২৫০জন শিক্ষার্থীর জন্য চারটি ক্লাসরুম, বিপাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ফুটকিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থীর জন্য পাঠদান উপযোগী শ্রেণীকক্ষ রয়েছে মাত্র ৪টি। এই চারটি শ্রেণীকক্ষের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর যাবৎ পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রমে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বোচাগঞ্জ উপজেলার ‘এ’ ক্যাটেগরির প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে নাফানগর ইউনিয়নের ফুটকিবাড়ী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী, অবস্থান, ফলাফল ও পরিবেশের দিক দিয়ে ভাল অবস্থানে আছে। বর্তমানে প্র্রায় ২৫০জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি আছে। তবে, অবকাঠামোগত দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সর্বমোট ০৭টি কক্ষ থাকলেও পাঠদানের উপযোগী মাত্র ৩-৪টি কক্ষ রয়েছে তাছাড়া একটিমাত্র শৌচাগার থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত আলাদা কোন শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে স্বাভাবিক পাঠদানের ব্যঘাত ঘটা সহ শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে।
বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানের জন্য অবকাঠামোগত অসুবিধা পরিলক্ষিত না হলেও সামনে প্রতিষ্ঠান খুললে এবং করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত এই সমস্যাটি প্রবল আকার ধারন করবে। যা নিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রদানের জন্য এবং শিক্ষার গুনগত মান রক্ষার্থে শ্রেণীকক্ষবৃদ্ধি সহ নতুন ভবন স্থাপন করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইকরামুল হক বলেন, “বর্তমানে স্কুলে প্রায় ২৫০জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠদান উপযোগী ৩টি শ্রেণীকক্ষ। আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে বেশ কয়েকবার শ্রেণীকক্ষবৃদ্ধিসহ নতুন ভবন স্থাপনের জন্য লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন আশার বাণী পাচ্ছি না। এদিকে সামনের দিনগুলিতে স্কুল খুললে অবকাঠামোগত বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক পাঠদান নিয়ে আমি চিন্তিত। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।”
অত্র এলাকার গ্রামীণ শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা ও অত্র প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক পাঠদান চালু করতে হলে দ্রæত শেণীকক্ষ বাড়ানো অথবা নতুন বিল্ডিং স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলেই এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ জোর দাবী জানিয়েছে।