২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক।।
প্রবন্ধে লেখক তথাকথিত ভদ্র সমপ্রদায়ের কঠিন সমালোচনা করেছেন
বাংলা প্রথমপত্র
মোস্তাফিজুর রহমান লিটন
সিনিয়র শিক্ষক, বাংলা
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
১. নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হ’য়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
কে তুমি? পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?
কন্ফুসিয়াস? চার্বাক-চেলা? ব’লে যাও, বলো আরো!
ঘ. উদ্দীপকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাব বহন করে না- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪
ঘ. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে আলোচিত নানা বিষয়ের মধ্যে উদ্দীপকে শুধু অসামপ্রদায়িকতা ও সাম্যের দিকটি ফুটে ওঠায় উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের সমগ্র ভাব বহন করে না। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের দেশের শক্তির বড় একটি অংশের কথা তুলে ধরেছেন, যারা সমাজের ভদ্র সমপ্রদায় কর্তৃক সর্বদা অবহেলিত।
এদের অধিকার সম্পর্কিত কথা এবং এদেরকে জাগিয়ে তোলার কথা প্রবন্ধে স্থান পেয়েছে। আরও বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি তাদেরকে আপন করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশটুকুতে সাম্যের জয়গান ধ্বনিত হয়েছে। পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে অসামপ্রদায়িকতার কথা। এখানে সব মানুষকে একই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। অর্থাত্ মানুষে মানুষে কোনো পার্থক্য নেই। মানুষ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী হতে পারে, কিন্তু হূদয়ের দিক থেকে আর মানুষ হিসেবে সবাই এক।
‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখকের মনোভাবের সঙ্গে এখানে উদ্দীপকের মিল বিদ্যমান। প্রবন্ধে লেখক তথাকথিত ভদ্র সমপ্রদায়ের কঠিন সমালোচনা করেছেন। অর্থাত্ তারা যে সমাজের মূল শক্তির উত্স শ্রমিক শ্রেণির লোকদেরকে উপেক্ষা করে এর বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর প্রতিবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধে লেখক এ উপেক্ষিত শক্তিকে জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ শক্তিকে জাগাতে না পারলে, এঁদেরকে দূরে ঠেলে দিলে জাতি উন্নতির বদলে অবনতির দিকে ধাবিত হবে।
আর তাই তিনি এঁদের হাত ধরে উপরে তোলার ও এঁদেরকে ভালোবাসার কথা বলেছেন। উপরিউক্ত বর্ণনার প্রেক্ষিতে বলা তাই যায়, উদ্দীপকে প্রবন্ধটির সাম্যবাদী ও অসামপ্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থিত থাকলেও আরও কয়েকটি দিক অনুপস্থিত। আর তাই উদ্দীপকটি প্রবন্ধের সমগ্র ভাব বহন করে না।