বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার আগে আমাদের এখানে প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী ছিল। করোনার পর তা অর্ধেকে নেমে আসে। আর বর্ষা মৌসুম ও জোয়ারের দুর্ভোগের কারণে শিক্ষার্থী আরও কমেছে। এখন প্রতিদিন ৮০-৯০ জনের বেশি উপস্থিত হয় না।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেশমা ও সায়মা বলে, সাঁকোর ওপর দিয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। অনেকে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসে না। তাদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টির অভিভাবক সদস্য মোকসেদ মিয়া বলেন, বিলের মধ্যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য যে পথ (মাটির রাস্তা) আছে, সেটি স্থানীয় দুটি বাড়ির দুই পুকুরের মাঝখান দিয়ে গেছে। দুটি বড় পুকুর থাকায় মাটির সড়ক নির্মাণ করে লাভ হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই মাটির সরু সড়ক ধসে পুকুরে বিলীন হয়ে যায়। এ জন্য প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করতে হচ্ছে। সাঁকোটি নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুশিক্ষার্থীরা ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে ভয় পায়। এ জন্য বর্ষার সময় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে না।
ওই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে দিয়েছেন মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ করতে অন্তত ১০-১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। ইউনিয়ন পরিষদের ব্যয় করার মতো ওই পরিমাণ তহবিল নেই। বরাদ্দ পেলে সড়ক নির্মাণ ও মাঠ ভরাট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
হিজলার ইউএনও বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতে দুরবস্থার বিষয়টি জানি। সেখানে সড়ক নির্মাণ করা খুব জরুরি। একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সড়ক নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’