৬৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধায়
নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ডিজিটাল সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতিতে ৯৮ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা অবদান রাখছে। ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় কাজ করছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ডিজিটাল কমার্সের আওতায় এখন এক বিলিয়ন মার্কিন ডলাবের বেশি বাণিজ্য হচ্ছে। যেখানে ই-কমার্সের আওতায় অর্ধেক কাজ করছেন বাংলাদেশের মহিলারা।
গতকাল রাতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ‘প্রাইভেট সেক্টরে ডিজিটাল অ্যান্ড গ্রিন বিজনেস রিকভারি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সংলাপে অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
এতে আরও অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, রুয়ান্ডার ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিনিস্টার সোরায়া হাকুজিইয়ারিমে, জামাইকার ফরেন ট্রেড মিনিস্টার সিনাতোরকামিনা জনসন স্মিথ প্রমুখ।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি এবং অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে এই সংলাপ আহ্বান করে কমনওয়েলথ। বিষয়ের ওপর এই সংলাপ ছিল তৃতীয়বারের মতো। তবে এবারের এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে।
সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী কমনওয়েলথ বিটুবি ডিজিটাল কানেকটিবিটি ভাব গ্রহণ, কমনওয়েলথ বিটুবি ডিজিটাল মার্কেট প্লেস সৃষ্টি, ভার্চুয়াল ট্রেইনিং অ্যান্ড কেপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম গ্রহণ, কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রস্তাব পেশ করেন।
তিনি এ জন্য কমনওয়েলথকে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার তাগিদ দেন।
এ সময় মন্ত্রী দেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, কোভিড ১৯-এর কঠিন অবস্থাতেও বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ ৫.২৪ শতাংশ। এটি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিষয়ের ওপর কি-নোট উপস্থাপন করেন কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল বারোনেস পেট্রিসিয়া স্কোটল্যান্ড।