২১ শিক্ষককে শোকজ করলো অধ্যক্ষ
যশোরঃ যশোর মেডিক্যাল কলেজের (যমেক) কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই উদ্যোগের প্রথমে ফাঁকিবাজি বন্ধের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে ২১ জন শিক্ষকসহ ২৩ জনকে শোকজ করেন অধ্যক্ষ।
অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ আবু হাসনাত মো: আহসান হাবিব। ৭ নভেম্বর জারিকৃত শোকজ নোটিশের জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যশোর মেডিক্যাল কলেজের ২৩টি বিভাগের কর্মরত ৯২ জন শিক্ষক। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় শিক্ষক অব্যাহতভাবে ফাঁকিবাজি করছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকেন। আবার কয়েকজন শিক্ষক সপ্তাহে একদিন, দু’দিন ও তিনদিন অফিস করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলেজে অনুপস্থিত থেকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা করাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। এতে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। একইসাথে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগত এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
সরকারি নিয়মানুযায়ী মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ৮টায় অফিসে আসবেন। একটানা দুপুর দুটো পর্যন্ত অবস্থান করে অফিস ত্যাগ করবেন।
অফিসে উপস্থিত এবং বের হওয়ার সময় বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাদের। এর বাইরে প্রতিটি বিভাগে হাজিরা খাতার ব্যবস্থা থাকার কথা। দায়িত্বশীলদের তদারকি না থাকায় নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না মেডিক্যাল কলেজের কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
নিজেরাই নিয়ম করেছেন সপ্তাহে দু’-তিনদিন ক্লাস নেবেন। এসব শিক্ষক এক থেকে দেড় ঘণ্টা অফিসে অবস্থান করে বেরিয়ে পড়েন নিজস্ব চেম্বারের উদ্দেশে। যশোর মেডিক্যাল কলেজে পদ ও পদবি করে ব্যবসা করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
ক্লিনিক্যাল বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার। নিয়মিত বহির্বিভাগের রোগী দেখাসহ ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন করারও নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। সকালে মেডিক্যাল কলেজে কোনো রকম মুখদর্শন দিয়ে তারা বেরিয়ে পড়েন যশোরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যক্তিগত চেম্বারে।
অক্টোবর মাসে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাদের মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক সাতজন, সহকারী অধ্যাপক ছয়জন ও প্রভাষক আটজন। অফিস ফাঁকির তালিকায় দু’জন কর্মচারীর নামও এসেছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবু হাসনাত মো: আহসান হাবিব বলেছেন, কলেজে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শোকজ করা হয়েছে। লিখিত জবাব পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়