ঢাবিতে মেয়েদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেছেন, সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের উপস্থিতি বাড়লে সমাজ পরিবর্তনের উপাদান তৈরি হয়।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘বঙ্গমাতা বক্তৃতামালা' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মেয়েদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের বেশি। একাডেমিক ফলাফল থেকে শুরু করে খেলাধুলা সব জায়গায় তারা ভালো করছে। তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে হবে, অনুপ্রাণিত করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে যদি সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় তাহলে সমাজে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে বলা যায় যেটা অন্য দেশ ভাবতেও পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সেনাবাহিনীর উচ্চ পদ, আমলা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা সাবলীলভাবে অংশগ্রহণ করছে। নানা চ্যালেঞ্জিং সব কাজে বাংলাদেশের মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছে বিধায় নারীর ক্ষমতায়নের মানদণ্ডে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপাচার্য।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাচ্ছেন। তারা সেখানে অভ্যন্তরীণ কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এটা এখনো স্বীকৃতি পায়নি। আমি আশা করি সরকার এই বিষয়ে ভাববে। অনেকগুলো সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে হতাশার জায়গাও রয়েছে। কানাডার মত দেশে যারা অভিবাসী আছে তাদের জীবনযাত্রার মান খুবই খারাপ। তবুও তারা কাজ করে যাচ্ছেন এবং রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।