দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
ভুয়া সনদে ২৮ বছর ধরে শিক্ষকতা
শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্নাতকোত্তর পাসের ভুয়া সনদ দাখিল করে ২৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
লিখিত অভিযোগে মিজানুর রহমান উল্লেখ করেছেন, জনবল কাঠামো ৯৫-এর বিধিমালা লংঘন করে ১৯৯৭ সালে অনার্স ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্র থাকাকালীন তাকে ইংরেজি প্রভাষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের মধ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারলে তার নিয়োগ বৈধ বলে গণ্য হবে। এই শর্ত বেসরকারি স্কুল ও কলেজ বিধি বহির্ভূত। তবে ১৯৯৮ সালে স্নাতকের ছাত্র থাকাকালীন ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ দেখিয়ে তার নিয়োগ বৈধ করা হয়। অথচ ২০০১ সালে প্রকাশিত ফলাফলে তিনি ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ৩য় বিভাগের স্থানে ২য় বিভাগ লিখে ২৭.০৫.২০০২ তারিখ তথ্য গোপন করে এমপিওভুক্তি লাভ করেন। এসব অনিয়মের বিষয় ২০০৫ সালে তৎকালীন বামনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম সাহেবের কাছে ধরা পড়লে তিনি ০৫.১২.২০০৫ তারিখে ইস্তফা দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। তৎকালীন সভাপতি বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গভর্নিং বডির সভায় তার ইস্তফা পত্র অনুমোদিত করেন।
তার নাম এমপিও সীট থেকে বাতিল করার জন্য তৎকালীন অধ্যক্ষ লিখিতভাবে শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করলে শিক্ষা বোর্ড সফিকুল ইসলামের এমপিও বন্ধ করে দেন। এরপর তার আপন মামা পুনরায় এই কলেজের সভাপতি হলে তাকে ২০০৯ সালে ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে পুনর্বহাল করেন। এতে তার চার বছরের চাকরি বিরতি হয়। কিন্তু এসব বিরতি কাউন্ট না করে ২০১০ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০১৫ সালে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ গ্রহণ করেন। সফিকুল ইসলামের জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ নেয়ার বিষয়টি তদন্তের দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।
অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, সফিকুল ইসলামের আপন মামা গভর্নিং বডির সভাপতি হাওয়ায় তাকে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে আমি এই ষড়যন্ত্রকারীদের চাপের মুখে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/০২/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর