিদপ্তরকে জানানো হয় সাত মাস পর নভেম্বর মাসে।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন সময় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সম্মান হানিকর অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত একাধিক সংবাদ আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এগুলোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ন করা ও একজন সম্মানী ব্যক্তি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো: মঈনুল ইসলাম পারভেজ মর্যাদাহানীকর সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে আহবান করা যাচ্ছে।
প্রকৃত পক্ষে অধ্যক্ষ মো: মঈনুল ইসলাম পারভেজ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক হলেও তিনি নিকাহ রেজিস্টার
অধ্যক্ষ পদে মাদ্রাসায় কর্মরত থেকে বেতন-ভাতা নিলেও মাদ্রাসার চাকরির তথ্য গোপন করে মুসলিম বিবাহ তালাক নিবন্ধক ও নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা এমপিওনীতিমালা পরিপন্থী ও সরকারি কর্মচারী বিধিমালা পরিপন্থী যা অর্থ আত্মসাৎ বলে বিবেচিত।
অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে কাবিননামা তৈরিতে জালিয়াতি, বাল্যবিবাহ, দেনমোহরের টাকা কমবেশি করা, বর ও কনে পক্ষকে নানা কায়দায় প্ররোচিত করে বিবাহ দেওয়া এবং বিবাহ বিচ্ছেদকরণ, নারীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। যা চাকরিবিধি পরিপন্থী এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এসব অভিযোগে গত ২৫ জুন অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর গ্রামের শাহনাজ পারভিন লিসা নামের এক মহিলার কাবিননামায় তার নাম মুছে মোসাম্মৎ সাজেদা বেগম নামের অন্য মহিলার নাম বসিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশ গমণে সহায়তার অভিযোগে শাহনাজ পারভীন লিসা বাদী হয়ে ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ইং তারিখে আদালতে (জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জে, সিআর মামলা নং-৩৮/২০২৩) মামলা দায়ের করেন।
অর্থ আত্মসাৎ
মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুবিধার্থে প্রবাসী কর্তৃক ব্যাংকে প্রদত্ব ৪০ লাখ টাকা অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজ অন্যান্যদের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেন। যা নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত সুনামগঞ্জে ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৪/৪৭১ ও ৩৪ ধারায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সি/ আর মামলা -১৫ দায়ের করেন প্রবাসী নুর মিয়া। যা জগন্নাথপুর থানা কর্তৃক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এই মামলায় ১৬ দিন জেল খাটেন অধ্যক্ষ মঈনুল ইসলাম পারভেজ।
নিজে মানহানীর মামলা করে নিজেই ফাঁসেন অধ্যক্ষ
অর্থ আত্বসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক গল্প-ঘটনা তৈরী করে তাহা পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মান-সম্মানের হানি ঘটিয়ে ও সামাজিক ভাবে হেয় ও অপদস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট, মেট্রোপলিটন আদালত- ০৬. ঢাকায় সিআর মামলা নং-১৫/২০২৩ (হাতিরঝিল), তারিখ-০৫/০১/২০২৩ খ্রিঃ, ধারাঃ-৫০০ পেনাল কোড মামলা দায়ের করেন অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজ। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পিবিআই তদন্ত করে ০৪ জুন ২০২৩ ইং তারিখে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজ মিথ্যা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মাদ্রাসার অনুদান দাতাকে হয়রানী করতে ও আর্থিক জালিয়াতি করে এবং জালিয়াতি থেকে মুক্তি পেতে এই মামলা দায়ের করেন বলে সুস্পষ্টভাবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জালিয়াতির মাধ্যমে ১৭ বছর ধরে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজ!
অধ্যক্ষ পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত মো: মইনুল ইসলাম পারভেজ (ইনডেক্স নং— ৩২০৮৫৮) ৩০ এপ্রিল, ২০০০ ইং হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপর ১ অক্টোবর ২০০৪ ইং তারিখ থেকে ১০ নভেম্বর ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। অর্থ্যাৎ প্রভাষক পদে যোগদানের মাত্র পাঁচ বছর ৬ মাস ১২ দিনের মাথায় তিনি প্রভাষক থেকে সরাসরি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ১৯৯৫ অনুযায়ী, আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হতে হলে দাখিল মাদ্রাসায় আট বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা অথবা মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রথম শ্রেণীর কামিল ডিগ্রীসহ সকল পরীক্ষায় ২য় শ্রেণী/বিভাগ, যদি কামিল পরীক্ষায় ২য় বিভাগ না থাকে সেক্ষেত্রে ইসলামিক স্টাডিজে দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার্স ডিগ্রীসহ সকল পরীক্ষায় ২য় বিভাগ।
আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হতে হলে দাখিল মাদ্রাসায় আট বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা অথবা মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ছিল আরবি প্রভাষক পদে মাত্র পাঁচ বছর ৬ মাস ১২ দিনের। যেখানে কাম্য যোগ্যতা আট বছরের সেখানে মাত্র পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি কিভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেলেন তা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক মো: মইনুল ইসলাম পারভেজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও পরবর্তীতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
আলিম মাদরাসায় আরবি প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে হলে অবশ্যই কামিল পরীক্ষায় ২য় বিভাগ সহ সকল পরীক্ষায় ২য় বিভাগ থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজ ২০০০ সালের ৩০ এপ্রিল নিয়োগ পেলেও তিনি কামিল পাশ করেছেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০২ ইং তারিখে। অর্থ্যাৎ নিয়োগের দুই বছর পর কামিল পাশ করেন।
নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে গত ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে শিক্ষাবার্তা’য় সংবাদ প্রকাশ করার পর ১৬ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে শোকজ করে।
ভুয়া আবেদন ও স্বারক ব্যবহার করে হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য অধ্যক্ষ মাঈনুল ইসলাম পারবেজঃ
জগন্নাথপুরের হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত নামের তালিকায় নাম না থাকলেও, মাদ্রাসা প্রধানের আবেদন উপেক্ষা করে ভুয়া আবেদন এবং মাদ্রাসার ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে উপজেলার হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন অধ্যক্ষ মো: মইনুল ইসলাম পারভেজ (ইনডেক্স নং— ৩২০৮৫৮) । ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে তাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করে চিঠি ইস্যু করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক (ঢাকা ও সিলেট বিভাগ) মোহাম্মদ সাজিদুল হক। হবিবপুর কেশবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে সেই তদন্ত এখনও চলমান।
পরিশেষে, শিক্ষাবার্তা’ বহুল প্রচারিত ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুল আকাঙ্ক্ষিত একটি গণমাধ্যম। এখানে কোন ব্যক্তির প্রলোভনে প্রলোভিত হওয়ার কোন ধরণের সুযোগ নেই। যারা জালিয়াতি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাবার্তা’ সংবাদ পরিবেশন অব্যহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ
- ১। অধ্যক্ষ মইনুলের এমপিও বাতিল কেন হবে না জানতে চেয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর
- ২। অনিয়মের হোতা অধ্যক্ষ মইনুলকে অধিদপ্তর শোকজ করলেও বন্ধ হয়নি এমপিও
- ৩। জালিয়াতির মাধ্যমে ১৭ বছর ধরে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম পারভেজ!
- ৪। শিক্ষাবার্তা’য় সংবাদ প্রকাশ, সেই অধ্যক্ষ মইনুলকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে তলব
- ৫। ভুয়া আবেদন এবং স্মারকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হলেন সেই অধ্যক্ষ মইনুল
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/০৩/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.