প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি জানায়, এখনো কিছু কিছু জেলায় মৌখিক পরীক্ষা চলছে। কয়েকটি জেলায় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সূত্রটি আরও জানায়, যেহেতু এটি একক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, তাই লিখিত ও মৌখিক তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে। তা না হলে সিনিয়র-জুনিয়র সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল প্রকাশের পর যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিটি উপজেলা/ শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ছাড়া অন্য কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা/ প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না। অর্থাৎ চূড়ান্ত ফলাফলে কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল থাকবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রস্তুতের সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাঁকে থানায় সোপর্দ করা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রাথমিকের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।