১৩ বছরেই স্নাতক এলিয়টের
নিউজ ডেস্ক।।
বয়স মাত্র ১৩। এরই মধ্যে স্কুলের পড়াশোনা সব শেষ করে ফেলেছে সে। পা দিয়েছে স্নাতক স্তরে। সেখানেও অবশ্য সব প্রস্তুতি সারা। আগামী মে মাসেই বসতে চলেছে সে স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষায়। আমেরিকার বাসিন্দা এলিয়ট ট্যানার আপাতত মিনেসোটা ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সবচেয়ে খুদে পড়ুয়া তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
এলিয়টের প্রিয় বিষয় অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা। সারাদিন পদার্থবিদ্যার বইয়ে মুখ গুঁজে দিন কাটান। ভবিষ্যতে থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট এবং পরে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হতে চায় তিনি। ইতিমধ্যেই গবেষণামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এরসঙ্গে মাঝেমধ্যেই সহপাঠীদের বিভিন্ন বিষয় পড়াতে বসে যান অনায়াসে।
সাধারণ লোকদের বারো বছর লেগে যায় স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে। তবে মাত্র দুই বছরের মধ্যেই সেই সমস্ত পড়াশোনা শেষ করে এই খুদে শিক্ষার্থী মাত্র ৯ বছর বয়সে কলেজে পা রাখেন। এলিয়টের মা মিশেল জানিয়েছেন, মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই মুখে মুখে অঙ্ক কষে ফেলতে পারত সে। দেখে অবাক হয়ে যেতেন পরিবারের লোকেরা।
ইতোমধ্য়েই ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটাতেই পিএইচডি প্রোগ্রামে ঢুকে পড়েছে সে। মেধাবী এলিয়টের পড়াশোনার খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা-মা। সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়-পরিজনদের অনেকেই। পড়াশোনার খরচের অনেকটাই বহন করেছেন তারা। কিছুর জন্যই ছেলেকে থামতে দিতে চান না এলিয়টের বাবা-মা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তার পড়াশোনার খরচ জোগার করার চেষ্টা করে চলেছেন তারা।
পড়াশোনায় যতই তুখোড় হোক না কেন, বাড়িতে কিন্তু এখনও সেই ছোট্টটিই এলিয়ট। তাই এসব জটিলতা মাথায় ঢোকে না তার। আপাতত পরবর্তী পড়াশোনার জন্যই দারুণ উত্তেজিত সে।
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর