৯০ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি
নিউজ ডেস্ক।। গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ৯০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৯০ হাজার ২৮০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির কারণে আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৪০ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা।
সে হিসাবে নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রকে সরকার প্রতি বছরই বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নে অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় পরে তা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে এর পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বাজেটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সঞ্চয়পত্রই সাধারণ নাগরিকদের কাছে বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা এবং ব্যাংকে আমানতে সুদহার কম হওয়ায় সঞ্চয়পত্রে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একসময় সঞ্চয়পত্র থেকে পাওয়া সুদে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের সংসার চললেও এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ব্যাংকগুলোতে সুদের হার কমে যাওয়ায় অনেকেই স্থায়ী আমানত ভেঙে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন। বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর আছে।