৮ লাখে লিখিত পরীক্ষায় পাস, মৌখিক দিতে এসে ধরা
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পঞ্চগড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে পাশ করলেও মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছেন ললিত মোহন রায় (২৬) নামের এক চাকরিপ্রার্থী।
শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড তাৎক্ষণিক ওই প্রার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামের এক উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।
পরীক্ষার্থী ললিত মোহন বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালীবাড়ি এলাকার কামিনী রায়ের ছেলে। রফিকুল ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব গোয়াল পাড়ায়। মামলায় রিয়াজুল ইসলাম নামের আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর এলাকায়।
পুলিশ ও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল।
পরীক্ষার্থী ললিত মোহন রায়ের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
একপর্যায়ে ললিত স্বীকার করেন, চাকরির জন্য বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে তিন লাখ ও রিয়াজুল ইসলাম নামের আরেকজনকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন এবং প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরে রফিকুল ইসলামকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় এবং দুইজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে নিয়োগ বোর্ড।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’