২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে ভর্তুকি ও প্রনোদণায়
রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে পরবর্তী বাজেটের রূপরেখা মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অবশ্য শেষ মুহূর্তে প্রধানন্ত্রীর অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এসব অঙ্ক যে কোনো সময়ই পরিবর্তনযোগ্য।
অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো বলছে, দীর্ঘ দুই বছরের চলমান কভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন দামামায় বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে ঋণের চাপ সহনীয় পর্যায়ে আনতে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর চাপও রয়েছে। সেই সঙ্গে আবার মূল্যস্ফীতিও চোখ রাঙাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা এবং দেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে মন্দার পূর্বাভাস সত্ত্বেও আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখনকার তুলনায় নতুন অর্থবছর বেশ কমে আসবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ জন্য আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছর প্রণোদনা ও ঋণ খাতে প্রকৃত ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ১৭ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ করা হচ্ছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী অর্থবছর সেটি বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে। তবে এটি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে।