৬৪ বছরে পা রাখলো উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল
আজ ১৫ ই নভেম্বর। ঠিক আজকের দিনেই ৬৩ বছর আগে জেসেফাইন উইলস নামের এক মহিয়সী নারী তাঁর স্বামী ডি.আর উইলসকে সাথে নিয়ে তাঁর ছবির সাদা দোতলা পৈতৃক বাড়িটিতে গড়ে তোলেন এদেশের প্রথম ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল। তাঁর নামের সাথেই মিল রেখেই নাম রাখলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল। সেই ছোট্ট ফুলের বাগান একে একে ৬৩ টি বসন্ত পেরিয়ে আজ পা রাখলো ৬৪ বছরে।
প্রত্যাশিতভাবেই এই দীর্ঘদিনের যাত্রায় উইলস পার করেছে হাজারো চড়াই উৎরাই। একই সাথে বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম এবং ইংরেজি ভার্সন তিনটি শাখা রাখার দুসাহস কোন প্রতিষ্ঠান না দেখালেও উইলস সেই চ্যালেন্জ মোকাবেলা করেছে যথেষ্ট ভালো ভাবেই। কিন্তু এর ঐতিহ্য এবং সাফল্য ঠুনকো হয়নি কোনদিন। শুধু একটু উঠো-নামা করেছে এই যা। স্কুল ক্রিকেটে এখনো আমরা ঢাকা মেট্রো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। স্কাউটিং রাষ্ট্রপতি পদক আসছে নিয়মিতই। পড়াশুনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এ আমাদের যে সাফল্য তা যে কাউকে ঈর্ষান্বিত করতে বাধ্য করবেই।
৬৩ বছরে এখানে পড়াশুনা করে দেশে-বিদেশে আলো ছড়িয়েছেন অনেক জ্ঞানী-গুনি ব্যক্তি। তাদের সবার নাম বলা সম্ভব না হলেও উল্লেখযোগ্য হলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড: গওহর রিজভী, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদার, গায়ক অনর্ব, জন কবির, ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, অভিনেত্রী মোসুমী, সংসদ সদস্য ও সাবেক ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দূর্জয়, এশিয়ার নাম্বার ওয়ান ব্যান্ড আর্টসেলের লিড গিটারিস্ট কাজি ফয়সাল আহমেদ সহ আরও অসংখ্য প্রতিভাবান মানুষ।
এই তালিকায় আরও অসংখ্য উইলিয়ানের নাম যুক্ত হোক এই কামনায় এগিয়ে যাই সামনের দিকে। ছোট্ট ফুলের বয়স দিন দিন বাড়লেও এক সুবাস থাকুক চির অম্লান।