‘হলুদ সাংবাদিকতার' বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জনগণকে যারা অপ-তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত হানে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সভ্য বিশ্বে যে কোনো ধরনের সাংবাদিকতার জন্য কিছু মূলনীতি থাকে৷ কিন্তু যখন কেউ হলুদ সাংবাদিকতা করেন ও অপ-তথ্য দেন এবং বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত হানেন তখন সেটা দেশের সার্বভৌমত্বের উপরেরই এক ধরনের আঘাত আসে। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
এদিন শহীদ মিনারে ‘স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন হয়। এতে স্বাধীনতা দিবসে প্রচারিত সংবাদের জেরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলসহ সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “সরকারের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে নির্বাচন যখন সামনে নানা ধরনের অপপ্রয়াস ও অপকৌশল শুরু হয়েছে। সেটির জন্য যারা এই সকল কাজে মদদ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সাংস্কৃতিক শক্তিসমূহের মৌলিক দায়িত্ব।
“একটি বিশেষ পটভূমি তৈরির উদ্দেশেই আমাদের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। যাতে নানা ধরনের উসকানি ও সাম্প্রদায়িক মদদ দেওয়ার জন্য নানা ধরনের অপকৌশল থাকে। যেসকল পত্রিকা, যে সকল শক্তি অপকর্মে লিপ্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবি।”
মানবন্ধনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রচারিত সংবাদকে শুধু অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা বলা যাবে না। এটির মাধ্যমে আঘাত এসেছে আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদার উপরে।”
মানববন্ধনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বাদী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালেক বক্তব্য দেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়